ইনসাইড বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৪৩ পিএম, ২২ জুন, ২০২২


Thumbnail সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু করেছি: প্রধানমন্ত্রী

মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখো শুকরিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,' সব ষড়যন্ত্র-প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি'। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই- তারা আমার পাশে ছিলেন। তাদের সহযোগিতার জন্যই আজ পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করা হয়। এরপর শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রের পেছনে কে বা কারা ছিল তা আমি বহুবার বলেছি। ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দেশের মানুষের কেউ ক্ষতি করতে পারে এটা সত্যিই কল্পনার বাইরে ছিল।

‘এই ষড়যন্ত্রকারীরা ছাড়াও বিশ্বব্যাংকের অভ্যন্তরের একটি গ্রুপ ছিল যারা অন্যায্যভাবে কিছু কিছু বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল’ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, প্রাক-যোগ্য ঠিকাদার নির্বাচনের এক পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক, কারিগরি কমিটিকে একটি প্রাক-যোগ্য ঠিকাদারকে বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকাভুক্ত থাকার কারণে বাদ দিতে বলে এবং একটি প্রাক-যোগ্যতায় অযোগ্য ঠিকাদারকে যোগ্য করতে বলে। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে কারিগরি কমিটি প্রাক-যোগ্য কোয়ালিফায়েড দরদাতাকে বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকাভুক্তির কারণে বাদ দেয়। কিন্তু প্রাক-যোগ্যতা যাচাই-বাছাইয়ে অযোগ্য দরদাতাকে অভিজ্ঞতার জাল সার্টিফিকেট দেওয়ায় যোগ্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক এ প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য করার লক্ষ্যে তার অনুকূলে পরোক্ষ চাপ দিতে থাকে। এরপরই তারা পদ্মা সেতুর কার্যক্রমে বাধা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল চেয়ারম্যান লুইস মোরেনো ওকাম্পোকে ঢাকায় পাঠায়। ওকাম্পো ঢাকায় এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, তৎকালীন সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া এবং যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করার কথা বলেন।

‘আমরা দুদককে তদন্ত করার নির্দেশ দিই। দুদক কোনো দুর্নীতি পায় না। পরে কানাডার আদালতেও প্রমাণ হয় পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি’- বলেন তিনি।

‘২০১২ সালের ৯ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিই। আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ না নেওয়ার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দেশের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ও অর্থনীতিবিদরা কীভাবে মনগড়া সমালোচনায় মেতে উঠেছিল, আপনারা দেখেছেন।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের গুণগত মানে কোনো আপস করা হয়নি। এ সেই নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে। পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে। পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এ সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে ভূমি অধিগ্রহণের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ভূমিহীনসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সহায়তা, ভিটা উন্নয়ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য কর্মমুখী ও আয়বর্ধনমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য পুনর্বাসিত এলাকাকে ‘পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছি।

তিনি বলেন, বহুমুখী এ সেতুর উপরের ডেক দিয়ে যানবাহন এবং নিচের ডেক দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের একদিকে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে, অন্যদিকে অর্থনীতি হবে বেগবান। আশা করা হচ্ছে, এ সেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ১ দশমিক দুই-তিন শতাংশ হারে অবদান রাখবে এবং প্রতি বছর দশমিক আট-চার শতাংশ হারে দারিদ্র্য নিরসন হবে।

তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতু ঘিরে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটে পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। এ সেতু এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগের একটা বড় লিংক। তাই আঞ্চলিক বাণিজ্যে এ সেতুর ভূমিকা অপরিসীম। তাছাড়া পদ্মার দু’পাড়ে পর্যটন শিল্পেরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

শেখ হাসিনা বলেন, হাজার হাজার মানুষের শ্রমে এই স্বপ্নের সেতু নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ এবং প্রকৌশলী এ সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৭ বছর পর রহস্য উন্মোচন

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জে ৭ বছর পর গ্রেপ্তার ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ২ আসামী

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার ৭ বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই)। মাত্র ৭ হাজার টাকার চুক্তিতে বন্ধুদের কাছে মামাতো বোন সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য তুলে দেন ফুফাতো ভাই ছাব্বির। পরে বন্ধুদের সাথে নিজেও ধর্ষণ করে হত্যা করে মামাতো বোনকে।

 

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় শিশু সুবর্ণাকে (৭) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য সাত বছর পর উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই আসামি শিশুর ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে।'

 

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

 

পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাসহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেনকে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছাব্বির হোসেন শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সে সহ সবাই মিলে দলবেধে ধর্ষণ করে শিশুটিকে।

 

এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দেবে। তখন ধর্ষণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং পরনের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে।  

 

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, শিশু সুবর্ণাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশু সুবর্ণার পড়নের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতিও পাওয়া যায়।  

 

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেনকে (২০) ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দত্তকান্দি থেকে শাকিব খান (২১) নামে এক যুবককে গ্রপ্তার করা হয়। পরে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

 

পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, ফুফাতো ভাই ছাব্বির ৭ হাজার টাকার চুক্তির বিনিময়ে মামাতো বোন শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেও তাকে সেই টাকাও দেয়নি আসামিরা। এছাড়াও ফুফাতো ভাই ছাব্বির অন্যান্যদের সাথে সে নিজেও তার মামাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'


শিশু ধর্ষণ   রহস্য উন্মোচন   ৭ বছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিলে) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিমুল হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শেষে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এ ছাড়া শ্রমশক্তি, বন্দর ব্যবস্থাপনা উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


কাতার   বাংলাদেশ   ৫ চুক্তি   ৫ সমঝোতা   স্মারক   সই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইবিতে গণরুমে র‌্যাগিয়ের সত্যতা মিলেছে, সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ


Thumbnail লালন শাহ হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রকে র‌্যাগিং, বিবস্ত্র করে কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও রড দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনায় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটি অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের নির্যাতনের মাত্রা বেশি ছিল। যার ফলে তাদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

এঘটনায় গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন নামেও একজন জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা।

এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের গঠিত কমিটির ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে।

হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।’

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি।’


ইবি   র‌্যাগিং   গণরুম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১৪) কে ধর্ষণের ঘটনায় শিপন (১৯) ও মানিক শুভ (২০) নামে ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ওই ২ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে প্রেমিকের হাতেই নির্যাতনের শিকার হয় ওই কিশোরী।

 

গ্রেপ্তার শিপন উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর নেয়ামত গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও শুভ একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। ভিকটিম স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। 

 

পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত শিপনের পরিচয় হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে শিপন তাকে মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরে বিয়ের আশ্বাসে পাশ্ববর্তী একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে শিপন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এসময় অভিযুক্ত শুভ ধর্ষণে সহযোগিতা করে।

 

পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শিপন ও শুভ পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে রামগতি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরদিন ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিপন ও শুভ'র নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। 


রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান ওসি।


স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ   ভিকটিম উদ্ধার   আদালত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতিসংঘের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন পলক

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের (ইউএন) ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এসকাপ) এর একটি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এসকাপ এর ৮০তম সম্মেলনে -এর ‘এজেন্ডা নং ২(এ) - মূল বিষয়: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুবিধা এবং এজেন্ডা নং ৩: স্বল্পোন্নত দেশ, স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির বিশেষ সংস্থা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তিনি।

থাইল্যান্ডে অবস্থিত জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গঠিত কমিশনের ৮০তম অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার থেকে ব্যাংককে অবস্থান করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

দুপুর ২টায় ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইউএনএসকাপ) এর ৮০তম সম্মেলনের মূল প্রোগামে এজেন্ডা-২(এ) ও এজেন্ডা-৩ নিয়ে আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুবিধা’ শীর্ষক এ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুবিধার নিশ্চিত করতে গৃহীত এজেন্ডা ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপকে শক্তিশালী করার একটি সুযোগ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।


জাতিসংঘ   সম্মেলন   ইউএন   এসকাপ   জুনাইদ আহমেদ পলক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন