নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৩ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন হাইকোর্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিলের রায় প্রকাশ করেছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, সাজা কখনো স্থগিত হয় না।
গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৩ মে ড. ইউনূসের জামিন ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩ (৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
সাজা স্থগিত আদেশ বাতিল দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি নির্দেশ হাইকোর্ট
মন্তব্য করুন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিলেটের কর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের বসুন্ধরায় একটি ৯ তলা বাড়ি ও রাজধানীতে থাকা দুটি ফ্ল্যাট ও তিনটি বাণিজ্যিক স্পেস জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদক ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৩১ জুলাই মামলা করে দুদক। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ এনামুল হকের ঢাকার বসুন্ধরার জি-ব্লকে ৯ তলা বাড়ি, বনানী ও কাকরাইলে দুটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকায় তিনটি বাণিজ্যিক স্পেস ও গুলশানে কার পার্কিংয়ের জায়গা জব্দ করার আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর বাইরে এনামুল হকের গাজীপুর ও বাড্ডার জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ৮৬৬ শতক জমি ও ঢাকার চারটি ফ্ল্যাট জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সম্প্রতি এনবিআরের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ল।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।
এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কয়েকজন বিদেশি পর্যবেক্ষক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ২৩ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে স্থায়ী জামিন না দিয়ে ৪ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ান শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন আদালত।
মন্তব্য করুন
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে বসুন্ধরায় তিনটি ফ্ল্যাট ও শাম্মী আখতার শিভলীর নামে জিগাতলায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে মতিউরের নামে ১১৪ শতাংশ জমি, তার স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ৫২২ শতাংশ জমি, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে ২৭৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এ ছাড়া মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতার নামে বসুন্ধরায় পাঁচ কাঠা প্লট এবং শাম্মী আখতার শিভলীর নামেও পাঁচ কাঠা প্লট রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক। রায় প্রকাশ হলে আপনারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। আমরা শুনব।
এসময় পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর কোটা নিয়ে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। একইসাথে রাজপথে আন্দোলন করে সুপ্রিমকোর্টের রায় পরিবর্তন করা যায় কি না সেটিও জানতে চান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে, গত ৯ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এরপরই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় পুনরায় কোটা বিরোধী আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রয়েছে।
এর আগে, গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আর ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের ওপর আজ (বৃহস্পতিবার) শুনানি হতে পারে। হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৮ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
এর আগে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত ৯ জুন এ আবেদনটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন কোটা পুনর্বহাল করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান।
নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এমন পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী জানান, পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করেছিল। এটা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা স্থগিত রাষ্ট্র পক্ষ আবেদন শুনানি আজ
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের ওপর আজ (বৃহস্পতিবার) শুনানি হতে পারে। হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৮ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।