কালার ইনসাইড

পদাতিক: কেবলই কি একটি চলচ্চিত্র?

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকটি বাংলা সংস্কৃতির ভবিষ্যত ধারক-বাহকদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই দশকেই জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের তিন মহারথী। 

১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়, ১৯২৩ সালে মৃণাল সেন এবং ১৯২৫ সালে ঋত্বিক ঘটক।

বাংলা চলচ্চিত্রের এই তিন মহারথীর একজন বিশ্ববরেণ্য পরিচালক মৃণাল সেনের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘পদাতিক’ অবশেষে বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে।

মৃণাল সেন পরিচালিত ‘পদাতিক’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৩ সালে। একই নামে এবার খোদ মৃণাল সেনের জীবন ও সময় নিয়ে সৃজিত মুখার্জী পরিচালিত সিনেমা 'পদাতিক' দেখতে উদগ্রীব দুই বাংলার দর্শক।

মৃণাল সেনের ভূমিকায় এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। গল্পে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামি ঘোষ। ছবিটির প্রথম লুক ও টিজার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরীর এমন রূপ দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন, যেন চঞ্চল নিজেই মৃণাল সেন হয়ে উঠেছেন। কবে ছবিটি মুক্তি পাবে তা নিয়ে আগে থেকে কিছু জানানো না হলেও, গতকাল (২ জুলাই) সন্ধ্যায় পরিচালক সৃজিত মুখার্জী একটি পোস্টার শেয়ার করে জানিয়েছেন যে ছবিটি এই আগস্টে মুক্তি পাবে। ছবি মুক্তির তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস, অর্থাৎ ১৫ আগস্ট।

মৃণাল সেন জন্মেছিলেন বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ১৭ বছর বয়সে চলে যান কলকাতায়। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া, গণনাট্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং পরে চলচ্চিত্রে আগমন।

তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাতভোর’। অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ আর মৃণাল সেনের ‘রাতভোর’ একই বছর কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পেলেও ‘পথের পাঁচালী’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘রাতভোর’কে সেইভাবে আলোচনায় আনতে পারেনি।

সৃজনশীল মানুষ আসলে অন্যের প্রত্যাশা অনুযায়ী পথ হাঁটতে পারেন না। তাঁরা পথ হাঁটেন মহাজগতের দূরপ্রান্তের দিকে চোখ রেখে। শিল্পসৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায় নিজের গড়া চরিত্রে হয়তো নিজেই বাস করেন অনেকটা জুড়ে। কে জানে, চিত্রনাট্যের আড়ালে মৃণাল সেন নিজেই হয়তো ছিলেন তাঁর নির্মিত ‘পদাতিক’-এর বিপ্লবপ্রত্যাশী তরুণ।

তাঁর চলচ্চিত্রে রাজনীতি আসে সরাসরি, মূল বিষয়বস্তু হিসেবে। অনেকে এই অভিযোগও করেছেন, রাজনীতি ও সামাজিক বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে প্রায় রোমান্টিকতার পর্যায়ে তিনি নিয়ে গেছেন কি না। তবু দর্শক হিসেবে তাঁর চলচ্চিত্রে সমাজভাবনার যে চিত্র দেখা যায়, যে জীবনভাবনার খোরাক পাওয়া যায়, তা অতুলনীয়। 

যে বছর, ১৯৬৭ সালে, বামফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়, সেই বছরই নকশালবাড়িতে সংগঠিত হয় সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চল, কেরালা ও পূর্ব উড়িষ্যায়। এই সময়ে ভারতে বিভিন্ন ভাষায় বিদ্রোহ ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে যেমন সাহিত্য রচিত হয়, তেমনি কলকাতাতেও ছবি বানান মৃণাল সেন। নির্মাণ করলেন একে একে তিনটি ছবি: ইন্টারভিউ [১৯৭০], কলকাতা ৭১ [১৯৭২] ও পদাতিক [১৯৭৩]— যা কলকাতা ত্রয়ী নামে পরিচিতি পায়।

একই সময়ে চলচ্চিত্রের তিন মহারথী সমান দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে গেলে কিছুটা তুলনা চলেই আসে। তবু সত্যজিৎ, মৃণাল ও ঋত্বিকের মধ্যে মিলের জায়গা যেটুকু ছিল, তা হলো বাণিজ্যচিন্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইতালিয়ান নিউ রিয়েলিজম, তথা নব্যবাস্তববাদের ধারায় বিশ্বাস রেখে স্বল্প বাজেটে সৃজনশীল ও আপোসহীন নির্মাণ।

তবে তিনজনের মধ্যে মৃণাল সেনের কিছু বাড়তি যোগ আছে। তিনি বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও তেলেগু এবং ওড়িয়া ভাষায়ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। টেলিভিশনের জন্য নির্মাণ করেছেন আলাদা ১২টি গল্প নিয়ে ১২ পর্বের ধারাবাহিক। মৃণাল সেনই একমাত্র নির্মাতা, যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তিনটি চলচ্চিত্র উৎসব—কান, বার্লিন ও ভেনিস উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছেন।

চঞ্চল চৌধুরী এই ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ে বলেন, "মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করা একটি দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সাহস এবং যোগ্যতা প্রয়োজন, যা আমার আছে কিনা  তা তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে অবিশ্বাস্য মনে হয়। তবুও দুঃসাহস এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার কারণে এই চরিত্রে অভিনয় করেছি।"

মৃণাল সেনের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে নেয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সৃজিত বলেন, দুইজনের মুখের মিল আছে। মৃণাল বাবুর মতোই চঞ্চলের চোখের দৃষ্টি অত্যন্ত ধারালো ও সজাগ। তাছাড়া মৃণাল বাবুর রাজনীতি চেতনা, তার যাপন ও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গেও চঞ্চলের প্রচুর মিল।

গত বছর ১৫ জানুয়ারি শুরু হয় পদাতিক-এর শুটিং। কলকাতা, মুম্বাইসহ বেশ কিছু স্থানে শ্যুটিং হয়। দেশের বাইরেও কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। গত বছর মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী ছিল। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই প্রয়াত পরিচালকের জীবন, কর্ম ও সময়ের গল্প নিয়ে সৃজিত মুখার্জি তৈরি করছেন ‘পদাতিক’।

মৃণাল সেন বাংলা সিনেমার আইকোনোক্লাস্ট। কালাপাহারের মতই চলচ্চিত্রের প্রচলিত প্রথাকে সিনেমার প্রয়োজনে তিনি বারবার ভেঙেছেন। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন তিনি। বদলেছেন তাঁর সিনেমার ভাষা। ‘পদাতিক’ সিনেমাতে কতটুকু ‘মৃণাল সেন’ হয়ে উঠতে পেরেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মৃণাল সেনের জীবনীকে কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি, এই প্রশ্ন সকল চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মনে। চঞ্চল-সৃজিত কি পারবে পূর্ণাঙ্গ ‘মৃণাল সেন’কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে সবাই মুখিয়ে আছেন ১৫ আগস্ট ‘পদাতিক’ মুক্তির অপেক্ষায়।


পদাতিক   মৃণাল সেন   চঞ্চল চৌধুরী   সৃজিত মুখার্জী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বেয়াদবির কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন অপু বিশ্বাস: বুবলী

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে নায়িকা  অপু বিশ্বাস শবনম বুবলী প্রায়ই একে অপরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন। যা শুরু থেকেই নেটিজেনরা দেখে আসছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা পরীমনিও। বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলায় বেশ খুশি অপু বিশ্বাস। এই নায়িকা মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।

এদিকে, অপুর এমন মন্তব্য পৌঁছে গেছে বুবলীর কান পর্যন্ত। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তাই অপুর এই প্রসঙ্গ কথা তুলেছেন তিনি। বুবলী বলেন, এই মহিলা (অপু বিশ্বাস) আবার ইন্ডাস্ট্রিতে তার ছোট বোনদের কথা বলে। ছোট বোন বানিয়েছেই তো নিজের স্বার্থের জন্য, আমার নামে সারাক্ষণ বাজে কথা বলে ওদের কান ভারী করাতে। নায়করাজ রাজ্জাক, মান্না স্যাররা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারও বন্ধু হয় না। আর এই মহিলা এতগুলো নায়িকাকে বানায় ছোট বোন। এসব পাবলিক বোঝে। আর ওই ছোট বোনরাও সবাই স্মার্ট এবং প্রতিষ্ঠিত। তারাই আমাকে বলে দেয় এসব চালাকির কথা। কারণ, তাদের কারও সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, এটা তারাও জানে।

কদিন আগেই অপু বিশ্বাস দাবি করেছেন, শাকিব খানের শত্রুদের সঙ্গেই বুবলীর ওঠাবসা বেশি। বিষয়টি নিয়েও কথা বললেন বুবলী। জানান, ২০০৮ সালে শাকিব খান অসুস্থ হলে দৌড় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জায়গায় সিনেমা সাইন করেছিলেন তিনি। পরে স্বার্থের জন্য আবার শাকিব খানের সঙ্গে ভিড়েছিল। তার এসব ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা জানেন। জনা আপু, বিদ্যা সিনহা মিম, মারুফ ভাই, কাজী হায়াৎ আঙ্কেল থেকে শুরু করে উনি অনেকের সঙ্গে এফডিসিতে কী বেয়াদবি করেছিলেন, এটাও নিউজ পেপার কাটিং আছে। এমনকি বেয়াদবির কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে শাকিব খান এবং তার পরিবার নিয়ে কী অপমানজনক কথা উনি বলেছিলেন, সব আছে ভিডিওতে। আরেক নায়কের সঙ্গে যখন আবারও প্রেমের গুঞ্জন চড়াও হলো, যখন ওই নায়কের সঙ্গে ওখানে কিছুদিন পর আর বনিবনা হলো না, তখন সে বলল এ রকম প্রেম প্রেম কথা উঠিয়েছে নাকি ইচ্ছা করে!

বুবলী কথা প্রসঙ্গে এ-ও বলেন, ২০১৭ সালে এফডিসিতে যখন শাকিব খানের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল, তখন শাকিবের বিরুদ্ধে ছিল অপু বিশ্বাস। এ রকম অনেকের সঙ্গে সেলফিতে হা হা হি হি করতে দেখা গেছে, যারা শাকিবের বিরোধিতা করেছেন। উঠে এসেছে পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রসঙ্গও। নিজের উদাহরণ টেনে অপু বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, নিকেতনে এক ভাবির দাওয়াতে গিয়েছিলাম। তিনি আমার জন্য খাবারও নিয়ে এসেছিলেন। যখন শুনলাম ইকবাল ভাই আসবেন, আমি চলে এসেছি। আমার পরিবারের কাউকে অসম্মান করবে, আমি তার মুখোমুখিও হবো না।

অপুর এমন দাবির প্রসঙ্গে বুবলীও দাবি করেছেন, ইকবাল ভাইয়ের ছায়া নাকি উনি (অপু বিশ্বাস) দেখেন না। কিন্তু কেন? কারণ, ইকবাল ভাইয়ের কাছের একজন প্রযোজক কিছুদিন আগে তাকে অনুদানের এক সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সাইনিং মানিও ফেরত নিয়েছিলেন। সেলিম ভাই বা ইকবাল ভাই যখন আমাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন, আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন, তখন তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন না, বানালে ঠিকই করতেন। এমন কোনো উদাহরণ আছে, তারা তার কাছে মুভি নিয়ে গেছেন অথচ উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন? নেই। কিন্তু চালাকি করে উনি শাকিবের নাম ওপর চাপিয়ে দিল এখানেও। উনি কাকে কী বোঝান? হাস্যকর।


অপু বিশ্বাস   বুবলী   শাকিব খান   বিস্ফোরক মন্তব্য  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার কলকাতার সিনেমা হলে 'তুফান'

প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কলকাতা জুড়ে এখন শুধুই ‘তুফান’! শহরের ব্যস্ত রাস্তার মোড় থেকে অলিগলি, মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে দেওয়ালে সবখানে শোভা পাচ্ছে 'তুফান' ছবির পোস্টার ও বিলবোর্ড। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের সাউথ সিটি, স্টার থিয়েটার, লেক মলসহ ৪৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘তুফান’। এই ছবিটি প্রযোজনা করেছে ঢাকার আলফা আই স্টুডিওজ এবং পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারকা অভিনেতা শাকিব খান।

পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন দর্শকেরা। ঢাকার গণ্ডি পেরিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গের দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন শাকিব খান।

ভারতে মুক্তিকে ঘিরে ‘তুফান’ ইতিমধ্যেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছে। শাকিব খানের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম। 

সিনেমাটির আন্তর্জাতিক পরিবেশক হিসেবে রয়েছে ভারতের প্রযোজনা ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান এসভিএফ এবং ডিজিটাল পার্টনার চরকি। সিনেমার প্রচারে অংশ নিতে বুধবার কলকাতায় গেছেন অভিনেতা শাকিব খান, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল ও পরিচালক রায়হান রাফী। কলকাতা থেকে শাহরিয়ার শাকিল জানান, "সিনেমাটি নিয়ে কলকাতার দর্শকের মাঝে দারুণ উচ্ছ্বাস–উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। ছবির পোস্টারে ছেয়ে গেছে কলকাতা। কলকাতায় নেমেই মনটা ভালো হয়ে গেছে। সিনেমাটি সম্পর্কে কলকাতার মানুষ ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন।"

প্রযোজক শাকিল আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে মুক্তির পর হিন্দিতে ডাব করে ভারতজুড়েই 'তুফান' মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

শাকিব খানের সঙ্গে এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা, মিমি চক্রবর্তী, গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, সালাউদ্দিন লাভলুসহ অনেকে।

গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার সাউথ সিটি মলে সিনেমাটির কলকাতা প্রিমিয়ার হয়েছে। এতে এসভিএফের পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সোনি, প্রযোজক শাকিল, পরিচালক রাফী, অভিনেতা শাকিব খান ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে 'তুফান' নিয়ে কথা বলেন তাঁরা।

ভারতের দর্শকের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী বলেন, "অবশেষে 'তুফান' ভারতের মুক্তি পাচ্ছে। হলে যাও, উরাধুরাভাবে তুফান দেখে নাও।"

পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আজ সিঙ্গাপুরেও মুক্তি পাচ্ছে 'তুফান'। এর আগে ২৮ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। এর মধ্যে নিউইয়র্কের দুটি সিনেমা হলসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি অঙ্গরাজ্যের ২২টি হলে 'তুফান' দেখতে ভিড় করেছেন দর্শকেরা। মুক্তির দিনই ১০টি হল কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।

ছবিটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পরিবেশন করছে বায়োস্কোপ ফিল্মস। বায়োস্কোপ ফিল্মসের কর্ণধার রাজ হামিদ বলেন, "আমরা ছয় বছর ধরে ৪৫টি সিনেমা দেখিয়েছি। প্রথম দিনেই এত হল হাউসফুল হয়নি। আমরা আশা করছি, পরান সিনেমার রেকর্ড তুফান ভাঙবে যুক্তরাষ্ট্রে।"

একই দিন থেকে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, পর্তুগাল, আবুধাবি, বাহরাইন, কাতার, ওমানের শতাধিক থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। সামনে ইতালিসহ আরও কয়েকটি দেশে মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।


তুফান   শাকিব খান   রায়হান রাফি   মিমি   নাবিলা   চঞ্চল চৌধুরী   ফজলুর রহমান বাবু  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রতীক্ষার অবসান, মুক্তি পেল 'মির্জাপুর থ্রি'

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে মুক্তি পেল ভারতের জনপ্রিয় সিরিজ 'মির্জাপুর'-এর তৃতীয় সিজন। প্রথম সিজনটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে এবং দুই বছর পর আসে দ্বিতীয় সিজন। দুটি সিজনই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। দর্শকদের দীর্ঘ অপেক্ষার পর চার বছর পর মুক্তি পেল তৃতীয় সিজন, যা দেখা যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইমে।

গত ১৯ জুন প্রকাশিত হয়েছিলো তৃতীয় সিজনের ট্রেলার। ট্রেলারে দেখানো হয়েছিলো খুন, সহিংসতা, রক্তের বন্যা, ক্ষমতার লড়াই এবং গদির লোভের গল্প। দ্বিতীয় সিজনের শেষে যেভাবে গল্পটি এগিয়ে গিয়েছিল, তাতে বোঝা গিয়েছিল যে নতুন সিজনে আরও তীব্র সংঘর্ষ দেখা যাবে।

নতুন সিজনে কালিন ভাইয়া এবং গুড্ডু পণ্ডিতের মধ্যে বড় সংঘর্ষ হতে চলেছে। ট্রেলারে এর কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় সিজনে গুড্ডু ও গোলু কালিন ভাইয়াকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কালিন ভাইয়া পালিয়ে বাঁচে। তার স্ত্রীকে মকবুল বাউজি হত্যা করে এবং আরও কয়েকজন মারা যায়। মুন্না ত্রিপাঠী ও কালিন ভাইয়ার অনুপস্থিতিতে গুড্ডু বীণা ত্রিপাঠীর সাহায্যে পূর্বাঞ্চলের সিংহাসন দখল করে। তবে ট্রেলার দেখে মনে হচ্ছে, নতুন সিজনে গুড্ডুর পতন হতে পারে, কারণ ক্ষমতা অনেক সময় চালাক মানুষকেও অন্ধ করে দেয়।

'মির্জাপুর' সিরিজের তৃতীয় সিজনটি পরিচালনা করেছেন গুরমিত সিং ও আনন্দ আইয়ার। অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী, আলি ফজল, বিক্রান্ত ম্যাসি, দিব্যেন্দু, শ্বেতা ত্রিপাঠী, রসিকা দুগাল এবং বিজয় ভার্মা।


মির্জাপুর থ্রি   আমাজন প্রাইম   সিরিজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

১৬ বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন শাওন

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

শিশুশিল্পী হিসেবে সংস্কৃতি জগতে প্রবেশ করেন মেহের আফরোজ শাওন। এরপর ১৯৯৬ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তারপর তিনি অভিনয় করেছেন বহু নাটক, ধারাবাহিক এবং চলচ্চিত্রে।

সর্বশেষ ২০০৮ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’-এ অভিনয় করেন। দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ দিয়ে অভিনয়ে ফেরার কারণ কী? শাওনের জবাব, "ছবির গল্প-চিত্রনাট্য ভালো লেগেছে। পরিচালক, টিম এবং সার্বিক আয়োজন দেখে মনে হয়েছে কাজটি করা যায়। তাই যুক্ত হওয়া।" 

‘নীল জোছনা’র খবর কিছুদিন আগেই জানা গেছে। এতে অভিনয় করছেন পশ্চিমবঙ্গের পাওলি দাম, বাংলাদেশের তারিক আনাম খান এবং ইন্তেখাব দিনারের মতো তারকারা। ইতিমধ্যেই ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। শাওন জানিয়েছেন, তাঁর অংশের চিত্রায়ণ শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে।

শাওন বলেন, "১৬ বছর পর অভিনয় করতে যাচ্ছি। আসলে দুই বছর ধরেই ভাবছিলাম, ভালো গল্প-আয়োজন পেলে অভিনয়ে ফিরব। ভাবতে ভাবতেই দুই বছর চলে গেল। অবশেষে মাস দুয়েক আগে এই ছবিতে যুক্ত হয়েছি।"

অভিনয়ে নিয়মিত হওয়া প্রসঙ্গে শাওন বলেন, "আসলে পরিকল্পনা করে কিছু করা হয় না। যদি পছন্দসই কাজ আসে, তাহলে করব।"

নির্মাতা হিসেবেও শাওনের পরিচিতি রয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি বানিয়েছেন ‘কৃষ্ণপক্ষ’, যেখানে অভিনয় করেছেন রিয়াজ ও মাহি। এছাড়া বেশ কিছু নাটকও নির্মাণ করেছেন। পরবর্তীতে নির্মাণে ফেরার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে শাওন বলেন, "সর্বশেষ ২০১৮ সালে একটি ছোট ধারাবাহিক [বোতলভূত] নির্মাণ করেছিলাম। এখনো নতুন কাজের ভাবনা আছে মাথায়। যদি কোনো কাজ শুরু করি, অবশ্যই জানাব।" 


মেহের আফরোজ শাওন   অভিনয়  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘তুফান’-এর পর রাফীর নতুন প্রজেক্ট বঙ্গ’র ‘ব্ল্যাক মানি’

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এবারের ঈদে নির্মাতা রায়হান রাফি ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে তুমুল সাড়া ফেলেছেন। সেই উচ্ছ্বাস থামতে না থামতেই নতুন প্রজেক্টে হাত দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, দেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গ’-এ আসছে রাফির নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাক মানি’। সম্প্রতি বঙ্গর অফিসে পরিচালক রায়হান রাফি ও বঙ্গের চিফ কন্টেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান মঞ্জুর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এই সিরিজে কোন তারকারা অভিনয় করবেন তা এখনও প্রকাশ করেননি নির্মাতা বা প্ল্যাটফর্ম।

এই প্রসঙ্গে পরিচালক রাফি বলেন, “ব্ল্যাক মানি’ বঙ্গের সাথে আমার প্রথম কাজ। সাধারণত আমি যে ধরণের গল্প বলার চেষ্টা করি, এটি সেই ধারা থেকে অনেকটাই ভিন্ন। বঙ্গের সাথে এমন একটি প্রজেক্টে কাজ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”

প্রযোজক মুশফিকুর রহমান মঞ্জু বলেন, “রাফি এমন একজন নির্মাতা যিনি তার প্রথম কাজ ‘পোড়ামন-২’ দিয়েই তার স্বাতন্ত্র্য ও দক্ষতা প্রমাণে সফল হয়েছেন। রাফির প্রতি আমার মুগ্ধতা সেই পোড়ামন-২ থেকেই। পরবর্তীতে, আমরা বঙ্গ থেকে রাফির ‘পোড়ামন-২’ এবং ‘দহন’ সিনেমার ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন রাইটস নিয়েছি। দুটো ছবিই বঙ্গের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাছাড়া দেশে ও প্রবাসে রাফির ‘তুফান’ অসাধারণ সাফল্য দেখাচ্ছে।” 

তিনি আরও বলেন, “ব্ল্যাক মানির গল্পটি রাফি আমাকে এই বছরের শুরুতেই শুনিয়েছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় গত ২ জুলাই আমাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘ব্ল্যাক মানি’ নিয়ে আমরা বঙ্গ পরিবার অত্যন্ত আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি এটি রায়হান রাফির আরেকটি সফল কাজ হবে এবং বাংলা কন্টেন্ট দেশে ও প্রবাসে আরও এগিয়ে যাবে।”

রায়হান রাফি   বঙ্গ   তুফান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন