কালার ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিলেন দীপাঞ্জনের মৃত শ্বশুর

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল, শনিবার ১ জুন, ভারতের লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও দেশের অন্যান্য নাগরিকদের মতোই ভোট দিয়েছেন। বড়পর্দা এবং ছোটপর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ভোট দেওয়ার পর কালি লাগানো আঙুলের ছবি শেয়ার করেছেন।

তবে এই নির্বাচনে বেশ কিছু অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটেছে। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর নাম ভোটার তালিকায় নেই, অথচ তাঁর প্রয়াত বাবা-মায়ের নাম তালিকায় আছে। একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে টেলি তারকা দীপাঞ্জন ওরফে জ্যাকের। দীপাঞ্জন জানিয়েছেন, তাঁর শ্বশুরমশাই, যিনি ৮ বছর আগে মারা গিয়েছেন, তাঁর নামেও ভোট পড়েছে। দীপাঞ্জন ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, "খবরটা শুনে খুব কষ্ট লাগছে। আমার স্ত্রী খুবই ভেঙে পড়েছে। বাপি, তুমি এলে আর বললে না। সততার প্রতীকরা এটা কীভাবে করতে পারল? এরপরও এক্সিট পোলের উপর ভরসা রাখব কী করে? বাপি, তুমি ২০১৬ সালে আমাদের ছেড়ে চলে গেলে, ফেরার দেশে যাওয়ার কথা বললে না। কিন্তু এবার সেখান থেকে ভোট দিতে এলে, দেখা করলে না? তুমি তো সব দেখতে পাও, তোমার ভোটটা কে দিল বল না বাপি? নির্বাচন কমিশন তোমার আপ্যায়ন করেছে তো? তোমার কোনও কষ্ট হয়নি তো? তিনুরা তোমায় কত ভালোবাসে দেখো, তোমায় না ফেরার দেশ থেকেও ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।"

এই পোস্টের সঙ্গে দীপাঞ্জন তাঁর প্রয়াত শ্বশুরমশাই শ্রী প্রদীপ ঘোষের ভোটার স্লিপের একটি ছবি প্রকাশ করেন। পোস্টের ভাষা থেকে বোঝা যায়, তিনি তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতি কটাক্ষ করেছেন। দীপাঞ্জনের শ্বশুরমশাই ৮ বছর আগে মারা গিয়েছেন, অথচ তাঁর নামে ভোটার স্লিপ বেরিয়েছে, এবং সেই ভোট কে দিলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

এদিকে, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। ভোটার তালিকায় তাঁর এবং তাঁর বোন অজপা মুখোপাধ্যায়ের নাম না থাকায় তারা গতকাল ভোট দিতে পারেননি। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তায় স্বস্তিকা এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তাদের নাম তালিকায় না থাকলেও তাঁর মৃত বাবা-মায়ের নাম এখনও তালিকায় রয়েছে।

দীপাঞ্জনের পোস্টে তার অনুরাগীরাও নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। একজন নেটিজেন কটাক্ষ করে লিখেছেন, "একবার প্রয়াত গায়ক দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ও সল্টলেকে ভোট দিয়েছেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এত কিছু দুয়ারে হতে পারলে যমের দুয়ার থেকে ফেরা যাবে না কেন? 


লোকসভা নির্বাচন   দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জ্যাক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে নামেমাত্র শিল্পী সম্মানী, ওঠেনা যাতায়াত খরচ

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

হুরমতি বড় ধরনের অপরাধ করেছেন। পয়সা গরম করে তাঁর কপালে ছ্যাঁকা দেওয়া হবে। টেলিভিশনের পর্দায় এই দৃশ্যে যেসব দর্শকের চোখ, তাঁরা ভয়ে শক্ত হয়ে বসে আছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত শহীদুল্লা কায়সার রচিত ‘সংশপ্তক’ নাটকের এই দৃশ্যের কথা অনেকেরই স্মৃতিতে আছে। এই নাটক যখন বিটিভিতে প্রচারিত হতো, তখন রাস্তাঘাটে মানুষ কমে যেত। মানুষের চোখ থাকত বিটিভির পর্দায়।

আবার মাঠের কৃষক দুপুরের অবসরে রেডিওর চাবি ঘুরিয়ে বাংলাদেশ বেতারে শুনতেন ‘দুই পয়সার আলতা’ সিনেমার ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’-এর মতো জনপ্রিয় সব গান।

তবে বিটিভি ও বেতার-এই দুই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সেই ‘সুবর্ণ সময়’ এখন আর নেই। বিটিভি ও বেতারের প্রতি দর্শক-শ্রোতার আগ্রহ কমছে। আগ্রহ কমছে শিল্পীদেরও। তাঁরা বলছেন, এই দুই মাধ্যমে নেই মর্যাদাপূর্ণ শিল্পীসম্মানী।

বিটিভি ও বেতারে সবশেষ শিল্পীসম্মানী নির্ধারণ হয় ২০১৬ সালের শেষ দিকে। মাধ্যম দুটির তালিকাভুক্ত শিল্পীরা বলছেন, এই সময়কালে সবকিছুর দাম অনেক বেড়েছে। কিন্তু শিল্পীদের সম্মানী বাড়েনি। তার ওপর শিল্পীসম্মানী থেকে ১০ শতাংশ উৎসে কর কাটা হচ্ছে।

‘যাতায়াত খরচও হয় না’

বিটিভির নাট্যানুষ্ঠান (অভিনয়) বিভাগে শিল্পীর নানা শ্রেণি ভাগ আছে। ‘বিশেষ প্রধান’ চরিত্রের শিল্পীর জন্য নির্ধারিত সম্মানী সবচেয়ে বেশি, প্রতি মিনিট ১৮৯ টাকা। অন্যদিকে সবচেয়ে কম সম্মানী ‘গ’ শ্রেণির গৌণচরিত্রের শিল্পীর, প্রতি মিনিট মাত্র ২৪ টাকা। আর ‘গ’ শ্রেণির পার্শ্বচরিত্রের শিল্পীর সম্মানী প্রতি মিনিট ৪৭ টাকা। একটি নাটকে এই দুই শ্রেণির শিল্পী অভিনয় করতে পারেন ‘নামমাত্র’।

বিটিভির সংগীত বিভাগে (উচ্চাঙ্গসংগীত) একজন ‘খ’ শ্রেণির শিল্পীর সম্মানী প্রতি মিনিট ১৮৯ টাকা। ‘বিশেষ’ শ্রেণির শিল্পীর সম্মানী প্রতি মিনিট ৩৩০ টাকা।

বিটিভির জন্য একটি গান রচনা করে ‘বিশেষ’ শ্রেণির একজন গীতিকার পান ৭৮৮ টাকা। আর ‘খ’ শ্রেণির গীতিকার পান ৫৫১ টাকা। প্রতিটি গান প্রতিবার সম্প্রচারের জন্য ‘বিশেষ’ শ্রেণির একজন গীতিকার রয়্যালটি পান ৩১৫ টাকা। ‘খ’ শ্রেণির গীতিকার পান ১৫৮ টাকা।

বাংলাদেশ বেতারের ‘বিশেষ’ শ্রেণির শিল্পী একটি গানের জন্য ১ হাজার ৩৫০ টাকা, দুটি গানের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানী পান। ‘ক’ শ্রেণির শিল্পী গানপ্রতি পান ১ হাজার ১৫০ টাকা, ‘খ’ শ্রেণির ৯০০ টাকা, ‘গ’ শ্রেণির ৬৫০ টাকা।

বেতারের ‘ক’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত শিল্পী ময়মনসিংহের আবুল কালাম আজাদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক’ শ্রেণির একজন শিল্পী তিন মাসে সাধারণত একবার গান গাওয়ার সুযোগ পান। ‘খ’ আর ‘গ’ শ্রেণির ক্ষেত্রে তা হয়তো বছরে একবার। শিল্পীসম্মানী হিসেবে যে টাকা পাওয়া যায়, তাতে যাতায়াতের খরচও হয় না, শিল্পচর্চার ব্যয় নির্বাহ তো দূরের কথা। আর জীবিকা নির্বাহের তো প্রশ্নই আসে না।

ডাক না পাওয়ার অভিযোগ

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেতারের কয়েকজন তালিকাভুক্ত শিল্পী অভিযোগ করে বলেন, ঘুরেফিরে পরিচালক-প্রযোজকদের পছন্দের শিল্পীরাই অনুষ্ঠানে ডাক পান। তালিকাভুক্ত হলেও অনেক শিল্পী কখনো পরিবেশনের সুযোগই পান না। তা শিল্পী নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন আছে।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এমন ঘটে থাকলে অভিযোগটি নির্দিষ্ট হতে হবে। বেতারের অনেকগুলো কেন্দ্র আছে। কখনোই আমন্ত্রণ পাননি-এমন শিল্পী যদি থাকে, তাহলে তিনি যে কেন্দ্রের, সেখানকার পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।

আবার এমন নজিরও আছে, অভিমানে কোনো শিল্পী নিজের তালিকাভুক্তির পরিচয় দিতে চান না। যেমন বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী অজয় মিত্র। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘বিটিভির তালিকাভুক্ত সংগীত পরিচালক পরিচিতিটি ফেসবুক থেকে মুছে দিলাম, পরিচয়টি দিতেও লজ্জা বোধ হয়।’

জনপ্রিয়তা কমার কথা মানে কর্তৃপক্ষ

বিটিভি ও বেতারের জনপ্রিয়তা যে আগের মতো নেই, সে কথার সঙ্গে দ্বিমত করেনি প্রতিষ্ঠান দুটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দাবি, এর পেছনের কারণ বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির বিস্তার, মানুষের শোনা ও দেখার রুচির পরিবর্তন।

অন্যদিকে বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে অনেক রকম কাজের সুযোগ যেমন আছে, তেমনি সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যেমন জনপ্রিয়তার চেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণ বা তথ্য প্রকাশে বেশি মনোযোগ দিতে হয়। একসময় দেশে শুধু একটি চ্যানেল (বিটিভি) ছিল। এখন মানুষের সামনে অনেক রকম সুযোগ। তবে বিটিভি ভালো কাজ করার চেষ্টা করছে।

শিল্পীসম্মানী বাড়ানোর উদ্যোগ

শিল্পীসম্মানী বাড়ানোর জন্য একটি কমিটি গঠন করে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া। বেতারের একটি সূত্র জানায়, প্রস্তাবনাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিল্পীসম্মানী ৫০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য ২০২৩ সালে ঢাকা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। তবে এ বিষয়ে আরও কিছু কাজ বাকি আছে। শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মতামত জানতে হবে। শিল্পীসম্মানী বাড়ানোর প্রস্তাবনা আগামী মাসে (জুলাই) মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে।

(তথ্যসূত্র: প্রথমআলো, ২৬ জুন ২০২৪)


বাংলাদেশ টেলিভিশন   বাংলাদেশ বেতার   শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘বাই বাই রাসেলস ভাইপার, ওয়েলকাম পরীমণি’

প্রকাশ: ০৯:২৯ এএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়ানো বিষধর সাপ ‘রাসেলস ভাইপার’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা চলছিল। তবে, এবার সেই সাপকে পেছনে ফেলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি।

মঙ্গলবার দুপুরে পরীমণি তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি লেখেন, "বাই বাই রাসেলস ভাইপার, ওয়েলকাম পরীমণি!" এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার এই পোস্টে (অফিশিয়াল পেজ ও আইডি) প্রায় ২৫ হাজার মানুষ রিঅ্যাক্ট করেছেন। পাশাপাশি অনেকেই মন্তব্য করেছেন এই রহস্যময় পোস্টে।

একজন মন্তব্যকারী আদনান আজাদ লিখেছেন, "রাসেলস ভাইপারের টপিক শেষ, পরীমণিময় বাংলাদেশ।" গোলাম হোসেন নামের আরেকজন মন্তব্য করেছেন, "রাসেলস ভাইপারের আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যু হলো... স্বাগতম পরীমণি।" এসব মন্তব্যে পরীমণি নিজেও লাইক এবং কমেন্ট করে সমর্থন জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন খবরের শিরোনামে ছিলেন পরীমণি। এক খবরে জানা যায়, ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন তিনি। অন্য এক খবরে উল্লেখ করা হয়, পরীমণি-কাণ্ডে চাকরি হারানোর পথে আছেন সাবেক এডিসি সাকলায়েন।

এই দুটি পৃথক ঘটনায় পরীমণির নাম সরাসরি যুক্ত থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নেটিজেনরা ধারণা করছেন, এই বিষয়গুলোকে ইঙ্গিত দিয়েই পরীমণি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে চলমান রাসেলস ভাইপার ইস্যুকে বিদায় জানিয়ে নিজেকে স্বাগত জানিয়েছেন।


পরীমণি   রাসেলস ভাইপার   ভাইরাল পোস্ট  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি আমি : পিয়া জান্নাতুল

প্রকাশ: ০৮:৫৩ এএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিল তার চাকরি হারানোর পথে। পুলিশ তদন্তে পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন ও স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে রাজারবাগে নিজ বাসায় তাকে নিয়ে ১৭ ঘণ্টা অবস্থানের প্রমাণ পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।

তবে, এই ঘটনাকে ঘিরে আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়া লেখেন, 'এই সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন), যিনি আমার বাবা এফআর টাওয়ার মামলায় ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রায় ৬-৭ দিন প্রতিদিনই আমি ও মা ডিবি অফিসে যেতাম বাবাকে দেখতে।'

পিয়ার অভিযোগ, সাকলায়েন প্রতারণামূলকভাবে ও জোরপূর্বক সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে তার বাবার জবানবন্দি নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বাবাকে সম্মতি না দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন, কারণ তার বাবা এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু পিয়া ডিবি অফিসে যাওয়ার আগেই সাকলায়েন তার বাবার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে আদালতে জমা দেন। পিয়া আরও লেখেন, 'এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করায় সাকলায়েন আমার ওপরও ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন এবং বাবাকে বলেছিলেন যেন আমি চুপ থাকি। তার ধারণা ছিল না যে আমি চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি।'

পিয়া জান্নাতুল আরও বলেন, 'যেদিন এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের জন্য বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তার বয়স তখন ৭৭ বছরের বেশি ছিল।'

ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে চাইলে পিয়া জানান, 'আমার বাবা নির্দোষ থাকা সত্ত্বেও গোলাম সাকলায়েন আমাদের যে পরিমাণ হয়রানি করেছিলেন, তা বর্ণনাতীত। শেষ পর্যন্ত বাবা এই ঝামেলাটা নিয়ে মারা যান। তার কোনো সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও তাকে শেষ বয়সে হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল। সাকলায়েনের মতো একজন ব্যক্তির কাছে এমন হয়রানি আমরা মানতে পারিনি। সেই ক্ষোভ থেকেই ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এখন সাকলায়েন নিজে বিপদে পড়েছেন, তাই তিনি বুঝবেন।'

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে, যা ২৭ জনের প্রাণহানি ও অন্তত ৭৫ জন আহত হন। এই ঘটনায় বনানী থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা হয়, যার বাদী ছিল বনানী থানা-পুলিশ। মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন পিয়া জান্নাতুলের শ্বশুর এস এম এইচ আই ফারুক। 


পিয়া জান্নাতুল   পরীমণি   মামলা   জেল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

জামিন পেলেন পরীমণি

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ২৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় মঞ্জুর করেন। এদিন সকালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন পরীমণি।

জানা গেছে, ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে এ আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

পরে গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান।

বাদী নাসির উদ্দিন মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।


পরীমণি   জামিন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

যে কারণে বক্স অফিসে বাজিমাত 'তুফান' এর

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ২৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

"তুফান" সিনেমার মুক্তির আগে থেকেই বক্স অফিসে সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছিল, যা একেবারে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন মুক্তির পর থেকেই রায়হান রাফী পরিচালিত এবং শাকিব খান অভিনীত এই সিনেমাটি দর্শকদের মাঝে বিশাল সাড়া ফেলেছে। মাল্টিপ্লেক্সের ওয়েবসাইটে টিকিট মিলছে না, এমনকি রাজধানীর একক হলে টিকিট না পেয়ে কালোবাজারি এবং ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। দুই দশক পর মধ্যরাতে শো চালানোর খবরও পাওয়া গেছে।

কেন "তুফান" নিয়ে এত মাতামাতি?  

শাকিব খানের তারকাখ্যাতি: শাকিব খান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় তারকা। তার সিনেমা মানেই ভক্তদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। পর্দায় শাকিব খানের উপস্থিতি দর্শকদের মাঝে উল্লাস ছড়িয়ে দেয়, যা "তুফান"-এর ক্ষেত্রেও প্রমাণিত হয়েছে।

রায়হান রাফীর নির্মাণশৈলী: রায়হান রাফীর নির্মাণশৈলী দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। "তুফান"-এ তার সিগনেচার ওয়ান টেক শট এবং অন্যান্য নির্মাণশৈলী দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। পরিচালকের নামেই সিনেমা হিট হওয়ার ধারণা তিনি আগেই দিয়েছেন, এবার তার সাথে বড় তারকারা যুক্ত হওয়ায় সিনেমাটির সাফল্য ছিল অনুমেয়।

টিজার, গান, এবং ট্রেলারের প্রভাব: "তুফান"-এর টিজার, গান এবং ট্রেলার সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। "লাগে উরাধুরা" এবং "তুফান এল রে" গান দুটি এবং ট্রেলারের প্রতিটি কনটেন্ট ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। দেশীয় দর্শকদের পাশাপাশি ভারতীয় দর্শক ও ইউটিউবাররাও প্রশংসা করেছেন।

শাকিব খানের অভিনয়ে নতুনত্ব: "তুফান"-এ শাকিব খানের অভিনয় দক্ষতা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। বিভিন্ন চরিত্রে তার বৈচিত্র্যময় পারফরম্যান্স এবং শারীরিক ভাষা দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

অ্যাকশন এবং লুক: "তুফান"-এ শাকিব খানকে এক ভিন্ন লুকে দেখা গেছে, যা তার লুক এবং অ্যাকশনের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য ছিল এবং এটি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।

দুই ধরণের দর্শকের আকর্ষণ: "তুফান" শাকিব খান এবং চঞ্চল চৌধুরী উভয়ের ভক্তদের আকর্ষণ করেছে। শাকিব খানের কমার্শিয়াল সিনেমার ভক্তরা যেমন সিনেমাটি দেখতে গেছেন, তেমনি চঞ্চল চৌধুরীর ভিন্নধর্মী কাজ দেখতেও অনেকে হলে গেছেন।

কারিগরি দিকের উৎকর্ষতা: সিনেমার কস্টিউম, সেট এবং নব্বইয়ের দশকের প্রেক্ষাপট তুলে ধরার কাজটি সফলভাবে করা হয়েছে। তাহসিন রহমানের সিনেমাটোগ্রাফি এবং অন্যান্য কারিগরি দিকগুলোও প্রশংসিত হয়েছে।

মূলত এসব কারণেই "তুফান" মুক্তির পর থেকে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এবং বক্স অফিসে এখন পর্যন্ত সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে।


তুফান   শাকিব খান   রায়হান রাফি   মিমি   নাবিলা   চঞ্চল চৌধুরী   ফজলুর রহমান বাবু   ঈদ সিনেমা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন