বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকটি বাংলা সংস্কৃতির ভবিষ্যত ধারক-বাহকদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই দশকেই জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের তিন মহারথী।
১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়, ১৯২৩ সালে মৃণাল সেন এবং ১৯২৫ সালে ঋত্বিক ঘটক।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই তিন মহারথীর একজন বিশ্ববরেণ্য পরিচালক মৃণাল সেনের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘পদাতিক’ অবশেষে বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে।
মৃণাল সেন পরিচালিত ‘পদাতিক’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৩ সালে। একই নামে এবার খোদ মৃণাল সেনের জীবন ও সময় নিয়ে সৃজিত মুখার্জী পরিচালিত সিনেমা 'পদাতিক' দেখতে উদগ্রীব দুই বাংলার দর্শক।
মৃণাল সেনের ভূমিকায় এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। গল্পে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামি ঘোষ। ছবিটির প্রথম লুক ও টিজার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরীর এমন রূপ দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন, যেন চঞ্চল নিজেই মৃণাল সেন হয়ে উঠেছেন। কবে ছবিটি মুক্তি পাবে তা নিয়ে আগে থেকে কিছু জানানো না হলেও, গতকাল (২ জুলাই) সন্ধ্যায় পরিচালক সৃজিত মুখার্জী একটি পোস্টার শেয়ার করে জানিয়েছেন যে ছবিটি এই আগস্টে মুক্তি পাবে। ছবি মুক্তির তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস, অর্থাৎ ১৫ আগস্ট।
মৃণাল সেন জন্মেছিলেন বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ১৭ বছর বয়সে চলে যান কলকাতায়। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া, গণনাট্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং পরে চলচ্চিত্রে আগমন।
তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাতভোর’। অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ আর মৃণাল সেনের ‘রাতভোর’ একই বছর কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পেলেও ‘পথের পাঁচালী’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘রাতভোর’কে সেইভাবে আলোচনায় আনতে পারেনি।
সৃজনশীল মানুষ আসলে অন্যের প্রত্যাশা অনুযায়ী পথ হাঁটতে পারেন না। তাঁরা পথ হাঁটেন মহাজগতের দূরপ্রান্তের দিকে চোখ রেখে। শিল্পসৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায় নিজের গড়া চরিত্রে হয়তো নিজেই বাস করেন অনেকটা জুড়ে। কে জানে, চিত্রনাট্যের আড়ালে মৃণাল সেন নিজেই হয়তো ছিলেন তাঁর নির্মিত ‘পদাতিক’-এর বিপ্লবপ্রত্যাশী তরুণ।
তাঁর চলচ্চিত্রে রাজনীতি আসে সরাসরি, মূল বিষয়বস্তু হিসেবে। অনেকে এই অভিযোগও করেছেন, রাজনীতি ও সামাজিক বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে প্রায় রোমান্টিকতার পর্যায়ে তিনি নিয়ে গেছেন কি না। তবু দর্শক হিসেবে তাঁর চলচ্চিত্রে সমাজভাবনার যে চিত্র দেখা যায়, যে জীবনভাবনার খোরাক পাওয়া যায়, তা অতুলনীয়।
যে বছর, ১৯৬৭ সালে, বামফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়, সেই বছরই নকশালবাড়িতে সংগঠিত হয় সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চল, কেরালা ও পূর্ব উড়িষ্যায়। এই সময়ে ভারতে বিভিন্ন ভাষায় বিদ্রোহ ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে যেমন সাহিত্য রচিত হয়, তেমনি কলকাতাতেও ছবি বানান মৃণাল সেন। নির্মাণ করলেন একে একে তিনটি ছবি: ইন্টারভিউ [১৯৭০], কলকাতা ৭১ [১৯৭২] ও পদাতিক [১৯৭৩]— যা কলকাতা ত্রয়ী নামে পরিচিতি পায়।
একই সময়ে চলচ্চিত্রের তিন মহারথী সমান দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে গেলে কিছুটা তুলনা চলেই আসে। তবু সত্যজিৎ, মৃণাল ও ঋত্বিকের মধ্যে মিলের জায়গা যেটুকু ছিল, তা হলো বাণিজ্যচিন্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইতালিয়ান নিউ রিয়েলিজম, তথা নব্যবাস্তববাদের ধারায় বিশ্বাস রেখে স্বল্প বাজেটে সৃজনশীল ও আপোসহীন নির্মাণ।
তবে তিনজনের মধ্যে মৃণাল সেনের কিছু বাড়তি যোগ আছে। তিনি বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও তেলেগু এবং ওড়িয়া ভাষায়ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। টেলিভিশনের জন্য নির্মাণ করেছেন আলাদা ১২টি গল্প নিয়ে ১২ পর্বের ধারাবাহিক। মৃণাল সেনই একমাত্র নির্মাতা, যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তিনটি চলচ্চিত্র উৎসব—কান, বার্লিন ও ভেনিস উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছেন।
চঞ্চল চৌধুরী এই ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ে বলেন, "মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করা একটি দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সাহস এবং যোগ্যতা প্রয়োজন, যা আমার আছে কিনা তা তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে অবিশ্বাস্য মনে হয়। তবুও দুঃসাহস এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার কারণে এই চরিত্রে অভিনয় করেছি।"
মৃণাল সেনের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে নেয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সৃজিত বলেন, দুইজনের মুখের মিল আছে। মৃণাল বাবুর মতোই চঞ্চলের চোখের দৃষ্টি অত্যন্ত ধারালো ও সজাগ। তাছাড়া মৃণাল বাবুর রাজনীতি চেতনা, তার যাপন ও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গেও চঞ্চলের প্রচুর মিল।
গত বছর ১৫ জানুয়ারি শুরু হয় পদাতিক-এর শুটিং। কলকাতা, মুম্বাইসহ বেশ কিছু স্থানে শ্যুটিং হয়। দেশের বাইরেও কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। গত বছর মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী ছিল। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই প্রয়াত পরিচালকের জীবন, কর্ম ও সময়ের গল্প নিয়ে সৃজিত মুখার্জি তৈরি করছেন ‘পদাতিক’।
মৃণাল সেন বাংলা সিনেমার আইকোনোক্লাস্ট। কালাপাহারের মতই চলচ্চিত্রের প্রচলিত প্রথাকে সিনেমার প্রয়োজনে তিনি বারবার ভেঙেছেন। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন তিনি। বদলেছেন তাঁর সিনেমার ভাষা। ‘পদাতিক’ সিনেমাতে কতটুকু ‘মৃণাল সেন’ হয়ে উঠতে পেরেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মৃণাল সেনের জীবনীকে কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি, এই প্রশ্ন সকল চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মনে। চঞ্চল-সৃজিত কি পারবে পূর্ণাঙ্গ ‘মৃণাল সেন’কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে সবাই মুখিয়ে আছেন ১৫ আগস্ট ‘পদাতিক’ মুক্তির অপেক্ষায়।
পদাতিক মৃণাল সেন চঞ্চল চৌধুরী সৃজিত মুখার্জী
মন্তব্য করুন
নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী প্রায়ই
একে অপরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন। যা শুরু থেকেই নেটিজেনরা
দেখে আসছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা
পরীমনিও। বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলায় বেশ খুশি অপু বিশ্বাস। এই নায়িকা মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।
এদিকে, অপুর এমন মন্তব্য পৌঁছে গেছে বুবলীর কান পর্যন্ত। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তাই অপুর এই প্রসঙ্গ কথা তুলেছেন তিনি। বুবলী বলেন, এই মহিলা (অপু বিশ্বাস) আবার ইন্ডাস্ট্রিতে তার ছোট বোনদের কথা বলে। ছোট বোন বানিয়েছেই তো নিজের স্বার্থের
জন্য, আমার নামে সারাক্ষণ বাজে কথা বলে ওদের কান ভারী করাতে। নায়করাজ রাজ্জাক, মান্না স্যাররা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারও বন্ধু হয় না। আর এই মহিলা এতগুলো নায়িকাকে বানায় ছোট বোন। এসব পাবলিক বোঝে। আর ওই ছোট বোনরাও সবাই স্মার্ট এবং প্রতিষ্ঠিত। তারাই আমাকে বলে দেয় এসব চালাকির কথা। কারণ, তাদের কারও সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, এটা তারাও জানে।
কদিন আগেই অপু বিশ্বাস দাবি করেছেন, শাকিব খানের শত্রুদের সঙ্গেই বুবলীর ওঠাবসা বেশি। বিষয়টি নিয়েও কথা বললেন বুবলী। জানান, ২০০৮ সালে শাকিব খান অসুস্থ হলে দৌড় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জায়গায় সিনেমা সাইন করেছিলেন তিনি। পরে
স্বার্থের জন্য আবার শাকিব খানের সঙ্গে ভিড়েছিল।
তার এসব ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা জানেন। জনা আপু, বিদ্যা সিনহা মিম, মারুফ ভাই, কাজী হায়াৎ আঙ্কেল থেকে শুরু করে উনি অনেকের সঙ্গে এফডিসিতে কী বেয়াদবি করেছিলেন, এটাও নিউজ পেপার কাটিং আছে। এমনকি বেয়াদবির
কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে শাকিব খান এবং তার পরিবার নিয়ে কী অপমানজনক কথা উনি বলেছিলেন,
সব আছে ভিডিওতে। আরেক নায়কের সঙ্গে যখন আবারও প্রেমের গুঞ্জন চড়াও হলো, যখন ওই নায়কের সঙ্গে ওখানে কিছুদিন পর আর বনিবনা হলো না, তখন সে বলল এ রকম প্রেম প্রেম কথা উঠিয়েছে নাকি ইচ্ছা করে!
বুবলী কথা প্রসঙ্গে এ-ও বলেন, ২০১৭ সালে এফডিসিতে যখন শাকিব খানের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল, তখন শাকিবের বিরুদ্ধে ছিল অপু বিশ্বাস। এ রকম অনেকের সঙ্গে সেলফিতে হা হা হি হি করতে দেখা গেছে, যারা শাকিবের বিরোধিতা করেছেন। উঠে এসেছে পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রসঙ্গও।
নিজের উদাহরণ টেনে অপু বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, নিকেতনে এক ভাবির দাওয়াতে গিয়েছিলাম।
তিনি আমার জন্য খাবারও নিয়ে এসেছিলেন। যখন শুনলাম ইকবাল ভাই আসবেন, আমি চলে এসেছি। আমার পরিবারের কাউকে অসম্মান করবে, আমি তার মুখোমুখিও হবো না।
অপুর এমন দাবির প্রসঙ্গে বুবলীও দাবি করেছেন, ইকবাল ভাইয়ের ছায়া নাকি উনি (অপু বিশ্বাস) দেখেন না। কিন্তু কেন? কারণ, ইকবাল ভাইয়ের কাছের একজন প্রযোজক কিছুদিন আগে তাকে অনুদানের এক সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সাইনিং মানিও ফেরত নিয়েছিলেন। সেলিম ভাই বা ইকবাল ভাই যখন আমাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন, আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন, তখন তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন না, বানালে ঠিকই করতেন। এমন কোনো উদাহরণ আছে, তারা তার কাছে মুভি নিয়ে গেছেন অথচ উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন? নেই। কিন্তু চালাকি করে উনি শাকিবের নাম ওপর চাপিয়ে দিল এখানেও। উনি কাকে কী বোঝান? হাস্যকর।
অপু বিশ্বাস বুবলী শাকিব খান বিস্ফোরক মন্তব্য
মন্তব্য করুন
অবশেষে মুক্তি পেল ভারতের জনপ্রিয় সিরিজ 'মির্জাপুর'-এর তৃতীয় সিজন। প্রথম সিজনটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে এবং দুই বছর পর আসে দ্বিতীয় সিজন। দুটি সিজনই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। দর্শকদের দীর্ঘ অপেক্ষার পর চার বছর পর মুক্তি পেল তৃতীয় সিজন, যা দেখা যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইমে।
গত ১৯ জুন প্রকাশিত হয়েছিলো তৃতীয় সিজনের ট্রেলার। ট্রেলারে দেখানো হয়েছিলো খুন, সহিংসতা, রক্তের বন্যা, ক্ষমতার লড়াই এবং গদির লোভের গল্প। দ্বিতীয় সিজনের শেষে যেভাবে গল্পটি এগিয়ে গিয়েছিল, তাতে বোঝা গিয়েছিল যে নতুন সিজনে আরও তীব্র সংঘর্ষ দেখা যাবে।
নতুন সিজনে কালিন ভাইয়া এবং গুড্ডু পণ্ডিতের মধ্যে বড় সংঘর্ষ হতে চলেছে। ট্রেলারে এর কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় সিজনে গুড্ডু ও গোলু কালিন ভাইয়াকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কালিন ভাইয়া পালিয়ে বাঁচে। তার স্ত্রীকে মকবুল বাউজি হত্যা করে এবং আরও কয়েকজন মারা যায়। মুন্না ত্রিপাঠী ও কালিন ভাইয়ার অনুপস্থিতিতে গুড্ডু বীণা ত্রিপাঠীর সাহায্যে পূর্বাঞ্চলের সিংহাসন দখল করে। তবে ট্রেলার দেখে মনে হচ্ছে, নতুন সিজনে গুড্ডুর পতন হতে পারে, কারণ ক্ষমতা অনেক সময় চালাক মানুষকেও অন্ধ করে দেয়।
'মির্জাপুর' সিরিজের তৃতীয় সিজনটি পরিচালনা করেছেন গুরমিত সিং ও আনন্দ আইয়ার। অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী, আলি ফজল, বিক্রান্ত ম্যাসি, দিব্যেন্দু, শ্বেতা ত্রিপাঠী, রসিকা দুগাল এবং বিজয় ভার্মা।
মির্জাপুর থ্রি আমাজন প্রাইম সিরিজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী প্রায়ই একে অপরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন। যা শুরু থেকেই নেটিজেনরা দেখে আসছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা পরীমনিও। বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলায় বেশ খুশি অপু বিশ্বাস। এই নায়িকা মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।
এবারের ঈদে নির্মাতা রায়হান রাফি ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে তুমুল সাড়া ফেলেছেন। সেই উচ্ছ্বাস থামতে না থামতেই নতুন প্রজেক্টে হাত দিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, দেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গ’-এ আসছে রাফির নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাক মানি’। সম্প্রতি বঙ্গর অফিসে পরিচালক রায়হান রাফি ও বঙ্গের চিফ কন্টেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান মঞ্জুর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এই সিরিজে কোন তারকারা অভিনয় করবেন তা এখনও প্রকাশ করেননি নির্মাতা বা প্ল্যাটফর্ম।