ক্লাব ইনসাইড

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। নিজের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে এ প্রশ্নপত্র ও উত্তর দিতে দেখা যায়।

 

প্রশ্নফাঁসের মেসেঞ্জারের স্ক্রিণ রেকর্ডের ভিডিওসহ সকল তথ্য প্রমাণ এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। মেসেঞ্জার রেকর্ডে দেখা যায়, জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন তার নিজের মেসেঞ্জার থেকে একজনকে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র সরবরাহ করছেন। ওই উত্তরপত্রের অধিকাংশ ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথে মিলে গেছে। 

 

মেসেঞ্জারে দেখা যায়, যিনি উত্তরপত্র নিচ্ছেন তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতারকে বলছেন, 'সব দিছেন ভাই?' জবাবে আকতার হোসাইন বলেন, 'হ্যা, কেউ কে দিয়ো না আবার।' এরপর স্কিণ রেকর্ডে মেসেঞ্জার থেকে আকতার হোসাইনের ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকে আইডির সত্যতাও দেখা গেছে।

 

এদিকে প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি অনুসন্ধানে এসএম আকতার হোসাইনের মামাতো ভাই পরিচয়ে মাদারীপুরের কাঁকন মিয়ার একটি অডিও ক্লিপও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তিনি একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ভর্তি পরীক্ষায় টিকিয়ে দেয়ার গ্যারান্টি দেন। কাঁকন মিয়া বলেন, 'এখানে আমি আকতারের আপন মামাতো ভাই। আকতারও এটা বলেছে। আপনিও বলেছেন যে ভাই আপনি যে কয়টা কাজ দিয়েছেন একটাও মিস হয়না।' এ বিষয়ে কাকন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, 'আপনি ওই যার পরিচিত তার কাছে শোনেন। আমার কাছে জানার কি আছে।'

 

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতিবাচক এরুপ সংশ্লিষ্টতার কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্যান্য নেতারা। জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিথুন বাড়ৈ বলেন, জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন দীর্ঘদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জালিয়াতি ও অপকর্মের সাথে জড়িত। 

 

জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল রায়হান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। প্রশ্নফাঁসের মতো এই গুরুতর অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র বিরোধী এ কাজের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

 

জবি ছাত্রলীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল বলেন, আশা করছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন। আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান হামিম বলেন, কেউ যদি ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ছাত্রলীগকে কলুষিত করে আশা করছি এর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

তবে এসব কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আকতার হোসাইন বলেছেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।' 

 

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ একটি গুরুতর বিষয়। আমরা যদি কারো বিরুদ্ধে এমন সংশ্লিষ্টতা প্রমান পাই তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

 

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিষয়টি অবগত নই। যদি কোন অপরাধে যুক্ত থাকে তবে অপরাধীর স্থান ছাত্রলীগে নেই।’

 

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘যেকোনো অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান। অনৈতিক ও গঠনতন্ত্র বিরোধী, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও আদর্শ বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকলে অবশ্যই সংগঠন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারী ইব্রাহীম ফরাজীকে সভাপতি ও এস এম আকতারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে জবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়। এরপর ক্যাম্পাসের সকল টেন্ডার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া, ঠিকাদারদের চেক আটকে দেয়া, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লাঞ্চনা, রিসোর্টে নারী কর্মী নিয়ে কেলেঙ্কারি ও সদরঘাটে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে ৬ মাস পরেই এ কমিটি স্থগিত হয়ে যায়। পরে কমিটি ফিরে পেলেও দেড় বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটির নতুন কমিটি হয়নি।


প্রশ্ন ফাঁস   অভিযোগ   মেডিকেল   ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

শিক্ষকদের পর এবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করলো জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

 

শুক্রবার (৫জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ব স্ব  বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একযোগে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই ডাক দেন,

 

১. গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা-১৮ ব্যাচ

২. ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন-১৬,১৭,১৮ ব্যাচ

৩.মার্কেটিং -১৭ ব্যাচ

৪.দর্শন- ১৭ ব্যাচ

৫.সমাজকর্ম - ১৮ ব্যাচ

৬.আইন - ১৫,১৬,১৭,১৮   ব্যাচ 

৭. রাষ্ট্র বিজ্ঞান -১৭,১৮ ব্যাচ

৮.ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি-১৮ ,১৫,১৬ ব্যাচ

৯. গণিত-১৮ ব্যাচ।

 

এছাড়াও আগামীকাল শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ২:৩০ ঘটিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেন। 

শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ মিছিল ও ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন মূলত ৪ দফা দাবি আদায়ের জন্য। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।


জবি   কোটা আন্দোলন   ক্লাস বর্জন   পরীক্ষা বর্জন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবির বাজেটে গুরুত্ব পায়নি শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাত


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ১৮২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। বাজেটের সিংহভাগ অর্থই বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন খাতে। এসব বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৭৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। অন্যদিকে বরাবরের মতোই উপেক্ষা করা হয়েছে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলো। এবার গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা মূল বাজেটের ১.৫২ শতাংশ। এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা বাবদ রাখা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ০.১৯ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখা সূত্রে, অনুমোদিত বাজেটের মধ্যে ১৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আসবে ৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বিশেষ সুবিধা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ৬৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আর পেনশন বাবদ ২১ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া অবসর ভাতাভোগীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাবদ ২৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে বাজেটের ৭৮.০৪ শতাংশ ব্যয় হবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, পেনশন ও বিশেষ সুবিধা প্রদানে।

অন্যদিকে বাজেটে গুরুত্ব পায়নি গবেষণা-উদ্ভাবন ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলো। গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তায় ৩৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.১৯ শতাংশ। এছাড়া ছাত্রকল্যাণ তহবিল বাবদ কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।

এছাড়া বাজেটে পণ্য ও সেবা (সাধারণ ও মেরামত) ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। যন্ত্রপাতি অনুদান খাতে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ। যানবাহন বাবদ ৫২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুদান বাবদ ৩৭ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অন্যান্য মূলধন অনুদান বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ৫০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ।

এদিকে এবারের বাজেটেও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলো বরাবরের মতো অবহেলিত বলে মনে করছেন বাজেট বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গবেষণা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ আগের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন তারা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘বাজেটের সিংহভাগই ব্যয় হবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বাতা ও পেনশন খাতে। অন্যদিকে বাজেটে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।'

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ বলেন, বাজেট প্রণয়ণ একটি গতানুগতিক কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে চলবে তার খরচের একটা আর্থিক হিসাবমাত্র। আর সেটা অনুমোদন করে ইউজিসি। একটি রাষ্ট্রের বাজেটের মধ্যে যেমন বিভিন্ন উদ্ভাবনী দিক থাকে এটা সেরকম না। এখানে প্রশাসনের ক্রিয়েটিভ কিছু করার নেই। চাইলেই তারা একটা কিছু করতে পারবে না। গবেষণা খাতে চাইলেই তো আর সরকার দিয়ে দিবে না। তবে গবেষণা ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিৎ।

অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক জাকির হোসেন জানান, চাহিদা দেওয়ার সময় আমরা মূল বাজেটের প্রায় ১০ থেকে ২৫ শতাংশ গবেষণা ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে দিয়ে থাকি। কিন্তু ইউজিসি না দিলে তো আমাদের কিছু করার নেই। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে বলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি থেকেই আসে। সেটাতো আর চাইলেই প্রশাসন বাড়াতে পারে না।


ইবি   বাজেট   খাত   শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্তে নামলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁস, টেন্ডার বানিজ্য ও চাঁদাবাজিসহ নানা ঘটনা সামনে আসার পর মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্তে নামলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

 

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটির সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী। এ কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

 

এদিকে জবি ছাত্রলীগের প্রশ্ন ফাস ও টেন্ডার বানিজ্যের চলমান ইসুতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, যেহেতু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি জেনেছে সেহেতু খোঁজ খবর নিয়ে তারা ব্যবস্থা নিবে। অভিযোগ আসলেই হবে না তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। সত্যতা থাকলে ছাত্রলীগের যেই নেতাই করেছে বা যে করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হয় বা হবে। 

 

তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় কোনো দল বা সংগঠন নেয় না। যদি কোনো অপরাধ হয় এটা তার দায়। টেন্ডার বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোন নেতা কখনোই টেন্ডার বানিজ্যের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না। ছাত্রলীগ ছাত্র রাজনীতি করবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাজনীতি করবে।

এর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেসেন্জারে মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল টেন্ডার সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের নিয়ন্ত্রণে রাখা, সদরঘাট এলাকায় সুমনা হাসপাতালে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ দেখা যায়। গণমাধ্যমে এসব অভিযোগে আলোচনায় রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ২০২২ সালে জবি শাখা ছাত্রলীগের এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষ দেড় বছর আগেই। এ কমিটি বিলুপ্তসহ নতুন কমিটি করে গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটকে সচলের দাবি করেন পদপ্রার্থীরা।


জবি   ছাত্রলীগ   প্রশ্ন ফাঁস   তদন্ত  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় মানববন্ধনকারীদের 'কোটা না মেধা-মেধা মেধা' স্লোগানে উত্তাল হয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস।

 

বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর মূল ফটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন পালিত হয়।

 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাই নাই’, জেগেছে রে জেগেছে-ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

 

মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা পদ্ধতির ফলে দেশের বৃহত্তর অংশ চাকরি বৈষম্যে ভুগছে। এই বৈষম্য রোধে কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করছি। কোটাধারী একটা পরিবার একটা সুযোগ নিতে পারবেন। কোনো কোটাধারী উচ্চ শিক্ষা নিতে কোটা ব্যবহার করলে সে পরবর্তীতে চাকরির জন্য আর কোটা পাবেন না। এমন ব্যবস্থা করা হোক।

 

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যে বৈষম্যের কারণে আমরা পাকিস্তান থেকে মুক্তি লাভের জন্য সংগ্রাম করেছি, বুকের তাজা রক্ত দিয়েছি সেই একই বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এখন দেশের মেধাবীরা। আমাদের দাবি এই প্রহসনমূলক কোটার সংস্করণ হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, চাকরিতে নিয়োগ ও অন্য সব প্রতিযোগিতার জায়গায় আমরা মেধার মূল্যায়ন হোক।'


কোটা আন্দোলন   রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কোটা সংস্কার দাবিতে রাজপথে ইবি শিক্ষার্থীরা


Thumbnail

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে রাজপথে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ২রা জুলাই একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে 'বঙ্গবন্ধুর বাঙলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই', 'দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান', 'স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাইঁ নাই', '১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে', ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল, সম্প্রতি হাইকোর্ট সেটা পুনর্বহাল করেছেন। আমরা হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। বক্তারা আরও বলেন, চাকরী পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। যার ফলে মেধাবীদের বঞ্ছিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা এসব ক্ষেত্রে সুবিধা নিচ্ছে। আমরা এই বৈষম্য মানি না। আমাদের আন্দোলন একেবারে কোটা বাতিলের দাবিতে নয়। আমরা চাই কোটা পদ্ধতির সংস্কার করা হোক। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারী চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে। একইসঙ্গে পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করতে হবে।


ইবি   কোটা   পুনর্বহাল   প্রতিবাদ   বিক্ষোভ   কোটা সংস্কার আন্দোলন   রাজপথ   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন