কালার ইনসাইড

ঈদে নতুন চমক নিয়ে আসছেন সেতু হায়দার

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail ঈদে নতুন চমক নিয়ে আসছেন সেতু হায়দার

বর্তমান প্রজন্মের অভিনেত্রী সেতু হায়দার। অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও বেশ দক্ষতা তাঁর। এতদিন তেমন ভাবে গান না করলেও আসছে ঈদে তিনি প্রথমবারের মতো গান নিয়ে হাজির হলেন। দ্বৈত এ গানে তার সঙ্গে কন্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। ‘কত ভালোবাসা’ শিরোনাসের এই গানটির কথা লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন। গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন রেজোয়ান শেখ।



গানটি ভিডিও আকারে ঈদে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে জি-সিরিজের ব্যানারে। সেতু হায়দার বলেন, ‘অভিনয়ে খুব ভালো কিছু হলেই সামনে কেবল কাজ করবো। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভালো কাজের অপেক্ষায় আছি। আর গান আমার ভালো লাগার জায়গা। অনেকেই আমাকে গান আগেই করার জন্য বলেছিল। তবে শুরুটা ভালো কাজ দিয়ে করতে চাচ্ছিলাম। সেটাই এবার হলো। গানের কথা-সুর সব মিলিয়ে প্রত্যয় ও আমার ‘কত ভালোবাসা’ নিয়ে আমি আশাবাদী।’


সেতু অভিনেত্রী হিসেবে বেশ কিছু কাজ করেছেন। এর মধ্যে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’, ‘ফেসবুকে প্রেম’, ‘আই অ্যাম প্রেগন্যান্ট’সহ কয়েকটি নাটকে কাজ করেছেন। পাশাপাশি আইপিডিসি ও নরসহ কয়েকটি বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফটোশুটে দেখা গেছে তাকে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন বড় পর্দা, কিংবা ওয়েবে সামনে ভালো মানের কিছু কাজ করার। অভিনয়ের পাশাপাশি গানের প্রতিও রয়েছে সেতুর অগাধ ভালোবাসা। তবে এবারই প্রথমবারের মতো তিনি পেশাগতভাবে গান গাইলেন।





সেতু হায়দার   প্রত্যয় খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আজ 'চিরসবুজ' জয়া আহসানের জন্মদিন

প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আজ চিরসবুজ তারকা জয়া আহসানের জন্মদিন। দুই বাংলায় একের পর এক সফল সিনেমায় অভিনয় করে প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। নির্মাতা, প্রযোজক এবং দর্শকের কাছেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে জয়া আহসান। নিজের এই বিশেষ দিনে ‘কলঙ্ক’ মোছার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

তবে কোন ‘কলঙ্ক’ মোছার কথা বলছেন জয়া-এমন প্রশ্ন অনেকের মনে। সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত ‘ওসিডি’ সিনেমা দেখলেই বোঝা যাবে পুরো ঘটনা। মূলত, জয়া তার জন্মদিনে এই সিনেমার ফার্স্টলুক টিজার শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, "চাঁদের কলঙ্ক কি পরিষ্কার হয়? জীবনের কলঙ্ক? সমাজের কলঙ্ক? উত্তর নিয়ে আসছে #ওসিডি এবার প্রাণপণে সরাবে জঞ্জাল!"

জয়া আহসানের জন্মদিন উপলক্ষে টালিউডে তার প্রথম সিনেমার পরিচালক অরিন্দম শীল আনন্দবাজারে লিখেছেন। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন জয়ার শিল্পী হিসেবে দায়বদ্ধতার একটি ঘটনার কথা। যখন জয়া কলকাতায় ‘আবর্ত’ সিনেমার শুটিং করছিলেন, তখন দেশে তার বাবার মৃত্যু হয়। নির্মাতা অরিন্দম শীল তখন জয়াকে ঢাকায় ফিরে যেতে বললেও, শ্যুটিং শেষ করে ফিরতে চেয়েছিলেন জয়া।

অরিন্দম শীলের ভাষ্য, "জয়া প্রসঙ্গে একটি ঘটনা না বললেই নয়। 'আবর্ত' সিনেমার শেষ দিনের শুটিং। লোকেশনের ফ্ল্যাটটি আমার বন্ধু হর্ষ নেওটিয়ার। লাঞ্চ ব্রেকের পর কাজ শুরু হবে। হঠাৎ আমার একজন সহকারী এসে বললেন, 'দাদা, জলদি আসুন। জয়াদি খুব কান্নাকাটি করছেন!' আমি ছুটে যেতেই দেখলাম, জয়ার দুচোখ বেয়ে জল পড়ছে। করুণ মুখে বলল, 'দাদা, বাবা আর নেই!' আমি সঙ্গে সঙ্গে ওকে ঢাকায় ফিরে যেতে বললাম, কিন্তু জয়া বলল, 'দাদা, আজকে শুটিং শেষ করতে না পারলে তো অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমি সিনটা করি।' আমি ওর কথা শুনে হতবাক! কী বলব, বুঝতে পারছি না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমি ওকে তা-ও কাজ করতে বারণ করেছিলাম। তৎক্ষণাৎ ওর ঢাকা ফেরার ব্যবস্থা করলাম। হর্ষকে জানাতেই ও বলল, বাড়িটা রাখাই থাকবে। সবকিছু মিটিয়ে জয়া কলকাতায় আসার পর আমরা ছবির শুটিং শেষ করেছিলাম। এই হচ্ছে জয়া আহসান।"

জয়ার জন্য শুভকামনা জানিয়ে অরিন্দম লিখেছেন, "জয়াকে নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। অভিনেত্রী হিসেবে ও বারবার আমাদের চমকে দিয়েছে। আরও অনেকটা পথ ওকে অতিক্রম করতে হবে। জন্মদিনে আমার কামনা, জয়া যেন তার পারিবারিক জীবনে সুখে-শান্তিতে থাকে। ভবিষ্যতে যেন ও আরও ভালো কাজ করে, সেটাই চাই। ওর সঙ্গে খুব দ্রুত একটা নতুন কাজ শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছি।"

জয়ার অর্জনের ঝুঁলিতে রয়েছে এপার-ওপার বাংলার একঝাঁক পুরস্কার। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনবার ভারতের ফিল্মফেয়ার এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়াও অসংখ্যবার পেয়েছেন মনোনয়ন।


জয়া আহসান   জন্মদিন   টালিউড   চিত্রনায়িকা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চিত্রনায়িকা ববির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও চুরির মামলা

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির বিরুদ্ধে চুরি ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অভিযোগে মামলা করেছেন মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা। গত ২৩ জুন, শুক্রবার দুপুরে গুলশান থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়, যার নম্বর ১৩/১৬৪। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার প্রথম আসামি মির্জা আবুল বাশার (৩৪) এবং দ্বিতীয় আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ববিকে।

এ বিষয়ে তদন্ত করছেন গুলশান থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসাইন। তিনি জানান, ‘২৩ জুন মামলাটি হয়েছে। এরপরই ১৩ নম্বর মামলার বাদীর আসামিরা পাল্টা মামলা করেছেন। দুটি মামলাই বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ ও গুরুতর জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ।’

মামলার বাদী ওয়াইএন সেন্টারের এজিএম মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা জানান, তাঁদের কাছ থেকে রেস্টুরেন্ট ভাড়া নেন আমান নামের একজন। এটার অবস্থান গুলশান ২–এর ১১৩ নম্বর সড়কে। আমান অর্থনৈতিকভাবে পুষিয়ে উঠতে পারছিলেন না। পরে ব্যবসায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যুক্ত করেন আবুল বাশার ও চিত্রনায়িকা ববিকে। রেস্টুরেন্টের জিনিসপত্র তাঁরা কিনে নিয়েছেন, সেভাবেই চুক্তি করেন বলে জানান সাকিব।

চুক্তি অনুযায়ী, আমানকে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ববি ও বাশার প্রথমে ১৫ লাখ, পরে ১০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন, যা পরে ডিজঅনার হয়। এ নিয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।

সাকিব উদ্দোজা আরও জানান, আমান একসময় তাঁদের তৃতীয় পক্ষের কাছে ভাড়া নিতে বলেন এবং কয়েক মাসের ভাড়া বকেয়া থাকা সত্ত্বেও মে মাসের ভাড়া দেন। কিন্তু একই রসিদ দিয়ে আরও একটি বিল তৈরি করা হয়, যেখানে লেখা ছিল,

‘ওয়াইএনসি কর্তৃপক্ষ আরও সাত লাখ টাকা বুঝে পেয়েছে।’ যা ছিল মিথ্যা। এ নিয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছালে সাকিব থানায় অভিযোগ ও ১৩ জুন জিডি করেন।

রেস্টুরেন্ট তালাবন্ধ করার পর বাশার উত্তেজিত হয়ে জনতার হাতে পিটুনি খেয়েছিলেন। পরে আবার এসে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ম্যানেজার জয়নালসহ অন্যদের ভয়ভীতি দেখান। সাকিবের দাবি, বাশার তাঁর নাকে ঘুষি মারেন, যার ফলে ছয় ঘণ্টা রক্তপাত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মামলা দায়ের হয়।

সাকিব উদ্দোজা আরো বলেন, ‘আমরা দুজনের নামে মামলা করেছি। তাঁরা আমাদের মালিকসহ সব কর্মীর নামে মামলা করেছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জন। এ ঘটনার পর আমরা বসি। ঘটনার কোনো মীমাংসা হয় না। এর মধ্যেই গত শুক্রবার বাশার আবার তালা ভেঙে অনেক মালামাল নিয়ে যান। আমাদের হুমকি দিয়ে যান। পরে আমরাই এই খারাপ মানুষের হাত থেকে রক্ষার জন্য থানায় বসার পরিকল্পনা করেছি।’

ববির পক্ষ থেকে মো. আব্বাস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ভবনের মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, তাঁর সন্তান জাওয়ান আল মামুনসহ ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়,

‘পরস্পর যোগসাজশে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। ৫৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করা হয়েছে। একটি ঘড়ি চুরি হয়েছে, যার দাম চার লাখ টাকা। এছাড়া নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণের চেইন ও একটি আইফোন চুরি হয়েছে। যা উদ্ধার হয়নি।’

এ বিষয়ে আবুল বাশার বলেন, ‘রেস্টুরেন্ট করার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হই। মূলত এটা ববির রেস্টুরেন্ট হওয়ার কথা ছিল, আমি ছিলাম অপারেশন পার্টনার। মে মাসের ভাড়াও দিয়েছি। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মতো হয়ে গেছে। আমরা মালিকপক্ষের কাছে বৈধতার কাগজ চাই। তাঁরা তা না দেওয়ায় ঝামেলা শুরু হয়।’

ঘটনার ফুটেজে দেখা যায়, ভবন থেকে আবুল বাশারকে মারধর করা হয়। বাশার জানান, ‘আমি ছিলাম একা, তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন ছিলেন।’

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, ‘থানায় দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। মালিক ও ভাড়াটের মধ্যে বিরোধ আছে। তারা মামলা করেছে। দুই পক্ষই জামিনে আছে। তাদের মধ্যস্থতা করে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। যদি তাঁরা নিজেরা মিউচুয়াল করতে চায়, তাহলে তা তাদের ব্যাপার।’

  


ববি   চিত্রনায়িকা   হত্যা   চুরি   মামলা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভিকি জাহেদের নতুন হরর থ্রিলার 'একটি খোলা জানালা'

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নির্মাতা ভিকি জাহেদ আবারও থ্রিলার গল্প নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তবে এবার নাটক, সিরিজ বা ওয়েবফিল্ম নয়, থ্রিলারের সঙ্গে হরর যুক্ত করে তিনি নির্মাণ করেছেন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা, যার নাম ‘একটি খোলা জানালা’।

এই সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ ও সালহা খানম নাদিয়া। দুই অভিনেত্রীই নার্সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি সিনেমার টিজার ও পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। এক পোস্টারে ফারিণকে নার্সের পোশাকে, হাতে স্টেথোস্কোপ নিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে। আরেক পোস্টারে নাদিয়াকে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ হাতে হাসিমুখে, চোখে পানি নিয়ে দেখা গেছে। অন্য একটি পোস্টারে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে, যেখানে ফারিণ ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ থাকার ইশারা করছেন এবং নাদিয়া সিরিঞ্জ হাতে দাঁড়িয়ে আছেন।

২৮ সেকেন্ডের টিজারেও রহস্যের আভাস পাওয়া যায়। রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত, কেউ একজন ইজি চেয়ারে বসে দুলছেন এবং হাতের আঙুল নাড়ানোর চেষ্টা করছেন। টিজার শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘অশরীরী সেই রাতে কী হয়েছিল সবার সঙ্গে?’

ভিকি জাহেদ জানিয়েছেন, “এটা দেশের বাইরের একটি গল্প, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এনে চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে। দুজন নার্সের এক রাতে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত ঘটনা নিয়ে এই গল্প। নারীকেন্দ্রিক গল্পে সব সময় যে রকম চ্যালেঞ্জিং চরিত্র তুলে ধরি, এটাও তেমন। ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা থেকেই এই গল্পটি তৈরি করা।”

তিনি আরও জানান, ‘একটি খোলা জানালা’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটি প্রায় ৫০ মিনিট দীর্ঘ এবং জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পাবে।


থ্রিলার   বিঞ্জ   ভিকি জাহেদ   তাসনিয়া ফারিণ   সালহা খানম নাদিয়া  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেত্রী হিনা খান

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী হিনা খান। সম্প্রতি তার ব্রেস্ট ক্যানসার (স্তন ক্যানসার) শনাক্ত হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) সব জল্পনা শেষে এ অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরি শেয়ার করে ক্যাপশানে লিখেছেন, গত কয়েক দিন ধরেই নানা জল্পনা চলছে আমাকে নিয়ে। আমার সকল অনুরাগীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর জানাব। আমার স্তন ক্যানসার ধরা পড়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়েই বলছি আমি ঠিক আছি।

ক্যাপশনের শেষের ভাষ্য, আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এই অসুখ থেকে সুস্থ হয়ে উঠব। সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আমি সকলকে অনুরোধ করছি এই পরিস্থিতিতে যেন আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার দিকটা অক্ষুণ্ণ থাকে। আমি সকলকে জানাচ্ছি, এই পরিস্থিতিতে আমার পরিবার-পরিজন ও ভালোবাসার মানুষেরা আমার পাশে আছেন।

গত এপ্রিল মাস থেকে এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে খেতেও পারছিলেন না হিনা। চলতি বছরে রোজা পালন করতে গিয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হিনা। মুসলিম তারকারা কাজের সব ব্যস্ততাকে দূরে রেখে নিষ্ঠা করে রমজান পালন করেন। হিনা খানও সেই তালিকা থেকে মোটেই বাদ যাননি।

খালি পেটে ভক্তি সহকারে রোজা পালন করেছিলেন হিনা। কিন্তু তার মাঝেই মাঝেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এ অভিনেত্রী। খালি পেটে গ্যাস্ট্রোসোফাগাল রিফ্লাক্সে ভুগছেন অভিনেত্রী হিনা খান। ইনস্টাগ্রামে নিজেই সেই খবর সকলকে জানিয়েছিলেন।

কিছু সিনেমায় কাজ করলেও ছোট পর্দার অভিনেত্রী হিসাবেই সকলেই কাছে পরিচিত হিনা খান। ‘ইয়ে রিসতা ক্যায়া কহেলাতা হ্যায়’ সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমেই দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

এরপর কসৌটি জিন্দেগী কি, নাগিন ৫- এর মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। রিয়্যালিটি শো বিগ বস, ফিয়ার ফ্যাক্টর খতরো কে খিলাড়ি সিজন ৮ ও ১৩, ইন্ডিয়ান আইডলেও অংশ নিয়েছিলেন। স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্স বা অতিথি শিল্পী হিসাবে একাধিক ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে হিনাকে।


ক্যানসার   অভিনেত্রী   হিনা খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন ২০০৯ সালে মারা যাওয়ার সময় ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি ঋণে ছিলেন। আজও সেই ঋণ শোধ হয়নি। আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, জ্যাকসনের পাওনাদারের সংখ্যা ৬৫-এর বেশি।

গত ২১ জুন, লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে জ্যাকসনের এস্টেটের নির্বাহকদের দায়ের করা একটি পিটিশনে এই বিস্ময়কর তথ্যটি প্রকাশ করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

জানা গেছে, পিটিশনে জ্যাকসন যে আর্থিক অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন তা তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে গায়কের বাতিল করা লন্ডনের কনসার্ট ‘দিস ইজ ইট’-এর প্রোমোটার এইজি লাইভের ৪০ মিলিয়ন ডলার দায় রয়েছে।

আদালতের নথি থেকে জানা যায় যে জ্যাকসনের মৃত্যুর সময় ৬৫ জনেরও বেশি পাওনাদারের পাওনা ছিল। পিটিশনে ২০১৮ সাল থেকে আইনি ফি এবং অন্যান্য খরচ পরিশোধের জন্য জ্যাকসনের ২ বিলিয়ন ডলারের এস্টেট থেকে তহবিলের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। নির্বাহকগণ সফলভাবে এই মামলাগুলোর অধিকাংশই নিষ্পত্তি বা খারিজ করতে সক্ষম হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর সময়, ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি ঋণ এবং পাওনাদারদের দাবি ছিল, যার মধ্যে কিছু ঋণ অত্যন্ত উচ্চ সুদের হারে নেয়া হয়েছিল এবং কিছু ঋণ খেলাফ করা হয়েছিল। এগুলো মাইকেল জ্যাকসনের জন্য বোঝা ও প্রচণ্ড মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

বেহিসাবী খরচের কারণে ঋণে ডুবে গিয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। এই ব্যয়ের সিংহভাগ খরচ হয়েছে জুয়েলারির পেছনে। এছাড়াও উচ্চ মূল্যের উপহার, ভ্রমণ, চিত্রকর্ম এবং বিলাসবহুল আসবাবের পেছনে খরচ করতেন তিনি।

এ ছাড়া ঋণের সুদ পরিশোধের পেছনেই তাঁর সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়ে যেত। ২০০৯ সালে মাত্র ৫০ বছর বয়সে মৃত্যুর আগে জ্যাকসনকে শুধু ঋণ পরিশোধের জন্য বছরে খরচ করতে হতো ৩ কোটি ডলার। ঋণের সুদ বছর বছর বাড়ছিল। এই সুদ শুরুতে ৭ শতাংশের কম ছিল। পরে বেড়ে বাৎসরিক সুদ ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়ায়।

অ্যাকারম্যান লস অ্যাঞ্জেলেস আদালতকে আরও জানান, ১৯৯৩ সাল থেকেই জ্যাকসনের ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। ১৯৯৮ সালে সেটি গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ কোটি ডলারে। জুন ২০০১ থেকে জুন ২০০৯ সেই অঙ্ক ১৭ কোটিতে পৌঁছায়।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক অব আমেরিকা থেকে প্রায় ২৭ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিলেন। ব্যাংকটি ২০০৫ সালে সেই ঋণ আবার ফরট্রেস ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেয়। এই প্রতিষ্ঠান মন্দ ঋণ কেনাবেচার বাণিজ্য করে।


মাইকেল   জ্যাকসন   ঋণ   মার্কিন   পপসম্রাট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন