রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দ্বিতীয় চালান নিয়ে লাইব্রেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ড্রাগনবল মোংলা বন্দরের হারবারিয়ার ৭ নং বয়ায় নোঙ্গরে করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটাই প্রথম জাহাজ।
শুক্রবার বিকালে ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন কার্গো পণ্য নিয়ে মোংলা নোঙ্গর করার পরপরই খালাস কাজ শুরু হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রূপপুর
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পণ্য খালাসকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নুরু এন্ড সন্সের মালিক
এইচ এম দুলাল জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মেশিনারিজ
পণ্য নিয়ে রাশিয়ার তামারুক বন্দর থেকে জাহাজটি মোংলা বন্দরে উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এ জাহাজে
১৫ জন নাবিক রয়েছেন। শুক্রবার বিকালে জাহাজটি মোংলা নোঙ্গর করার পরপরই খালাস কাজ শুরু
হয়েছে।
উল্লেখ্য,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর তীরে রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ধর্মতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হিন্দি গান বাজানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে স্কুলের বারান্দায় উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে হিন্দি গান বাজানোর ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তুমুল সমালোচনা চলছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বালিয়াকান্দি জঙ্গল ইউনিয়নের
ধর্মতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শোক দিবস পালনের জন্য আনা সাউন্ড বক্সে উচ্চস্বরে
হিন্দি গান বাজছে।
এদিকে এ ঘটনা নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা। কমিটির আহ্বায়ক হলেন- উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিন। সদস্যরা হলেন- উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মিয়াদ হোসেন ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. চঞ্চল মাহমুদ।
জাতীয় শোক দিবসে বিদ্যালয়ে হিন্দি গান বাজানোর বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুমারেশ বাছাড় বলেন, হিন্দি গান বাজানোর বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি স্কুলে আসার পর থেকে বক্সে দেশের গান ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজানো হচ্ছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের গর্হিত কাজ মোটেও কাম্য নয়। বিষয়টি আমার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মিয়াদ হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশক্রমে আমরা কাজ করব। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ
বিষয়ে জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এলাকা
থেকে আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অরবিন্দু বিশ্বাসকে
ফোন দিয়েছিলাম। তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে পরিষদে আসছেন বলে আমাকে জানান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন