ইনসাইড টক


‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও যুগোপযোগী করাই আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ’

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, মৎস এবং প্রাণিসম্পদ খাতে আরও যুগোপযোগী করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই খাতগুলোকে কাজে লাগানোই আমার প্রধান দায়িত্ব। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন...
‘আমরা কিছুটা বিব্রতকর অবস্থাতেই আছি’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‌‌‘আদর্শিক ১৪ দলের জোটের প্রার্থী হিসেবে আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে জোটের শরিক দলের কোন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিৎ নয়। তাতে আওয়ামী লীগ বনাম সেই দলের বিরুদ্ধে রাজনীতি হয়ে যায়, যা জোটের মৌলিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই হিসেবে আমরা কিছুটা বিব্রতকর অবস্থাতেই আছি।’

আরো পড়ুন...
‘তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আমি এর কোনো সম্ভাবনা দেখি না। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর যে সন্দেহের প্রাচীর তৈরি হয়েছে তাতে সে সম্ভাবনা নেই। তবে এক দফা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল শেষ চেষ্টা হিসেবে তফসিল পেছানোর জন্য তৎপরতা চালাতে পারে। কিন্তু তফসিল পেছানোর নামে যদি আবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে কেউ প্রশ্ন বিদ্ধ করে ফেলে তাহলে আরেকটা অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কাজেই নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। নির্বাচনী রোডম্যাপ বিপন্ন হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তবে তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা দেখি না।

আরো পড়ুন...
‘বহিষ্কৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ’

অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় দল থেকে বহিষ্কৃত তিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কার সহ বিএনপির রাজনীতি নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপ চারিতা করেন তিনি। পাঠকদের জন্য এখানে চুম্বক অংশ ‍তুলে ধরা হল।

আরো পড়ুন...
‘টিকে থাকার জন্যই শ্রমিকরা আন্দোলন করছে, কারো উস্কানিতে নয়’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যদি জনমত উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে যায় তাহলে চলমান যে সংঘাতময় পরিবেশ চলছে সেটাকে আরও উস্কে দেওয়া হবে। সেটা সাধারণ জনগণের জন্যও ভালো হবে না, সরকারের জন্যও ভালো হবে না। দেশের সাধারণ মানুষ এখন একটা সংকটের মধ্যে আছে। দ্রব্যমূল বৃদ্ধি সহ দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা আগামীতে অর্থনৈতিক সংকটকে আরও তীব্রতর করতে পারে এমন আভাস অর্থনীতিবিদরা দিচ্ছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে জনমত উপক্ষো করে এবং নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকাণ্ড যেমন গ্রহণযোগ্য হবে তেমনি আমাদের দেশের সংকটকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

আরো পড়ুন...

‘ভারত যে আমেরিকার কথা শুনবে না সেটি তারা স্পষ্ট করেছে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, যেভাবে আমেরিকা চাচ্ছিল যে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে ভারতও যেন আমেরিকার সাথে একই সুরে কথা বলে কিন্তু সেটা যে হবে না তা পরিষ্কার হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত যে আমেরিকার কথা শুনবে না সেটি তারা স্পষ্ট করেছে। এখন আমেরিকা কি করবে সেটা তারা ভালো জানে। তবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমেরিকা সারা বিশ্বের মধ্যে প্রচন্ড সমালোচনার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ইস্যুতে তারা প্রচন্ড প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। আমেরিকা তার নিজ দেশেই প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।

আরো পড়ুন...
‘হরতাল-অবরোধে ভোক্তা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, অনেক দিন ধরে আমাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল। রাস্তা-ঘাট বন্ধ না করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। সাধারণত নির্বাচনের আগ দিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কি করবে না করবে, নির্বাচনী ইশতেহার কেমন হবে ইত্যাদি। কিন্তু রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দিয়ে হরতাল-অবরোধ করা কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর উচিত না।

আরো পড়ুন...
‘আমরা চাই বেগম জিয়া আরও অনেক দিন বাঁচুক’

বিএনপির ভেতর দুইটি গ্রুপ রয়েছে। একটি আম্মা গ্রুপ আরেকটি ভাইয়া গ্রুপ। ভাইয়া গ্রুপের প্রধান তারেক রহমানকে আমরা সবসময় সন্দেহ করেছি। সন্দেহ করেছি এই কারণে যে তিনি (তারেক রহামান) সব প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করে কিনা। আজকে রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য এবং কিছুদিন আগে বিএনপির আরেক দায়িত্বশীল নেতার একই ধরনের বক্তব্যে আমাদের এখন সন্দেহ যে খালেদা জিয়াকে দেশের খ্যাতনামা হাসপাতাল দেয়া হলেও তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন না কেন? খালেদা জিয়া সবাইকে সন্দেহ করেন। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান তিনিইতো ঔষধ দিয়েছেন, তিনিই প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন। তিনিই প্রেসক্রিপশনগুলো দেখেছেন এবং বেগম খালেদা জিয়া জোবায়দা রহমানের ঔষধকে প্রত্যাখান করেছেন। কাজেই আমাদের মনে হচ্ছে ‘ডাল মে কুছ কালা হে।’ কারণ যে হাসপাতালে তিনি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা করছেন সেই ডাক্তার সাহেবও বিএনপির দলীয় ডাক্তার। কাজেই এইখানে ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে দিয়ে তারা কোন অশুভ উদ্দেশ্য চরিত্রার্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এটা পরিষ্কার।

আরো পড়ুন...
‘পাল্টাপাল্টি আল্টিমেটাম রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিবে’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠের রাজনীতিতে সরব দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি আল্টিমেটাম রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে পারে এবং সেখানে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। কারণ দুটি আর্দশিক শিবিরে বাংলাদেশের রাজনীতি বিভক্ত। তাদের পারস্পরিক সম্পর্কও হলো সাংঘর্ষিক। কাজেই নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে তাতে পারস্পরিক সংঘাতের একটি আশঙ্কা রয়েছে। আবার সার্বিক বিবেচনায় নাটকীয় কোনো পরিবর্তন ঘটলেও ঘটতে পারে। ঘটলে সেটা আবার অস্বাভাবিক কিছু হবে না।

আরো পড়ুন...
‘আপনি দেখান, কোন জায়গায় ডিম ১৫ টাকা রাখা হচ্ছে?’

‘আমাদের বর্তমান কার্যক্রম প্রতিদিনই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। আমি মুন্সীগঞ্জে গিয়েছিলাম শনিবার, এখন আমি বগুড়ায় যাচ্ছি,তারপর যাবো নীলফামারী। আমাদের আলুর যে নির্ধারিত মূল্য রয়েছে, কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৭ টাকা, সেটা নিশ্চিত করা হলে, তখন ৩৫/৩৬ টাকায় আলু পাওয়া যাবে। এর জন্য-তো সময়টা দিতে হবে। মন্ত্রী মহোদয় ঘোষণা করেছেন বৃহস্পতিবারে। আলুটাতো পাইপলাইনে, কোল্ডস্টোরেজে থাকে, সেখান থেকে বের হয়। আমাদের একটু কাজ করতে দিন, তারপর দেখেন।’

আরো পড়ুন...
‘এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, বাংলাদেশে মানবাধিকার ধ্বংস হয়ে গেছে’

‘মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যত্যয় কিছু কিছু আছে- এটাতো অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। কিন্তু তাই বলে মাস স্কেলে (সাধারণ জনগণের মধ্যে) মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে- এ ধরনের কথা বলার কোনো অবকাশ নেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বলতে হবে যে, এই ক্ষেত্রে (ক্ষেত্র চিহ্নিত করে) বা এই বিষয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মানবাধিকার একেবারে চরম লঙ্ঘন হয়েছে বা একটা আশঙ্কাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে- এটা বলতে হবে। আর বাংলাদেশে এমন কোনো ঘটনা ঘটে নাই বা বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ধ্বংস হয়ে গেছে, খারাপ হয়ে গেছে- এটা বলার কোনো অবকাশ আছে। এ ধরনের কোনো ব্যাপার নাই।’ -বলছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

আরো পড়ুন...
‘সহজেই বোঝা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে তাদের কি ভূমিকা হবে’

পরিষ্কার ভাষায় বলা যায়, এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, এ ধরনের ঘটনা কেন হলো, এটা খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরী। জরুরী কি কারণে? যদি আমরা প্রকৃতপক্ষে তাদের পদ অনুযায়ী, তাদের দায়িত্ব পালন করবে বিবেচনা করি, তাহলে এটা কেন ঘটছে- এটা খুঁজে বের করতে হবে এবং এগুলো বন্ধ করতে হবে। খুব সহজে বললে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে যারা এখন ক্ষমতায় আছে এবং অতীতেও ছিল, কিন্তু অতীত থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে, এই কারণে তারা দীর্ঘ দিন ধরে দলীয় স্বার্থে তাদেরকে ব্যবহার করেছে।

আরো পড়ুন...
‘এডিসি হারুনের ঘটনাটি তার ব্যক্তিগত বিচ্যুতি, পুলিশের নয়’

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, ‘এডিসি হারুন যেটি করেছে সেটি তার নিজের দোষ। এর সাথে পুলিশ বাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্ট নেই। পুলিশ এডিসি হারুনের বিষয়টি নিয়ে কোনো ভাবে দায়বদ্ধ নয়। সে তিনি যেটি করেছেন সেটি তার ব্যক্তির বিচ্যুতি। এটার সাথে আমি সরকারের কোনো সম্পর্ক দেখি না। পুলিশের ওপর সরকারের নির্ভরশীলতার প্রসঙ্গটি এখানে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক এবং অযৌক্তিক।’

আরো পড়ুন...
‘বাইডেনের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক কখনোই খারাপ ছিল না’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া থেকে এক মাত্র যে জি-২০ শীর্ষ সন্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। সুতরাং অবশ্যই ভূরাজনীতিতে এটি একটা আলাদা গুরুত্ব বহন করে। যদিও জি-২০ সন্মেলনে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো বেশি করে আলোচনা করা হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ তো এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে। এছাড়া জি-২০ সন্মেলনে সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ছিল, অন্যান্য দেশগুলোও ছিল সেটা তো অবশ্যই আমাদের কূটনীতির জন্য একটা বড় সুযোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ পশ্চিমা যে দেশগুলো আছে সেখানে আমাদের একটা বড় মার্কেট রয়েছে। সুতরাং জি-২০ সন্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থিতি একটা বড় সুযোগ। কারণ সেখানে রাষ্ট্রপ্রধান বা বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আলাদা একটি গুরুত্ব পেয়েছে।

আরো পড়ুন...
‘জনগণের ওপরই ভরসা করতে হবে, বিদেশিরা বিভাজন বাড়ান’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে বিদেশিদের তৎপরতা এটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও হয়েছে। আগে আরও বেশি হত। দিন যত যাবে এ ধরনের সফর তত বাড়বে। এ সমস্ত সফরের সাথে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও কূটনীতিকদের সফরকে অনেকে নির্বাচনী রং দিতে চান। কিন্তু সেটা মোটেও ঠিক নয়। কারণ যারা ঢাকা সফরে আসছেন তারা প্রত্যেকেই সুনির্দিষ্ট আলাদা বিষয় নিয়ে ঢাকা সফর করছেন এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিভাবে আরও জোরদার করা যায় কিংবা আলোচ্য বিষয়গুলো নিয়ে দুই দেশ কিভাবে কাজ করবে সেগুলো বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

আরো পড়ুন...
‘আমাদের সীমান্ত অঞ্চল একটি ফ্রি ইকোনমি জোন হতে পারে’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, যেহেতু ভারতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছে। তাদের মূলস্ফীতি অনেকটা কমে ছিল এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। সুতরাং তাদের নিজস্ব বাজারে মূল্যস্ফীতি যেন স্থিতিশীল রাখা যায়, খাদ্য মূল্য ঠিক রাখা যায় সেজন্য তো তারা চাইবে যে, তাদের খাদ্যটা অন্তত মজুদ থাকুক। তারপর তারা রপ্তানির কথা ভাববে। সুতরাং ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চিন্তা করলে তারা যথাথ করেছে। শুনেছি মিয়ানমারও নাকি একই পলিসি গ্রহণ করবে এবং অন্যরাও গ্রহণ করবে। সেদিক থেকে আমাদের করণীয় কি? আমাদের করণীয় হল যতটা সম্ভব খাদ্যে অন্তত আত্মনির্ভরশীল হওয়া। বঙ্গবন্ধু যেমন খুব জোর দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যাও কৃষির ওপর জোর খুব দিয়েছেন। এ রকম একটি সংকটকালেও এবার কৃষির জন্য যে বিনিয়োগ সেটা বাড়ানো হয়েছে। গত বছর ২৬ হাজার কোটি টাকা ছিল। এ বছর এটা ৪০ হাজার এর বেশি করবার কথা চিন্তা করা হয়েছে। এর মানে আমি খাদ্যের জন্য যেন কারো মুখাপেক্ষী না থাকি। সেটি একটি দীর্ঘমেয়াদের।

আরো পড়ুন...
‘আমাদের মূল দুর্বলতা আইন বানানোর প্রক্রিয়ায়’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপে বলুন অথবা আন্তর্জাতিক মতামতের কথা বলুন সরকার যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তন করছে এই পরিবর্তন নিজেদের উপলদ্ধিতে হওয়া উচিত ছিল। বাংলাদেশ একটি বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপ নয়। পৃথিবীর যে মানবাধিকার উন্নয়ন ঘটেছে, আমরা সাংবিধানিক ভাবেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আন্তর্জাতিক যে মানবাধিকার দলিলগুলো আছে সেগুলোরও প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং আমরা এমনি এমনি কন্সটিটিউশনালি জড়িত। হয়তো সরকার মনে করেছে যে সামনে নির্বাচন এবং যেহেতু আন্তর্জাতিক একটা মতামত আছে এবং মানুষের মতামতকে আমলে নিতে হবে সেজন্য পরিবর্তনের উদ্যোগটা গ্রহণ করতে হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে মূল দুর্বলতা আমাদের আইন বানানোর প্রক্রিয়ায়। যতদিন না পর্যন্ত আমরা এই আইন বানানো প্রক্রিয়া শুদ্ধ না করতে পারব, পার্টিসিপেটরি না করতে পারব ততদিন পর্যন্ত কোন আইন-ই আমাদের সেভ করতে পারবে না।

আরো পড়ুন...