কালার ইনসাইড

সাবিনা-কৃষ্ণা-রুপনাদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হবে কবে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সাবিনা-কৃষ্ণা-রুপনাদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হবে কবে?

সাতক্ষীরার মেয়ে মাসুরা পারভীন, ফুটবল খেলাই যার নেশা। সাতক্ষীরা পিটিআই স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে তিনি খেলাধুলা শুরু করে। তার বাবা ভ্যানচালক রজব আলী। উপার্জনের একমাত্র সম্বল ভ্যানটিও ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে বাড়ির উঠানে পড়ে রয়েছে। বাড়িটি তৈরি টিনের ছাউনি দিয়ে । রজব আলী এখন অসুস্থ হওয়ায় কাজও করতে পারছেন না। মাসুরা যখন প্রথমদিকে খেলতে শুরু করেছিলেন, বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি তার বাবা। বাধার মুখে পড়েছিলেন পদে পদে।

মাসুরার বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতা এলাকায়, সরকারিভাবে দেওয়া আট শতক জমিতে থাকে মাসুরার পরিবার। মা ফাতেমা বেগম, দুই বোন সুরাইয়া পারভীন ও সুমাইয়া ইয়াসমিনকে নিয়ে তার পরিবার। সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা দাবি করে ওই বাড়িতে ক্রস চিহ্ন দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপর ভেঙে ফেলা হতে পারে বলে শঙ্কায় ছিলো তাঁদের পুরো পরিবার। তবে সব কিছু ছাপিয়ে সেই মাসুরা আজ দেশের গর্ব। সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের ডিফেন্ডার মাসুরা। যাকে নিয়ে আজ সারাদেশে মাতামাতি।

গোল করেই আকাশের দিকে তাকালেন। এরপর প্রার্থনার ভঙ্গিতে বিড়বিড়িয়ে কিছু একটা বললেন ঋতুপর্ণা চাকমা। যেন গোলটা পাওয়ার অপেক্ষাতেই ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। নেপালে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুই ম্যাচের কোনোটিতেই একাদশে ছিলেন না ঋতুপর্ণা।

মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বদলি নেমেও তিনি গোল পাননি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য বাংলাদেশ পাঁচটি গোল দিয়েছে পাকিস্তানের জালে, জয়ও নিশ্চিত। পরে দলের হয়ে ৬ নম্বর গোলটা করেছেন ঋতুপর্ণা।

গোলটা ঋতুপর্ণা উৎসর্গ করেছেন অকালপ্রয়াত ভাই পার্বণ চাকমাকে। গত ২৯ জুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন পার্বণ। ভাই হারানোর শোক এখনো লেগে আছে ঋতুপর্ণার চেহারায়। জাতীয় দলের সবচেয়ে প্রাণোচ্ছল আর হাসিখুশি মেয়েটাই এখন সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থাকেন। পরশু তিনি গোল পাওয়ার পর টিম বাসে উঠেও অনেকক্ষণ কেঁদেছেন। টিম হোটেলে গিয়েও রাতে কান্নাকাটি করেছেন। কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠে গতকাল অনুশীলনের সময় সতীর্থরা হাসি–আড্ডায় মেতে থাকলেও ঋতুপর্ণাকে দেখা গেছে বিষণ্ণ।

বাবা ব্রজবাসী চাকমা ক্যানসারে ভুগে মারা গেছেন ২০১৫ সালে। বড় তিন বোন, ভারতী চাকমা, পামপি চাকমা ও পুতুলি চাকমার বিয়ে হয়ে গেছে। চার বোনের এক ভাই হওয়ায় সবচেয়ে আদরের ছিলেন পার্বণ। সেই আদরের ভাইকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা।

পার্বণের দুই বছরের বড় ঋতুপর্ণা। পিঠেপিঠি ভাই–বোন হওয়ায় দুজনের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। ২০১৭ সালে জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে ডাক পাওয়ার পর থেকে ঋতুপর্ণার সব ম্যাচ দেখেছেন পার্বণ। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোলের পর তাই সবার আগে ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ে ঋতুপর্ণার।

এই দুইটি গল্প কোন সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। মাঝে মাঝে সিনেমার গল্পকেও হাড় মানায় বাস্তব কিছু গল্প। ঠিক তেমনি কিছু গল্প রয়েছে সদ্য দৃষ্টিনন্দন, শৈল্পিক এবং একই সাথে শ্বাসরুদ্ধকর ফুটবলের পসরা সাজিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঐতিহাসিক কীর্তিগাথা রচনা করে আসা বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়রে। ব্যক্তি জীবনের সব দুঃখ, কষ্টকে পিছনে ফেলে দেশের জন্য লড়ে গিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে। সাফের ট্রফি নিয়ে দেশে এসেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন সাবিনারা। তাদের বরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। উপস্থিত ছিল বাফুফের প্রতিনিধিদলও।বিমানবন্দর থেকে শহর ঘুরে বাফুফে কার্যালয়ে সাবিনাদের নিয়ে যাওয়া হয় ছাদখোলা বাসে করে।

ফুটবল নিয়ে এই উন্মাদনা আজ থেকে নয়। বহু বছর আগে থেকেই চলছে এই উন্মাদনা। এমনকি ফুটবল নিয়ে হলিউড, বলিউড, ঢালিউডে নির্মিত হয়েছে অনেক চলচ্চিত্র। ফুটবল নিয়ে খুব একটা বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ হয়নি। বড় বাজেট না হলেও আলোচিত বেশ কিছু সিনেমা রয়েছে ফুটবল নিয়ে।  হলিউড থেকে শুরু করে বলিউডেও অনেক সিনেমা নির্মিত হয়েছে ফুটবলকে নিয়ে।

সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলেকে নিয়ে ২০১৬ সালে হলিউডে নির্মিত হয় ছবি ‘পেলে-বার্থ অফ অ্যা লিজেন্ড’। ছবিটি দেখলে পেলের বেড়ে ওঠার পুরো ব্যাপারটা ভালো করে বোঝা যাবে।

এছাড়াও মদের নেশায় আসক্ত সাবেক এক ফুটবলারের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ইয়েস্টারডেস হিরো’। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি মন ছুঁয়েছে অনেকেরই। ফুটবল ম্যানেজারের জীবন নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘এ শট অ্যাট গ্লোরি’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০০ সালে।

ডেভিড বেকহ্যাম তখন সুপার ফর্মে। তখনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিচালক গুরিন্দর চাঁদা নির্মাণ করলেন ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম’।

গ্রেগরিস গার্ল (১৯৮১) ফুটবল নিয়ে ব্রিটিশ রোমান্টিক কমেডি আছে অনেকেরই পছন্দের তালিকায়। দেখতে পারেন ফুটবল নিয়ে হংকংয়ের অ্যাকশন কমেডি ছবি শাওলিন সকার। আরও দেখতে পারেন রুডো এন্ড কার্সি (২০০৮), ড্যামনেড ইউনাইটেড, হোয়েন স্যাটারদে কামস, মিন মেশিন, গ্রেসি ছবিগুলো।

ক্রিকেটের দেশ বলিউডে ফুটবল নিয়ে সিনেমা নেই বললেই চলে। কোন কোন সিনেমায় একটা কিংবা দুইটা দৃশ্য রাখা হয় ফুটবলের। যেমন ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’য় শাহরুখের দৃশ্য। সেক্ষেত্রে ‘ধান ধানা ধান গোল গোল’ ছবিটাকে পূর্ণ মাত্রার সিনেমা বলা চলে। ‘সিকান্দার’ ছবিরও অনেকটা জুড়ে ছিল ফুটবল।

শুধু ফুটবল নয় ক্রিকেট নিয়েও কম দিনেমা নির্মাণ হয়নি। লাগান ছবি ক্রিকেট সম্পর্কিত ছবিগুলির মধ্যে একটি। অভিনেতা আমির এর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছিল। পরাধীন ভারতবর্ষের গ্রামের লোকজন তাদের জীবনযাত্রা এবং ইংরেজ সরকারের ব্যবহার তাদের প্রতি এই নিয়েই গল্প ছিল ওই ছবিটির। লাগান নামে একটি ক্রিকেট দল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সেখানে কর্ম করার জন্য ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবন কাহিনী কে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে ক্রিকেট নিয়ে ছবি তৈরি হয়েছিল। আত্মঘাতী অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত সেই ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন। ধোনির ক্রিকেট নিয়ে জীবন সংগ্রাম এবং ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় কে কেন্দ্র করে ছবিটি গড়ে উঠেছিল। তার ওই ছবিটি সুপার হিট হয়েছিল।

নব্বইয়ের দশকের সময় ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের জীবনী নিয়ে তৈরি হয় ক্রিকেট মূলক ছবি আজহার, ইমরান হাশমি সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের খাওয়ার সময় এবং ম্যাচ ফিক্সিং সম্পর্কে সব কিছু ঘটনা ওই ছবিতে দেখানো হয়েছিল। তিনি তার সময়ে দুরন্ত ব্যাটিং করতেন কিন্তু ম্যাচ গড়াপেটা তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তির নানাদিক সেই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছিল।

বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে তেমন ভাবে ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা ক্রীড়া ভিত্তিক কোন খেলোয়াড় দিয়ে তেমন কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি। যদিও ২০১০ সালে নির্মাতা খিজির হায়াৎ খান ফুটবল খেলা নিয়ে নির্মাণ করে ছিলেন জাগো নামের চলচ্চিত্র। এরপর তার তেমন ভাবে ক্রীড়া ভিত্তিক কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি।

চলচ্চিত্র একটি দেশকে আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত করিয়ে দেয়। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, খেলেধূলা সম্পর্কে বিশ্বকে জানান দেয়। হলিউড থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক ক্রীড়া ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। পাশাপাশি নামীদামী অনেক খেলোয়াড়দের জীবন নিয়েও নির্মিত হয়েছে বায়োপিক। যেগুলো বিশ্ব দরাবারেও প্রশংসিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। 

যে মানুষগুলো তাঁদের ব্যক্তিজীবনের সব দুঃখ, কষ্টকে পিছনে ফেলে দেশের জন্য লড়ে জয় ছিনিয়ে আনছেন তাঁদের হয়তো আমরা সাময়িক কিছু সম্মাননা দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করছি কিন্তু তাদের সংগ্রামী জীবনের অনেক কথাই আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কখনো কী তাঁদের সেই সংগ্রামী জীবনের গল্প ফুটে উঠবে সেলুলয়েডের পর্দা?


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত

প্রকাশ: ০৯:০৮ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে চালানো রুশ এই হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। চেরনিহিভ রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দূরে অবস্থিত।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জরুরি সেবা জানিয়েছে। একইসঙ্গে এই হামলায় তিন শিশুসহ ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি আট তলা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

বিবিসি বলছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলার খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হয়। সেই হামলার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি, যদিও স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো উত্তর ক্রিমিয়ার ঝানকোয় এয়ারফিল্ডে আগুনের ভিডিও শেয়ার করেছে।

চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকো বলেছেন, একটি ভবনে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করেছে এবং বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, হামলায় আরও চারটি উচ্চ ভবন, একটি হাসপাতাল, কয়েক ডজন গাড়ি এবং একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জরুরি পরিষেবাগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং কর্মকর্তারা জনসাধারণকে রক্ত ​​দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ান এই হামলাটি ঘটত না ‘যদি ইউক্রেন পর্যাপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত’। এসময় তিনি আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে তার আবেদনের পুনরাবৃত্তি করেন।


ইউক্রেন   রাশিয়া   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সুখবর দিলেন শবনম ফারিয়া

প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অভিনয়ে আর আগের মতো নিয়মিত নন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। সবশেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’য়। নতুন খবর হলো, সদ্যই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল একটি মুঠোফোন কোম্পানিতে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন শবনম ফারিয়া। এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন ভক্তদের এই সুখবরটি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেশের একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি চাই না এটি নিয়ে নিউজ হোক। তাই বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে কথাও বলিনি। ফেসবুকে শুধু একটু জানিয়েছি, আর কিছুই না।’

এর আগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন শবনম ফারিয়া। প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া এবং কমিনিকেশন্স’র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রাহকের করা মামলায় আদালতের মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাকে।

শবনম ফারিয়া  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীকে পাল্টা জবাব দিলেন অপু

প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে নিজেকে এখনো শাকিব খানের স্ত্রী দাবি করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। বলেছেন, তারা দু’জনই সময় নিচ্ছেন। এছাড়াও তার নিজের ক্যারিয়ার, সন্তান শেহজাদ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ খোলাখুলি বেশ কিছু কথা বলেন এই নায়িকা। 

শাকিব খানের বাসায় কখনো অপু বিশ্বাসের সাথে দেখা গিয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, ‘দেখা হয় আমাদের। খুব স্বাভাবিক। যখন দেখা হয়েছে, আমি সর্বোচ্চ সম্মানটা দিতে চেষ্টা করেছি।’

এমনকি একদিন শেহজাদ ও শাকিব খানকে নিয়ে তিনি যখন রুমে সময় কাটাচ্ছিলেন, তখন সেখানে আবরামকে নিয়ে নাকি অপু বিশ্বাসও হাজির হয়েছিলেন বলে ওই সাক্ষাৎকারে জানান বুবলী। এটি প্রকাশের পর থেকে এ নিয়ে গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। যা নিয়ে নতুন জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমে এরই মধ্যে খবর এসেছে বুবলীর এমন কথায় নাকি বিরক্ত শাকিব খান আর অভিমান করেছেন অপু। 

এ নিয়ে মুখও খুলেছেন অপু। তার মতে, বুবলীর সঙ্গে দেখা হওয়ার দিন ছিল প্রথম রমজান। আর সেদিন আগে থেকেই জয়কে নিয়ে শাকিব খানের বাসায় ছিলেন অপু। আর বুবলী সেদিন শাকিবের বাসায় না অফিসে এসেছিলেন। এমনটাই দাবি করলেন অপু। 

অপু আরও বলেন, আসলে এসব কথার ব্যাখ্যা দেওয়ার রুচি আমার নেই। কারণ প্রত্যেক মানুষেরই একটা ব্যক্তিত্ব থাকে। তো এ বিষয়ে কথা বলার আগে কিছু কথা সবার জানা দরকার। মূলত সেদিন আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও শাকিবের সঙ্গে আমাদের ইফতারের আয়োজন ছিল। যেহেতু এবার রোজায় খান (শাকিব) ঢাকায় ছিলেন। তো সেভাবে আমাদের আয়োজন করা হয়। পরে ইফতারের পরে যতদূর মনে পড়ে-সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাবার খাবে বলে শাকিব তার অফিস থেকে ফোনকলে আমাকে জানায়। আমি এর ৩০-৪০ মিনিট পর যখন শাকিবের বাসা থেকে সেই খাবারটা নিয়ে অফিসের দিকে যাই, তখনই বুঝে ফেলি যে শেহজাদ হয়তো বাবার (শাকিব) কাছে এসেছে। কারণ দরজা খুলতেই দেখি বুবলীর মেকআপম্যান/কেয়ারটেকারকে যে সব সময় শেহজাদের টেককেয়ার করে। তো খাবারটা নিয়ে শাকিবের অফিসে যেয়েই দেখি শেহজাদের সাথে তিনিও (বুবলী) অফিসে এসেছেন। এ সময় আমার ও জয়ের সঙ্গে আমার ননদের মেয়েও ছিল। কিন্তু এটা বুবলী ভিন্নভাবে মিডিয়ায় উপস্থাপন করেছেন। সেখানে রুমে কোয়ালিটি টাইমের কথা কেন বলা হয়েছে তা আমি বুঝিনি। তিনি এসব বলে কি মিন করতে চাইছেন তাও জানি না।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অপু আরও বলেন, অফিস ফ্লোরের দরজা খুলে ভেতরে যেতেই আমি দেখি- শেহজাদ টিভিতে কার্টুন দেখছে আর বুবলী একটা চেয়ার বসে আছেন। আর শাকিব খান ঘুমিয়ে আছেন। তাদের সাথে ওই অফিসে তখন শাকিব খানের দু’জন ব্যক্তিগত সহকারীও উপস্থিত ছিলেন। এভাবেই বুবলী ও শেহজাদের সঙ্গে দেখা হয়।

‘এরপরও এটাকে কেন তিনি কোয়ালিটি টাইম বলেছেন জানি না। বিষয়টি হচ্ছে উনি এসব বলে নিজে ছোট হচ্ছেন, না অন্যকে ছোট করার চেষ্টা করছেন-আমি জানি না। উনি বারবার একই কথা বলছেন- আমরা একটা কোয়ালিটি টাইম কাটিয়েছি। শেহজাদের উপস্থিতিতে তার এই কোয়ালিটি টাইমের কথা সামনে আনার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। এসবই মিথ্যা। তিনি কিভাবে বলতে পারেন- শেহজাদ তাদের (শাকিব-বুবলী) স্পেস দেয়। কি অদ্ভূত! সেই ছোট্ট বাচ্চা কিভাবে বুঝে নেয়, তার বাবা-মা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে? আমি শুধু এটুকুই বলবো আল্লাহ যেন উনাকে হেদায়েত দান করেন। আমি খুবই লজ্জিত ও দুঃখিত যে-এই সময়ে এসেও এসব নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে বলেও যোগ করেন অপু বিশ্বাস।


শবনম বুবলী   শাকিব খান   অপু বিশ্বাস  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

গুলির ঘটনায় সালমানের বাড়িতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) এই ঘটনার পরই মঙ্গলবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাইয়ের অপরাধ দমন শাখা। মুম্বাই পুলিশের বিশেষ টিম গুজরাটে গিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত দুজনের নাম ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই যুবকই বিহারের চম্পারণের। দুজনই শ্যুটার হিসেবে কুখ্যাত। তাদের বিরুদ্ধে হার ছিনতাই, চুরির মতো একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে গুলি চালানোর ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পরেই মঙ্গলবার বিকেলে সালমানের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে’ যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।

বলিউ ভাইজানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, গোটা ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি সালমানসহ তাঁর গোটা পরিবারকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এই মর্মে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে ইতিমধ্যেই দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডে।

এর আগে একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছেন সালমান খান। গত বছর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে সালমান খান ১০টি গ্যাংয়ের টার্গেট তালিকায় শীর্ষে আছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর নামও। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সালমানের। তার পর থেকেই তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের নজরে।

এর আগেও তারা সালমান খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। বিষ্ণোই এর আগেও বলেছিল যে তার বন্ধু সম্পাত নেহরা সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির দিকে নজরদারি চালিয়েছে। সালমানকে প্রাণে মারার জন্য সঠিক উপায় তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল সে। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সে-ও রয়েছে কারাগারে। 

২০২২ সালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকিমূলক চিঠি পেয়েছিলেন সালমান খান। যেখানে তাকে ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার কথা লেখা হয়েছিল। এমনকি কানাডাভিত্তিক পলাতক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়। গোল্ডি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল লরেন্সের কথা।

বলেছিল, ‘আমরা ওকে মারব, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলেন, ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময় বোধ করবেন। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সফল হলে তো আপনারা জানতেই পারবেন।’

এই গোল্ডি ব্রারই ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে ছিল। গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকের তালিকায়।


সালমান খান   বলিউড   ভারত   মুখ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফারুকীর চোখে ‘মনোগামী’ বনাম ‘ব্যাচেলর’

প্রকাশ: ০৫:৪০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ওয়েবফিল্ম ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ স্ট্রিমিং শুরু হয় চাঁদরাতে। এতে মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান। ওয়েব ফিল্মটি চরকিতে মুক্তির পর থেকেই নির্মাতা এবং কলাকুশলীরা প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। বিশেষ করে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পাচ্ছেন গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালিত সিনেমা ‘ব্যাচেলর’ মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। তার ঠিক ২০ বছর পর ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে ওয়েবফিল্ম ‘মনোগামী’। অনেক দর্শক মনোগামী দেখে ব্যাচেলর সিনেমার সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর এবারে সদ্যমুক্তি পাওয়া ওয়েবফিল্ম ‘মনোগামী’ নিয়ে কথা বলেছেন নির্মাতা নিজেই। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে ‘মনোগামী’ ওয়েবফিল্ম নিয়ে লিখেছেন, ‘কোন সন্দেহ ছাড়াই ব্যাচেলরের এক ধরনের কম্প্যানিয়ন পিস বলা যায় মনোগামীকে। ব্যাচেলরে ঢাকার কিছু ব্যাচেলরের লাইফ দেখানোর চেষ্টা করেছি। আর মনোগামীতে ডিজায়ার আর গিল্ট ফিলিংয়ের মল্লযুদ্ধে ক্লান্ত এক মানুষকে ফলো করার চেষ্টা করছি। কাজটা করে খুবই আনন্দ পেয়েছি। অ্যাকচুয়ালি, আমার শেষ কাজগুলো অনেকটা সিরিয়াস টোনের ছিল। ফলে যারা আমার হিউমার পছন্দ করত, তারা প্রায়ই আমাকে কমপ্লেইন করতো এটা নিয়ে। তাদের কমপ্লেইন বাদ দিলেও, আমি নিজেও আসলে এই হিউমার ডিল করাটাকে মিস করছিলাম।’ 

দর্শকের প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘মনোগামীর কারণ একটা বিশাল অডিয়েন্সকে ফিরে পেয়েছি। যারা সত্যিকার অর্থে পিপড়াবিদ্যা থেকে শুরু করে এর পরের কাজগুলোতে আমার ওপর অভিমান করেছিল যে, আমি কেন ওই হিউমারগুলা আর ডিল করছি না। সেই অডিয়েন্সরা ফিরে আসছে এবং তারা অনেকেই চিঠি লিখেছে। এটা জেনে আমি খুবই আনন্দিত। ব্যাচেলরের পরে যেরকম তর্ক-বিতর্ক হতো। এটির ক্ষেত্রেও সেটা হচ্ছে। এটি আসলেই খুব ভালো। মনোগামী নিয়ে মানুষের ভালো, মন্দ, প্রশংসা, সমালোচনা- সবকিছুই আমি সাদরে গ্রহণ করছি। আপনাদের সবার জন্য ভালোবাসা।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে গতবছরের শেষে মুক্তি পায় ফারুকীর ওয়েবফিল্ম ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। এই ওয়েবফিল্মটির মধ্য দিয়ে প্রথমবার পর্দায় আসেন ফারুকী। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী   চঞ্চল চৌধুরী   জেফার রহমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন