ইনসাইড বাংলাদেশ

পদ্মা সেতু: স্বপ্ন পূরণে বাঁধা হতে পারেনি নকশা জটিলতাও


Thumbnail পদ্মা সেতু: স্বপ্ন পূরণে বাঁধা হতে পারেনি নকশা জটিলতাও

পদ্মা সেতু। শুধু একটি সেতু নয়, একটি আবেগ, একটি গৌরবের নাম। প্রমত্তা পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে যেই সেতুটি এখন স্বাক্ষ্য দিচ্ছে বাংলাদেশের স্বাবলম্বী হওয়ার, বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার। জানান দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্পাত কঠিন মনোবল বিশ্বের দরবারে। দেশের মানুষের জন্য এতো বড় একটি সহস শেখ হাসিনা ছাড়া আর কে-ই বা দেখাতে পারেন? নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজটি সহজ ছিল না। একসময় আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নদীনির্ভর। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সড়ক যোগাযোগ গুরুত্ব পেতে থাকে। এ ক্ষেত্রেও বাধা ছিল নদ-নদী। যে কোনো সড়ক তৈরি করতে গেলেই ছোট-বড় নদী অতিক্রম করতে হতো। অনেক ফেরি চালু ছিল। যমুনা সেতু নির্মাণের আগে উত্তরাঞ্চলের মানুষ কখনও ভাবতেই পারেনি সকালে রওনা দিয়ে দুপুরে ঢাকা পৌঁছে, কাজ শেষ করে সেদিনই ফিরে আসবে। 

১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতুর উদ্বোধন করা হয়। সে সময়েই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের সুবিধার জন্য পদ্মায় সেতু নির্মাণের বিষয়টি সামনে আসে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার শপথ নিয়েই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল বাঙালির পদ্মা বিজয় অভিযান। বর্তমানে চলাচলের জন্য প্রায় প্রস্তুত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ৯৯ ভাগ কাজই শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহুর্তের কাজ। আগামী ২৫ জুন দেশের কোটি মানুষের কাঙ্ক্ষিত এ সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে প্রমত্তা পদ্মার ওপর নির্মিত এই সেতু। ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের যাতায়াত হবে আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী।

এই সেতু এখন বাস্তব। পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে। কিন্তু এই সেতু তৈরি এতোটা সহজ ছিলো না। উত্তাল পদ্মার বুকে একটি সেতু দাঁড় করানো ছিলো অনেকটা কল্পনার অতীত। সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দান করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এই সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রও কম হয়নি। এখনও যে হচ্ছে না তাও নয়। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে এখন পদ্মা সেতু মানুষের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে অপেক্ষমান। এই পদ্মা সেতু তৈরিতে কম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। অনেক সময় মনে হয়েছে এই বুঝি আর এগোবে না পদ্মা সেতুর কাজ। বাড়ে বাড়ে বাঁধায় থমকে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আবারও কাজ শুরু হয়েছে। সেরকমই একটি সমস্যা শুরু হয় পদ্মা সেতুর নকশা নিয়ে। 

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ছয় নম্বর পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। এরপর সাত ও ছয় নম্বর পিলারে তিনটি করে মোট ছয়টি পাইলের বটম সেকশনের কাজ করা হয়। কিন্তু এসব পাইল বসাতে গিয়ে নদীর তলদেশে নরম মাটির স্তর পাওয়া যায়। তখন দুটি পিলারের ছয়টি পাইলের টপ সেকশনের কাজ বন্ধ রাখা হয়। মাওয়া প্রান্তে কাজ বন্ধ রেখে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়। পরে আরও ১২টি পিলারের পাইল বসানোর সময় মাটির স্তরে কাদামাটি পাওয়া যায়। আগের নকশা অনুযায়ী এ ১৪টি পিলারের পাইলের সংখ্যা ছিল ৮৪। পরে আরও আটটি পিলারের জটিলতা দেখা দেয়।

সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করে ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাউই ইউকে লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা মাটি পরীক্ষার প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, কাদামাটির পরই শক্ত মাটি না পাওয়ায় পদ্মা সেতুর ২২টি পিলারের মধ্যে পাইলের সংখ্যা একটি করে বাড়ানো হয়। অন্যদিকে এসব পিলারে খাঁচকাটা পাইল বসিয়ে বিশেষ ধরনের সিমেন্টের মিশ্রণে নরম মাটি শক্ত করা হয়। কিন্তু ছয় ও সাত নম্বর পিলারে আগে থেকে ছয়টি পাইল বসে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েন বিশেষজ্ঞরা। এসব পাইল তুলে নতুন করে পাইল বসানোর কথাও ভাবা হয়। শেষ পর্যন্ত আগে থেকে বসে যাওয়া পাইলগুলো রেখেই ছয় ও সাত নম্বর পিলারের নকশা চূড়ান্ত করা হয়। অবশেষে নকশা জটিলতার পুরোপুরি অবসান হয় পদ্মা সেতুর। চূড়ান্ত করা হয় সেতুটির সবগুলোর পিলারের নকশা। নকশা চূড়ান্ত করার মাধ্যমে বড় সমস্যা কাটানো সম্ভব হয় পদ্মা সেতুর।

স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরে যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মিত হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি হলেও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ফেরি ও লঞ্চের উপরই নির্ভরশীল ছিল। এ অবস্থায় পদ্মা সেতু জাতীয় উন্নয়নে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে পরিগণিত হবে এটাই স্বাভাবিক ছিল। এখন পদ্মা সেতুর প্রতীক্ষায় আছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় তিন কোটি মানুষ। পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হলে কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে। আরও বিশদভাবে বলতে গেলে এই সেতু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সব মিলিয়ে এই সেতু দেশের মানুষের স্বপ্নের সেতু হয়ে উঠবে।

পদ্মা সেতু   নকশা জটিলতা   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন

প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail শেরপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য

শেরপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ছানুয়ার হোসেন ছানু এ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমতের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ হল রুমে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রেজওয়ানুল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: রুকুনুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হায়দার আলী ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

 

প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে মোট ৪০ টি স্টল স্থান পেয়েছে। শেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসন প্রাণী সম্পদ অফিস আজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 


প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পিএসসির সদস্য হিসেবে প্রদীপ কুমার পাণ্ডের শপথ

প্রকাশ: ১২:৫৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে এগারোটায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এর আগে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধ্যাপক প্রদীপ কুমারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে পিএসসির সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন বলে ১৯ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া- এর মধ্যে যেটি আগে ঘটে সে সময় পর্যন্ত পিএসসির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক পদে দায়িত্বরত। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৮৯ সালে এসএসসি পাস করেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। ১৯৯১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও ১৯৯৫ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।

২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। এরপর ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

অধ্যাপক প্রদীপ পাণ্ডে ২০০৬ সালে নরওয়ে সরকারের বৃত্তির আওতায় অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ২০১৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, এশিয়া ফাউন্ডেশন, আর্টিকেল নাইনটিনের রিসোর্স পারসন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন জার্নালে তার অর্ধশতাধিক প্রকাশনা রয়েছে।


পিএসসি   প্রদীপ কুমার পাণ্ড   শপথ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রভাব খাটিয়ে পরিবেশ ক্ষতির সুযোগ নেই: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৪৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের উন্নয়নে অনেক পরিকল্পনা হয়, কিন্তু বাস্তবায়নে হোঁচট খাচ্ছি। এক জায়গায় বন কেটে অন্য জায়গায় গাছ লাগালে তা সমান হয় না। এখন প্রভাব খাটিয়ে পরিবেশের ক্ষতির সুযোগ নেই। এখন থেকে যা হবে জাতীয় স্বার্থে করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নগরীর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অনেক পরিকল্পনা হয় কিন্তু বাস্তবায়নে হোঁচট খাচ্ছি। উন্নয়ন ও পরিবেশ পরস্পর বিরোধী এটা অনেকে বলি। তবে এখন একটা বিষয় বলছি টেকসই উন্নয়ন। সামনে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ প্রকৃতির সঙ্গে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সনাতন পদ্ধতিতে ইট বানানোর কারণে বছরে ১৩ কোটি মেট্রিক টন মাটি ইটে ব্যবহার হচ্ছে। এটা পরিবেশের জন্য ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশ ও খাদ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বন উজাড় হচ্ছে কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে। 

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত এফএও'র প্রতিনিধি জিয়াকুন শি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।


পরিবেশমন্ত্রী   সাবের হোসেন চৌধুরী   বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গণমানুষের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:০৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণমানুষের খাদ্য নিরাপত্বা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে, সেই সাথে আমিষ সর্বরাহের জন্য যা কিছু দরকারে আমরাই তৈরি করে দেশের মানুষকে দিবো। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া, দ্বিতীয় পুষ্টি নিশ্চয়তা দেওয়া। সেই পদক্ষেপই আমরা হাতে নিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনের জন্য সার আমদানি করা, ভালো বীজ উৎপাদন করা, কৃষকদের জন্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা সব ব্যবস্থাই বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন, আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইবো না কারণ ভিক্ষুক জাতীর ইজ্জত থাকেনা। আর সেই আদর্শ নিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলো আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলবো না, নিজের ফষল নিজেরাই উৎপাদন করবো। কারণ, আমরা মাথা উঁচু করেই বিশ্ব দরবারে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা।  নিজের ফসল আমরা নিজে উৎপাদন করব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক রবিাবর ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হবে।


প্রধানমন্ত্রী   প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। আগামী রবিবার (২১ এপ্রিল) তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তাদের।

মার্কিন এই প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে থাকবে বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ।

এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

সফরের সময় বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) নিয়ে বৈঠক করবে বলেও জানা গেছে।

তবে, দুদেশের এই বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন তা এখনো জানা যায়নি। সেই সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস থাকবেন কি না তাও পরিষ্কার নয়।

কূটনীতিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ২১ এপ্রিল ঢাকায় আসবেন ব্রেন্ডান লিঞ্চ। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকারের বিষয়ে সবচেয়ে জোর দেবে। তাই সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠুতা নিয়ে কয়েকবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।


ঢাকা   মার্কিন প্রতিনিধিদল   দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন