নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অর্থনৈতিক বিপর্যয়
এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন’ শীর্ষক সেমিনারে বলেছেন, ‘কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা নিজেদের বেশি
দেখে অন্যের কথা ভাবে না’। নাগরিক ঐক্যের সেমিনারে বক্তারা বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনকে
নিরাপদ রাখতে সমাজে ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়। কর্তৃত্ববাদী এই সরকারকে হটাতে
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত অর্থনৈতিক
বিপর্যয় এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তারা। এমনকি সেমিনারে
নির্মাণকাজে ব্যয় বাড়ানোর নামে জনগণের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
রাষ্ট্রের টাকা কিছু গোষ্ঠী লুটপাট করছে বলেও মন্তব্য করেন।
সেমিনারে আয়োজিত সংগঠন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না
কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা নিজেদের বেশি দেখে অন্যের কথা ভাবে না উল্লেখ করে বলেন, ‘মেট্রোরেল
নির্মাণে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বেশি টাকা খরচ হয়েছে। ভারতের চেয়ে প্রায়
দ্বিগুণ খরচ হয়েছে।’ নির্মাণকাজে ব্যয় বাড়ানোর নামে জনগণের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে বলে
অভিযোগ করেন তিনি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এমন কর্তৃত্ববাদী সরকার পৃথিবীতে
কমই আছে। কর্তৃত্ববাদী এই সরকারকে হটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
২০১৪ সালের পরবর্তী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের
চেতনার বড় প্রতিপক্ষ বলে সেমিনারে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক
অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এত বড় প্রতিপক্ষের সরকার দেশের
ইতিহাসে আসে নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যা যা ছিল সবকিছু তারা (আওয়ামী লীগ) লঙ্ঘন করেছে।
তারাই আবার বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মালিক!’
সংবিধান অনুযায়ী সরকারকে সেবক বলা হয়েছে, প্রভু বলা হয়নি বলেও উল্লেখ
করেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনো টাকা থাকে না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী
জনগণের টাকা নিয়ে আপনারা আমাদের সেবা করবেন। সংবিধানে আপনাদের সেবক বলেছে, প্রভু বলে
নাই, টাকা পাচারকারী বলে নাই, ভুয়া নির্বাচনকারী বলে নাই।’ সরকারের নানা ধরনের অনিয়ম
নিয়ে সংসদে তথাকথিত বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের কথা না বলায় এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে
জবাব না চাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
উন্নয়নকাজে নির্মাণ ব্যয় বেশি হওয়া এই নিয়ে সেমিনারে প্রশ্ন তোলেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বলেছেন, নির্মাণ ব্যয় বেশি কারণ মাটি নাকি নরম। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে মাটি নরম নাই?
একমাত্র বাংলাদেশেই নরম? নরম মাটিতে কত বেশি খরচ হতে পারে। আমরা যে অধিগ্রহণের নামে
লাখ লাখো কোটি টাকা কারচুপি করি, সেটার সঙ্গে মাটি নরমের সম্পর্ক কী? আমরা যে খবর পাই,
বালিশের দাম এক হাজার টাকা, এটা কি মাটি নরম হওয়ার কারণে হয়েছে? আমরা
যে খবর পাই, লাখো কোটি টাকা পাচার হয়েছে, এর সঙ্গে মাটি নরমের কী সম্পর্ক?’ প্রধানমন্ত্রীকে
এই স্বাভাবিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন করার সাহস সংসদে তথাকথিত বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের
নাই।’
মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনকে নিরাপদ রাখতে
সমাজে ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়। সেই পরিবেশ তৈরি করার জন্য গুম, খুনকে
শাসকশ্রেণি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে।
দেশ অর্থনীতির দেউলিয়াপনার সামনে পড়ে গেছে উল্লেখ করে নূর খান বলেন,
রাষ্ট্রের টাকা সবাই লুটপাট করছে না। কিছু গোষ্ঠী লুটপাট করছে। এই সংখ্যা বড়জোর ২০/৩০টি
হবে। তিনি আরও বলেন, যেখানে গণতন্ত্র থাকে সেখানে মানবাধিকার সমুন্নত থাকে। আর যেখানে
গণতন্ত্র থাকে না, সেখানে মানবাধিকার সমুন্নত থাকে না।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
নাগরিক ঐক্য মাহমুদুর রহমান মান্না অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন’ শীর্ষক সেমিনার
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলসহ
৪ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে
এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে আন্দোলনে জড়ো হচ্ছেন
শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের পর বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা নিজস্ব হলের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হওয়ার কথা।
এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, “কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা বাতিলের দাবিতে পদযাত্রা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র
শিক্ষার্থীরা। এদিন তারা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে মিছিল নিয়ে ভিস চত্বর-নীলক্ষেত-সাইন্সল্যাব
হয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন। এবং পরবর্তীতে ৪ দফা দাবি পেশ করেন তারা। এময় তারা দাবি না
মানলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন ।
শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিসমূহ:
১) ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২) পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধা বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।
৩) সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।
৪) দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
প্রসঙ্গত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৫ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
কোটা আন্দোলন পরিপত্র হাইেোর্ট বাতিল
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও করা হবে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বিষয়টি জানিয়েছেন।
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের একটি অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চিন্তার একটি বিষয়। কেননা সে স্বাধীনতার স্বপক্ষে গড়ে উঠা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি সংগঠন সে সংগঠনের একটি শাখার সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের যে অভিযোগ সেটি প্রশাসন দেখেছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলায় এ বিষয়ে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর ছাত্রত্বও পর্যালোচনা করা হবে। যেটুকু আমি জানতে পেরেছি সে এখন প্রফেশনাল প্রোগ্রামে ভর্তি রয়েছে, রেগুলার শিক্ষার্থী নয়। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগ খুবই মারাত্মক।’
উপাচার্য সাদেকা হালিম আরও বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও একটি কমিটি হবে। কমিটিতে শিক্ষকরা থাকবেন তাঁরা দেখবেন। তবে এটি জাতীয় কনসার্ন। যেহেতু ২০১৬-১৭ সালের মেডিকেল কলেজের প্রশ্নফাঁস ছিলো তখনও আমরা বেশ কয়েকটা ঘটনা দেখেছি। সেহেতু আমি মনে করি সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কাজ করছে তাঁরাও দেখবে। আর ছাত্রসংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যাঁরা আছেন তাঁদেরও বিষয়টি দেখা উচিত বলে মনে করি।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। যাচাই-বাছাই চলছে। এরপর দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রশ্ন ফাঁস অভিযোগ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা তদন্ত
মন্তব্য করুন
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সকল সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ ৪ দাবিতে প্রায় ২০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷
এর আগে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংশপ্তক ভাস্কর্যের পাদদেশে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ করে সেখানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাবি, মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ার
সমাবেশে পরিবেশ
বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭
তম
ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম
বলেন,
আমরা
স্বাধীনতার ৫০
বছর
পরেও
এসে
দেখছি
সরকারি
চাকরিতে ৫৬%
কোটা
বিদ্যমান। এই
বৈষম্যের জন্য
কি
আমরা
১৯৭১
সালে
মুক্তিযুদ্ধ করে
দেশ
স্বাধীন করোছিলাম? আনাদের
মুক্তিযুদ্ধোরা কি
এই
বৈষম্যের জন্য
যুদ্ধ
করেছিলেন? আমরা
আবারও
যুদ্ধে
নেমেছি
এই
বৈষম্য
দূর
করার
জন্য।
আগামী
৪
জুলাই
যদি
সরকার
আমাদের
দাবি
মেনে
না
নেয়
তাহলে
সারাদেশ অচল
করে
দেওয়া
হবে।
আমরা
কর্তৃপক্ষকে বলতে
চাই,
আপনারা
সর্বসাধারণের রায়
মেনে
নিয়ে
বৈষম্য
দূর
করুন।
আর
যদি
এই
বৈষম্য
জারি
রাখেন
তাহলে
বাংলার
অদম্য
সেনারা
তাদের
আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান ৪৮তম
ব্যাচের শিক্ষার্থী ও
ছাত্র
ইউনিয়ন জাবি
সংসদের
সাধারণ
সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম
ইমন
বলেন,
কোটা
রাখা
হয়
শুধু
পিছিয়ে পড়া
জনগোষ্ঠীদের জন্য।
তাছাড়া আমাদের
সংবিধানের ১৯
তম
অনুচ্ছেদে বলা
হয়েছে
‘সুযোগের সমতা’। কিন্তু এই
সাম্য
বিনষ্ট
হচ্ছে
হাইকোর্টের কোটা
পুনর্বহাল সিদ্ধান্তের কারণে।
সুতরাং
আমাদের
সাধারণ
শিক্ষার্থীদের দাবি,
মেধার
উপর
গুরুত্ব আরোপ
এবং
শুধু
সুবিধাবঞ্চিত জনগণের
কথা
বিবেচনা করেই
কোটা
সংস্কার করা
উচিত।
সমাপনী বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, 'আগামী ৪ তারিখ আপিল বিভাগে শুনানি আছে। সেখান থেকে যদি ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে যদি রায় আসে তাহলে এদেশে একটি গাড়িও চলতে দেওয়া হবে না। বুধবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দুই ঘণ্টার জন্য অবরোধ করব৷
জাবি কোটা বাতিল মহাসড়ক অবরোধ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের
প্রতিবাদে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে
বিপুল সংখ্যক চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করে। মিছিলটি নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাব ও বাটা সিগন্যাল মোড় ঘুরে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে থামে। এসময় শাহবাগ মোড়ে প্রায়
এক ঘণ্টা অবস্থানের পর সরে যান বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীর মিছিলটি শুরু করে। পরবর্তীতে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
শাহবাগে মোড়ে অবস্থানকালে আন্দোলনকারী
চাকরী প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ এমন নানা স্লোগান দেন৷
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল৷ এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল৷
সেই বছর ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবি জানায়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা ৷
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে জবিতে ছাত্র সমাবেশ
পরে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিল বিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৷ এরপর ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন৷ সেই রিটের রায়ে গত ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়৷
এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা মাঠে নামে। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ এই শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন৷
কোটা আন্দোলন ছাত্র সমাবেশ মিছিল সরকারি চাকরি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল
মন্তব্য করুন
টানা দ্বিতীয় দিনে কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবী না মানা পযন্ত সকল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২জুলাই) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি রায়সাহেব মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানবো না’, শেখ হাসিনার বাংলায়/শেখ মুজিবের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, 'সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথা কবর দে', 'কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ সহ নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি স্বাধীন দেশে এই কোটা প্রথা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পরিশ্রম ও মেধাকে অবমাননা করা হচ্ছে। এই মূহুর্তে লাইব্রেরি ছেড়ে আমরা পথে নেমেছি। আমাদের দাবীগুলো মানতে হবে।
আন্দোলনে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ শিক্ষাথী মাসুদ আলম বলেন, দেশ উন্নয়নের অবদান সকলের আছে। যার মেধা আছে সে তার যোগ্য জায়গাটা পেলে সে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু অত্যাধিক সুবিধা দিলে কেউ সেটার মূল্য বুঝবে না বরং সে দুর্নীতিবাজ হবে। দেশটা সবার আমরাও দেশের নাগরিক।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি পেশ করেন। এগুলো হলো:
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২. ‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
কোটা আন্দোলন ছাত্র সমাবেশ চার দফা দাবি
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিপুল সংখ্যক চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করে। মিছিলটি নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাব ও বাটা সিগন্যাল মোড় ঘুরে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে থামে। এসময় শাহবাগ মোড়ে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর সরে যান বিক্ষোভকারীরা।