ইনসাইড বাংলাদেশ

চাপ দিয়ে কি সরকারকে নতজানু করা যাবে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail চাপ দিয়ে কি সরকারকে নতজানু করা যাবে?

স্পষ্টত আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে বাংলাদেশের ওপর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন একের পর এক যেমন বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে, এখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বাংলাদেশের ওপর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আর এই চাপ সৃষ্টির প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গুম ইত্যাদি বিষয়গুলোকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, বাংলাদেশে যতটুকু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে বা বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে যত প্রশ্ন করা হয়, তারচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বিশ্বে এমন আরো অনেকগুলো রাষ্ট্র নিয়েও কোনো কথা বলা হচ্ছেনা। আমরা পাকিস্তানের কথাই ধরতে পারি। পাকিস্তানে যে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ সেটা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু পাকিস্তানের কাউকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন নিষিদ্ধ করেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়না। পাকিস্তানের এলিট ফোর্সকে নিষিদ্ধ করার জন্য কোনো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে এমন কোনো তথ্য নেই। ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সেখানকার বুদ্ধিজীবী এবং সুধীজন একের পর এক প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। এমনকি অর্মত্য সেন পর্যন্ত ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ আখ্যা দিয়েছেন এবং এটি হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। কোথায়? ভারতের বিরুদ্ধে তো কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার খবর পাওয়া যায়না? তাহলে কেন বাংলাদেশ?

বাংলাদেশে গত এক যুগে বিস্ময়কর উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সংঘটিত হয়েছে। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আর এই কারণেই প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা ঠেকানোর জন্যই কি এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে? বিভিন্ন মহল মনে করে যে, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তা অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ঘুরে দাঁড়ানো অনেকের কাছেই পছন্দ না। আর সে কারণেই বাংলাদেশের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এ সমস্ত চাপের পিছনে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী অপশক্তির একটা সক্রিয়, প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলেই অনেকে মনে করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চাপ দিয়ে কি বাংলাদেশকে নতজানু করা যাবে?

বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই আন্তর্জাতিক নানারকম ষড়যন্ত্রের ক্রিয়াক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ওপর ষড়যন্ত্র হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বাধীন বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তখন বাংলাদেশকে একই রকম চাপ দেয়া হয়েছিল। পিএল-৪৮০ এর গম চালান বাংলাদেশে পাঠানো বন্ধ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বাংলাদেশে একটি কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেই জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল। আর এই ষড়যন্ত্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে অব্যাহত ছিলো। ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখনও আন্তর্জাতিক চাপ আসে। বাংলাদেশকে গ্যাস বিক্রির জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যেই বলেছেন সে সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গ্যাস দেয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল এবং বাংলাদেশ সেই চাপে নতি স্বীকার করেনি জন্যই ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিততে পারেনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি এটিও প্রকাশ্যে বলেছেন যে, 'র' এর সঙ্গে আঁতাত করে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটকে জেতানো হয়েছিল। তাহলে কি একই ষড়যন্ত্র নতুন করে হচ্ছে? 

কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে যে, বাংলাদেশ একটি বদলে যাওয়া দেশের নাম। গত এক দশকে বাংলাদেশ স্বনির্ভর, স্বাবলম্বী এবং আত্মপ্রত্যয়ী একটি জাতি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কাজেই চাপ দিয়ে বাংলাদেশকে নতজানু করা হবে বা ১৯৭৫ সালে বা ২০০১ সালে যা করা হয়েছিল এখন তা করা যাবে, এটি বাস্তবতা নয়। বরং বাংলাদেশ এখন অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্যের তীর্থভূমি এবং আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম ক্ষমতাধর অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এরকম বাস্তবতায় যারা বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে বা বাংলাদেশকে নিয়ে ভিন্ন ধরনের খেলা খেলছেন তারা কতটুকু সফল হবেন, এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ, বাংলাদেশ এখন আর আগের বাংলাদেশ নেই। চাপ দিয়েই সরকারকে নতজানু করার মতো পরিস্থিতিও বাংলাদেশে নেই। আন্তর্জাতিক যে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বাংলাদেশের র‍্যাবকে নিষিদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘ দাবি করেছেন, এই সংগঠনগুলোর পিছনে কারা মদদদাতা সে প্রশ্ন যেমন রয়েছে, তেমনি তারা এই প্রচেষ্টায় সফল হবে কিনা সেটি নিয়েও কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সবচেয়ে চৌকশ এবং পেশাদার দেশটির নাম হলো বাংলাদেশ। কাজেই, বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যে নোংরা খেলা হচ্ছে, বাংলাদেশকে চাপ দেওয়ার যে ভয়ংকর কৌশল, সেই কৌশল এবার সফল হবে কিনা সে নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র   গুম   হিউম্যান রাইটস ওয়াচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউ'র নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক   বিএসএমএমইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রাজার ভুটান   ভুটান   তথ্য প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশি জিম্মি, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।       

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। 

অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে। 

‌স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


লিবিয়া   বাংলাদেশি   জিম্মি   নির্যাতন   ভিডিও   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দেন’

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ বা অতি-সক্রিয়তাকে ভারত যে মোটেই পছন্দ করছে না, বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছিল! 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে দিল্লির থিংক ট্যাংক ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে’ (ওআরএফ) নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি—ভারতের পক্ষ থেকে তখন এই কড়া বার্তাটা যুক্তরাষ্ট্রকে শুনিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার পরিণতিতে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যিনি তার কিছু দিন আগেও অমুক বিএনপি নেতাকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে আনছিলেন বা তমুক বিএনপি নেতার বাসায় গিয়ে হাজির হচ্ছিলেন– তাকে আর ভোটের সময় দেখাই গেল না! কোথায় যে তিনি গা ঢাকা দিলেন সেটা তিনিই জানেন!’  

গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলা যায় কিনা, এমন একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক বলেন, কোনো দল যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না অংশ নেয়, তা হলে তার জন্য বিজয়ী দলকে দোষারোপ করা সাজে না।

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের ভারতেও হামেশাই দেখা যায় যে, দল জানে তারা ভোটে হারবে, তারা অনেক আগে থেকে বলতে শুরু করে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র) কারচুপি করা হচ্ছে। কাজেই তাদের অজুহাতের অভাব হয় না।’

অনুষ্ঠানে অন্যতম আলোচক, সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ ও ঢাকায় সাবেক হাইকমিশনার বিনা সিক্রি বলেন, তার মূল্যায়ন হলো যুক্তরাষ্ট্র আসলে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে একটি ‘মডারেট’ (মধ্যপন্থি) ইসলামপন্থি দল হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের কোনো ধারণাই নেই যে, জামায়াতের চিন্তা-চেতনা ও কর্মকাণ্ড কতটা উগ্রবাদী। বিনা সিক্রি মনে করেন, এই ‘ভুল ধারণা’র ভিত্তিতেই জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গী বিএনপি আমেরিকার কাছ থেকে প্রশ্রয় পেয়ে আসছে।

এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রও আসলে জানে জামায়াতের প্রকৃত রূপটা কী। কিন্তু সেই একাত্তর থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে বিদ্বেষমূলক একটা মনোভাব ছিল, তার প্রতিফলন আজও রয়ে গেছে। এ কারণেই ওয়াশিংটন আজ অর্ধশতাব্দী বাদেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের তোল্লাই দিয়ে যাচ্ছে।

এদিনের আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ওআরএফ কলকাতার পরিচালক অনুসুয়া বসুরায় চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন ওআরএফ দিল্লির সিনিয়র ফেলো তথা স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক সুশান্ত সারিন।

পিটার হাস   নির্বাচন   মার্কিন রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন