ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৮:২০ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ধীরে ধীরে মিয়ানমারের নতুন বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংঘাতের দিকে সরে যাওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ এখানে তার আবাসস্থলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের পার্শ্ব ইভেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে বাস্তব পদক্ষেপ এবং প্রকল্প প্রহণ করা দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ এবং মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আইসিজেতে গাম্বিয়াকে সমর্থন করাসহ আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকাযের্র পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে সমর্থন করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং মিয়ানমারকে আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐকমত্যের অধীনে তার অঙ্গীকার মেনে চলার জন্য জোর দিয়ে মিয়ানমার যাতে বাধাহীন মানবিক অ্যাক্সেস দিতে সম্মত হয়  সে জন্য প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ করেন।

বর্তমানে ৭৭তম ইউএনজিএ’তে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আঞ্চলিক সংস্থা হিসাবে আসিয়ান এবং পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারের সাথে তাদের গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও লিভারেজ নিয়ে এমন সার্বিক সম্পৃক্ততায় প্রধান ভূমিকা নিতে পারে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য নাগরিকত্বের পথ সুগম করাসহ রাখাইন রাজ্য বিষয়ক কফি আনান উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশসমূহ সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়নে তাদের ব্যাপক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বেসামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের অর্থবহ উপস্থিতি রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের আস্থা বাড়াবে।

প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশ ন্যায়বিচার থেকে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ ও আসিয়ানের বর্তমান ফোকাস মিয়ানমারে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এবং মিয়ানমারের জনগণের জন্য শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বাংলাদেশ তাদের শক্তিশালী ভূমিকার জন্য অপেক্ষা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব এখন বিশ্বজুড়ে উদ্ভূত নতুন নতুন সংঘাত প্রত্যক্ষ করছে এবং দুর্ভাগ্যবশত রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান ও এর ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদা মেটানো দুটো থেকেই বিশ্বের মনোযোগ ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত জেপিআর ২০২২-এর অধীনে আপিলকৃত ৮৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাত্র ৪৮% অর্থায়ন করা হয়েছে। একই সময়ে মিয়ানমারে সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ সংঘাতের বিরূপ প্রভাব আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে, কারণ এটি তাদের প্রত্যাবাসন শুরুর করার সম্ভাবনার পথে আরও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

শেখ হাসিনা বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে অভিহিত করেন যে একজন রোহিঙ্গাকেও ঘরে ফিরতে না দেখা অবস্থায় বাংলাদেশ এ প্রলম্বিত সংকটের ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও সেখানেই রয়েছে। ১৯৬০ সালের পর থেকে মিয়ানমারের ধারাবাহিক সরকারগুলো কর্তৃক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগতভাবে বর্জন ও নির্বিচার নিপীড়ন অব্যাহত রাখায় তাদের বাংলাদেশে অব্যাহত অনুপ্রবেশের দিকে চালিত করে।

তিনি বলেন, আজ, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) মোট সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন।

তিনি তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান আমাদের উন্নয়ন আকাক্সক্ষার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, ‘১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গার আতিথেয়তার প্রভাব বিভিন্ন ফ্রন্টে ছড়িয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের প্রতি বছর প্রায় ১.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হয়। এতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, প্রায় ৬,৫০০ একর জমির বনভূমির ক্ষতি এবং স্থানীয় জনগণের ওপর এর বিরূপ প্রভাব অপরিমেয়।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সামাজিক ও জনসংখ্যাগত ভারসাম্য, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েরও ভার বহন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে জোরালো মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, ‘স্বদেশে একটি উন্নত ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষমান রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের অব্যাহত সংহতি প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করেছেন যে কয়েকজন নির্বাচিত ব্যক্তির ওপর লক্ষ্যকৃত নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের ওপর অবধারিত প্রভাব ফেলতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছা সংকট সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য ও সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি মিয়ানমারের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছে।

বাংলাদেশ মনে করে যে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান এবং রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আস্থা নির্মাণের পদক্ষেপ খুঁজে পেতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা ৮ম শতাব্দী থেকেই আরাকানে বসবাস করছে, যা এখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর, দেশটির নতুন সরকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর এই দেশটির নাগরিক হওয়ার বিধান রেখে ইউনিয়ন সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট পাশ করে। ১৯৮২ সালে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে  পৃথক হিসেবে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে, নতুন একটি নাগরিকত্ব আইন পাশ করা হয়- যাতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ১৩৫টি স্বীকৃত জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রাখা হয়নি। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে ইউ নু প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করে তার মন্ত্রিপরিষদে দুজন মুসলিম রোহিঙ্গা- ইউ রাশিদকে বাণিজ্য ও উন্নয়ন মন্ত্রী এবং সুলতান মাহমুদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে স্থান দেন। এছাড়াও তার পার্লামেন্টে আব্দুল বাশার, মিসেস জোহরা বেগম, আবুল খায়ের, আব্দুস সোবহান, রাশিদ আহমেদ, নাসিরুদ্দিন এবং দুজন পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি সুলতান আহমেদ ও আব্দুল গাফ্ফার স্থান পান। তিনি বলেন, ‘তাই এটা সহজেই বোধগম্য যে- মুসলিম রোহিঙ্গারা এখনো দেশটির নাগরিক, কারণ শুধুমাত্র কোন দেশের নাগরিকরাই সেই দেশের মন্ত্রিপরিষদ ও পার্লামেন্টের সদস্য হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংকটের শুরু থেকেই বাংলাদেশ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়ে আসছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনস্রোত শুরু পর দু’দেশের মধ্যে তিনটি ইন্সট্রুমেন্টও স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর দুইটি প্রচেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় বাছাইকৃত রোহিঙ্গারা সেখানে ফিরে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। নাগরিকত্বের অনিশ্চয়তাসহ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সহিংসতার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা, জীবিকা ও মৌলিক চাহিদা পূরণের সুযোগের অভাবের মতো ইস্যুগুলো নিয়ে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমারের অব্যহত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় মেকানিজমের মাধ্যমে চীনের সহায়তায় নতুন করে প্রত্যাবাসন আলোচনা শুরু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত, এতে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি বলেন, কক্সবাজারে এখন বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির রয়েছে। এখানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মানবিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায়, বাংলাদেশ এই বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে খাবার, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় কোভিড টিকাদান কর্মসূচিতে রোহিঙ্গাদেরও অন্তর্ভূক্ত করেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ভাষায় পাঠ্যক্রম অনুসরণ, দক্ষতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও জীবিকা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন। এটা তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা চর্চার অবদান রাখছে এবং দেশে ফিরে নিজস্ব সমাজে মিশে যেতে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অস্থায়ীভাবে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ভাসান চর নামে একটি দ্বীপকে মানুষের বাসযোগ্য করে তুলেছি। এখন পর্যন্ত, প্রায় ৩১ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু   জাতিসংঘ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেসবুকে লাইভ করায় চাকরি হারালেন এসপি

প্রকাশ: ১০:৪৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানাকে চাকরিচ্যুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো ও সেখান থেকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এটি প্রকাশ করা হয়েছে। গেল ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র)-১২১২৬ আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ১০ অক্টোবর কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিকালে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, লিখিত জবাব, উভয়পক্ষের বক্তব্য ও উপস্থাপিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি পর্যালোচনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের পর্যাপ্ত ভিত্তি রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা বিধিমতে সাক্ষ্য, সাক্ষীদের জেরা, উপস্থাপিত ভিডিওসহ সব দলিলপত্রাদি পর্যালোচনা ও সরেজমিনে তদন্ত অন্তে গত ২৩ মে তার বিরুদ্ধে আনিত ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

অভিযোগ, লিখিত জবাব, শুনানিকালে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি পর্যালোচনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদণ্ড প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৩ জুন দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়। ২০ জুলাই দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করেন ওই পলিশ সুপার। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মকর্তার দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পুনরায় পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খণ্ডনের মতো কোনো যুক্তি তিনি উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি।

পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়। পরে ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেওয়া হয়।

অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’র প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গেল ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তকরণে পরামর্শ প্রদান করে।

ফেসবুকে লাইভ   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৫৬৫

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত মার্চ মাসে দেশজুড়ে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ৫৬৫ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১২২৮ জন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। 

সড়ক দুর্ঘটনা   যাত্রী কল্যাণ সমিতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাল শুরু হচ্ছে ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪’

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক আগামী ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল ২০২৪  দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’ এর অন্যতম লক্ষ্য হলো প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি, ক্ষুদ্র খামারি ও উদ্যোক্তাদের গবাদি পশু উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা। এছাড়া প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সেমিনার থেকে জনগণ গবাদি পশু পালনের আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জানতে পারবে। ফলে জনগণ উপকৃত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি আমাদের এসব কাজে উৎসাহ যোগাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল ২০২৪ দুই দিনব্যাপী পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ, আগারগাঁও, ঢাকায় দুদিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপী ৬৪ টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এ প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণি এবং  বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় প্রদর্শনীতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যালুচেইন ভিত্তিক প্রায় ৪০০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধ সামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তি ইত্যাদির স্টলও থাকবে। এছাড়া ৭টি প্যাভেলিয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, এলআরআই, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার অংশগ্রহণ করছে। 

গুণগত মান, জাত, স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য্য, আকার, অবদান, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, বাজারজাতকরণ, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক প্রভাব, সার্বিক পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৯৩টি পুরষ্কার, ক্রেস্ট এবং অংশগ্রহণকারীকে সনদ প্রদান করা হবে। প্রদর্শনীর বিশেষ আকর্ষণ থাকছে গবাদিপশুর র‍্যাম্প শো।

এছাড়া আগামী ১৮ ও ১৯ এপ্রিল ঢাকার আগারগাঁও এর পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে মোট ০৬ টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারের মুল বিষয় থাকবে প্রাণিসম্পদের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ ভাবনা এবং করণীয়, ক্লাইমেট স্মার্ট ডেইরী সেক্টর, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ও খাদ্য নিরাপত্তা, পশুপাখির রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়।

প্রদর্শনীতে ফুড সেফটি কর্নারে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত ও করনীয় সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্য্ক্রম যেমন - ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, নিরাপদ খাদ্য-সামগ্রী প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ/গুদাম জাতকরণ, পণ্য পরিবহন ও গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ পর্যন্ত সার্বিক পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিতকরণ এবং দুধ, ডিম, মাংসজাত নিরাপদ খাদ্য পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় করা হবে। 

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে এবং প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন (বিডিএফএ) এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে। 

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকা থেকে দুবাই-শারজাহর ৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকা থেকে দুবাই ও শারজাহ রুটের নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। 

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম।

তিনি জানান, রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে ১৭ এপ্রিল এয়ার অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট, ফ্লাই দুবাইয়ের দুটি ও এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব আমিরাতের বাসিন্দারা গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ ভারী বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে।

জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি নিশ্চিত করেছে, ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশজুড়ে যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্ত করার শুরু থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত, আল আইনের ‘খাতম আল শাকলা’ এলাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ২৫৪ মিলিমিটারে পৌঁছেছে।

এরপরের দিন মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়, যা সারাদিন অব্যাহত ছিল। ভারি এ বৃষ্টিপাতের কারণে শহরটির অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। এর ফলে দেশটিতে আকাশপথে ভ্রমণ ব্যাহত হয়েছে এবং মরুভূমির এই দেশজুড়ে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সারা বিশ্বের যাত্রীদের জন্য ব্যস্ততম এয়ার হাব হিসেবে পরিচিত। মঙ্গলবার ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে দুবাই বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা বিপজ্জনক হওয়ার কারণে অসংখ্য ফ্লাইট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত দুবাই বিমানবন্দরে মঙ্গলবার থেকেই ফ্লাইট চলাচল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূলত ঝোড়ো বাতাসের কারণে বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত   দুবাই-শারজাহর   ফ্লাইট বাতিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিইসির বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে যা জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনারদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত আইন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে প্রণীত আইন নতুন করে করা হচ্ছে। এ জন্য আগের আইনের বাংলা করে এই আইনটি করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যেভাবে সুযোগ সুবিধা পান নির্বাচন কমিশনারাও ঠিক সেভাবে সুযোগ-সুবিধা পান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের মতো সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা পাবেন। শুধু বাংলা করা ছাড়া আইনের আর কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এছাড়াও গত জানুয়ারি-মার্চ মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে মন্ত্রিসভায় বাস্তবায়ন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না সেগুলো যাতে আবার মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়। তখন প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেওয়া হবে বলেও জানান মাহবুব হোসেন।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন