কোর্ট ইনসাইড

প্রথম মামলায় পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০২:২৪ পিএম, ০৮ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে) ২২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পি কে হালদারকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে ১০ বছর ও অর্থপাচারের অপরাধে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি ১৩ আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ৫২ মামলার মধ্যে এটি প্রথম মামলার রায়। বাকি ৫১ মামলা এখনো তদন্তাধীন।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণার জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। ওইদিন যুক্তিউপস্থাপনের সময় কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- লিলাবতী হালদার (পি কে হালদারের মা), পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এ মামলায় ১০৬ সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে ৯৩৩ কোটি টাকার জমি, ফ্ল্যাট ও হোটেল ক্রয় করেন পি কে হালদার। এর মধ্যে জমি কিনেছেন ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ। এই সম্পদের বাজারমূল্য প্রায় ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। নিজের নামে তিনি জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। দলিলে এসব জমির দাম ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত বাজারমূল্য প্রায় ২২৮ কোটি টাকা। এছাড়া ধানমন্ডিতে তার নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

চার্জশিটে আরও বলা হয়, পি কে হালদার তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন নির্মাণ করেন, যার দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা। পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনেন, যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। পি কে হালদার কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে দুই একর জমির ওপর র্যাডিসন নামে আটতলা হোটেল নির্মাণ করেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৪০ কোটি টাকা তার খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী ও অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কেনেন, যার দাম প্রায় ১৬৭ কোটি টাকা।

কলকাতার অনতিদূরে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২০২২ সালের ১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। একই সঙ্গে তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।

গত ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। অর্থপাচার আইন-২০০২ এবং দুর্নীতি দমন আইন- ১৯৮৮’র বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্তদেরর নামে চার্জ গঠন করা হয়।

বর্তমানে পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ আসামি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে। আর একমাত্র নারী আসামি আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।


পিকে হালদার   কারাদণ্ড   অবৈধ সম্পদ   অর্থপাচার  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

পিতৃত্বকালীন ছুটি চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সব প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা করার নির্দেশনা চেয়ে ছয় মাস বয়সী শিশু হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে। বুধবার (৩ জুলাই) ৬ মাসের শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে কেবিনেট সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মোট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য-এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এছাড়া, সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার আমাদের দেশে অনেক বেশি। সিজারের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে। এই সময়ে নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।

রিটে আরও বলা হয়, পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন, তাদের  স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে।


পিতৃত্বকালীন   ছুটি   হাইকোর্ট   রিট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

সাজা স্থগিতের আদেশ বাতিল, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ . মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার ( জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।

এদিন হাইকোর্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় . মুহাম্মদ ইউনূসের মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিলের রায় প্রকাশ করেছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, সাজা কখনো স্থগিত হয় না।

গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় . ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৩ মে . ইউনূসের জামিন জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ . মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত জানুয়ারি মাসের সাজা হয় . মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা () (), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩ () ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর . মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা () (), ১১৭, ২৩৪ বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩() ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ () ধারার অপরাধে (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ৩০৭ ধারার অপরাধে পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।


সাজা   স্থগিত   আদেশ   বাতিল   দ্রুত   মামলা   নিষ্পত্তি   নির্দেশ   হাইকোর্ট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

১২ বছরেও শেষ হয়নি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ১২ বছরেও শেষ হয়নি এবং যে কারণে মামলাটি এখনো বিচারের মুখ দেখেনি উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে মামলাটি ক্রমাগত ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার সঙ্গে উপহাস করে চলছে।

মো. জিল্লুর রহমান এবং অন্যান্য বনাম বাংলাদেশ এবং অন্যান্যশীর্ষক এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ এসেছে। রিটটির চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৩ মে পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনাসহ রায় দেন। ৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি মঙ্গলবার (২ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, দেশে হত্যার বিচার হতে কখনো কখনো ২০ বছরের বেশি সময় লাগে। হত্যা মামলায় যদি কোনো রাজনৈতিক রং দেওয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এজাহার ২১ বছরের বেশি সময়েও দায়ের করা যায়নি।

রায়ে বলা হয়, ঘটনার ১২ বছরেও সাগররুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়নি এবং যে কারণে এটি এখনো বিচারের মুখ দেখেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মামলাটি ক্রমাগত ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার সঙ্গে উপহাস করে চলেছে এবং অপূরণীয় ক্ষতি করছে, যা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলোর মাধ্যমে কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছিল।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি। সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। গত রোববার ১১১ বারের মতো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে।


সাগর   রুনি   হত্যা   মামলা   তদন্ত  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আইন অনুযায়ী প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) নিয়ে এক রিটের শুনানিতে, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আদেশ দেন।

আদেশের আগে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতি উন্নয়ন সুশাসনের অন্তরায়, তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতেই হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।

আদালত আরও বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়; সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।

পরে রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসেব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে। যার আজ শুনানি হল। 


সরকারি   কর্মকর্তা   কর্মচারী   সম্পদ   হিসাব   দাখিল   নির্দেশ   হাইকোর্ট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় মাদারগঞ্জ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কারাগারে

প্রকাশ: ০১:১৯ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরের মাদারগঞ্জে সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী নওশের আলী হত্যা মামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।

 

সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের আদালত এই আদেশ দেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগের দিন তিনি কারাগারে গেলেন।  

 

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান, ‘ব্যবসায়ী নওশের আলী হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমু উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় তিনি আজ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন নামঞ্জুর করে মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।’

 

চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমু মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরে রাজনৈতিকভাবে অনেককে হয়রানি করেছেন। এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ২০২০ সালের, দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়ার কারণে মামলাটি বিলম্ব হয়েছে। এই মামলার সাথে তার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটা স্থানীয় এলাকার সম্পুর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়, উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে হত্যা মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করেন তিনি। এই বিষয়টি আমলে নিয়ে রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

 

এই মামলায় আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম। তবে এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।      

 

এদিকে, মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের সংবাদ মাদারগঞ্জে পৌছালে তার কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। উপজেলার বালিজুড়ি বাজার থেকে বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত জামালপুর-মাদারগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে কর্মী-সমর্থকরা। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে কর্মী-সমর্থকরা রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এই ঘটনায় সকল যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এ সময় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।  

 

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় তার কর্মী-সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। অবরোধ তুলে নিতে তাদের বোঝানো হচ্ছে, পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।           

প্রসঙ্গত, মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি বাজারের ঠাকুরবাড়ি মোড়ে গত ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর নেতৃত্বে রায়হান কিবরিয়া রিমন, আবুল হোসেন, রবিউল ইসলাম, বায়েজিদসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী নওশের আলীর উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় নওশের আলী গুরুতর আহত হন, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহত নওশের আলীর বড় ছেলে মো: আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় চার্জশীটভুক্ত আসামী মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমু উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি গত ২৬ জুন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন, আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণের কথা ছিল।


ব্যবসায়ী হত্যা   উপজেলা চেয়ারম্যান   কারাগারে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন