কালার ইনসাইড

ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তা কি চলচ্চিত্রের জন্য হুমকি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বিনোদন ভুবনে বর্তমান সময়ে ‘ওয়েব সিরিজ’ অতি পরিচিত নাম। চলচ্চিত্র বা নটক নির্মাণ করে ইন্টারনেটের বিভিন্ন স্ট্রিমিং সাইটে প্রকাশ করা হয় বলে এর নামকরণ হয়েছে ওয়েব সিরিজ। হলিউডে নব্বইয়ের দশকে এর প্রচলন শুরু হলেও, একুশ শতকে ইন্টারনেটের ব্যাপকতায় জনপ্রিয় হয়ে উঠে ওয়েব সিরিজ। ইউটিউব, নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজন প্রাইম-এর মতো বহু স্ট্রিমিং সাইট খুললেই ভুরি ভুরি ওয়েব সিরিজের দেখা মেলে।

শুধু ইংরেজি নয়, বাংলা ও হিন্দি ভাষাভাষী দর্শকদের কাছেও ওয়েব সিরিজ হয়ে উঠছে অমৃতসম। সম্প্রচার সময়, বিজ্ঞাপন বিরতির বিড়ম্বনা এমনকি সেন্সরের ঝামেলা পোহাতে হয় না বলে নির্মাতারা ওয়েব সিরিজ নিয়েই আজকাল বেশী মাথা ঘামাচ্ছেন। এসব কারণে দর্শকদের কাছেও বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চাইলেই দর্শক মুঠোফোনে কিম্বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে যখন খুশি দেখে নিতে পারেন।

ওয়েব সিরিজের এমন জনপ্রিয়তা অভিনয়শিল্পীদেরও টানছে। মূল ধারার শিল্পিরাও আজকাল ওয়েব সিরিজে নাম লেখাচ্ছেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় তারকা ইতিমধ্যে ওয়েব সিরিজে নাম লিখিয়েছেন। এই তালিকায় আছেন অভিনেত্রী পপি, আঁচল, পরীমনি, বিপাশা কবির, অভিনেতা আরফান নিশো, এ বি এম সুমনসহ বেশ কয়েকজন তারকা। সম্প্রতি ‘ইন্দুবালা’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন চিত্র নায়িকা ‘পপি’। অন্যদিকে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘প্রীতি সমাচার’ নামে একটি ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে নায়িকা পরিমণিকে। কেউ আবার আছেন উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায়। শোনা যায়, অভিনেতা নিরবও ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন।

কলকাতার ওয়েব সিরিজগুলো পাল্লা দিয়ে চলেছে টেলিভিশন ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বলা যায় রমরমা অবস্থা। দুপুর ঠাকুরপো, জাপানি টয়, হলি ফাঁক, কালি, ধানবাদ ব্লুজ, সেই যে হলুদ পাখি, হ্যালো, ব্যোমকেশ-এর মতো ওয়েব সিরিজগুলো ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যেখানে অভিনয় করতে দেখা গেছে পাওলি দাম, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রাইমা সেন, প্রিয়াঙ্কা সরকার, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য-এর মতো মূল ধারার তারকাদের।

অন্যদিকে বলিউডে চলচ্চিত্রের পাশপাশি সমানভাবে প্রভাব বিস্তার করছে অনলাইন বিনোদন। কিছু কিছু তারকা চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে গিয়ে ওয়েব সিরিজে মনযোগী আবার কেউ আছেন বড় পর্দা ও ওয়েব সিরিজ দুটোই সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন। সেক্রেড গেমস, মির্জাপুর, ব্রিদ, লিটল থিংস, ইয়ে মেরে ফ্যামিলি, ঘাউল, স্মোক-এর মতো ওয়েব সিরিজগুলো বিভিন্ন অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর এসবে অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, আর মাধবান, আলী ফজল, কাল্কি কোয়েচিন ও রাধিকা আপ্তের মতো তারকারা। শোনা যায় জুহি চাওলা, অনুপেম খের, রিচা চড্ডার মতো তারকারাও আছেন ওয়েব সিরিজের অপেক্ষায়। সর্বশেষ এই মাধ্যমে নাম লেখিয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ভারতীয় ঔপন্যাসিক বিলাল সিদ্দিকির ‘বার্ড অব ব্লাড’ অবলম্বনে নির্মিত হবে এটি। এতে শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যাবে ইমরান হাশমি ও ঋভু দাশগুপ্তকে। অভিনয়ের পাশপাশি ওয়েব সিরিজটির প্রযোজনায় থাকছে শাহরুখের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট’।

ওয়েব সিরিজের ব্যাপকতা প্রসঙ্গে কি ভাবছেন তারকারা? চিত্র নায়িকা পপি বলেন, ‘যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ওয়েব কন্টেন্টের যুগ শুরু হয়ে গেছে। সব দেশেই তো হচ্ছে। ভালো কিছু হলে তো কাজ করতে আপত্তি নেই।’ আরেক নায়িকা আঁচল বলেন, ‘ সিনেমা হলে শাকিব খানের ছবি ছাড়া অন্যদের ছবি খুব একটা চলছে না। এমন অবস্থায় সিনেমার ঝুঁকি না নিয়ে ওয়েব সিরিজ করাই ভালো।’

অভিনেতা এ বি এম সুমনের মতে, মানুষ এখন হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সময় পাচ্ছে না। ডিজিটাল যুগে সবকিছু এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। তাই কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই শুধুমাত্র ইন্টারনেটে থাকলেই অনলাইন কন্টেন্ট দেখার সুযোগ থাকছে।’

কিছুদিন আগে কলকাতার অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল এক সাক্ষাৎকারে জানান, যেভাবে ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তাতে চলচ্চিত্র শিল্প ও টেলিভিশন ধারাবাহিকগুলো ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়বে।

তারকাদের কথা অনুযায়ী বলা যায়, যদি বিনোদনের মাধ্যমগুলো মানুষের মুঠোফোনে চলে আসে, তাহলে তো দর্শকশুন্য হয়ে পড়বে সিনেমা হল কিম্বা টেলিভিশন নাটক। তাহলে কি ভবিষ্যতে নাটক, সিনেমা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চলে আসবে? আর টেলিভিশন কিম্বা সিনেমা হলের বিলুপ্তি ঘটবে। এমন শঙ্কাও তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না।  

  

বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি 

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিকাগোর হোটেলে আগুন আতঙ্কে বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীরা

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর একটি পাঁচতারা  হোটেলে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন শিল্পী। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর সাড়ে চারটায় হঠাৎ আগুন লাগার সংকেতে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। হোটেলের সবাই যার যার মতো করে নিরাপদে সরে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ঘটনাটিকে রীতিমতো ভয়াবহ আতঙ্কের বলে জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। 

নর্থ আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে সংগীতশিল্পী অদিতি মহসীন ও অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় যান। স্থানীয় সময় ৪, ৫ ও ৬ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ভারত থেকে স্বস্তিকা মুখার্জি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, সৌরসেনী মৈত্র, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, অর্জুন চক্রবর্তী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, উজান গঙ্গোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়, অরিন্দম শীল, ব্যান্ড ফসিলস, সোমলতা, ইমন চক্রবর্তী ছিলেন। সবাই সেখানকার হায়াত রিজেন্সি হোটেলে উঠেছিলেন। তিন দিনের এই সম্মেলনে ভালোই সময় কাটছিল তাদের। কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ আগুন আতঙ্কে ভীত হয়ে পড়েন সবাই।                     

এটি ছিল বঙ্গ সম্মেলনের ৪৪তম আসর। তিন দিনের সম্মেলন এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। চঞ্চল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বললেন, ‘ভোরবেলা হোটেলের প্রতিটি রুমের অ্যালার্ম বেজে গেল। কেউ হয়তো রুমে সিগারেট খেয়েছিল। ওইটা নিয়ে। কলকাতা ও ঢাকা থেকে একটা বিশাল টিম আসছি। সবাই শুধু পাসপোর্ট নিয়ে বের হতে পারলেই বেঁচে যায়। লাগেজ রেখে নিচে নেমে পড়ি। লিফট বন্ধ হয়ে গেল। পরে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। এই অ্যালার্ম ২০ মিনিটের মতো বাজতে থাকল। তারপর থামল। এর মধ্যে সবাই লবিতে জড়ো হলো। পরে অ্যালার্ম যখন থামল, তখন সবাই আবার সিঁড়ি বেয়ে যার যার রুমে যায়। পরে জানতে পেরেছি, এটা কারিগরি ত্রুটি ছিল, কোনো একটা কারণে বেজে ওঠে। সাধারণত হোটেলে ধূমপান করলে এভাবে বেজে ওঠে। পুরোপুরি টেকনিক্যাল সমস্যা। অত রাতে রিসিপশনেও কাউকে পেলাম না। যখন অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে গেল, যার যার মতো করে যার যার রুমে চলে গেলাম আরকি।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অরিন্দম শীল জানান, গরম পোশাক গায়ে না জড়িয়েই পাঁচতলার হোটেল রুম থেকে নিচে নামেন তিনি। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় থেকে সোহিনী সবাই প্রাণ বাঁচানোর দৌড় দেন।


শিকাগো   আগুন   বাংলাদেশ   ভারত   যুক্তরাষ্ট্র   চঞ্চল চৌধুরী   স্বস্তিকা মুখার্জি   পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়   শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়   সোহিনী সরকার   সৌরসেনী মৈত্র   অম্বরীশ ভট্টাচার্য  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এক সপ্তাহে ৭০০ কোটির রেকর্ড 'কল্কি'র

প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রভাস এবং দীপিকা পাডুকোন অভিনীত 'কল্কি' ২৮৯৮ এডি মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। প্রথম দুই সিজনের অসাধারণ সাফল্যের পর এই ছবি মুক্তির সাত দিনের মধ্যেই ৭০০ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই ছবি ভবিষ্যতে আরও অনেক রেকর্ড গড়বে। সিনেমাপ্রেমীরা এর দ্বিতীয় পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

ভারতের বাইরে, আন্তর্জাতিক বাজারেও 'কল্কি' সাফল্যের দাপট দেখাচ্ছে। বৈশ্বিক বক্স অফিসে 'কল্কি' এ বছর সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে। এর পরেই রয়েছে 'হনুমান' এবং হৃতিক রোশন-দীপিকা পাডুকোন অভিনীত 'ফাইটার'।

হিন্দি বেল্টে এখনও কিছুটা পিছিয়ে থাকা 'কল্কি' এখন পর্যন্ত ১৬২.৮ কোটি রুপি আয় করেছে। এ বছরের সর্বাধিক আয়কারী হিন্দি ছবির তালিকায় এটি বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এর আগে রয়েছে 'ফাইটার', 'শয়তান', এবং 'ক্রু'। 'কল্কি' হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলেগু, মালয়ালাম এবং কন্নড় ভাষায় মুক্তি পেয়েছে।

নির্মাতাদের মতে, 'কল্কি'র চূড়ান্ত সাফল্যের মূল উপাদান হল ভিএফএক্স। প্রযুক্তিগত দিক থেকে এই ছবি হলিউডের ছবির সাথে পাল্লা দিতে পারে। অমিতাভ বচ্চনের 'অশ্বথামা' চরিত্রের শক্তিশালী অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে, আর প্রভাসও তাঁর সেরাটা দিয়েছেন। দীপিকা পাডুকোনের 'সুমতী' চরিত্রের মায়াবী উপস্থিতি দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। কমল হাসান 'সুপ্রিম ইয়াস্কিন' চরিত্রে খলনায়কের ভূমিকায় স্বল্প উপস্থিতিতেই প্রভাব ফেলেছেন।

কমল হাসান জানান, 'কল্কি'র দ্বিতীয় পর্বে তাঁর চরিত্রটি আরও বড় হবে। তিনি বলেন, "এই ছবিতে আমি ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, কিন্তু সিকুয়েলে আমার ভূমিকা অনেক বড় হবে।"

পরিচালক নাগ অশ্বিন জানান, 'কল্কি'র দ্বিতীয় পর্ব সম্পূর্ণ হতে তিন বছর সময় লাগবে। প্রযোজক অশ্বিন দত্ত জানান, দ্বিতীয় পর্বের ৬০ শতাংশ শুটিং সম্পন্ন হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যগুলোর শুটিং এখনও বাকি।

'কল্কি'তে ম্রুণাল ঠাকুর, বিজয় দেবারাকোন্ডা, দুলকর সালমান, এস এস রাজামৌলি, এবং রাম গোপাল ভার্মাকে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গেছে। ফ্যানদের প্রশ্ন, তারা কি 'কল্কি টু'তে দুলকর সালমান ও বিজয় দেবারাকোন্ডাকে দেখতে পাবেন? নাগ অশ্বিন বলেন, "দুলকর সালমান ও বিজয় দেবারাকোন্ডার ভ্রমণ এই পর্যন্ত সীমিত ছিল। তবে দুলকর সালমানের চরিত্রের জন্য কোনও বিশেষ ধারণা এলে তাঁকে আবারও দেখা যেতে পারে।"


কল্কি ২৮৯৮ এডি   প্রভাস   দীপিকা   অমিতাভ বচ্চন   কমল হাসান   শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

গাজার শিশুদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলার দিলেন নিকোলা কফলান

প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলছে ইসরাইলি বাহিনীর নিষ্ঠুর হামলা। এ হামলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। এই সংঘাতে প্রায় ২০ হাজার শিশু এতিম হয়ে গেছে। গাজার এসব অসহায় শিশুদের সাহায্যের জন্য বিশ্বের অনেক তারকা এগিয়ে এসেছেন। এবার নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজ ‘ব্রিজারটন’-এ পেনেলোপ ফেদারিংটন চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে পরিচিত পাওয়া আইরিশ অভিনেত্রী নিকোলা কফলানও তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন।

নিকোলা কফলান সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছেন এবং তা অনুদান হিসেবে দিয়েছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিকোলা কফলান এই ২০ লাখ মার্কিন ডলার প্যালেস্টাইন চিলড্রেনস রিলিফ ফান্ডে (পিসিআরএফ) দান করেছেন। এই উদ্যোগের জন্য সংস্থাটি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

সংস্থাটি এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'ব্রিজারটন' তারকা নিকোলা কফলানকে অসাধারণভাবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ এবং তা সরবরাহের জন্য ধন্যবাদ। ত্রাণ, পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা এবং শান্তির সমর্থনে, বাস্তুচ্যুত শিশু ও দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য মানবিক সহায়তা এবং চিকিৎসা ত্রাণ প্রদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই আইরিশ অভিনেত্রীর প্রচেষ্টা শুধু তহবিল সংগ্রহেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করেছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন,

‘আমি আমার স্বপ্নের কাজ করছি এবং বিশ্ব ভ্রমণে যাচ্ছি। তবে বর্তমানে গাজার দক্ষিণের ছোট শহর রাফাতে কী ঘটছে, সেই সম্পর্কেও যথেষ্ট সচেতন আমি।’

নিকোলা কফলানকে বিভিন্ন সময় ফটোশ্যুটে এবং ‘ব্রিজারটন’-এর প্রচারণার সময় যুদ্ধবিরতি ও শিল্পীদের নিরাপত্তার প্রতীক ব্যাজ পরা অবস্থায় দেখা গেছে। জানা গেছে, নিকোলা কফলানের বাবা মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং তার পরিবার ৭০-এর দশকের শেষ দিকে জেরুজালেমে বসবাস করত। এই কারণেই অঞ্চলটির প্রতি তার গভীর টান রয়েছে।


ব্রিজারটন   গাজা   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টালি তারকাদের কাছে কেমন লাগলো শাকিব-রাফির 'তুফান'

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫ দেশের দর্শকদের মন জয় করার পর এবার ভারতের টালি তারকারা শাকিব খান ও তার সিনেমার পুরো দলকে অভূতপূর্ব ভালোবাসা জানাচ্ছেন। যাদের মধ্যে ছিলেন প্রসেনজিত চ্যাটার্জি, দেব, শুভশ্রী গাঙ্গুলী প্রমুখ।

শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী অভিনীত রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমাটিকে ঘিরে মুক্তির আগেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টালিগঞ্জে জমজমাট পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কলকাতায় ‘তুফান’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়, যেখানে ‘তুফান’ দেখতে টালিপাড়ার তারকাদের মাঝে উন্মাদনা দেখা গেছে।  

‘তুফান’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিং উপলক্ষে টালিপাড়ার তারকারা উপস্থিত হয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটি শপিং মলে। সেখানে ‘তুফান’-এর একটি প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিক্রম চ্যাটার্জি, কৌশনী, বনি সেনগুপ্ত, মধুমিতা সরকার, ইধিকা পাল, অনিন্দ্য চ্যাটার্জি, দর্শনা বণিক, সৌরভসহ ওপার বাংলার এক ঝাঁক তারকা শিল্পী।

প্রিমিয়ার শেষে সৌরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দারুণ! আজ টলিউড পুরোপুরি মেতে উঠেছে তুফানের সিনে। তুফানের জন্য অনেক শুভকামনা। অসাধারণ হয়েছে।’

দর্শনা বণিক বলেন, ‘তুফানের জন্য শুভকামনা। খুব ভালো হয়েছে। বাংলাতে এমন অ্যাকশন ফিল্ম আরও হোক।’

কৌশনী জানান, ‘বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, ওখানকার মানুষ শাকিবকে রজনীকান্তের মতো ভালোবাসেন। শুনেছি সেখানে তুফান ব্লকবাস্টার হয়েছে। সিনেমাটি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গেও তুফান সফল হবে।’

ইধিকা পাল বলেন, ‘তুফান আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শাকিবের প্রেজেন্টেশন। আমি ভাবছিলাম কত পরিশ্রমই না তিনি করেছেন। পুরো টিমকে অভিনন্দন। কলকাতার মানুষ তুফানকে বরণ করে নিক।’

শুক্রবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় অর্ধশত সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ব্লকবাস্টার হিট ছবি ‘তুফান’। সিনেমাটি একজন গ্যাংস্টারের গল্প নিয়ে নির্মিত, যেখানে নব্বই দশকের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেই সময়ের এক নামকরা গ্যাংস্টারের কাহিনি নিয়ে এগিয়েছে তুফানের গল্প।

যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘তুফান’-এ যুক্ত আছে বাংলাদেশের প্রযোজনা সংস্থা চরকি ও আলফা আই এবং ভারতের এসভিএফ। শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী ছাড়াও এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু প্রমুখ।  


তুফান   শাকিব খান   রায়হান রাফি   মিমি   নাবিলা   চঞ্চল চৌধুরী   ফজলুর রহমান বাবু  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বেয়াদবির কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন অপু বিশ্বাস: বুবলী

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নায়ক শাকিব খানকে ঘিরে নায়িকা  অপু বিশ্বাস শবনম বুবলী প্রায়ই একে অপরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন। যা শুরু থেকেই নেটিজেনরা দেখে আসছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা পরীমনিও। বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলায় বেশ খুশি অপু বিশ্বাস। এই নায়িকা মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।

এদিকে, অপুর এমন মন্তব্য পৌঁছে গেছে বুবলীর কান পর্যন্ত। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তাই অপুর এই প্রসঙ্গ কথা তুলেছেন তিনি। বুবলী বলেন, এই মহিলা (অপু বিশ্বাস) আবার ইন্ডাস্ট্রিতে তার ছোট বোনদের কথা বলে। ছোট বোন বানিয়েছেই তো নিজের স্বার্থের জন্য, আমার নামে সারাক্ষণ বাজে কথা বলে ওদের কান ভারী করাতে। নায়করাজ রাজ্জাক, মান্না স্যাররা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারও বন্ধু হয় না। আর এই মহিলা এতগুলো নায়িকাকে বানায় ছোট বোন। এসব পাবলিক বোঝে। আর ওই ছোট বোনরাও সবাই স্মার্ট এবং প্রতিষ্ঠিত। তারাই আমাকে বলে দেয় এসব চালাকির কথা। কারণ, তাদের কারও সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, এটা তারাও জানে।

কদিন আগেই অপু বিশ্বাস দাবি করেছেন, শাকিব খানের শত্রুদের সঙ্গেই বুবলীর ওঠাবসা বেশি। বিষয়টি নিয়েও কথা বললেন বুবলী। জানান, ২০০৮ সালে শাকিব খান অসুস্থ হলে দৌড় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জায়গায় সিনেমা সাইন করেছিলেন তিনি। পরে স্বার্থের জন্য আবার শাকিব খানের সঙ্গে ভিড়েছিল। তার এসব ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা জানেন। জনা আপু, বিদ্যা সিনহা মিম, মারুফ ভাই, কাজী হায়াৎ আঙ্কেল থেকে শুরু করে উনি অনেকের সঙ্গে এফডিসিতে কী বেয়াদবি করেছিলেন, এটাও নিউজ পেপার কাটিং আছে। এমনকি বেয়াদবির কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে শাকিব খান এবং তার পরিবার নিয়ে কী অপমানজনক কথা উনি বলেছিলেন, সব আছে ভিডিওতে। আরেক নায়কের সঙ্গে যখন আবারও প্রেমের গুঞ্জন চড়াও হলো, যখন ওই নায়কের সঙ্গে ওখানে কিছুদিন পর আর বনিবনা হলো না, তখন সে বলল এ রকম প্রেম প্রেম কথা উঠিয়েছে নাকি ইচ্ছা করে!

বুবলী কথা প্রসঙ্গে এ-ও বলেন, ২০১৭ সালে এফডিসিতে যখন শাকিব খানের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল, তখন শাকিবের বিরুদ্ধে ছিল অপু বিশ্বাস। এ রকম অনেকের সঙ্গে সেলফিতে হা হা হি হি করতে দেখা গেছে, যারা শাকিবের বিরোধিতা করেছেন। উঠে এসেছে পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রসঙ্গও। নিজের উদাহরণ টেনে অপু বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, নিকেতনে এক ভাবির দাওয়াতে গিয়েছিলাম। তিনি আমার জন্য খাবারও নিয়ে এসেছিলেন। যখন শুনলাম ইকবাল ভাই আসবেন, আমি চলে এসেছি। আমার পরিবারের কাউকে অসম্মান করবে, আমি তার মুখোমুখিও হবো না।

অপুর এমন দাবির প্রসঙ্গে বুবলীও দাবি করেছেন, ইকবাল ভাইয়ের ছায়া নাকি উনি (অপু বিশ্বাস) দেখেন না। কিন্তু কেন? কারণ, ইকবাল ভাইয়ের কাছের একজন প্রযোজক কিছুদিন আগে তাকে অনুদানের এক সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সাইনিং মানিও ফেরত নিয়েছিলেন। সেলিম ভাই বা ইকবাল ভাই যখন আমাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন, আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন, তখন তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন না, বানালে ঠিকই করতেন। এমন কোনো উদাহরণ আছে, তারা তার কাছে মুভি নিয়ে গেছেন অথচ উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন? নেই। কিন্তু চালাকি করে উনি শাকিবের নাম ওপর চাপিয়ে দিল এখানেও। উনি কাকে কী বোঝান? হাস্যকর।


অপু বিশ্বাস   বুবলী   শাকিব খান   বিস্ফোরক মন্তব্য  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন