বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকটি বাংলা সংস্কৃতির ভবিষ্যত ধারক-বাহকদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই দশকেই জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের তিন মহারথী।
১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়, ১৯২৩ সালে মৃণাল সেন এবং ১৯২৫ সালে ঋত্বিক ঘটক।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই তিন মহারথীর একজন বিশ্ববরেণ্য পরিচালক মৃণাল সেনের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘পদাতিক’ অবশেষে বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে।
মৃণাল সেন পরিচালিত ‘পদাতিক’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৩ সালে। একই নামে এবার খোদ মৃণাল সেনের জীবন ও সময় নিয়ে সৃজিত মুখার্জী পরিচালিত সিনেমা 'পদাতিক' দেখতে উদগ্রীব দুই বাংলার দর্শক।
মৃণাল সেনের ভূমিকায় এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। গল্পে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামি ঘোষ। ছবিটির প্রথম লুক ও টিজার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরীর এমন রূপ দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন, যেন চঞ্চল নিজেই মৃণাল সেন হয়ে উঠেছেন। কবে ছবিটি মুক্তি পাবে তা নিয়ে আগে থেকে কিছু জানানো না হলেও, গতকাল (২ জুলাই) সন্ধ্যায় পরিচালক সৃজিত মুখার্জী একটি পোস্টার শেয়ার করে জানিয়েছেন যে ছবিটি এই আগস্টে মুক্তি পাবে। ছবি মুক্তির তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস, অর্থাৎ ১৫ আগস্ট।
মৃণাল সেন জন্মেছিলেন বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ১৭ বছর বয়সে চলে যান কলকাতায়। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া, গণনাট্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং পরে চলচ্চিত্রে আগমন।
তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাতভোর’। অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ আর মৃণাল সেনের ‘রাতভোর’ একই বছর কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পেলেও ‘পথের পাঁচালী’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘রাতভোর’কে সেইভাবে আলোচনায় আনতে পারেনি।
সৃজনশীল মানুষ আসলে অন্যের প্রত্যাশা অনুযায়ী পথ হাঁটতে পারেন না। তাঁরা পথ হাঁটেন মহাজগতের দূরপ্রান্তের দিকে চোখ রেখে। শিল্পসৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায় নিজের গড়া চরিত্রে হয়তো নিজেই বাস করেন অনেকটা জুড়ে। কে জানে, চিত্রনাট্যের আড়ালে মৃণাল সেন নিজেই হয়তো ছিলেন তাঁর নির্মিত ‘পদাতিক’-এর বিপ্লবপ্রত্যাশী তরুণ।
তাঁর চলচ্চিত্রে রাজনীতি আসে সরাসরি, মূল বিষয়বস্তু হিসেবে। অনেকে এই অভিযোগও করেছেন, রাজনীতি ও সামাজিক বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে প্রায় রোমান্টিকতার পর্যায়ে তিনি নিয়ে গেছেন কি না। তবু দর্শক হিসেবে তাঁর চলচ্চিত্রে সমাজভাবনার যে চিত্র দেখা যায়, যে জীবনভাবনার খোরাক পাওয়া যায়, তা অতুলনীয়।
যে বছর, ১৯৬৭ সালে, বামফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়, সেই বছরই নকশালবাড়িতে সংগঠিত হয় সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চল, কেরালা ও পূর্ব উড়িষ্যায়। এই সময়ে ভারতে বিভিন্ন ভাষায় বিদ্রোহ ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে যেমন সাহিত্য রচিত হয়, তেমনি কলকাতাতেও ছবি বানান মৃণাল সেন। নির্মাণ করলেন একে একে তিনটি ছবি: ইন্টারভিউ [১৯৭০], কলকাতা ৭১ [১৯৭২] ও পদাতিক [১৯৭৩]— যা কলকাতা ত্রয়ী নামে পরিচিতি পায়।
একই সময়ে চলচ্চিত্রের তিন মহারথী সমান দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে গেলে কিছুটা তুলনা চলেই আসে। তবু সত্যজিৎ, মৃণাল ও ঋত্বিকের মধ্যে মিলের জায়গা যেটুকু ছিল, তা হলো বাণিজ্যচিন্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইতালিয়ান নিউ রিয়েলিজম, তথা নব্যবাস্তববাদের ধারায় বিশ্বাস রেখে স্বল্প বাজেটে সৃজনশীল ও আপোসহীন নির্মাণ।
তবে তিনজনের মধ্যে মৃণাল সেনের কিছু বাড়তি যোগ আছে। তিনি বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও তেলেগু এবং ওড়িয়া ভাষায়ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। টেলিভিশনের জন্য নির্মাণ করেছেন আলাদা ১২টি গল্প নিয়ে ১২ পর্বের ধারাবাহিক। মৃণাল সেনই একমাত্র নির্মাতা, যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তিনটি চলচ্চিত্র উৎসব—কান, বার্লিন ও ভেনিস উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছেন।
চঞ্চল চৌধুরী এই ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ে বলেন, "মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করা একটি দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সাহস এবং যোগ্যতা প্রয়োজন, যা আমার আছে কিনা তা তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে অবিশ্বাস্য মনে হয়। তবুও দুঃসাহস এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার কারণে এই চরিত্রে অভিনয় করেছি।"
মৃণাল সেনের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে নেয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সৃজিত বলেন, দুইজনের মুখের মিল আছে। মৃণাল বাবুর মতোই চঞ্চলের চোখের দৃষ্টি অত্যন্ত ধারালো ও সজাগ। তাছাড়া মৃণাল বাবুর রাজনীতি চেতনা, তার যাপন ও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গেও চঞ্চলের প্রচুর মিল।
গত বছর ১৫ জানুয়ারি শুরু হয় পদাতিক-এর শুটিং। কলকাতা, মুম্বাইসহ বেশ কিছু স্থানে শ্যুটিং হয়। দেশের বাইরেও কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। গত বছর মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী ছিল। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই প্রয়াত পরিচালকের জীবন, কর্ম ও সময়ের গল্প নিয়ে সৃজিত মুখার্জি তৈরি করছেন ‘পদাতিক’।
মৃণাল সেন বাংলা সিনেমার আইকোনোক্লাস্ট। কালাপাহারের মতই চলচ্চিত্রের প্রচলিত প্রথাকে সিনেমার প্রয়োজনে তিনি বারবার ভেঙেছেন। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন তিনি। বদলেছেন তাঁর সিনেমার ভাষা। ‘পদাতিক’ সিনেমাতে কতটুকু ‘মৃণাল সেন’ হয়ে উঠতে পেরেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মৃণাল সেনের জীবনীকে কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি, এই প্রশ্ন সকল চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মনে। চঞ্চল-সৃজিত কি পারবে পূর্ণাঙ্গ ‘মৃণাল সেন’কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে সবাই মুখিয়ে আছেন ১৫ আগস্ট ‘পদাতিক’ মুক্তির অপেক্ষায়।
পদাতিক মৃণাল সেন চঞ্চল চৌধুরী সৃজিত মুখার্জী
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর একটি পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন শিল্পী। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর সাড়ে চারটায় হঠাৎ আগুন লাগার সংকেতে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। হোটেলের সবাই যার যার মতো করে নিরাপদে সরে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ঘটনাটিকে রীতিমতো ভয়াবহ আতঙ্কের বলে জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।
নর্থ আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে সংগীতশিল্পী অদিতি মহসীন ও অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় যান। স্থানীয় সময় ৪, ৫ ও ৬ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ভারত থেকে স্বস্তিকা মুখার্জি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, সৌরসেনী মৈত্র, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, অর্জুন চক্রবর্তী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, উজান গঙ্গোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়, অরিন্দম শীল, ব্যান্ড ফসিলস, সোমলতা, ইমন চক্রবর্তী ছিলেন। সবাই সেখানকার হায়াত রিজেন্সি হোটেলে উঠেছিলেন। তিন দিনের এই সম্মেলনে ভালোই সময় কাটছিল তাদের। কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ আগুন আতঙ্কে ভীত হয়ে পড়েন সবাই।
এটি ছিল বঙ্গ সম্মেলনের ৪৪তম আসর। তিন দিনের সম্মেলন এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। চঞ্চল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বললেন, ‘ভোরবেলা হোটেলের প্রতিটি রুমের অ্যালার্ম বেজে গেল। কেউ হয়তো রুমে সিগারেট খেয়েছিল। ওইটা নিয়ে। কলকাতা ও ঢাকা থেকে একটা বিশাল টিম আসছি। সবাই শুধু পাসপোর্ট নিয়ে বের হতে পারলেই বেঁচে যায়। লাগেজ রেখে নিচে নেমে পড়ি। লিফট বন্ধ হয়ে গেল। পরে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। এই অ্যালার্ম ২০ মিনিটের মতো বাজতে থাকল। তারপর থামল। এর মধ্যে সবাই লবিতে জড়ো হলো। পরে অ্যালার্ম যখন থামল, তখন সবাই আবার সিঁড়ি বেয়ে যার যার রুমে যায়। পরে জানতে পেরেছি, এটা কারিগরি ত্রুটি ছিল, কোনো একটা কারণে বেজে ওঠে। সাধারণত হোটেলে ধূমপান করলে এভাবে বেজে ওঠে। পুরোপুরি টেকনিক্যাল সমস্যা। অত রাতে রিসিপশনেও কাউকে পেলাম না। যখন অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে গেল, যার যার মতো করে যার যার রুমে চলে গেলাম আরকি।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অরিন্দম শীল জানান, গরম পোশাক গায়ে না জড়িয়েই পাঁচতলার হোটেল রুম থেকে নিচে নামেন তিনি। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় থেকে সোহিনী সবাই প্রাণ বাঁচানোর দৌড় দেন।
শিকাগো আগুন বাংলাদেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্র চঞ্চল চৌধুরী স্বস্তিকা মুখার্জি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় সোহিনী সরকার সৌরসেনী মৈত্র অম্বরীশ ভট্টাচার্য
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫
দেশের
দর্শকদের মন
জয়
করার
পর
এবার ভারতের টালি তারকারা শাকিব
খান
ও
তার
সিনেমার পুরো
দলকে
অভূতপূর্ব ভালোবাসা জানাচ্ছেন। যাদের
মধ্যে
ছিলেন
প্রসেনজিত চ্যাটার্জি, দেব,
শুভশ্রী গাঙ্গুলী প্রমুখ।
শাকিব
খান
ও
মিমি
চক্রবর্তী অভিনীত
রায়হান
রাফি
পরিচালিত ‘তুফান’
সিনেমাটিকে ঘিরে মুক্তির আগেই
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টালিগঞ্জে জমজমাট
পরিবেশ
সৃষ্টি
হয়।
কলকাতায় ‘তুফান’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন
করা
হয়,
যেখানে
‘তুফান’ দেখতে টালিপাড়ার তারকাদের মাঝে উন্মাদনা দেখা
গেছে।
‘তুফান’-এর
স্পেশাল স্ক্রিনিং উপলক্ষে টালিপাড়ার তারকারা উপস্থিত হয়েছিলেন দক্ষিণ
কলকাতার সাউথ
সিটি
শপিং
মলে।
সেখানে
‘তুফান’-এর একটি প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়,
যেখানে
উপস্থিত ছিলেন
বিক্রম
চ্যাটার্জি, কৌশনী,
বনি
সেনগুপ্ত, মধুমিতা সরকার,
ইধিকা
পাল,
অনিন্দ্য চ্যাটার্জি, দর্শনা
বণিক,
সৌরভসহ
ওপার
বাংলার
এক
ঝাঁক
তারকা
শিল্পী।
প্রিমিয়ার শেষে
সৌরভ
সাংবাদিকদের বলেন,
‘দারুণ!
আজ
টলিউড
পুরোপুরি মেতে
উঠেছে
তুফানের সিনে।
তুফানের জন্য
অনেক
শুভকামনা। অসাধারণ হয়েছে।’
দর্শনা
বণিক
বলেন,
‘তুফানের জন্য
শুভকামনা। খুব
ভালো
হয়েছে।
বাংলাতে এমন
অ্যাকশন ফিল্ম
আরও
হোক।’
কৌশনী
জানান,
‘বাংলাদেশে কাজ
করতে
গিয়ে
দেখেছি,
ওখানকার মানুষ
শাকিবকে রজনীকান্তের মতো
ভালোবাসেন। শুনেছি
সেখানে
তুফান
ব্লকবাস্টার হয়েছে।
সিনেমাটি দেখে
আমার
খুব
ভালো
লেগেছে। আমার
বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গেও তুফান
সফল
হবে।’
ইধিকা
পাল
বলেন,
‘তুফান
আমার
কাছে
খুব
ভালো
লেগেছে। বিশেষ
করে
শাকিবের প্রেজেন্টেশন। আমি
ভাবছিলাম কত
পরিশ্রমই না
তিনি
করেছেন। পুরো
টিমকে
অভিনন্দন। কলকাতার মানুষ
তুফানকে বরণ
করে
নিক।’
শুক্রবার থেকে
পশ্চিমবঙ্গের প্রায়
অর্ধশত
সিনেমা
হলে
মুক্তি
পেয়েছে
ব্লকবাস্টার হিট
ছবি
‘তুফান’। সিনেমাটি একজন
গ্যাংস্টারের গল্প
নিয়ে
নির্মিত, যেখানে
নব্বই
দশকের
চিত্র
তুলে
ধরা
হয়েছে।
সেই
সময়ের
এক
নামকরা
গ্যাংস্টারের কাহিনি
নিয়ে
এগিয়েছে তুফানের গল্প।
যৌথ
প্রযোজনায় নির্মিত ‘তুফান’-এ যুক্ত আছে
বাংলাদেশের প্রযোজনা সংস্থা
চরকি
ও
আলফা
আই
এবং
ভারতের
এসভিএফ। শাকিব
খান
ও
মিমি
চক্রবর্তী ছাড়াও
এই
সিনেমায় অভিনয়
করেছেন
চঞ্চল
চৌধুরী,
নাবিলা,
মিশা
সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু প্রমুখ।
তুফান শাকিব খান রায়হান রাফি মিমি নাবিলা চঞ্চল চৌধুরী ফজলুর রহমান বাবু
মন্তব্য করুন
নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী প্রায়ই
একে অপরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন। যা শুরু থেকেই নেটিজেনরা
দেখে আসছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা
পরীমনিও। বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলায় বেশ খুশি অপু বিশ্বাস। এই নায়িকা মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।
এদিকে, অপুর এমন মন্তব্য পৌঁছে গেছে বুবলীর কান পর্যন্ত। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তাই অপুর এই প্রসঙ্গ কথা তুলেছেন তিনি। বুবলী বলেন, এই মহিলা (অপু বিশ্বাস) আবার ইন্ডাস্ট্রিতে তার ছোট বোনদের কথা বলে। ছোট বোন বানিয়েছেই তো নিজের স্বার্থের
জন্য, আমার নামে সারাক্ষণ বাজে কথা বলে ওদের কান ভারী করাতে। নায়করাজ রাজ্জাক, মান্না স্যাররা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারও বন্ধু হয় না। আর এই মহিলা এতগুলো নায়িকাকে বানায় ছোট বোন। এসব পাবলিক বোঝে। আর ওই ছোট বোনরাও সবাই স্মার্ট এবং প্রতিষ্ঠিত। তারাই আমাকে বলে দেয় এসব চালাকির কথা। কারণ, তাদের কারও সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, এটা তারাও জানে।
কদিন আগেই অপু বিশ্বাস দাবি করেছেন, শাকিব খানের শত্রুদের সঙ্গেই বুবলীর ওঠাবসা বেশি। বিষয়টি নিয়েও কথা বললেন বুবলী। জানান, ২০০৮ সালে শাকিব খান অসুস্থ হলে দৌড় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জায়গায় সিনেমা সাইন করেছিলেন তিনি। পরে
স্বার্থের জন্য আবার শাকিব খানের সঙ্গে ভিড়েছিল।
তার এসব ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা জানেন। জনা আপু, বিদ্যা সিনহা মিম, মারুফ ভাই, কাজী হায়াৎ আঙ্কেল থেকে শুরু করে উনি অনেকের সঙ্গে এফডিসিতে কী বেয়াদবি করেছিলেন, এটাও নিউজ পেপার কাটিং আছে। এমনকি বেয়াদবির
কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে শাকিব খান এবং তার পরিবার নিয়ে কী অপমানজনক কথা উনি বলেছিলেন,
সব আছে ভিডিওতে। আরেক নায়কের সঙ্গে যখন আবারও প্রেমের গুঞ্জন চড়াও হলো, যখন ওই নায়কের সঙ্গে ওখানে কিছুদিন পর আর বনিবনা হলো না, তখন সে বলল এ রকম প্রেম প্রেম কথা উঠিয়েছে নাকি ইচ্ছা করে!
বুবলী কথা প্রসঙ্গে এ-ও বলেন, ২০১৭ সালে এফডিসিতে যখন শাকিব খানের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল, তখন শাকিবের বিরুদ্ধে ছিল অপু বিশ্বাস। এ রকম অনেকের সঙ্গে সেলফিতে হা হা হি হি করতে দেখা গেছে, যারা শাকিবের বিরোধিতা করেছেন। উঠে এসেছে পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রসঙ্গও।
নিজের উদাহরণ টেনে অপু বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, নিকেতনে এক ভাবির দাওয়াতে গিয়েছিলাম।
তিনি আমার জন্য খাবারও নিয়ে এসেছিলেন। যখন শুনলাম ইকবাল ভাই আসবেন, আমি চলে এসেছি। আমার পরিবারের কাউকে অসম্মান করবে, আমি তার মুখোমুখিও হবো না।
অপুর এমন দাবির প্রসঙ্গে বুবলীও দাবি করেছেন, ইকবাল ভাইয়ের ছায়া নাকি উনি (অপু বিশ্বাস) দেখেন না। কিন্তু কেন? কারণ, ইকবাল ভাইয়ের কাছের একজন প্রযোজক কিছুদিন আগে তাকে অনুদানের এক সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সাইনিং মানিও ফেরত নিয়েছিলেন। সেলিম ভাই বা ইকবাল ভাই যখন আমাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন, আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন, তখন তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন না, বানালে ঠিকই করতেন। এমন কোনো উদাহরণ আছে, তারা তার কাছে মুভি নিয়ে গেছেন অথচ উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন? নেই। কিন্তু চালাকি করে উনি শাকিবের নাম ওপর চাপিয়ে দিল এখানেও। উনি কাকে কী বোঝান? হাস্যকর।
অপু বিশ্বাস বুবলী শাকিব খান বিস্ফোরক মন্তব্য
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর একটি পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন শিল্পী। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর সাড়ে চারটায় হঠাৎ আগুন লাগার সংকেতে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। হোটেলের সবাই যার যার মতো করে নিরাপদে সরে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ঘটনাটিকে রীতিমতো ভয়াবহ আতঙ্কের বলে জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। নর্থ আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে সংগীতশিল্পী অদিতি মহসীন ও অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় যান। স্থানীয় সময় ৪, ৫ ও ৬ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী প্রায়ই একে অপরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন। যা শুরু থেকেই নেটিজেনরা দেখে আসছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা পরীমনিও। বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলায় বেশ খুশি অপু বিশ্বাস। এই নায়িকা মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।