ইনসাইড বাংলাদেশ

‘এবার ট্রেনে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়েছে’

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ০২ মে, ২০২২


Thumbnail ‘এবার ট্রেনে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়েছে’

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে এবারের ঈদযাত্রা সুষ্ঠু, নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়েছে। তিনি বলেছেন, এবার এনআইডি ছাড়া কেউ টিকেট কাটতে পারেনি। ফলে টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী ট্রেনে যেতে পারেনি। ট্রেনের কোনো সিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। নির্দিষ্ট সময়ে ও আরামে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছে যাত্রীরা।

সোমবার (২ মে) দুপুরে রেল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরিফুল আলমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৭ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত রেলওয়ের ঈদ যাত্রা শুরু হয়েছে। এবারের ঈদ যাত্রা যাত্রীদের কাছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে আরামদায়ক ও নিরাপদ । ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের কোনো হুড়োহুড়ি ছিল না। শোভন চেয়ারের যাত্রীরাও তাদের সিটে যেতে কোনো ভোগান্তিতে পড়েনি। মাঝখানে দাঁড়ানো কোনো লোক ছিল না। ছাদের যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। 

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে এবারের ঈদযাত্রা সুষ্ঠু ও নিরাপদ করা সম্ভব হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা শহরের পাঁচটি জায়গা থেকে আলাদা আলাদা অঞ্চলের জন্য টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কোচ সংযোজন করা হয়েছে। রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেছেন। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা তৎপর ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন কার্যালয়ের নিয়মিত তদারকিও ছিল।

রেলওয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটা করা সম্ভব হয়েছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া ঈদ পরবর্তী ট্রেনের যাত্রীদের একই সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন।


ট্রেনে ঈদযাত্রা   নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাভারে ডেইরি ফার্মে মিললো ১২ নিষিদ্ধ গরু

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সাদিক অ্যাগ্রোকে প্রতারণায় সহায়তার অভিযোগে সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুদক দুদক। সময় সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্রে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির ৫টি গাভী ৭টি বাছুরের সন্ধান পেয়েছে দুদকের আভিযানিক দল।

সোমবার (১ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম সেখানে অভিযান চালায়। গেল বছর কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬টি ব্রাহমা জাতের গরু সাদিক এগ্রোকে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিতে অভিযান চালায় দুদকের টিম।

জানা যায়, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পর সরকার ২০১৬ সালে ব্রাহমা প্রজাতির গরু আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে নিষেধাজ্ঞা না মেনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে করে ১৮ টি ব্রাহমা জাতের গরু দেশে আনে সাদিক অ্যাগ্রো। তবে গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন।

গরু আমদানি করতে সাদিক অ্যাগ্রো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জাল নথি দিয়ে গরু আনার ঘটনায় তখন আদালতে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে রায় দিলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো প্রজনন দুগ্ধ খামারে।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানিতে সাদিক অ্যাগ্রো তিনটি জাল নথি জমা দিয়েছিলে। নথিগুলো হলো- গবাদিপশু আমদানি-সংক্রান্ত একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী কোয়ারেন্টাইন বিভাগের কাছ থেকে একটি চিঠি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবাদিপশু আমদানির অনুমতিপত্র, যার প্রতিটিকেই জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তখনকার শুল্ক কর্মকর্তারা।


সাদিক অ্যাগ্রো   প্রতারণা   ব্রাহমা গরু   সাভার ডেইরি ফার্ম   দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পবিস-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিভিন্ন দাবিতে ফের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান কার্যালয় চাটমোহরে এই কর্মবিরতি পালন শুরু হয়েছে।

পবিস-১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এ জি এম (মানব সম্পদ) খ ম কুদরত-ই এলাহীর সভাপতিত্বে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সমিতির কার্যালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচী পালন করেন।

নিজেদের দাবী সমূহ তুলে ধরে বক্তব্য দেন, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (আইটি) সামিরুল ইসলাম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র হাসানুজ্জামান, লাইনম্যান সাজেদুর রহমান, লাইন টেকনিশিয়ান আখতার উদ্দিন প্রমুখ।

পবিস-১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি খ ম কুদরত-ই এলাহী জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করছেন। নিরলসভাবে সেবা দিয়ে আসছেন। অথচ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলেও পদ, বেতন, ভাতা, উৎসব ভাতা ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, বৈষম্যহীন অভিন্ন চাকুরী বিধির দাবীতে এর আগে গত ৫ মে থেকে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন শুরু করলে বিদ্যুৎ বিভাগ পরবর্তী পনেরো কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে এমন আশ্বাস দিলে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরেছিলেন। সমস্যা সমাধানে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ফের আমরা কর্মবিরতিতে নামতে বাধ্য হয়েছি। কেন্দ্রীয় কমিটির পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত জরুরী বিদ্যুৎ সচল ও গ্রাহক সেবা অক্ষুন্ন রেখে আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি কর্মসূচী অব্যাহত রাখবো।


পবিস   পল্লী বিদ্যুৎ   কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন পেনশন স্কীম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে গেছে। নতুন পেনশন ব্যবস্থায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুবিধা কমবে এ বক্তব্য দিয়ে তারা আন্দোলনে গেছে। শিক্ষকরা তাই নতুন ব্যবস্থাটি প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। আজ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। 

নতুন অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫ এর শুরুর দিন থেকে চালু হচ্ছে সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’। স্বশাসিত, স্বায়ত্বশাসিত, রাষ্ট্রয়াত্ত্ব, সংবিধিবদ্ধ, সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে আজ থেকে অর্থাৎ পহেলা জুলাই থেকে যারা যোগ দেবেন তাদের জন্য এই কর্মসূচি প্রযোজ্য হবে। আর এটি মেনে নিতে রাজি নয় শিক্ষক সমাজ। তারা এই সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। 

তবে এখন পর্যন্ত সরকার নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে অনঢ় অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থা থেকে সরে আসার কোন উপায় নেই বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন। তিনি বলেছেন, প্রশাসনেও আগামী অর্থবছর থেকে অর্থাৎ ২০২৫ এর পহেলা জুলাই থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে। পর্যায়ক্রমে জাতীয় পেনশন স্কিমের আওতায় সব সরকারি কর্মকর্তারা যাবেন বলেও অর্থ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। 

কিন্তু শিক্ষকরা এই অবস্থা মেনে নিতে রাজি না। আর এটি নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। আন্দোলনরত শিক্ষকদের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, তারা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী যদি পুরো বিষয়টি জানেন, তাহলে নিশ্চয় তিনি এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

শিক্ষকদের একজন নেতা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে, ভুল বুঝিয়ে শিক্ষকদের উপর নতুন পেনশন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। একারণে তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। 

শিক্ষকদের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সরকারি কাজে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছেন। জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে। এই বাজেট অধিবেশন ৩ জুলাই শেষ হতে পারে। আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাবেন। এর আগে যেকোনভাবে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের ব্যাপারে সমবেদনাশীল। এবং শিক্ষকদের প্রতি তিনি আলাদা সম্মান প্রদর্শন করেন। একারণেই পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলা হলে তিনি এর একটি সমাধান করবেন। 

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই ব্যবস্থাটি বৈষম্যমূলক এবং এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন না। এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মেধার সংকট দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে যদি এই পেনশন ব্যবস্থা চালু হয় তাহলে ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধাশূন্য হয়ে যাবে। আর তাদের মতে এই পেনশন ব্যবস্থায় শিক্ষকদের ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ নেই। 

বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় শিক্ষকদের বেতন থেকে কোন টাকা কাটা হয় না। কিন্তু ‘প্রত্যয়’ ব্যবস্থায় ১০ শতাংশ টাকা কাটার বিধান করা হয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায় অধ্যাপকরা গ্র্যাচুয়িটি বা আনুতোষিক বাবদ এককালীন ৮০ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা পান। অন্যদিকে ‘প্রত্যয়’ পেনশন ব্যবস্থায় কোন আনুতোষিক নেয়। বর্তমান ব্যবস্থায় বেতন থেকে টাকা না কেটে অধ্যাপকদের মাসিক পেনশন পান ৭৫ হাজার ৭’শত নব্বই টাকা। অন্যদিকে প্রত্যয়ে বেতন থেকে কেটে এবং প্রতিষ্ঠানের টাকায় পেনশন মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এই পার্থক্যগুলো পর্যালোচনা করে তারা মনে করছেন ‘প্রত্যয়’ শিক্ষকদের জন্য শুধু নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা করবে। এখন দেখার বিষয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সময় দেন কিনা?


প্রত্যয় স্কিম   সার্বজনীন পেনশন   প্রত্যাহার   শিক্ষকদের কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে সদ্য পাস হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনার কথা জানান।

উল্লেখ্য, রোববার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।

এরও আগে শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে সংসদে অর্থবিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরে সেটি সংসদে পাস হয়।


বাজেট   ২০২৪-২৫ অর্থবছর   সংসদ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণ : রিমান্ডে ৪ আসামি

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন আজ সোমবার দুপুরে তাদের প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোহাম্মদ জামাল (২৭), মোহাম্মদ শরীফ (২৮), মোহাম্মদ আবদুর রব (২৮), ও মোহাম্মদ রাশেদ (২৭)। তারা সবাই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের (ক্যাটারিং সার্ভিস) কর্মী।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল, তবে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গত ২৬ জুন ভোরে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে ১৯ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনার দিনই রেলওয়ে পুলিশ জামাল, শরীফ ও রাশেদকে ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার করে এবং পরদিন আবদুর রবকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারণে ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ জুন ভোর সাড়ে চারটার দিকে, যখন ট্রেনটি লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। যদিও ঘটনা ভোরে ঘটে, তবে বিষয়টি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং পরদিন সকাল আটটায় চট্টগ্রামে পৌঁছায়।

এই ঘটনার পর চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচলকারী উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে খাবার সরবরাহকারী এসএ করপোরেশনের ক্যাটারিং সার্ভিস স্থগিত করা হয়েছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়।


ধর্ষণ   রিমান্ড   ট্রেন   আসামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন