রাতের আঁধারে এক প্রবাসীর বাগানের প্রায় পাঁচ হাজার গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলায়। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রবাসী পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতের কোনো এক সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাটিয়া পাড়া এলাকায় সিদ্দিকী টি স্টেটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমেরিকা প্রবাসী মিজানুর রহমান সিদ্দিকী জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। জেলার চাকলাহাটের ভাটিয়াপাড়া গ্রামে ২২ একর জমিতে গড়ে তোলেন চা বাগান। টি ট্যুরিজম গড়ার লক্ষ্যে চা বাগানেই রোপণ করেছেন বিদেশি ফলের গাছসহ বিভিন্ন গাছ। এসবের গাছের মধ্যে রয়েছে আম, নারকেল, পেঁয়ারা, পেঁপে ও সুপারি। বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৬০ জন নারী-পুরুষের।
অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সকালে বাগানে চাপাতা তুলতে গিয়ে চমকে ওঠেন কর্মচারীরা। রাতের আঁধারে পেঁপে, সুপারি, নারকেল ও মেহগনির প্রায় ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
বাগানের ম্যানেজার আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করতে গিয়ে পেঁপে, সুপারি ও মেহগনির গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে বাগানে গিয়ে দেখি, কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
বাগানের মালিক মিজানুর রহমান সিদ্দিকী আমেরিকা থেকে জানান, দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বিদেশে থেকে যা আয় করছি, তা দিয়ে চাকলারহাট এলাকায় বাগানটি গড়ে তুলেছি। আমার বাগানটাই একমাত্র সম্পদ ও স্বপ্ন। আমার হাতে গড়া সেই বাগানের প্রায় ৫ হাজার পেঁপে, নারকেল, সুপারি ও মেহগনির গাছ রাতের আঁধারে কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এমন ক্ষতি হওয়ায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে খবর পেয়ে বিকেলে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট এবং সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়াসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত বাগানটি পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, একজন প্রবাসী বিদেশে থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে এখানে একটি বাগান গড়ে তুলেছেন। কিন্তু হঠাৎ ওই প্রবাসীর বাগানের কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রশাসন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে এমনটাই আশা করছি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, আমরা সরেজমিনে প্রবাসীর বাগানটি পরিদর্শন করেছি। যারা বাগানের গাছ কেটেছেন, তারা একটি অমানবিক কাজ করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
পিটার হাস নির্বাচন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
নড়াইলের লোহাগড়ায় দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ইয়াবা
ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের আরেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল
থেকে ৫০০টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের
চরদৌলতপুর গ্রামের দ্বীন মোল্যার মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার জিয়া চৌধুরী (৩৩) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী।
তিনি ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ লংকারচর গ্রামের মো. আজগর চৌধুরীর ছেলে। ভুক্তভোগী মো. আরজ
আলী ওরফে লিচু কাজী (৫৮) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ
নেতা লিচু কাজী চরদৌলতপুর বাজার থেকে পাংখারচর বাড়িতে ফেরার পথে দ্বীন মোল্যার দোকানের
সামনে পৌঁছলে অভিযুক্ত জিয়া ডেকে নিয়ে বসান তাকে।
এ সময় পাশে বসে কৌশলে লিচু কাজীর পাঞ্জাবির পকেটে জিয়া একটি প্যাকেট
ঢুকাতে গেলে তখন ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নীল রঙের জীপারযুক্ত পাঁচটি
পলি ব্যাগ মাটিতে পড়ে যায়। সেখানে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি
টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জিয়া চৌধুরী দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
লিচু চৌধুরীকে লোহাগড়া থানায় নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি পেকেটে থাকা ৫০০ ইয়াবা
উদ্ধার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে লিচু কাজী পুলিশকে জানান যে, সমাজে আমাকে হেয় করার
জন্য জিয়া এমন নাটক সাজায়। উপস্থিত ভ্যানচালক আজিম ফকিরও পুলিশকে একই সাক্ষ্য দেন।
এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন বিকেলেই ইয়াবা কারবারি
জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তারকালে সাংবাদিকদের তিনি
বলেন, আমি অপরাধী নই।
আওয়ামী লীগ নেতা লিচু কাজী থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,
সামাজিকভাবে হেয় করতে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা জিয়ার মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে আমাকে
ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সত্য উদঘাটিত হওয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অভিযোগ থেকে মুক্তি
পেয়েছি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে
জিয়া চৌধুরী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি
মাদক মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।