ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্ষমতাবান আমলারা অবসরের পর কেন হারিয়ে যাচ্ছে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail ক্ষমতাবান আমলারা অবসরের পর কেন হারিয়ে যাচ্ছে

আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে। তিন মেয়াদের মধ্যেই আমলাদের বাড়বাড়ন্ত ছিল লক্ষণীয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আমলারা ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি তারা অনেক সময় সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যন্ত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একক আমলার ওপর নির্ভরশীল থাকেনি। বরং বিভিন্ন সময় আমলাদেরকে পরিবর্তন করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বা মুখ্য সচিব, এমনকি তার একান্ত সচিব তিনি বারবার পরিবর্তন করেছেন। যার ফলে দেখা গেছে যে, একদা ক্ষমতাবান আমলা কিছুদিন পরে ক্ষমতাহীন হয়ে গেছেন। আবার দেখা গেছে, অনেক ক্ষমতাবান আমলা অবসরের পরে হারিয়ে গেছেন। এরকম কয়েকজনকে নিয়েই আমাদের এই প্রতিবেদন।

১. মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান: আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে। এ সময় অন্যতম ক্ষমতাবান আমলা ছিলেন মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান। মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান প্রধানমন্ত্রীর সচিব, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হয়েছিলেন। তাকে তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও দেয়া হয়েছিল। অবসরের পরে তিনি প্রথমে একটি জায়গায় নিয়োগ পেয়েছিলেন কিন্তু সেই নিয়োগও এখন তার নেই। নরসিংদীতে নির্বাচন করা নিয়ে গুঞ্জন ছিল কিন্তু এখন মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান অনেকটাই হারিয়ে গেছেন।

২. আবুল কালাম আজাদ: আওয়ামী লীগের ১৩ বছর মেয়াদের সময় সবচেয়ে প্রভাবশালী আমলা হিসেবে পরিচিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ছিলেন, তার আগে তিনি ইআরডি সচিব এবং বিদ্যুৎ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব থেকে অবসর গ্রহণের পরে তাকে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারী হিসেবে। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তার চুক্তি আর বাড়ানো হয়নি। এরপর তিনি রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদ বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এখন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি হিসেবে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তার যে প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিলো আমলা হিসেবে, তার ধারেকাছেও এখন তিনি নেই।

৩. নজিবুর রহমান: নজিবুর রহমান আরেক ভাগ্যবান এবং ক্ষমতাবান আমলা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি এনবিআরের চেয়ারম্যান ছিলেন, সেখান থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব হিসেবে যোগদান করেছিলেন। মুখ্যসচিব থাকা অবস্থায় তার ক্ষমতার দাপট ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাননি এবং অবসরের পরে এখন তিনি হারিয়ে যাওয়া একটি অধ্যায়। প্রশাসন বা রাজনীতি, কোন অঙ্গনেই তার কোন খোঁজ খবর নেই।

৪. আবদুল মালেক: আবদুল মালেক ৮৪ ব্যাচের একজন দাপটে কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় সরকার সচিব এবং তথ্য সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এখন তথ্য অধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। আমলা হিসেবে যে দাপট এবং ক্ষমতা তার ছিল, সেই ছিটেফোঁটাও এখন আর তার নেই।

৫. ইকবাল মাহমুদ: ইকবাল মাহমুদ জনপ্রশাসন সচিব ছিলেন ২০০৯ সালে। জনপ্রশাসন সচিব থেকে তাকে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকে সরকার নিয়োগ দেয়। সেখান থেকে আসার পর তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এখন নিজেকে তিনি গুটিয়ে রেখেছেন। তেমন কোন আলোচনায় তাকে দেখা যায় না।

আমলা হিসেবে দাপুটে এবং ক্ষমতাবান অনেকেই এখন হারিয়ে হারিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রথম একান্ত সচিব এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সচিব নজরুল ইসলাম খান এখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর একজন সদস্য হিসেবে রয়েছেন। আরেক দাপুটে আমলা আবু আলম শহিদ খান এখন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা টকশোতে বক্তব্য বিবৃতি দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিশ্বব্যাংকে সরকারের মনোনয়ন শেষে এসে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাচ্ছেন। এরকম অনেক আমলা যারা যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন প্রচণ্ড ক্ষমতাবান এবং আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতিনির্ধারক হিসেবে নিজেদেরকে জাহির করতেন, তারা এখন হারিয়ে যাওয়া অধ্যায়।

আমলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৭৩ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সব বহিষ্কার সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বরং যারা উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী, তারা দলের নির্দেশ অমান্য করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় পার্টিকে উপজেলা নির্বাচনে তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং হতাশার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচটি শঙ্কা ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। 

১. ভোটার উপস্থিতি: উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটার উপস্থিতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। একাধিক প্রার্থী যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, দলের ভিতর যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি পারে সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই কৌশল কতটুকু কার্যকর হবে, ভোটাররা ভোটে কতটুকু আগ্রহ দেখাবে- সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে।

২. আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খল অবস্থা: উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় শঙ্কার জায়গা হল আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা এবং এই বিশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে কারণে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থীদের সহিংসতার ঘটনা উপজেলা নির্বাচনকে উত্যক্ত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন স্থানে তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে।

৩. প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ: নির্বাচনে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাধা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ না শুনেই মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন। শুধু প্রার্থী করাই নয়, এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিপক্ষকে ঘাবড়িয়ে দেওয়া, ভোটারদেরকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি প্রবণতাগুলো উপজেলা নির্বাচনকে ম্লান করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।

৪. প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রভাবশালীরা যখন নির্বাচনের মাঠে হস্তক্ষেপ করবে তখন প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

৫. ভোটারদের অনীহা: উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের অনীহা রয়েছে। কারণ একাধিক বিকল্প প্রার্থী এবং ভিন্নমতের প্রার্থী না থাকার কারণে উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের এই অনাগ্রহ উপজেলা নির্বাচনকে একটি সাদামাটা নির্বাচনে পরিণত করতে পারে বলেই অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। 

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সেই মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কালবেলার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন