কালার ইনসাইড

সিনে স্টার ফোরাম'র সাধারন সম্পাদক নায়িকা মৌসুমী

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

চলচ্চিত্রের তারকা শিল্পী-কুশলীদের নিয়ে  সংগঠন 'বাংলাদেশ সিনে স্টার ফোরাম'। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় এফডিসির জহির রায়হান প্রজেকশন হলে সংগঠনটির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার শফি বিক্রমপুরী এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ। 

অনুষ্ঠানে নতুন করে সাধারন সম্পাদক হিসেবে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর নাম ঘোষণা করেন সংঘঠনটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস কাঞ্চন। ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এফডিসির জহির রায়হান প্রজেকশন হলে সকাল দশটায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করে সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্ব শফি বিক্রমপুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন সিনেস্টার ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী হায়াৎ। এসময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি,সাধারন সম্পাদক,পরিচালক সমিতির সাধারন সম্পাদকসহ চলচ্চিত্র অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সিনেস্টার ফোরাম একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছে। এতে সংগঠনের সার্বিক কর্যক্রমসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কার্যক্রমের একটি ফটো অ্যালবামও এ স্মরণিকায় রয়েছে।

ফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট চলচ্চিকার শফি বিক্রমপুরী জানান, গত ২০১৬ সালের ২৩শে জানুয়ারি মরহুম নায়করাজ রাজ্জাকের ৭৫তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রের অতীত ও বর্তমান বিষয় নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে চলচ্চিত্রকার শফি বিক্রমপুরী একটি সংগঠন করার প্রস্তাব করেন । তার প্রস্তাবের ফলেই গঠিত হয়েছে 'সিনে স্টার ফোরাম'। শফি বিক্রমপুরী আরো জানান, ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রের প্রথম ২৫ বছরে যে সকল পরিচালক, প্রযোজক, সংগীত পরিচালকসহ নানান শাখায় শিল্পী-কলাকুশলীরা বেঁচে আছেন তাদের নিয়েই এই সংগঠন করার উদ্দেশ্য ছিল। এরই মধ্যে আমরা নায়করাজ রাজ্জাক, গায়ক আবদুল জব্বার, গায়িকা শাম্মী আখতার, অভিনেতা সিরাজ হায়দারসহ অনেককে হারিয়ে ফেলেছি। 

নতুন সাধারন সম্পাদক দায়ীত্বপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেন, এই ফোরামের কার্যক্রম অনেক আগে থেকেই দেখেছি। আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি এবার এই ফোরামের সদস্য পদ পেয়েছি ,ওমর সানীও এবার সদস্য হয়েছে এই ফোরামে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ এই বরেণ্য মানুষদের সাথে থাকতে পেরে। প্রথমেই একটা কথা বলতে চাই এই ফোরাম থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া বা না হওয়া খুব বেশি জরুরী তানা। কিন্তু এই ফোরামের সাথে যুক্ত হওয়াটা খুব বেশি জরুরী সেটা আমার কাছে মনে হয়েছে। প্রত্যেকটা স্বপ্ন একটা মানুষ দেখে যখন সাথে সাথে সফল হয়ে যায় না। এই ফোরামের যা স্বপ্ন রয়েছে আমরা সবাই যখন যুক্ত হব কেউ না কেউ সফলতা একদিন আনবেই ইনশআল্লাহ । এটা আমার বিশ্বাস। আমরাতো শিল্পী মানুষ আমরা জানি স্বপ্ন গুলো সবসময় সুপ্ত থাকে না কখনো কখনো জেগে উঠে সেটা সফল হয়েই ছাড়ে। এই ফোরামের আর একটা সুন্দর বিষয় হচ্ছে এখানে শুধু সিনিয়রদের আড্ডাবাজীর একটা জায়গা শুধু তা না, এখানে সুন্দর বাণিজ্যের একটা ব্যাপার রয়েছে। আমি শুনছিলাম আমার খুব ভালো লেগেছে। এখানে সফল ব্যবসায়ীরা আছেন, তারা সফলতার সাক্ষর রেখেছেন স্ব স্ব জায়গা থেকে । সেসব মানুষদের সান্নিধ্যে আসতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। আমরা যারা চলচ্চিত্র শিল্পী কলাকুশলীরা আছি আমরা আমাদের কাজের মধ্য দিয়েই এই ফোরামের সাথে থেকে এই মানুষগুলোর পাশে থেকে তাদের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারব এটাই অনেক বড় ব্যাপার।আমাদের শিল্পী সমিতি এটা শুধুই চ্যারিটি এখানে আমাদের বিশেষ কিছু করার নেই। বিশেষ কিছু করতে গেলেও পা ধরে টেনে নিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। আমার ছোট বোন নিপুন কাজ করছে বর্তমানে সে ভালো বলতে পারবে। এখানে কাজ করতে কতটা দখল নিতে হচ্ছে এবং কতটা কঠিন।  তারপরও আমাদের করতে হবে। কারন আমরা শিল্পী। এখান থেকেই আমাদের শুরু । এখানে যারা কাজ করছেন তাদের সকলের ভালোবাসা নিয়েই আজকে আমরা এখানে এসেছি। চলচ্চিত্র থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। তাই এখানে কিছু করা আমাদের দায়ীত্ব। যেমন ছোট বেলায় বাবা মা আমাদের লালন পালন করতেন এখন আমরা বাবা মাদের লালন পালন করব এটাই হওয়া উচিত। চলচ্চিত্রে যাদের হাত ধরে আমরা এসেছি প্রত্যেকটা মানুষদের এখানে দেখতে পাচ্ছি। আমার খুব ভালো লাগছে। 

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি শফী বিক্রমপুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কাজী হায়াৎ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কাঞ্চন, চিত্রনায়িকা মৌসুমী ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন দেলোয়ার ঝাহান ঝন্টু,নাদের খান, খুরশিদ আলম,অনুপম হায়াৎ, সুচন্দা,অঞ্জনা, রিনা খান, ডিপজল, ওমর সানী, বাপ্পা রাজ, শাহিন সুমন, আনোয়ার সিরাজী,নিপুন, সায়মন সাদিক সহ চলচ্চিত্র অঙ্গনের ব্যাক্তিবর্গ।
]

নায়িকা   মৌসুমী   সিনে স্টার ফোরাম  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভারতের পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী বন্যা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।

এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী, রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুশীলনকারী।

ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।

এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।

সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।


ভারত   পদ্মশ্রী   পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লোকসভা ভোট: ডিপফেক ভিডিও নিয়ে বলিউডে দুশ্চিন্তা

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে বলিউড তারকাদের কিছু ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়েই শুরু হয়েছে হইচই।

ডিপফেক ভিডিও দেখা গেছে, গুলোতে দুই বলিউড সুপারস্টারকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে তারা চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

ভাইরাল দুই ভিডিওর মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আমির খানের এবং ৪১ সেকেন্ডের আর একটি ভিডিও রণবীর সিংয়ের। ওই ভিডিওতে এই দুই সুপারস্টারকে বলতে শোনা গেছে, মোদি যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

এছাড়া গত দুই মেয়াদের ক্ষমতায় তিনি অর্থনৈতিক সংকটে রোধেও তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেন নাই। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরিকৃত এই ভিডিও’র শেষে কংগ্রেসের প্রতীক এবং শ্লোগান তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছে ‘ভোট হলো অধিকার, কংগ্রেসকে ভোট দিন’। 

আমিরের ভাইরাল ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মুম্বাইর থানায় একটি মামলাও করেছে পুলিশ। জানিয়েছে এই ঘটনার সাথে যুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।


ডিপফেক   লোকসভা নির্বাচন   আমির খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিলেন অভিনেত্রী

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।

গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিজয়ী সভাপতি খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা বলেন, ডিপজলের বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি দুই ও তিন ভঙ্গের যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাদিয়া মির্জা, সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচন ২৭ এপ্রিল সম্পন্ন করার কথা থাকলেও একটি প্যানেল আপত্তি জানালে পরে ১৯ এপ্রিল তারিখই চূড়ান্ত রাখা হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এ নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করেন ৪৮ প্রার্থী। প্যানেল দুটি হচ্ছে―মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার এবং অন্যটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।


ডিপজল   অভিযোগ   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মারা গেছেন অভিনেতা অলিউল হক রুমি

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি আর নেই। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

অভিনেতা জিয়াউল অপূর্ব নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অলিউল হক রুমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই ক্যানসার ধরা পড়ে রুমির শরীরে। এরপর চিকিৎসা নিতে ভারতে যান। সেখানে থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, অভিনেতা রুমির শারীরিক অবস্থা প্রথমে স্থিতিশীল ছিল। চিকিৎসাধীন হয়ে চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তবে হঠাৎ করেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তার। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না এ অভিনেতাকে।

মৃত্যুর আগে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে এ অভিনেতা সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। ক্যানসার জয় করে আগের মতো আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ক্যানসারের কাছে হেরে গেলেন অভিনেতা।

তিনি দীর্ঘদিন মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। থিয়েটার বেইলি রোডের আলোচিত ‘এখনও ক্রীতদাস’ নাটকে অনবদ্য অভিনয় করেছেন তিনি।

শোবিজে তার অভিষেক হয় আলোচিত ধারাবাহিক ‘কোন কাননের ফুল’ নাটক দিয়ে। চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।


অলিউল হক রুমি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে নিপুণ-কলি’দের ভরাডুবির যত কারণ

প্রকাশ: ০৬:৩৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নানা জল্পনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। আর মাহমুদ কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু কলি-নিপুণ নয়, তার প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট অনেককে অবাক করেছে। নির্বাচনে এমন ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ আছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।

এর আগের নির্বাচনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনয়শিল্পী শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নতুন করে আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। একই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে গেল মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ভোটে এই পদের জটিলতার নিরসন হয়নি। ভোট শেষে এই পদের জটিলতা সমাধানে আদালতের দ্বারস্থ হন নিপুণ ও জায়েদ। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে নিপুণ দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। সমিতির দায়িত্ব পালনের পুরো দুই বছর সময়ে জায়েদ খান সমালোচনা করেন নিপুণের। হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি নিপুণও, তিনি জায়েদের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে শিল্পী সমিতির এসব সদস্যের অসংলগ্ন কথাবার্তায় বিরক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরাও।

গেল মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার এবারও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জানান, এই মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি আর অংশ নেবেন না। হঠাৎ করে সভাপতির এমন ঘোষণায় বেকায়দায় পড়েন নিপুণ। এমনকি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সাইমন সাদিকসহ কয়েকজন সদস্যের সরে যাওয়াটা এবারের নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

অন্যদিকে মিশা-ডিপজল তাদের গুছিয়ে ফেললেও নিপুণকে সভাপতি প্রার্থী খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। অনেক তারকাকে রাজি করানোর চেষ্টার খবর এলেও শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, নিপুণ সভাপতি হিসেবে পান একসময়ের আলোচিত নায়ক মাহমুদ কলিকে। তারপরও যেন নির্বাচনী মাঠ জমাতে পারেননি তিনি। প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা মিশা-ডিপজল প্যানেলের প্রার্থীদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী ছিল বলেও কেউ কেউ মত দেন, যা নিপুণের জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি।

তা ছাড়া গেল মেয়াদে নিপুণের সঙ্গে যারাই ছিলেন, তাদের মধ্যে শাহনূর, নানা শাহ ও ডি এ তায়েবের মতো অনেকেই যখন তাঁকে ছেড়ে মিশা-ডিপজলের সঙ্গে যোগ দেন, তা সবচেয়ে নেতিবাচক ছিল। এসব নির্বাচনের সময় ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে।

২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে নিপুণ সভাপতি হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চনকে। এ বছরের মার্চে হঠাৎ করে শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে টাকার ছড়াছড়ি হয়। ভোটাররা প্রতিটি প্যানেল থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেন। হঠাৎ করে সভাপতির এমন বক্তব্য সাধারণ সম্পাদকসহ সেই প্যানেলের জন্য মন্দ বার্তা বয়ে আনে, যা ভোটে প্রভাব ফেলেছে।

এবারের মেয়াদের নির্বাচন শুরুর আগ মুহূর্তে নিপুণ তার ক্ষমতাবলে কয়েকজনকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছেন, এমন কথা চলচ্চিত্রের অনেকে বলেছেন। আবার ফেসবুক দেওয়া পোস্টকে ঘিরে সদস্যপদ বাতিলের ব্যাপারটিও নিপুণের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনি। প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্যপদ এবং তার নির্বাচনের বিষয়টিও নিপুণকে সমালোচনায় ফেলে। নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা যখন আসে, তখন চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বেফাঁস মন্তব্যও নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলের জন্য নেতিবাচক হয়েছে।

গেল মেয়াদে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। তার সঙ্গে নিপুণের দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্যে। দুজন দুজনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতেও ছাড়েননি। সেই পীরজাদাকে এবার দেখা গেছে কলি-নিপুণ প্যানেলে। হঠাৎ করে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ‘চিরশত্রু’ হিসেবে পরিচিত পীরজাদা হারুনের সঙ্গে হাত মেলানো এবং একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ভোটারদের মধ্যে নিপুণকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। কারও কারও মতে, নিপুণ শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, যা মোটেও ঠিক হয়নি। জোর খাটিয়েছেন।

নিপুণের এমন আচরণের ইঙ্গিত পাওয়া যায় গেল মেয়াদে তারই প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা শাহনূরের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। এবার তিনি নিপুণের বিপরীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এরপর তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জোর করে কারও মনে স্থান পেতে যাবেন না। আপনাকে যদি তাঁর প্রয়োজন থাকে, তার মনে এমনিতেই আপনার জন্য জায়গা থাকবে।’ অনেকে ফেসবুকে এমনও লিখেছেন বিগত সময়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন বা অন্য অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা নিপুণ ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আচরণ করেছেন।

কারও কারও মতে, গেল মেয়াদে বিজয়ী হয়ে আসার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি নিপুণ। তারই প্যানেলে সদস্য নানা শাহ এ বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেছেন এভাবে..

‘আগেরবার আমি এবং ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। ভালো কিছু কাজের আশা করেই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল সিনেমা নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন, শিল্পী সমিতি সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু নিপুণ কথা দিয়েছিল ছয়টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি সিনেমায় এন্ট্রি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। নিপুণ কথা রাখেনি। তার প্যানেলে গিয়ে ভুল করেছিলাম। আমরা শিল্পীরা সম্মান ও ভালোবাসা চাই। এটা যখন আমরা হারিয়ে ফেলি তখন খুব কষ্ট পাই।সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের অনেক শিল্পী এখন বেকার। তাদের জন্য শিল্পী সমিতি দুই বছরে কী করতে পেরেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না।’

অন্যদিকে ডিপজল এবং মিশা সওদাগরদের প্রস্তুতিও এবার তুলনামূল বেশি ছিল। কমিটিতে না থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাধারণ শিল্পী তথা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। এ ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল নিপুণ এবং তার প্যানেলের অন্য সদস্যদের। বিশেষ করে সভাপতি পদে মাহমুদ কলির দীর্ঘদিন সংগঠনের কার্যকর যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে সচারচর দেখা যেত না কোনো আয়োজনে। পর্দায়ও দীর্ঘদিন তাঁর উপস্থিতি ছিল না। প্রায় বিস্মৃতিতে চলে গিয়েছিলেন এই তারকা।

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কলি ও নিপুণ প্যানেল থেকে একটি পদ ছাড়া বাকি আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। আর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন।


চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন   নিপুণ-কলি প্যানেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন