ইনসাইড বাংলাদেশ

এপিএসই সর্বনাশ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৫ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail এপিএসই সর্বনাশ

মন্ত্রীদের কাজের সুবিধার জন্য একজন সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এই সহকারী একান্ত সচিবরা প্রায়ই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। একাধিক মন্ত্রী এপিএস এর কারণে বিপদে পড়েছেন, বিতর্কিত হয়েছেন। বিভিন্ন সময় এই এপিএসদের দৌরাত্ম্যের কারণে মন্ত্রণালয়ের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি একজন সাবেক মন্ত্রীর এপিএসের সম্পদের পাহাড়ের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে প্রচণ্ড প্রভাবশালী ছিলেন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি প্রথমে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে, পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এই সময় তার এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এ এইচ এম ফুয়াদ। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে এবং এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, নিয়োগ-বাণিজ্য, কাজকর্মে স্থানীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে অর্থ ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। আর এ কারণেই এই সাবেক এপিএসের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে মামলা করেছে সিআইডি। 

সিআইডি অনুসন্ধানে এই এপিএস এর সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। শুধু এই এপিএস নয়, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকার টানা ক্ষমতায় রয়েছে। এই সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রীর বিভিন্ন এপিএসদের নানারকম কেলেঙ্কারি সরকারকে বিব্রত করেছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দায়িত্ব গ্রহণ করে মন্ত্রিসভায় চমক দেখায়। এই সময় একজন নতুন মন্ত্রী এপিএস হিসেবে তার পুত্রকে নিয়োগ করেছিলেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসেন। তবে ওই মন্ত্রীর পুত্র মন্ত্রীর দপ্তরে সমস্ত ফাইলপত্রের ব্যাপারে পরামর্শ দিতেন বলে জানা গেছে। ওই একই সময়ে উত্তরাঞ্চল থেকে এক মন্ত্রীর এপিএসের ক্ষমতার দাপটে ওই মন্ত্রণালয় অস্থির ছিল। পরবর্তীতে অবশ্য ওই ২ জন মন্ত্রীই আর নির্বাচনের মনোনয়ন পাননি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে এবং হেভিওয়েট ব্যক্তিদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে। সেই সময় একজন হেভিওয়েট নেতার এপিএস এর দৌরাত্ম্যের খবর প্রকাশিত হয়। তার বিরুদ্ধে এখন দুদকে তদন্ত চলছে। এছাড়াও ওই সময় আরও দুই-একজন এপিএসকে নিয়ে মন্ত্রীরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন।

২০০৯ থেকে ১৪ সালের প্রথম মেয়াদে এক এপিএস এর কেলেঙ্কারির কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে হয় প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করলে আবার মন্ত্রিসভায় চমক দেওয়া হয়। এবারও এপিএসদের নিয়ে কেলেঙ্কারির নতুন মাত্রা লাভ করে। একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী যিনি ২০১৪ মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, ২০১৮ তে পূর্ণ মন্ত্রী হন। ২০১৪ তে যখন তিনি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তখন তার একান্ত সচিব হিসেবে একজন সরকারি কর্মকর্তা কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে যখন তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হন, তখন ওই কর্মকর্তাকেই মন্ত্রী তার সহকারী একান্ত সচিব বা এপিএস হিসেবে নিয়োগ দান করেন। একজন পিএস কিভাবে এপিএস হন, এ নিয়ে সে সময়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই এপিএসের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ, নানারকম দুর্নীতির অভিযোগ আসে। দুদকও তাকে তলব করেছিল। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মন্ত্রী তাকে এপিএস এর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। এখন অন্তত দুজন মন্ত্রী রয়েছেন, যাদের এপিএসরা মন্ত্রণালয়ে দাপট দেখায় এবং তাদের কারণে মন্ত্রণালয়ে এক ধরনের বিরক্তির সৃষ্টি হয়েছে। এপিএসদের কারণে মন্ত্রীদের সর্বনাশ হচ্ছে এবং মন্ত্রীরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে। শুধু যখন মন্ত্রী থাকেন তখন না, মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার পরও এপিএস নিয়ে তাদের সমস্যার অবসান হচ্ছে না। তাই রাজনৈতিক বিবেচনায় এপিএস নিয়োগ করা উচিত কিনা সে প্রশ্নটি নতুন করে সরকারের মধ্যে এসেছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও বৃষ্টি চেয়ে পাবনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

অতি তীব্র তাপদাহ, সাথে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাবনাসহ সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষ। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচু ও ফসল । তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পাবনায় সালাতুল ইসতিসকা অর্থাৎ বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হয়েছে।

 

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় পাবনা দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাবনাবাসী। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

 

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুস শাকুর।

 

তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দেন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

 

নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র-যুবকসহ শহরের আশপাশের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। 

 

মাওলানা আব্দুস শাকুর বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এটা যৌক্তিক একটি কারণ। আমরা যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন মালিকের কাছে ধর্ণা দেবো তিনি যেন রহমত বর্ষণ করেন। এজন্য আমরা আল্লাহর কাছে দয়া ভিক্ষা চাইছি। রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী আমরা মাঠে এসেছি, আমাদের অপরাধ স্বীকার করলাম। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম, ক্ষমা চাইলাম। আমরা আশা রাখি আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে মাফ করে দিবেন এবং তিনি দয়া করে পরিবেশকে আবার সুন্দর করে দিবেন।’


তীব্র তাপদাহ   ইসতিসকার নামাজ   বৃষ্টির আশা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছয় দিনের সফরে থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংকক ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

এ সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ সফরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা রয়েছে।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


সরকারী সফর   থাইল্যান্ড   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত স্বামী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ

ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ তুলে না দেয়ায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের কুমিরগোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ আইরিন পারভীনকে (৪২) গলা টিপে ও মাছ কাটা বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে তার অর্থলোভী পাষন্ড স্বামী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ (৪৪)। এছাড়া প্রায় ১ মাস ধরে ৫ বছরের মেয়ে আবিদা আনজুমকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ছেচানিয়া আফতাব নগর নাছিমা পারভীন বিনা (৪৭) নামের বোন ও তার স্বামী আল আমিনের বাড়িতে আটকে রেখেছে। এরপর থেকে মায়ের জন্য রাতদিন কান্নাকাটি করে ৫ বছরের অবুঝ শিশু আবিদা আনজুম অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছে না।

 

অর্থলোভী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের লাইব্রেরিয়ান ও চর বেলতৈল গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

 

এ ঘটনায় সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিক্ষিকা আইরিন পারভীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ জেলহক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি বাদীর লিখিত আবেদনটি আমলে নিয়ে আগামী ৭ মে আসামীদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে শিক্ষিকা আইরিন পারভীন জানান, প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে ঢাকার উত্তরার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ২০১২ সালের ১১ মে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাকে মারপিট ও নির্মম নির্যাতন করে বেতনের সমুদয় টাকা হাতিয়ে নিতেন। এরপর ঢাকার উত্তরায় জায়গা কেনার কথা বলে প্রতি মাসে বেতনের ১৮ হাজার টাকা করে ৫ বছরে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

 

এরপর ওই জায়গা দেখতে চাইলে বিদ্যুৎ ওই জায়গা দেখাতে পারেননি। ফলে তাকে টাকা দেয়া বন্ধ করা হয়। এছাড়া সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক থেকে ডিপিএসের ১ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৫ টাকা , জনতা ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও রূপপুরের বাড়িতে এক তলা পাকা বিল্ডিং নির্মাণের সময় স্বর্ণের গহণা বিক্রির টাকা ও সোনালি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ তুলে নিয়েছেন। সোনালি ব্যাংকের ঋণের কিস্তি বাবদ প্রতি মাসে এখনও ১১ হাজার ৪০০ টাকা করে বেতন থেকে কেটে নেওয়া অব্যহত থাকা অবস্থায় আবারও  চর বেলতৈল গ্রামে জমি কেনার কথা বলে সোনালি ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ তুলে দিতে চাপ দেয়।

 

এতে রাজি না হওয়ায় গত ২৮ মার্চ ভোরে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ তাকে বেধরক মারপিট করে। এছাড়া গলাটিপে ও মাছকাটা বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর বেধরক মারপিট ও নির্যাতন করে ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৯) ও মেয়ে আবিদা আনজুম (৫)কে আটকে রেখে তাকে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের রূপপুর পুরান পাড়ার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে তিনি ওইদিন সকালে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের চুনিয়াখালিপাড়া মহল্লার বাবা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। এর ৭ দিন পর অসুস্থ হয়ে ছেলে আবু বকর সিদ্দিক কৌশলে পালিয়ে মায়ের কাছে চলে আসে।

 

অপরদিকে মেয়ে আবিদা আনজুমকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ছেচানিয়া আফতাব নগর গ্রামের বোন নাছিমা পারভীন বিনা ও তার স্বামী আল আমিনের বাড়িতে আটকে রেখে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে না দিলে একাধিক লোক মারফত ও মোবাইল ফোনে মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

 

তিনি আরও জানান, এ হুমকির ফলে আমি ও আমার পরিবার চরম আতংকের মধ্যে রয়েছি। তিনি তার ৫ বছরের শিশু কন্যা আবিদা আনজুমকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

তিনি আরও জানান, এ মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতে দূর্বৃত্তরা আমার বাবার চুনিয়াখালি পাড়ার বাসভবনের নিচতলায় হামলা চালিয়ে একটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মারপিট, গলাটিপে ও বটি দা দিয়ে মারতে যাওয়ার ঘটনা দেড় বছর আগের। ২/১ মাসের মধ্যে এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া মেয়েকে আটকে রাখার ঘটনাও সত্য নয়। চুনিয়াখালি পাড়ার বাড়িতে হামলা জানালার গ্লাস ভাংচুরের সাথেও আমি জড়িত নই।  


হত্যা চেষ্টা   স্কুল শিক্ষিকা   অর্থ লোভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সম্পত্তির লোভে মাকে ঘর ছাড়া করল ছেলে


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নে রাতের অন্ধকারে মা ও বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এমন অভিযোগ করেন দুই ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী ২ ব্যক্তি হলেন, পঁয়ষট্টি বছর বয়সী বৃদ্ধা সমমেহেরা বেগম ও তার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা জান্নাত আক্তার মুন্নি। অভিযুক্ত ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পান্না বেগম সম্পত্তি ও টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।

 

ভুক্তভোগী সমমেহেরা বেগম ও মুন্নি উত্তরজয়পুর ইউনিয়নের খন্ডলী পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত জাহাঙ্গির আলম ও পান্না বেগম সম্পর্কে ছেলে ও ছেলের স্ত্রী।

 

ভুক্তভোগী সমমেহেরা বেগম ও মুন্নি বেগমসহ ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, স্বামী পরিত্যক্তা মুন্নি নিজের অর্থ দিয়ে পৈত্রিক কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেন। নিজের টাকা দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী পান্নাকে ওই বাড়িতে থাকতে দেন তিনি। গভীর রাতে সম্পত্তি ও বসতঘর দখলের জন্য বৃদ্ধা মা ও বোনকে বের করে দেন জাহাঙ্গীর। বাড়ির চারপাশে টিন দিয়ে বন্ধ করে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেয় রাতারাতি। বৃদ্ধা ওই দুই নারী এখন রাত্রি যাপন করে রাস্তায়।

 

মুন্নি বেগম আরো বলেন, তার সঞ্চয়কৃত দুই লাখ টাকা জাহাঙ্গীর ধার নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। পাওনা টাকা দাবি করলে ও তার সম্পত্তি বিবাদীদের কাছে বিক্রি করবে না বলে জানালে তারা জোর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এখন তারা চরম নিরাপত্তাহীনতার সাথে বাগানে, খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বলেও জানায়।

 

এদিকে এ ঘটনায় বক্তব্য নিতে গেলে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পান্না বেগম কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন ধরনের বন্টন নামা ছাড়া তার বোন সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ধরনের ক্রয় শুদ্ধ নয় বলে দাবি করেন তিনি।

 

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আনোয়ার বলেন, তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে জাহাঙ্গীর বাড়িতে নেই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার কথা জানান এই জনপ্রতিনিধি।


মাকে ঘর ছাড়া   সম্পত্তির লোভ   অর্থ আত্মসাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে বিশেষে ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত, বন্ধ যোগাযোগ

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজার ডুলাহাজারা স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুই বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওয়া দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা মো. গোলাম রব্বানী। 


ট্রেন   বগি লাইনচ্যুত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন