কালার ইনসাইড

হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেঁছালো

প্রকাশ: ০৭:৪৯ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে এবং তার এক বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল, কিন্তু পুলিশ তা দাখিল করতে পারেনি। এজন্য বিচারক নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন হিমুর বাসায় তার প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) এবং মেকআপম্যান মিহির ছিলেন। মিহির হিমুর বাসাতেই থাকতেন এবং রুফি ছয় মাস ধরে নিয়মিতভাবে সেখানে যাতায়াত করতেন এবং মাঝে মাঝে রাত্রীযাপন করতেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১ নভেম্বর হিমু রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করে দেন, যা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল বাজালে মিহির মেইন দরজা খুলে দেন এবং রুফি বাসায় প্রবেশ করেন। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহির রুমে এসে চিৎকার করে জানান হিমু আত্মহত্যা করেছে।

পরে মিহির জিজ্ঞাসা করলে রুফি জানান তিনি বাথরুমে ছিলেন। এসময় হিমু সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মিহির হিমুর রুমে গিয়ে তাকে ফাঁস নেওয়া অবস্থায় পান এবং রুমে দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তারা দুজন হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রুফি হিমুর মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান।

গত বছরের ২ নভেম্বর ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মৃত্যুবরণ করেন। রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হয়। 

হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় তার খালা নাহিদ আক্তার ২ নভেম্বর রাতে জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর রুফিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


হুমায়রা হিমু   আত্মহত্যা   গ্রেফতার   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

১৬ বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন শাওন

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

শিশুশিল্পী হিসেবে সংস্কৃতি জগতে প্রবেশ করেন মেহের আফরোজ শাওন। এরপর ১৯৯৬ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তারপর তিনি অভিনয় করেছেন বহু নাটক, ধারাবাহিক এবং চলচ্চিত্রে।

সর্বশেষ ২০০৮ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’-এ অভিনয় করেন। দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ দিয়ে অভিনয়ে ফেরার কারণ কী? শাওনের জবাব, "ছবির গল্প-চিত্রনাট্য ভালো লেগেছে। পরিচালক, টিম এবং সার্বিক আয়োজন দেখে মনে হয়েছে কাজটি করা যায়। তাই যুক্ত হওয়া।" 

‘নীল জোছনা’র খবর কিছুদিন আগেই জানা গেছে। এতে অভিনয় করছেন পশ্চিমবঙ্গের পাওলি দাম, বাংলাদেশের তারিক আনাম খান এবং ইন্তেখাব দিনারের মতো তারকারা। ইতিমধ্যেই ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। শাওন জানিয়েছেন, তাঁর অংশের চিত্রায়ণ শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে।

শাওন বলেন, "১৬ বছর পর অভিনয় করতে যাচ্ছি। আসলে দুই বছর ধরেই ভাবছিলাম, ভালো গল্প-আয়োজন পেলে অভিনয়ে ফিরব। ভাবতে ভাবতেই দুই বছর চলে গেল। অবশেষে মাস দুয়েক আগে এই ছবিতে যুক্ত হয়েছি।"

অভিনয়ে নিয়মিত হওয়া প্রসঙ্গে শাওন বলেন, "আসলে পরিকল্পনা করে কিছু করা হয় না। যদি পছন্দসই কাজ আসে, তাহলে করব।"

নির্মাতা হিসেবেও শাওনের পরিচিতি রয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি বানিয়েছেন ‘কৃষ্ণপক্ষ’, যেখানে অভিনয় করেছেন রিয়াজ ও মাহি। এছাড়া বেশ কিছু নাটকও নির্মাণ করেছেন। পরবর্তীতে নির্মাণে ফেরার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে শাওন বলেন, "সর্বশেষ ২০১৮ সালে একটি ছোট ধারাবাহিক [বোতলভূত] নির্মাণ করেছিলাম। এখনো নতুন কাজের ভাবনা আছে মাথায়। যদি কোনো কাজ শুরু করি, অবশ্যই জানাব।" 


মেহের আফরোজ শাওন   অভিনয়  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘তুফান’-এর পর রাফীর নতুন প্রজেক্ট বঙ্গ’র ‘ব্ল্যাক মানি’

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এবারের ঈদে নির্মাতা রায়হান রাফি ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে তুমুল সাড়া ফেলেছেন। সেই উচ্ছ্বাস থামতে না থামতেই নতুন প্রজেক্টে হাত দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, দেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গ’-এ আসছে রাফির নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাক মানি’। সম্প্রতি বঙ্গর অফিসে পরিচালক রায়হান রাফি ও বঙ্গের চিফ কন্টেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান মঞ্জুর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এই সিরিজে কোন তারকারা অভিনয় করবেন তা এখনও প্রকাশ করেননি নির্মাতা বা প্ল্যাটফর্ম।

এই প্রসঙ্গে পরিচালক রাফি বলেন, “ব্ল্যাক মানি’ বঙ্গের সাথে আমার প্রথম কাজ। সাধারণত আমি যে ধরণের গল্প বলার চেষ্টা করি, এটি সেই ধারা থেকে অনেকটাই ভিন্ন। বঙ্গের সাথে এমন একটি প্রজেক্টে কাজ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”

প্রযোজক মুশফিকুর রহমান মঞ্জু বলেন, “রাফি এমন একজন নির্মাতা যিনি তার প্রথম কাজ ‘পোড়ামন-২’ দিয়েই তার স্বাতন্ত্র্য ও দক্ষতা প্রমাণে সফল হয়েছেন। রাফির প্রতি আমার মুগ্ধতা সেই পোড়ামন-২ থেকেই। পরবর্তীতে, আমরা বঙ্গ থেকে রাফির ‘পোড়ামন-২’ এবং ‘দহন’ সিনেমার ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন রাইটস নিয়েছি। দুটো ছবিই বঙ্গের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাছাড়া দেশে ও প্রবাসে রাফির ‘তুফান’ অসাধারণ সাফল্য দেখাচ্ছে।” 

তিনি আরও বলেন, “ব্ল্যাক মানির গল্পটি রাফি আমাকে এই বছরের শুরুতেই শুনিয়েছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় গত ২ জুলাই আমাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘ব্ল্যাক মানি’ নিয়ে আমরা বঙ্গ পরিবার অত্যন্ত আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি এটি রায়হান রাফির আরেকটি সফল কাজ হবে এবং বাংলা কন্টেন্ট দেশে ও প্রবাসে আরও এগিয়ে যাবে।”

রায়হান রাফি   বঙ্গ   তুফান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পদাতিক: কেবলই কি একটি চলচ্চিত্র?

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকটি বাংলা সংস্কৃতির ভবিষ্যত ধারক-বাহকদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই দশকেই জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের তিন মহারথী। 

১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়, ১৯২৩ সালে মৃণাল সেন এবং ১৯২৫ সালে ঋত্বিক ঘটক।

বাংলা চলচ্চিত্রের এই তিন মহারথীর একজন বিশ্ববরেণ্য পরিচালক মৃণাল সেনের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘পদাতিক’ অবশেষে বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে।

মৃণাল সেন পরিচালিত ‘পদাতিক’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৩ সালে। একই নামে এবার খোদ মৃণাল সেনের জীবন ও সময় নিয়ে সৃজিত মুখার্জী পরিচালিত সিনেমা 'পদাতিক' দেখতে উদগ্রীব দুই বাংলার দর্শক।

মৃণাল সেনের ভূমিকায় এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। গল্পে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামি ঘোষ। ছবিটির প্রথম লুক ও টিজার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরীর এমন রূপ দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন, যেন চঞ্চল নিজেই মৃণাল সেন হয়ে উঠেছেন। কবে ছবিটি মুক্তি পাবে তা নিয়ে আগে থেকে কিছু জানানো না হলেও, গতকাল (২ জুলাই) সন্ধ্যায় পরিচালক সৃজিত মুখার্জী একটি পোস্টার শেয়ার করে জানিয়েছেন যে ছবিটি এই আগস্টে মুক্তি পাবে। ছবি মুক্তির তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস, অর্থাৎ ১৫ আগস্ট।

মৃণাল সেন জন্মেছিলেন বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ১৭ বছর বয়সে চলে যান কলকাতায়। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া, গণনাট্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং পরে চলচ্চিত্রে আগমন।

তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাতভোর’। অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ আর মৃণাল সেনের ‘রাতভোর’ একই বছর কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পেলেও ‘পথের পাঁচালী’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘রাতভোর’কে সেইভাবে আলোচনায় আনতে পারেনি।

সৃজনশীল মানুষ আসলে অন্যের প্রত্যাশা অনুযায়ী পথ হাঁটতে পারেন না। তাঁরা পথ হাঁটেন মহাজগতের দূরপ্রান্তের দিকে চোখ রেখে। শিল্পসৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায় নিজের গড়া চরিত্রে হয়তো নিজেই বাস করেন অনেকটা জুড়ে। কে জানে, চিত্রনাট্যের আড়ালে মৃণাল সেন নিজেই হয়তো ছিলেন তাঁর নির্মিত ‘পদাতিক’-এর বিপ্লবপ্রত্যাশী তরুণ।

তাঁর চলচ্চিত্রে রাজনীতি আসে সরাসরি, মূল বিষয়বস্তু হিসেবে। অনেকে এই অভিযোগও করেছেন, রাজনীতি ও সামাজিক বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে প্রায় রোমান্টিকতার পর্যায়ে তিনি নিয়ে গেছেন কি না। তবু দর্শক হিসেবে তাঁর চলচ্চিত্রে সমাজভাবনার যে চিত্র দেখা যায়, যে জীবনভাবনার খোরাক পাওয়া যায়, তা অতুলনীয়। 

যে বছর, ১৯৬৭ সালে, বামফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়, সেই বছরই নকশালবাড়িতে সংগঠিত হয় সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চল, কেরালা ও পূর্ব উড়িষ্যায়। এই সময়ে ভারতে বিভিন্ন ভাষায় বিদ্রোহ ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে যেমন সাহিত্য রচিত হয়, তেমনি কলকাতাতেও ছবি বানান মৃণাল সেন। নির্মাণ করলেন একে একে তিনটি ছবি: ইন্টারভিউ [১৯৭০], কলকাতা ৭১ [১৯৭২] ও পদাতিক [১৯৭৩]— যা কলকাতা ত্রয়ী নামে পরিচিতি পায়।

একই সময়ে চলচ্চিত্রের তিন মহারথী সমান দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে গেলে কিছুটা তুলনা চলেই আসে। তবু সত্যজিৎ, মৃণাল ও ঋত্বিকের মধ্যে মিলের জায়গা যেটুকু ছিল, তা হলো বাণিজ্যচিন্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইতালিয়ান নিউ রিয়েলিজম, তথা নব্যবাস্তববাদের ধারায় বিশ্বাস রেখে স্বল্প বাজেটে সৃজনশীল ও আপোসহীন নির্মাণ।

তবে তিনজনের মধ্যে মৃণাল সেনের কিছু বাড়তি যোগ আছে। তিনি বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও তেলেগু এবং ওড়িয়া ভাষায়ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। টেলিভিশনের জন্য নির্মাণ করেছেন আলাদা ১২টি গল্প নিয়ে ১২ পর্বের ধারাবাহিক। মৃণাল সেনই একমাত্র নির্মাতা, যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তিনটি চলচ্চিত্র উৎসব—কান, বার্লিন ও ভেনিস উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছেন।

চঞ্চল চৌধুরী এই ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ে বলেন, "মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করা একটি দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সাহস এবং যোগ্যতা প্রয়োজন, যা আমার আছে কিনা  তা তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে অবিশ্বাস্য মনে হয়। তবুও দুঃসাহস এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার কারণে এই চরিত্রে অভিনয় করেছি।"

মৃণাল সেনের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে নেয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সৃজিত বলেন, দুইজনের মুখের মিল আছে। মৃণাল বাবুর মতোই চঞ্চলের চোখের দৃষ্টি অত্যন্ত ধারালো ও সজাগ। তাছাড়া মৃণাল বাবুর রাজনীতি চেতনা, তার যাপন ও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গেও চঞ্চলের প্রচুর মিল।

গত বছর ১৫ জানুয়ারি শুরু হয় পদাতিক-এর শুটিং। কলকাতা, মুম্বাইসহ বেশ কিছু স্থানে শ্যুটিং হয়। দেশের বাইরেও কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। গত বছর মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী ছিল। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই প্রয়াত পরিচালকের জীবন, কর্ম ও সময়ের গল্প নিয়ে সৃজিত মুখার্জি তৈরি করছেন ‘পদাতিক’।

মৃণাল সেন বাংলা সিনেমার আইকোনোক্লাস্ট। কালাপাহারের মতই চলচ্চিত্রের প্রচলিত প্রথাকে সিনেমার প্রয়োজনে তিনি বারবার ভেঙেছেন। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন তিনি। বদলেছেন তাঁর সিনেমার ভাষা। ‘পদাতিক’ সিনেমাতে কতটুকু ‘মৃণাল সেন’ হয়ে উঠতে পেরেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মৃণাল সেনের জীবনীকে কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি, এই প্রশ্ন সকল চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মনে। চঞ্চল-সৃজিত কি পারবে পূর্ণাঙ্গ ‘মৃণাল সেন’কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে সবাই মুখিয়ে আছেন ১৫ আগস্ট ‘পদাতিক’ মুক্তির অপেক্ষায়।


পদাতিক   মৃণাল সেন   চঞ্চল চৌধুরী   সৃজিত মুখার্জী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাবে চঞ্চল চৌধুরীর 'পদাতিক'

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান পরিচালক সৃজিত মুখার্জি গত বছর নির্মাণ করেছেন একটি নতুন ছবি, যার নাম 'পদাতিক'। এই ছবিটি বরেণ্য চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত। মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

ছবিটির প্রথম লুক ও টিজার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরীর এমন রূপ দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন, যেন চঞ্চল নিজেই মৃণাল সেন হয়ে উঠেছেন। কবে ছবিটি মুক্তি পাবে তা নিয়ে আগে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি, কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় পরিচালক সৃজিত মুখার্জী একটি পোস্টার শেয়ার করে জানিয়েছেন যে ছবিটি এই আগস্টে মুক্তি পাবে। ছবির মুক্তির তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস, অর্থাৎ ১৫ আগস্ট। পোস্টারে চঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন সময়ের ছবি রয়েছে। চঞ্চল ছাড়া পোস্টারে অন্য ব্যক্তিটিকে দেখে অনুমান করা যায় যে এটি মৃণাল সেনের শৈশবের চরিত্র, যা একজন তরুণ অভিনেতা অভিনয় করেছেন। 

চঞ্চল চৌধুরী কিছুদিন আগে এই ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ে বলেন, "মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করা একটি দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সাহস প্রয়োজন, যা আমার আছে কিনা এবং যোগ্যতা আমার আছে কিনা তা তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে অবিশ্বাস্য মনে হয়। তবুও দুঃসাহস এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার কারণে এই চরিত্রে অভিনয় করেছি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল, কারণ তার কাজগুলো দেখে আমি মুগ্ধ।"

মৃণাল সেন হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, "আমাকে কিছু বই ও ভিডিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষের অন্তরটা, দৃঢ়তা তো দেখা যায় না, সেগুলো অনুভব করতে হয়।" 


চঞ্চল চৌধুরী   সৃজিত মুখার্জি   পদাতিক   মৃণাল সেন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আজ 'চিরসবুজ' জয়া আহসানের জন্মদিন

প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আজ চিরসবুজ তারকা জয়া আহসানের জন্মদিন। দুই বাংলায় একের পর এক সফল সিনেমায় অভিনয় করে প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। নির্মাতা, প্রযোজক এবং দর্শকের কাছেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে জয়া আহসান। নিজের এই বিশেষ দিনে ‘কলঙ্ক’ মোছার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

তবে কোন ‘কলঙ্ক’ মোছার কথা বলছেন জয়া-এমন প্রশ্ন অনেকের মনে। সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত ‘ওসিডি’ সিনেমা দেখলেই বোঝা যাবে পুরো ঘটনা। মূলত, জয়া তার জন্মদিনে এই সিনেমার ফার্স্টলুক টিজার শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, "চাঁদের কলঙ্ক কি পরিষ্কার হয়? জীবনের কলঙ্ক? সমাজের কলঙ্ক? উত্তর নিয়ে আসছে #ওসিডি এবার প্রাণপণে সরাবে জঞ্জাল!"

জয়া আহসানের জন্মদিন উপলক্ষে টালিউডে তার প্রথম সিনেমার পরিচালক অরিন্দম শীল আনন্দবাজারে লিখেছেন। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন জয়ার শিল্পী হিসেবে দায়বদ্ধতার একটি ঘটনার কথা। যখন জয়া কলকাতায় ‘আবর্ত’ সিনেমার শুটিং করছিলেন, তখন দেশে তার বাবার মৃত্যু হয়। নির্মাতা অরিন্দম শীল তখন জয়াকে ঢাকায় ফিরে যেতে বললেও, শ্যুটিং শেষ করে ফিরতে চেয়েছিলেন জয়া।

অরিন্দম শীলের ভাষ্য, "জয়া প্রসঙ্গে একটি ঘটনা না বললেই নয়। 'আবর্ত' সিনেমার শেষ দিনের শুটিং। লোকেশনের ফ্ল্যাটটি আমার বন্ধু হর্ষ নেওটিয়ার। লাঞ্চ ব্রেকের পর কাজ শুরু হবে। হঠাৎ আমার একজন সহকারী এসে বললেন, 'দাদা, জলদি আসুন। জয়াদি খুব কান্নাকাটি করছেন!' আমি ছুটে যেতেই দেখলাম, জয়ার দুচোখ বেয়ে জল পড়ছে। করুণ মুখে বলল, 'দাদা, বাবা আর নেই!' আমি সঙ্গে সঙ্গে ওকে ঢাকায় ফিরে যেতে বললাম, কিন্তু জয়া বলল, 'দাদা, আজকে শুটিং শেষ করতে না পারলে তো অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমি সিনটা করি।' আমি ওর কথা শুনে হতবাক! কী বলব, বুঝতে পারছি না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমি ওকে তা-ও কাজ করতে বারণ করেছিলাম। তৎক্ষণাৎ ওর ঢাকা ফেরার ব্যবস্থা করলাম। হর্ষকে জানাতেই ও বলল, বাড়িটা রাখাই থাকবে। সবকিছু মিটিয়ে জয়া কলকাতায় আসার পর আমরা ছবির শুটিং শেষ করেছিলাম। এই হচ্ছে জয়া আহসান।"

জয়ার জন্য শুভকামনা জানিয়ে অরিন্দম লিখেছেন, "জয়াকে নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। অভিনেত্রী হিসেবে ও বারবার আমাদের চমকে দিয়েছে। আরও অনেকটা পথ ওকে অতিক্রম করতে হবে। জন্মদিনে আমার কামনা, জয়া যেন তার পারিবারিক জীবনে সুখে-শান্তিতে থাকে। ভবিষ্যতে যেন ও আরও ভালো কাজ করে, সেটাই চাই। ওর সঙ্গে খুব দ্রুত একটা নতুন কাজ শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছি।"

জয়ার অর্জনের ঝুঁলিতে রয়েছে এপার-ওপার বাংলার একঝাঁক পুরস্কার। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনবার ভারতের ফিল্মফেয়ার এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়াও অসংখ্যবার পেয়েছেন মনোনয়ন।


জয়া আহসান   জন্মদিন   টালিউড   চিত্রনায়িকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন