নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০১৯
‘৬৪তম ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ আসর বসেছে আজ। চলছে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। ভারতের সিনেমা জগতের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান এই ‘ফিল্মফেয়ার’। সিনেমায় শুধু অভিনয়ই নয়, এখানে অস্কারের মতো বলিউড সিনেমার সকল শাখায় পুরস্কিত করা হয়। সেই ১৯৫৪ সাল থেকে যাত্রা শুরু এই অ্যাওয়ার্ডের। বলিউডের সবচেয়ে পুরোনো ইভেন্ট ‘ফিল্মফেয়ার’। ভারতের জাতীয় পুরস্কারের এই অ্যাওয়ার্ডের স্থান।
যেভাবে ফিল্মফেয়ার শুরু:
যতদূর জানা যায় ১৯৫৪ সাল থেকে এই পুরস্কারকে ‘দ্য ক্লেয়ার’ বলা হত। যে পুরস্কারের শুরুটা টাইমস অব ইন্ডিয়ার সমলোচক ক্লেয়ার ম্যান্ডোঙ্কার হাত ধরে। প্রথম বছরই নাকি ২০ হাজার পাঠক ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের কলাকুশলিকে জয়ী করেন। সেই বছরের ২১ মার্চ মুম্বাইয়ের একটি থিয়েটারে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমবার মাত্র পাঁচটি শাখায় পুরস্কার দেয়া হয়। সেরা অভিনেতা, অভিনেত্রী, সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক এবং সেরা সঙ্গীত পরিচালক। অভিনেতা হিসেবে দীলিপ কুমার প্রথম এই পুরস্কার পান। নায়িকাদের মধ্যে ছিলেন মীনা কুমারী। সেরা চলচ্চিত্র ছিল বিমল রায় পরিচালত ‘দো বিঘা জমিন’। এরপর থেকে নিয়মিতই এই পুরস্কারের আসর বসে। তবে মাঝে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ সালে এই অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। এই দুই বছর ভারতীয় মহারাষ্ট্র সরকারের আন্দোলনের জন্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্থগিত রাখা হয়। এখন প্রতি বছর নানা পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান হয় ভারতে। তবে এখনো সবচেয়ে নিরপেক্ষ ধরা হয় এই ফিল্মফেয়ারকেই। আর তাই ৬৫ বছর ধরে এই পুরস্কারের সম্মান একই রকম বহাল রয়েছে। শুধু বলিউডেই নয়। ভারতের আঞ্চলিক সিনেমার জন্যও বসে এই আসর। ‘ফিল্ম ফেয়ার সাউথ’, ‘ফিল্ম ফেয়ার মারাঠি’, ‘ফিল্ম ফেয়ার ইস্ট’, ‘ফিল্ম ফেয়ার পাঞ্জাবি’র আসরও বসে ভারতে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘দ্যা টাইমস গ্রুপ’।
পুরস্কার:
অনুষ্ঠানে ‘ব্ল্যাক লেডি’ বা ‘কৃষ্ণ নারী’ প্রদান করা হয়। এই নামেই বেশি পরিচিত। বিজয়ীকে প্রদান করা পদকটির ডিজাইন করেছিলেন এন জি পানসারি। তবে তাকে ডিজাইনে নির্দেশনা দিয়েছেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ওয়াল্টার লাংঘামার। ব্রোঞ্জের তৈরি এই ভাস্করটির উচ্চতা ৪৬.৫ সে.মি। মজার ব্যাপার হলো শুরুর ২৫ বছর পর এটাকে রুপায় প্রস্তুত করা হয়। ৫০ বছরের আয়োজনে মূর্তি তৈরীতে স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়। ২০১২ সাল পর্যন্ত মাত্র ৫ বার মূর্তিটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয় ২০১৩ সালে। সেবছর ট্রফিটিতে থ্রিজি লুক দেয়া হয়। আয়োজকরা জানান, প্রযুক্তির ছোয়া যেমন সিনেমায় এসেছে তেমনি পুরস্কারেও। আসন্ন বছরগুলোতে আরও পরিবর্তনের আশা করেন আয়োজকেরা।
একনজড়ে দেখে নেয়া যাক ফিল্ম ফেয়ারের রেকর্ড:
ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে যে সমস্ত চলচ্চিত্র, অভিনেতা, অভিনেত্রী, এবং নির্মাতারা একাধিকবার পুরস্কার জিতে রেকর্ড গড়েছেন, এক নজরে দেখে নিন তালিকাটি।
সেরা চলচ্চিত্র
ব্ল্যাক (২০০৫)- ১১টি
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে (১৯৯৬) , দেবদাস (২০০৩)- ১০টি
এছাড়া ৯ টি পুরস্কার পেয়েছে,‘মধুমতি’,‘১৯৪২: এ লাভ স্টোরি’, ‘কাহো না পেয়ার হে’,‘ওমকারা’,‘বাজিরাও মাস্তানি’।
সেরা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে নমিনেশণ পেয়েছে সর্বোচ্চ-‘পদ্মাবত’-১৮ টি, দেবদাস-১৭ টি, হাম দিল দে চুকে সনম- ১৬ টি ক্যাটাগরিতে।
সবচেয়ে বেশিবার এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন (পুরুষ):
গুলজার পেয়েছেন ২০ বার। এর মধ্যে বেস্ট সংলাপ (৪), সমলোচকদের মতে সেরা চলচ্চিত্র (১), সেরা পরিচালক (১), সেরা গীতিকার (১১), সেরা ডকুমেন্টরি (১), সেরা গল্প (১), লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট (১) বার।
এছাড়া এ আর রহমান, অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খানরা এ পুরস্কার পেয়েছেন ১৫ বার।
সবচেয়ে বেশিবার এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন (নারী):
আশা ভোশলে ও জয়া বচ্চন পেয়েছেন ৯ বার, সরোজ খান ৮ বার। লতা মুঙ্গেশকার, অলকা ইয়াগনকি, রানী মুখার্জির ভাগ্যে এ পুরস্কার জুটেছে ৭ বার।
সেরা পরিচালক:
বিমল রায়- ৭ বার
রাজ কাপুর, যশ চোপড়া- ৪ বার
সঞ্জয় লীলা বানসালি- ৪ বার
সেরা অভিনেতা:
দিলীপ কুমার, শাহরুখ খান - ৮ বার
সেরা অভিনেত্রী:
নুতন, কাজল - ৫ বার
মীনা কুমাড়ি, মাধুরি দিক্ষীত, বিদ্যা বালান- ৪ বার
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা:
প্রাণ- ৩ বার
অমিতাভ বচ্চন, অমরিশ পুরি, অনিল কাপুর, অভিষেক বচ্চন - ৩ বার
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী:
জয়া বচ্চন ,ফরিদা জালাল, নিরুপা রায়, রানি মুখার্জী, সুপ্রিয়া পাঠক - ৩ বার
সেরা সঙ্গীত পরিচালক:
এ আর রহমান- ১০ বার
শঙ্কর জয়কিষান- ৯ বার
সেরা গায়ক:
কিশোর কুমার- ৮ বার
মোহাম্মদ রাফি- ৬ বার
সেরা গীতিকার:
গুলজার- ১১ বার
জাভেদ আখতার- ৮ বার
সেরা গায়িকা:
আশা ভোসলে, অলকা ইয়াগনিক - ৭ বার
শ্রেয়া ঘোষাল- ৫ বার
বেস্ট কোরিওগ্রাফি:
সরোজ খান: ৮ বার
ফারাহ খান: ৬ বার
সমলোচকদের মতে সেরা অভিনেতা: অমিতাভ বচ্চন, মনোজ বাজপায়ী- ৩ বার।
সমলোচকদের মতে সেরা অভিনেত্রী: টাবু-৪ বার, মনীষা কৈরালা-৩ বার।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর একটি পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন শিল্পী। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর সাড়ে চারটায় হঠাৎ আগুন লাগার সংকেতে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। হোটেলের সবাই যার যার মতো করে নিরাপদে সরে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ঘটনাটিকে রীতিমতো ভয়াবহ আতঙ্কের বলে জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।
নর্থ আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে সংগীতশিল্পী অদিতি মহসীন ও অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় যান। স্থানীয় সময় ৪, ৫ ও ৬ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ভারত থেকে স্বস্তিকা মুখার্জি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, সৌরসেনী মৈত্র, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, অর্জুন চক্রবর্তী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, উজান গঙ্গোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়, অরিন্দম শীল, ব্যান্ড ফসিলস, সোমলতা, ইমন চক্রবর্তী ছিলেন। সবাই সেখানকার হায়াত রিজেন্সি হোটেলে উঠেছিলেন। তিন দিনের এই সম্মেলনে ভালোই সময় কাটছিল তাদের। কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ আগুন আতঙ্কে ভীত হয়ে পড়েন সবাই।
এটি ছিল বঙ্গ সম্মেলনের ৪৪তম আসর। তিন দিনের সম্মেলন এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। চঞ্চল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বললেন, ‘ভোরবেলা হোটেলের প্রতিটি রুমের অ্যালার্ম বেজে গেল। কেউ হয়তো রুমে সিগারেট খেয়েছিল। ওইটা নিয়ে। কলকাতা ও ঢাকা থেকে একটা বিশাল টিম আসছি। সবাই শুধু পাসপোর্ট নিয়ে বের হতে পারলেই বেঁচে যায়। লাগেজ রেখে নিচে নেমে পড়ি। লিফট বন্ধ হয়ে গেল। পরে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। এই অ্যালার্ম ২০ মিনিটের মতো বাজতে থাকল। তারপর থামল। এর মধ্যে সবাই লবিতে জড়ো হলো। পরে অ্যালার্ম যখন থামল, তখন সবাই আবার সিঁড়ি বেয়ে যার যার রুমে যায়। পরে জানতে পেরেছি, এটা কারিগরি ত্রুটি ছিল, কোনো একটা কারণে বেজে ওঠে। সাধারণত হোটেলে ধূমপান করলে এভাবে বেজে ওঠে। পুরোপুরি টেকনিক্যাল সমস্যা। অত রাতে রিসিপশনেও কাউকে পেলাম না। যখন অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে গেল, যার যার মতো করে যার যার রুমে চলে গেলাম আরকি।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অরিন্দম শীল জানান, গরম পোশাক গায়ে না জড়িয়েই পাঁচতলার হোটেল রুম থেকে নিচে নামেন তিনি। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় থেকে সোহিনী সবাই প্রাণ বাঁচানোর দৌড় দেন।
শিকাগো আগুন বাংলাদেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্র চঞ্চল চৌধুরী স্বস্তিকা মুখার্জি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় সোহিনী সরকার সৌরসেনী মৈত্র অম্বরীশ ভট্টাচার্য
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫
দেশের
দর্শকদের মন
জয়
করার
পর
এবার ভারতের টালি তারকারা শাকিব
খান
ও
তার
সিনেমার পুরো
দলকে
অভূতপূর্ব ভালোবাসা জানাচ্ছেন। যাদের
মধ্যে
ছিলেন
প্রসেনজিত চ্যাটার্জি, দেব,
শুভশ্রী গাঙ্গুলী প্রমুখ।
শাকিব
খান
ও
মিমি
চক্রবর্তী অভিনীত
রায়হান
রাফি
পরিচালিত ‘তুফান’
সিনেমাটিকে ঘিরে মুক্তির আগেই
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টালিগঞ্জে জমজমাট
পরিবেশ
সৃষ্টি
হয়।
কলকাতায় ‘তুফান’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন
করা
হয়,
যেখানে
‘তুফান’ দেখতে টালিপাড়ার তারকাদের মাঝে উন্মাদনা দেখা
গেছে।
‘তুফান’-এর
স্পেশাল স্ক্রিনিং উপলক্ষে টালিপাড়ার তারকারা উপস্থিত হয়েছিলেন দক্ষিণ
কলকাতার সাউথ
সিটি
শপিং
মলে।
সেখানে
‘তুফান’-এর একটি প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়,
যেখানে
উপস্থিত ছিলেন
বিক্রম
চ্যাটার্জি, কৌশনী,
বনি
সেনগুপ্ত, মধুমিতা সরকার,
ইধিকা
পাল,
অনিন্দ্য চ্যাটার্জি, দর্শনা
বণিক,
সৌরভসহ
ওপার
বাংলার
এক
ঝাঁক
তারকা
শিল্পী।
প্রিমিয়ার শেষে
সৌরভ
সাংবাদিকদের বলেন,
‘দারুণ!
আজ
টলিউড
পুরোপুরি মেতে
উঠেছে
তুফানের সিনে।
তুফানের জন্য
অনেক
শুভকামনা। অসাধারণ হয়েছে।’
দর্শনা
বণিক
বলেন,
‘তুফানের জন্য
শুভকামনা। খুব
ভালো
হয়েছে।
বাংলাতে এমন
অ্যাকশন ফিল্ম
আরও
হোক।’
কৌশনী
জানান,
‘বাংলাদেশে কাজ
করতে
গিয়ে
দেখেছি,
ওখানকার মানুষ
শাকিবকে রজনীকান্তের মতো
ভালোবাসেন। শুনেছি
সেখানে
তুফান
ব্লকবাস্টার হয়েছে।
সিনেমাটি দেখে
আমার
খুব
ভালো
লেগেছে। আমার
বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গেও তুফান
সফল
হবে।’
ইধিকা
পাল
বলেন,
‘তুফান
আমার
কাছে
খুব
ভালো
লেগেছে। বিশেষ
করে
শাকিবের প্রেজেন্টেশন। আমি
ভাবছিলাম কত
পরিশ্রমই না
তিনি
করেছেন। পুরো
টিমকে
অভিনন্দন। কলকাতার মানুষ
তুফানকে বরণ
করে
নিক।’
শুক্রবার থেকে
পশ্চিমবঙ্গের প্রায়
অর্ধশত
সিনেমা
হলে
মুক্তি
পেয়েছে
ব্লকবাস্টার হিট
ছবি
‘তুফান’। সিনেমাটি একজন
গ্যাংস্টারের গল্প
নিয়ে
নির্মিত, যেখানে
নব্বই
দশকের
চিত্র
তুলে
ধরা
হয়েছে।
সেই
সময়ের
এক
নামকরা
গ্যাংস্টারের কাহিনি
নিয়ে
এগিয়েছে তুফানের গল্প।
যৌথ
প্রযোজনায় নির্মিত ‘তুফান’-এ যুক্ত আছে
বাংলাদেশের প্রযোজনা সংস্থা
চরকি
ও
আলফা
আই
এবং
ভারতের
এসভিএফ। শাকিব
খান
ও
মিমি
চক্রবর্তী ছাড়াও
এই
সিনেমায় অভিনয়
করেছেন
চঞ্চল
চৌধুরী,
নাবিলা,
মিশা
সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু প্রমুখ।
তুফান শাকিব খান রায়হান রাফি মিমি নাবিলা চঞ্চল চৌধুরী ফজলুর রহমান বাবু
মন্তব্য করুন
নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী প্রায়ই
একে অপরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন। যা শুরু থেকেই নেটিজেনরা
দেখে আসছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা
পরীমনিও। বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলায় বেশ খুশি অপু বিশ্বাস। এই নায়িকা মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।
এদিকে, অপুর এমন মন্তব্য পৌঁছে গেছে বুবলীর কান পর্যন্ত। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তাই অপুর এই প্রসঙ্গ কথা তুলেছেন তিনি। বুবলী বলেন, এই মহিলা (অপু বিশ্বাস) আবার ইন্ডাস্ট্রিতে তার ছোট বোনদের কথা বলে। ছোট বোন বানিয়েছেই তো নিজের স্বার্থের
জন্য, আমার নামে সারাক্ষণ বাজে কথা বলে ওদের কান ভারী করাতে। নায়করাজ রাজ্জাক, মান্না স্যাররা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারও বন্ধু হয় না। আর এই মহিলা এতগুলো নায়িকাকে বানায় ছোট বোন। এসব পাবলিক বোঝে। আর ওই ছোট বোনরাও সবাই স্মার্ট এবং প্রতিষ্ঠিত। তারাই আমাকে বলে দেয় এসব চালাকির কথা। কারণ, তাদের কারও সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, এটা তারাও জানে।
কদিন আগেই অপু বিশ্বাস দাবি করেছেন, শাকিব খানের শত্রুদের সঙ্গেই বুবলীর ওঠাবসা বেশি। বিষয়টি নিয়েও কথা বললেন বুবলী। জানান, ২০০৮ সালে শাকিব খান অসুস্থ হলে দৌড় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জায়গায় সিনেমা সাইন করেছিলেন তিনি। পরে
স্বার্থের জন্য আবার শাকিব খানের সঙ্গে ভিড়েছিল।
তার এসব ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা জানেন। জনা আপু, বিদ্যা সিনহা মিম, মারুফ ভাই, কাজী হায়াৎ আঙ্কেল থেকে শুরু করে উনি অনেকের সঙ্গে এফডিসিতে কী বেয়াদবি করেছিলেন, এটাও নিউজ পেপার কাটিং আছে। এমনকি বেয়াদবির
কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে শাকিব খান এবং তার পরিবার নিয়ে কী অপমানজনক কথা উনি বলেছিলেন,
সব আছে ভিডিওতে। আরেক নায়কের সঙ্গে যখন আবারও প্রেমের গুঞ্জন চড়াও হলো, যখন ওই নায়কের সঙ্গে ওখানে কিছুদিন পর আর বনিবনা হলো না, তখন সে বলল এ রকম প্রেম প্রেম কথা উঠিয়েছে নাকি ইচ্ছা করে!
বুবলী কথা প্রসঙ্গে এ-ও বলেন, ২০১৭ সালে এফডিসিতে যখন শাকিব খানের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল, তখন শাকিবের বিরুদ্ধে ছিল অপু বিশ্বাস। এ রকম অনেকের সঙ্গে সেলফিতে হা হা হি হি করতে দেখা গেছে, যারা শাকিবের বিরোধিতা করেছেন। উঠে এসেছে পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রসঙ্গও।
নিজের উদাহরণ টেনে অপু বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, নিকেতনে এক ভাবির দাওয়াতে গিয়েছিলাম।
তিনি আমার জন্য খাবারও নিয়ে এসেছিলেন। যখন শুনলাম ইকবাল ভাই আসবেন, আমি চলে এসেছি। আমার পরিবারের কাউকে অসম্মান করবে, আমি তার মুখোমুখিও হবো না।
অপুর এমন দাবির প্রসঙ্গে বুবলীও দাবি করেছেন, ইকবাল ভাইয়ের ছায়া নাকি উনি (অপু বিশ্বাস) দেখেন না। কিন্তু কেন? কারণ, ইকবাল ভাইয়ের কাছের একজন প্রযোজক কিছুদিন আগে তাকে অনুদানের এক সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সাইনিং মানিও ফেরত নিয়েছিলেন। সেলিম ভাই বা ইকবাল ভাই যখন আমাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন, আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন, তখন তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন না, বানালে ঠিকই করতেন। এমন কোনো উদাহরণ আছে, তারা তার কাছে মুভি নিয়ে গেছেন অথচ উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন? নেই। কিন্তু চালাকি করে উনি শাকিবের নাম ওপর চাপিয়ে দিল এখানেও। উনি কাকে কী বোঝান? হাস্যকর।
অপু বিশ্বাস বুবলী শাকিব খান বিস্ফোরক মন্তব্য
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর একটি পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন শিল্পী। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর সাড়ে চারটায় হঠাৎ আগুন লাগার সংকেতে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। হোটেলের সবাই যার যার মতো করে নিরাপদে সরে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ঘটনাটিকে রীতিমতো ভয়াবহ আতঙ্কের বলে জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। নর্থ আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে সংগীতশিল্পী অদিতি মহসীন ও অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় যান। স্থানীয় সময় ৪, ৫ ও ৬ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী প্রায়ই একে অপরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন। যা শুরু থেকেই নেটিজেনরা দেখে আসছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা পরীমনিও। বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলায় বেশ খুশি অপু বিশ্বাস। এই নায়িকা মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।