কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া স্পর্শিয়া, বন্ধুসহ থানায়

প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া, বন্ধুসহ থানায় স্পর্শিয়া

রাজধানীতে মধ্যরাতে বেপরোয়া গতিতে চালানো গাড়ি থেকে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন মডেল-অভিনয়শিল্পী অর্চিতা স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গণ দত্ত অর্ঘ্য। পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে পথ আটকানোর পর সড়কেই ঘণ্টাখানেক মাতলামি করেন তারা। পরে তাদের ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন উভয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডির ৮/এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় ধানমন্ডি থানার এসআই মাহবুব উল আলম এবং এসআই মাইনুল ইসলাম টহল উিউটিতে ছিলেন। রাত ১২টার দিকে আবাহনী মাঠের দিক থেকে জিগাতলার দিকে একটি অভিজাত প্রাইভেট কার বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। ইউনিমার্টের সামনের সড়কে একটি রিকশায় ধাক্কা দেয়ার উপক্রম হয়েছিল গাড়িটি। এসআই মাহবুব গাড়িটি থামার সংকেত দেন।

ওই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গণ দত্ত অর্ঘ। প্রাঙ্গণ গাড়ি চালাচ্ছিলেন আর পাশের সিটে ছিলেন স্পর্শিয়া। তাদের গাড়ি কেন থামানো হয়েছে- এমন প্রশ্ন করে পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। পুলিশের সাথে অসদাচরণ করেন। মদ্যপ অবস্থায় কিনা প্রাঙ্গণের কাছে জানতে চায় পুলিশ। 

এ সময় প্রাঙ্গণ বলেন, তার মদপানের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তখন লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে গাড়িসহ তাদের ধানমন্ডি থানায় নেয়া হয়। পরে রাতেই প্রাঙ্গণ মুচলেকা দেন থানায়। এরপর স্পর্শিয়া ও প্রাঙ্গণ ছাড়া পান। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কথা মুচলেকায় উল্লেখ করেন প্রাঙ্গণ। অবশ্য মুচলেকায় স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করেননি।

এসআই মাহবুব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গাড়ি কেন থামানো হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে প্রাঙ্গণ খারাপ আচরণ করেন। স্পর্শিয়াও চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। অবশ্য আমরা তার সাথে কথা বলিনি। যেহেতু প্রাঙ্গণ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাই তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলে থানায় নেয়া হয়।

অর্চিতা স্পর্শিয়া  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির প্রথম দিনেই 'আরআরআর' এর রেকর্ড ভেঙে দিলো ‘কল্কি’

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মুক্তির আগেই ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দক্ষিণী সিনেমা ‘কল্কি’। এবার সেই আলোচনার যথার্থ প্রমাণ পাওয়া গেল। চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সিনেমাটি ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা করবে বলে জানা গিয়েছিল।

প্রথম দিনের আয়ের হিসাবে সব রেকর্ড ভেঙে দিল প্রভাস ও দীপিকা অভিনীত এই দক্ষিণী সিনেমা। মেগা বাজেটের এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চন এবং বাংলার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও। আগাম বুকিংয়ে ৫৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে বক্স অফিসে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিল ‘কল্কি’। আর মুক্তির প্রথম দিনেই শুধু সকাল পর্যন্ত ৩৩ কোটি টাকা আয় করে চমক দেখিয়েছে এই সিনেমা।

চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম সপ্তাহে প্রভাস ও দীপিকার এই সিনেমার বিজয়রথ অব্যাহত থাকবে। একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম সপ্তাহে বিশ্বের বক্স অফিসে ২০০ কোটি টাকা আয় করতে পারে ‘কল্কি’। এর মধ্যে শুধুমাত্র ভারত থেকেই ১২০-১৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বছরের শুরুর দিনের আয়ের হিসাবে কোনো সিনেমা এত দ্রুত এত আয় করেনি।

আগাম বুকিং অনুযায়ী দক্ষিণ ভারতের বিশেষ করে তেলুগু সিনেবাজারে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে ‘কল্কি’। তবে দিল্লি ও মুম্বাইতে টিকিট বিক্রির গতি কিছুটা ধীর।

বিদেশেও দারুণ সাফল্য পেয়েছে ‘কল্কি’। উত্তর আমেরিকায় প্রিমিয়ার শোতে ‘আরআরআর’-এর ৩ মিলিয়ন ডলার আয়কে ছাপিয়ে গেছে ‘কাল্কি’র ৩.৮ মিলিয়ন ডলারের আয়।


কল্কি ২৮৯৮ এডি   প্রভাস   দীপিকা   অমিতাভ বচ্চন   কমল হাসান   শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিনামূল্যে দেখা যাবে নেটফ্লিক্স, শীঘ্রই আসছে ফ্রি সাবস্ক্রিপশন

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমান বিনোদনপ্রেমীদের অন্যতম বড় আকর্ষণ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বজুড়ে এই মাধ্যমটি এখন দর্শকদের জন্য অন্যতম প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে। আর ওটিটি দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় নাম হলো নেটফ্লিক্স, যেখানে একাধিক সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ স্ট্রিমিং হয়। তবে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো নেটফ্লিক্সও সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক হওয়ায় অনেকেই এর কনটেন্ট উপভোগ করতে পারেন না। তবে এবার সেই সীমাবদ্ধতা দূর করতে যাচ্ছে নেটফ্লিক্স। 

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, নেটফ্লিক্স শিগগিরই ফ্রি স্ট্রিমিং পরিষেবা চালু করতে পারে। ইউজার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। নেটফ্লিক্সের প্ল্যাটফর্মে থাকা সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের সম্ভার এবার সকল ইউজারের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে কোম্পানি। ওটিটি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এটি হতে পারে নেটফ্লিক্সের একটি কৌশলী পদক্ষেপ।

বর্তমানে অনেক আঞ্চলিক স্তরে প্রচুর টিভি শো বিনামূল্যে সম্প্রচার করা হয়। সেই সব টিভি শো’কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে নেটফ্লিক্স। প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্রি সাবস্ক্রিপশন মডেলটি এশিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলোতে চালু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে অ্যাড নির্ভর ফ্রি সাবস্ক্রিপশন মডেল চালু করার পরিকল্পনা করেছে নেটফ্লিক্স। ওটিটি স্ট্রিমিংয়ের মাঝে প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই পদক্ষেপ নেটফ্লিক্সের ভিউয়ারশিপ বাড়াতে সাহায্য করবে। আর ভিউয়ারশিপ বাড়লে নেটফ্লিক্সের আয়ও বাড়বে।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, টেক মহলে নেটফ্লিক্সের ফ্রি মডেল নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও, এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি কোম্পানি। তবে অনেকেই আশা করছেন, ভারতের বৃহৎ ইউজার বেসের কারণে নতুন এই পরিষেবা ভারতীয়রা পাবেন। বর্তমানে ভারতে নেটফ্লিক্সের প্রতিযোগী রয়েছে ডিজনি+হটস্টার, অ্যামাজন প্রাইম, জিফাইভ এবং সোনি লিভ। এর মধ্যে ডিজনি+হটস্টার এবং জিফাইভ ইতিমধ্যে অ্যাড নির্ভর ফ্রি ওটিটি স্ট্রিমিং পরিষেবা শুরু করেছে। সেই তালিকায় নেটফ্লিক্স যোগ দিলে এটি ওটিটি-প্রেমীদের জন্য বড় একটি চমক হবে। তবে বাংলাদেশে ফ্রি সাবস্ক্রিপশনের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি।

বর্তমানে নেটফ্লিক্সের সক্রিয় ইউজার সংখ্যা ৪ কোটি, যা এক বছর আগে ছিল ৫০ লাখ। অর্থাৎ ১২ মাসের মধ্যে ৮ গুণ ইউজার বেড়েছে নেটফ্লিক্সের।

 


নেটফ্লিক্স   ওয়েব সিরিজ   সাবস্ক্রিপশন   ওটিটি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আমি তো সাইনই করিনি, তাহলে বাদ দিল কে?- বুবলী

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ২৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

 চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলীর সময়টা ভালো যাচ্ছে না। শাকিব খানের বলয় থেকে বেরিয়ে এসে তার ভাগ্য সহায় হচ্ছে না। শাকিব খান ছাড়া বুবলী যতগুলো সিনেমা করেছেন, তার দু-একটি ছাড়া বাকি সিনেমাগুলোতে দর্শক সাড়া মেলেনি, বেশিরভাগই প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে।

সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন কারণে বুবলীর সাথে কাজ করতে অনেকেই অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সিনেমার প্রচারণায় অংশ না নেওয়া এবং দর্শকের উদাসীনতার কারণে পরিচালক মোঃ ইকবাল "বিট্রে" সিনেমা থেকে বুবলীকে বাদ দিয়েছেন। একইভাবে, ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ হলেও বুবলীর সাথে যোগাযোগ না করতে পেরে পরিচালক জসিম উদ্দিন জাকির তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা চললেও বুবলী এ ব্যাপারে চুপ ছিলেন। তবে, অবশেষে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন,

"আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাইনি, কারণ আমি বিষয়গুলোকে আরও জটিল করতে চাইনি। সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবাই আমার কাছে সম্মানের এবং পরিচালকরা অভিভাবকের মতো। কিন্তু কিছু মানুষের কর্মকাণ্ড আমাকে এখন বলতে বাধ্য করছে। কেউ যখন আমার নাম নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা করে ভাইরাল হতে চাইবে, তখন আমি চুপ থাকলে দর্শকদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।"

তিনি আরও বলেন, "পরিচালকরা সবসময় শিল্পী তৈরির কারিগর এবং একটি ভালো সিনেমা তৈরির ক্যাপ্টেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কিছু পরিচালক ভালো সিনেমা তৈরিতে মনোযোগ না দিয়ে শিল্পীদের নিয়ে ভিত্তিহীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করে ভাইরাল হতে বেশি মনোযোগী।"

"যে দুটি সিনেমার কথা বলা হচ্ছে— 'বিট্রে' এবং 'মায়া-টু'— তার মধ্যে একটি থেকে আমি অনেক আগেই সরে এসেছি। আর অন্য সিনেমাটি তো আমি সাইনই করিনি, তাহলে বাদ দিল কে?" - প্রশ্ন তোলেন বুবলী।


শবনম ইয়াসমিন বুবলী   শাকিব খান   পরিচালক ইকবাল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আমি আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: প্রিয়ামণি

প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ২৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার পর বলিউডেও নিজের জায়গা বেশ শক্ত করে নিয়েছেন অভিনেত্রী প্রিয়ামণি। শাহরুখ খান এবং অজয় দেবগনের মতো বলিউডের সুপারস্টারদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ামণি আরেক বলিউড নায়কের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর প্রশংসা করেছেন।

শাহরুখ খানের "জওয়ান" ছবিতে প্রিয়ামণি অভিনয় করেছিলেন। অজয় দেবগনের সঙ্গে "ময়দান" ছবিতে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। "আর্টিকেল ৩৭০" ছবিতেও তাঁর শক্তিশালী অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। দক্ষিণের পাশাপাশি বলিউডেও তিনি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। শাহরুখ ও অজয়ের পর প্রিয়ামণি আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে কাজ করতে চান। তিনি বলেন, "আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তিনি একজন অসাধারণ অভিনেতা এবং সবসময় সঠিক চিত্রনাট্য নির্বাচন করেন। 'আন্ধাধুন' এবং 'আর্টিকেল ১৫' ছবিতে তাঁর অভিনয় সত্যিই অসাধারণ ছিল। তিনি চরিত্রের গভীরে গিয়ে অভিনয় করতে জানেন। 'বালা' এবং 'ভিকি ডোনার' এর মতো ছবিতে তাঁর কাজ তা প্রমাণ করে।"

প্রিয়ামণিও সবসময় শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করতে ভালোবাসেন। চিত্রনাট্য নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, "আমি সবসময় ভালো চিত্রনাট্য পাওয়ার জন্য খেটে যাচ্ছি। সঠিক চিত্রনাট্য নির্বাচন করার চেষ্টা করি, কারণ আমি সবসময় ছবির গুণগত মানে বিশ্বাস করি। ২০০৬ সালের পর থেকে আমি অনেক কাজ করেছি। কিছু ছবি সফল হয়েছে, কিছু হয়নি। একসময় ভালো চিত্রনাট্য না পাওয়ার কারণে আমি কাজ করতাম না। কিন্তু 'চেন্নাই এক্সপ্রেস' ছবির পর থেকে অনেক ছবির প্রস্তাব আসতে শুরু করে। দক্ষিণি ছবিতে কাজ করার পাশাপাশি 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান' সিরিজের পর থেকে বলিউডে কাজের সুযোগ পেয়েছি। ক্যারিয়ারে আমি এখন যে অবস্থানে পৌঁছেছি, তাতে আমি খুব খুশি।"


Ayushmann Khurrana   Priyamani   Bollywood   Movie  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সরকার অ্যানিমেশন ফিল্ম শিল্প সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিয়েছে: পলক

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ২৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অ্যানিমেশন শিল্পের বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এই সুযোগে দেশের তরুণদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে "ফিউচার অ্যানিমেটর্স অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ইকোনমি (ফেস অব স্মার্ট বাংলাদেশ)" প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর স্টার সিনেপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোর নিয়ে নির্মিত অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’-র প্রিমিয়ার শোতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী পলক পথশিশু এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফিল্মটি উপভোগ করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের উদ্যোগে ১১ পর্বের সিরিজটি অ্যানিমেশন ফিল্ম হিসেবে প্রদর্শিত হয়। প্রায় ৯৬ মিনিটের এই ফিল্মটি বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম অ্যানিমেশন ফিল্ম বলে উল্লেখ করেন নির্মাতারা। সিরিজটি উপভোগের পর প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন এবং সোনার বাংলা গড়ার ভিত্তি স্থাপন করেছেন। তার শৈশব-কৈশোরকে আমরা অ্যানিমেশনের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের কাছে উপস্থাপন করেছি।

তিনি আরও বলেন, মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৮ হাজার মোবাইল অ্যাপ এবং গেম ডেভেলপার তৈরি করা হয়েছে। দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোবাইল অ্যাপস এবং গেমিং ল্যাব, ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ-গেম টেস্টিং সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক শেখ রাসেল অ্যানিমেশন স্টুডিও স্থাপন করা হয়েছে। ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে "সং অব ঝিনুক" এবং "দ্য স্ট্রাগল" নামে দুটি অ্যানিমেশন মুভি তৈরি হবে, যা পরিবেশ, জলবায়ু সংকট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনকে তুলে ধরবে।

অ্যানিমেটেড সিরিজটি দেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মকে মানবিক হতে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। দেশীয় অ্যানিমেটরদের দ্বারা নির্মিত হওয়ায় সব বয়সের দর্শকরা সহজেই বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোরের জীবনী সম্পর্কে জানতে পারবেন।

‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে সিরিজটি পরিচালনা করেছেন প্রোল্যান্সার স্টুডিওর সোহেল মোহাম্মদ রানা। প্রযোজক ছিলেন এম ই চৌধুরী শামীম, নির্বাহী প্রযোজক শেখ অলিদুর রহমান হীরা ও দিলারা আফরোজ খান রুপা।

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার মাসুম রেজা, রতন সিদ্দিকি, আহমেদ সাদ রিজভী, শেখ সাদি, মিথুন হাসান প্রমুখ এই সিরিজের সংলাপ রচনা করেছেন। ভয়েস ডিরেকশনের দায়িত্বে ছিলেন রফিকুল সেলিম এবং লিড ক্যারেক্টার ডিজাইনার ছিলেন যাওয়াদ মাহমুদ। সিরিজটি টিম অ্যাসোসিয়েট, মার্স সলিউশন, ম্যাজিক ইমেজ এবং প্রোল্যান্সার স্টুডিও দ্বারা নির্মিত।


জুনাইদ আহমেদ পলক   প্রতিমন্ত্রী   অ্যানিমেশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন