জ্বালানি তেল মূল্যবৃদ্ধি সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আজ (১৩ আগস্ট) তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘কাগজের ফুল’ এর শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে বিপরীতমুখী চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার জন্মভূমি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা পৌরসভার নূরপুর মহল্লায় তার গ্রামের বাড়িতে তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৯টায় তারেক মাসুদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০টায় বাড়ির আঙিনায় স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে ঢাকার শর্ট ফিল্ম ফোরাম, ফরিদপুরের তারেক মাসুদ ফিল্ম সোসাইটিসহ ভাঙ্গার বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করবে।
তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও ভাঙ্গা কেএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন ঢালী বলেন, পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সমাধি চত্বরে তারেক মাসুদের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তারেক মাসুদের মা নূরুন্নাহার মাসুদ ও স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।
ফরিদপুর তারেক মাসুদ ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম মেহেদী বলেন, ফরিদপুরের কৃতি সন্তান খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল ৩টায় শহরের কমলাপুরস্থ রাইট ট্র্যাক স্কুলে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে মাটির ময়না, রানওয়েসহ তারেক মাসুদের একাধিক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হবে। এরপর তারেক মাসুদের ওপর নির্মিত প্রসূন রহমানের ফেলা নামের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে।
তারেক মাসুদ ভাঙ্গার নূরপুর গ্রামের মসিউর রহমান মাসুদ-নূরুন্নাহার দম্পতির ছেলে। তার বাবা ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই (তারেক) সবার বড়।
শৈশবে স্থানীয় একটি মাদরাসায় কিছু দিন লেখাপড়া করেছেন তারেক মাসুদ। এরপর তিনি ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে ঢাকায় চলে যান। সেখানে নটরডেম কলেজ ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়াশোনা শেষে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।
মন্তব্য করুন
মজুরি শ্রমিক অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট
মন্তব্য করুন
রাতের আঁধারে এক প্রবাসীর বাগানের প্রায় পাঁচ হাজার গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলায়। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রবাসী পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতের কোনো এক সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাটিয়া পাড়া এলাকায় সিদ্দিকী টি স্টেটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমেরিকা প্রবাসী মিজানুর রহমান সিদ্দিকী জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। জেলার চাকলাহাটের ভাটিয়াপাড়া গ্রামে ২২ একর জমিতে গড়ে তোলেন চা বাগান। টি ট্যুরিজম গড়ার লক্ষ্যে চা বাগানেই রোপণ করেছেন বিদেশি ফলের গাছসহ বিভিন্ন গাছ। এসবের গাছের মধ্যে রয়েছে আম, নারকেল, পেঁয়ারা, পেঁপে ও সুপারি। বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৬০ জন নারী-পুরুষের।
অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সকালে বাগানে চাপাতা তুলতে গিয়ে চমকে ওঠেন কর্মচারীরা। রাতের আঁধারে পেঁপে, সুপারি, নারকেল ও মেহগনির প্রায় ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
বাগানের ম্যানেজার আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করতে গিয়ে পেঁপে, সুপারি ও মেহগনির গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে বাগানে গিয়ে দেখি, কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
বাগানের মালিক মিজানুর রহমান সিদ্দিকী আমেরিকা থেকে জানান, দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বিদেশে থেকে যা আয় করছি, তা দিয়ে চাকলারহাট এলাকায় বাগানটি গড়ে তুলেছি। আমার বাগানটাই একমাত্র সম্পদ ও স্বপ্ন। আমার হাতে গড়া সেই বাগানের প্রায় ৫ হাজার পেঁপে, নারকেল, সুপারি ও মেহগনির গাছ রাতের আঁধারে কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এমন ক্ষতি হওয়ায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে খবর পেয়ে বিকেলে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট এবং সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়াসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত বাগানটি পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, একজন প্রবাসী বিদেশে থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে এখানে একটি বাগান গড়ে তুলেছেন। কিন্তু হঠাৎ ওই প্রবাসীর বাগানের কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রশাসন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে এমনটাই আশা করছি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, আমরা সরেজমিনে প্রবাসীর বাগানটি পরিদর্শন করেছি। যারা বাগানের গাছ কেটেছেন, তারা একটি অমানবিক কাজ করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারে উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে যায়। পরে ট্রলারের ২২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
এফবি আল্লাহর দান নামে ট্রলারটির মালিক মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি সাইরার ডেইল এলাকা শের উল্লাহ। জাল, তেল ও মালামালসহ ট্রলারটির মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিকের ছেলে এজাজুল হক (১৮)। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় এজাজুল হক ট্রলারে ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- এজাজুল হক, নাছির উদ্দিন, রেজাউল, জয়নাল,আব্দুল আজিজ, নুর, নুরনবী, বাদশা, ছোটন, আজিজ, রুহুল কাদের, জাহাঙ্গীর, নেছার, শাহাবউদ্দিন, নুর হোসেন, বশর, রবিউল, কালু, কোরবান আলী ও জাবের। বাকি দুইজনের নাম জানা যায়নি। জেলেরা সবাই মহেশখালির মাতারবাড়ি এলাকার।
নাজিরারটেক উপকূলে আসার পর এজাজুল হক বলেন, ট্রলারটি দেড় কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছে। ২২ জেলেসহ শুক্রবার দুপুর ২টায় নাজিরারটেক উপকূল থেকে মাছ ধরার জন্য সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। তেল, খাদ্য সামগ্রীসহ দুই লাখ টাকার মালামাল তোলা হয়। কিন্তু নাজিরারটেক পয়েন্টে পৌঁছাতেই ট্রলারটি বালিতে আটকা পড়ে। এরপর ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি উল্টে যায়।
ট্রলারটি উল্টে ১১ জেলে পানিতে পড়ে যায় আর বাকিরা ট্রলারটির নানা অংশ ধরে ওপরে ভাসতে থাকে। পরে স্থানীয় জেলেরা ৪টি ট্রলার নিয়ে এগিয়ে এসে সবাইকে উদ্ধার করে।
বেঁচে ফেরা জেলে কোরবান বলেন, ট্রলারটি উল্টে যাওয়ার পর প্রথমে আমি পানিতে পড়ে যাই। পরে সাঁতার কেটে উপকূলে ওঠার চেষ্টা করি। কিন্তু উপকূল অনেক দূরে ছিল। এক পর্যায়ে মনে করেছিলাম পানিতে ডুবে মারা যাব। কিন্তু আল্লাহর রহমতে অন্য জেলেরা এসে উদ্ধার করেছে।
নাজিরারটেক মাঝিমাল্লা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোশারফ বলেন, ট্রলারটি ২২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পরও উদ্ধার করতে পারছি না ভাটার কারণে। জোয়ার এলে ৪টি ট্রলারের সাহায্য ডুবে যাওয়া ট্রলারটি টেনে উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।
বঙ্গোপসাগর ট্রলার ডুবি কক্সবাজার
মন্তব্য করুন
আজ (১৩ আগস্ট) তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘কাগজের ফুল’ এর শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে বিপরীতমুখী চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।