ক্লাব ইনসাইড

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ২৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

 

আজ সোমবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা বলেন, আমাদের এ আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলন নয়। এটা আমাদের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি। এই আন্দোলন অর্থের জন্য নয়, আমাদের মর্যাদার জন্য। এতে শিক্ষকদের মর্যাদা ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। পেনশন স্কিমে প্রথমে প্রত্যয় স্কিম ছিলো না, একটা কুচক্রী মহল এটিকে পরে নিয়ে এসে শিক্ষকদের এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হব।

 

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ লুৎফর বলেন, এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি। আমরা আমাদের পেশার সুযোগ সুবিধার কথা বলছি। শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মতো দেশেও বেশ শিক্ষকদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পে স্কেল। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও একজন লেকচারারারদের পে স্কেল আমাদের প্রফেসরের চেয়ে বেশি। আমাদের বর্তমান যে সুযোগ আছে সেটাকেও কেটে ফেলা হচ্ছে। আমরা শিক্ষক, আমরা আন্দোলন চাই না। আমাকে রাস্তায় রাখা হলে আমি গবেষণা করতে পারব না। 

 

এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, এই কর্মসূচিতে আমরা কোনো প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কোনো কাজ করব না। আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজগুলো করব। 

 

তিনি বলেন, ১ তারিখ থেকে আমাদের যে কর্মসূচি সেখানে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান কোনো দাপ্তরিক কাজ করবেন না, হল প্রভোস্ট হলে যাবেন না, অন্য শিক্ষকরাও যারা বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বে আছেন তারাও তাদের কাজ করবেন না। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্দোলন করছি। তারা যেন কর্মপেশায় এসে বঞ্চিত না হয় সেজন্যই আমাদের এই আন্দোলন।


জবি   পেনশন স্কিম   কর্মবিরতি   অবস্থান কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবির ৪১তম সিনেট সভা আজ

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৪১তম সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ ৷ 

 

শনিবার (২৮ জুন) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩১৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। 

 

সিনেটের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নূরুল আলম সভাপতিত্ব করবেন এবং তার অভিভাষণ প্রদান করবেন ৷  

 

এরপর অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বাজেট উপস্থাপন করবেন৷ 

 

উপাচার্যের অভিভাষণ এবং কোষাধ্যক্ষের উপস্থাপিত বাজেটের উপর পরবর্তীতে সিনেট সদস্যবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন৷ 

রেজিস্ট্রার অফিসসূত্রে জানা যায়, উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সিনেট হলে আজ এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ৪১তম সিনেট অধিবেশনের আলোচ্যসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে উপাচার্যের ভাষণ ও আলোচনা, সিনেটের ৪০তম অধিবেশনের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ, ২৪ জুন ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত সিনেটের ৪০ তম বার্ষিক সভার ভার্বেটিম রিপোর্ট অনুমোদন বিবেচনা, ২০২৩-২৪ সনের (সংশোধিত) এবং ২০২৪-২৫ সনের (মূল) রেকারিং বাজেট অনুমোদন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের খসড়া বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ অনুষ্ঠিত শিক্ষা পর্ষদের ১৩৮ তম সভায় সংশোধিত ইনস্টিটিউশনাল  কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর প্রস্তাবিত সংবিধি অনুমোদনের জন্য ২৩ মে ২০২৪ তারিখের সিন্ডিকেট সভার সুপারিশ বিবেচনা ও বিবিধ। 


জাবি   সিনেট সভা   বাজেট  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

গাছের গুঁড়ি-খড়ি পাচার করতে গিয়ে ধরা, ইবি কর্মচারী বরখাস্ত


Thumbnail

গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গত ৬ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। ছুটি চলাকালীন ক্যাম্পাসে কেটে রাখা শত মণ গাছের গুঁড়ি ও খড়ি পাচারের ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পাস নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মচারী ফরিদুল ইসলাম গোপনে এসব গুঁড়ি সরিয়ে নেন বলে জানা যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফরিদ উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কম্পিউটার অপারেটর। ঈদের ছুটিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ইবি ক্যাম্পাস থেকে গাছের গুঁড়ি ও খড়ি নিয়ে যান তিনি। এই অপরাধে কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা-বিধির ১২ এর ১ ধারা অনুযায়ী ২৬ জুন অপরাহ্ন থেকে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তবে বরখাস্ত থাকাকালীন বিধি অনুযায়ী জীবন-ধারণ ভাতা পাবেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আনসার সদস্যরা জানান, গত ১৪ জুন ভোর ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ৭-৮টি ভ্যানযোগে গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দিলে ওই কর্মচারী সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভ্যানগুলো বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ভ্যান যাতায়াতের সময় অভিযুক্ত কর্মচারী মোটরসাইকেলে করে টহল দেন। সিসিটিভি ফুটেজে ভ্যানে গাছের গুঁড়ি সরিয়ে নেওয়া এবং ওই কর্মচারীর চলাচলের দৃশ্য দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ফটকের বাইরে ও ভেতরে যাওয়া-আসা করছেন। এসময় গাছের গুঁড়িভর্তি কয়েকটি ভ্যান বের হয়। সেগুলোতে কয়েকটিতে বড় গাছের গুঁড়ি আর কয়েকটিতে ছোট-বড় খড়ি ছিল।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে এস্টেট প্রধান বরাবর নোট দেওয়া হয় প্রক্টর অফিস থেকে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর নোট আকারে সেটা রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো হয়। পরে অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। পরে কর্তৃপক্ষ এই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মালি আলতাফ হোসেন বাংলা ইনসাইডারকে জানান, ঈদের ছুটির আগে বিভিন্ন জায়গায় ১০০-১৫০ মণের মতো খড়ি কেটে রেখে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে ফিরে দেখি এর কিছুই নেই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মচারী ফরিদুল ইসলাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমি একটি ভ্যানে কিছু খড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (আব্দুস সালাম সেলিম) স্যারের সঙ্গে কথা বলেই নিয়েছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মচারী বাধা দিলে সেগুলো আনসার ক্যাম্পের সামনে রেখে আসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমাকে বলেছিল কিছু ছোটখাটো খড়ি আর পাতা নিয়ে যাবে। তাই বাধা দেইনি। যখন শুনলাম তিন ভ্যান খড়ি নিয়ে গেছে, আমি তাকে সব ফেরত দিয়ে যেতে বলেছি। এটা অবশ্যই চুরি এবং বড় অপরাধ। সিকিউরিটির দায়িত্বে থেকে এমন কাজ করা মোটেও সমীচীন নয়।


ইবি   গুঁড়ি-খড়ি পাচার   কর্মচারী বরখাস্ত  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিন জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয়' স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য সতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মত অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। 

 

বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বানে সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। 

 

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড.আব্দুল মোমিন বলেন, এ পেনশন শিক্ষকতা পেশার জন্য হুমকিস্বরূপ। এটা বাস্তবায়ন হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হবে। জাতির স্বার্থে এ পেনশন স্কিম আমরা বাতিল চাই।

 

কর্মসূচিতে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমরা বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আগেও কর্মসূচি পালন করেছিম এবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিম আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

 

অবস্থান কর্মসূচিতে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষক সমিতির নেতারা সহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রত্যয় স্কিম   সার্বজনীন পেনশন   প্রত্যাহার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবিতে নিয়ম ভেঙ্গে নারী কর্মচারীর পদোন্নতি লাভের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে উচ্চমান সহকারী থেকে উর্ধ্বতন সহকারী পদে পদোন্নতি লাভের অভিযোগ উঠেছে একজন নারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ওই কর্মচারীর নাম জিনাত ফাতিমা। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পট্রোলার অফিসের হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উচ্চমান সহকারী থেকে ঊর্ধ্বতন সহকারী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। যেখানে আবেদনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ওই বছরের ২৫ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু এর পরেও নভেম্বর মাসে করোনার কারণ দেখিয়ে কোনরকম পুনঃবিজ্ঞপ্তি ছাড়া ওই কর্মচারীর আবেদন গ্রহণ করা হয়। এসব ক্ষেত্রে সেসময় ওই কর্মচারীর ঘনিষ্ঠ ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ২/ কাউন্সিল) বি.এম. কামরুজ্জামান তাকে সহযোগিতা করেন বলে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, নিয়ম ভেঙ্গে আবেদন পত্র জমা দানের বিষয়টি সেসময় কামরুজ্জামান চেপে (আড়াল করা) যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘চাকরি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডেডলাইনের পরে আবেদন জমা নেওয়ার নজির আমি ক্যাম্পাসে আর দেখিনি। একমাত্র জিনাত ফাতেমার পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিএম কামরুজ্জামান সাহেব বিষয়টি বিবেচনা করেছিলেন বলে জানি। কিন্তু ওনার দায়িত্বের জায়গা থেকে তিনি পুনঃবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বিলম্বে কারো জমাদানকৃত আবেদন পত্র গ্রহণ করতে পারেন না। এটা বিধিবহির্ভূত কর্মকান্ড। এধরনের দৃষ্টান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাম্য নয়।’

 

এদিকে সম্প্রতি উর্ধ্বতন সহকারী থেকে প্রশাসনিক অফিসার পদে পদোন্নতি লাভের এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই নিয়োগ সভা ২৫ শে জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে জিনাত ফাতিমা তার পদোন্নতি লাভের জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

 

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে জিনাত ফাতিমার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ভুল নাম্বারে কল করেছেন বলে কেটে দেন।

 

অন্যদিকে এবিষয়ে প্রশাসন ২/ কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার বি.এম. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ওই নারী কিভাবে বিলম্বে আবেদন করে পদোন্নতি পেয়েছেন সে বিষয়ে অফিসে ফাইল রয়েছে। সেটা দেখলে বুঝতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ২) এবিএম আজিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘ঘটনাটি যেসময়ের সেসময় এ সেকশনে আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তবে ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি অবগত না। এ মুহূর্তে এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।’


জাবি   নারী কর্মচারী   পদোন্নতি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবির প্রকল্প থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৮ প্রকৌশলীকে দুদকে তলব


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চলমান মেগা প্রকল্পের ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা বিল গরমিলের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীসহ আট প্রকৌশলীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে তথ্যটি জানা গেছে।

তবে ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আযহার ছুটি চলাকালীন আসায় যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেননি কর্মকর্তারা। ফলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে সাক্ষাতের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, দুদক প্রকৌশলীদের বক্তব্য শুনতে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু ওই সময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় চিঠি পড়ে ছিল। পরে দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সাক্ষাতের নতুন সময় জানিয়েছি।

দুদকের দেয়া চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন নির্মাণে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। অনুসন্ধানের স্বার্থে আট প্রকৌশলীর বক্তব্য গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ৮ প্রকৌশলী হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুল, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) বাদশা মামুনুর রশিদ ও মোহা. নুর আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগর।

এদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুলকে ১ জুলাই ও বাকিদের আগামী ৩০ জুন ডাকা হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের কাজের সোয়া ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল উত্তোলন ও ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, শাপলা ফোরামসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি উড়ো চিঠি আসে। সেই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কয়েকজন সাবেক-বর্তমান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। একই অভিযোগের চিঠি পাঠানো হয় দুদকেও। পরে তদন্ত শুরু করে দুদক। এ ছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায়। প্রতিবেদনে আর্থিক অনিয়মের সত্যতাও পাওয়া যায়। ১৯ মে অনুষ্ঠিত ইবির সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিলো। তবে প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিষয়ে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করা ছিলো না। এজন্য শাস্তির ধারা নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সিন্ডিকেটে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


ইবি   প্রকল্প   অর্থ আত্মসাৎ   প্রকৌশলী   দুদক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন