ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৮:২০ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ধীরে ধীরে মিয়ানমারের নতুন বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংঘাতের দিকে সরে যাওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ এখানে তার আবাসস্থলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের পার্শ্ব ইভেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে বাস্তব পদক্ষেপ এবং প্রকল্প প্রহণ করা দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ এবং মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আইসিজেতে গাম্বিয়াকে সমর্থন করাসহ আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকাযের্র পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে সমর্থন করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং মিয়ানমারকে আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐকমত্যের অধীনে তার অঙ্গীকার মেনে চলার জন্য জোর দিয়ে মিয়ানমার যাতে বাধাহীন মানবিক অ্যাক্সেস দিতে সম্মত হয়  সে জন্য প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ করেন।

বর্তমানে ৭৭তম ইউএনজিএ’তে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আঞ্চলিক সংস্থা হিসাবে আসিয়ান এবং পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারের সাথে তাদের গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও লিভারেজ নিয়ে এমন সার্বিক সম্পৃক্ততায় প্রধান ভূমিকা নিতে পারে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য নাগরিকত্বের পথ সুগম করাসহ রাখাইন রাজ্য বিষয়ক কফি আনান উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশসমূহ সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়নে তাদের ব্যাপক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বেসামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের অর্থবহ উপস্থিতি রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের আস্থা বাড়াবে।

প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশ ন্যায়বিচার থেকে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ ও আসিয়ানের বর্তমান ফোকাস মিয়ানমারে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এবং মিয়ানমারের জনগণের জন্য শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বাংলাদেশ তাদের শক্তিশালী ভূমিকার জন্য অপেক্ষা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব এখন বিশ্বজুড়ে উদ্ভূত নতুন নতুন সংঘাত প্রত্যক্ষ করছে এবং দুর্ভাগ্যবশত রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান ও এর ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদা মেটানো দুটো থেকেই বিশ্বের মনোযোগ ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত জেপিআর ২০২২-এর অধীনে আপিলকৃত ৮৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাত্র ৪৮% অর্থায়ন করা হয়েছে। একই সময়ে মিয়ানমারে সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ সংঘাতের বিরূপ প্রভাব আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে, কারণ এটি তাদের প্রত্যাবাসন শুরুর করার সম্ভাবনার পথে আরও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

শেখ হাসিনা বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে অভিহিত করেন যে একজন রোহিঙ্গাকেও ঘরে ফিরতে না দেখা অবস্থায় বাংলাদেশ এ প্রলম্বিত সংকটের ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও সেখানেই রয়েছে। ১৯৬০ সালের পর থেকে মিয়ানমারের ধারাবাহিক সরকারগুলো কর্তৃক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগতভাবে বর্জন ও নির্বিচার নিপীড়ন অব্যাহত রাখায় তাদের বাংলাদেশে অব্যাহত অনুপ্রবেশের দিকে চালিত করে।

তিনি বলেন, আজ, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) মোট সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন।

তিনি তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান আমাদের উন্নয়ন আকাক্সক্ষার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, ‘১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গার আতিথেয়তার প্রভাব বিভিন্ন ফ্রন্টে ছড়িয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের প্রতি বছর প্রায় ১.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হয়। এতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, প্রায় ৬,৫০০ একর জমির বনভূমির ক্ষতি এবং স্থানীয় জনগণের ওপর এর বিরূপ প্রভাব অপরিমেয়।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সামাজিক ও জনসংখ্যাগত ভারসাম্য, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েরও ভার বহন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে জোরালো মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, ‘স্বদেশে একটি উন্নত ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষমান রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের অব্যাহত সংহতি প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করেছেন যে কয়েকজন নির্বাচিত ব্যক্তির ওপর লক্ষ্যকৃত নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের ওপর অবধারিত প্রভাব ফেলতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছা সংকট সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য ও সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি মিয়ানমারের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছে।

বাংলাদেশ মনে করে যে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান এবং রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আস্থা নির্মাণের পদক্ষেপ খুঁজে পেতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা ৮ম শতাব্দী থেকেই আরাকানে বসবাস করছে, যা এখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর, দেশটির নতুন সরকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর এই দেশটির নাগরিক হওয়ার বিধান রেখে ইউনিয়ন সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট পাশ করে। ১৯৮২ সালে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে  পৃথক হিসেবে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে, নতুন একটি নাগরিকত্ব আইন পাশ করা হয়- যাতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ১৩৫টি স্বীকৃত জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রাখা হয়নি। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে ইউ নু প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করে তার মন্ত্রিপরিষদে দুজন মুসলিম রোহিঙ্গা- ইউ রাশিদকে বাণিজ্য ও উন্নয়ন মন্ত্রী এবং সুলতান মাহমুদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে স্থান দেন। এছাড়াও তার পার্লামেন্টে আব্দুল বাশার, মিসেস জোহরা বেগম, আবুল খায়ের, আব্দুস সোবহান, রাশিদ আহমেদ, নাসিরুদ্দিন এবং দুজন পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি সুলতান আহমেদ ও আব্দুল গাফ্ফার স্থান পান। তিনি বলেন, ‘তাই এটা সহজেই বোধগম্য যে- মুসলিম রোহিঙ্গারা এখনো দেশটির নাগরিক, কারণ শুধুমাত্র কোন দেশের নাগরিকরাই সেই দেশের মন্ত্রিপরিষদ ও পার্লামেন্টের সদস্য হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংকটের শুরু থেকেই বাংলাদেশ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়ে আসছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনস্রোত শুরু পর দু’দেশের মধ্যে তিনটি ইন্সট্রুমেন্টও স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর দুইটি প্রচেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় বাছাইকৃত রোহিঙ্গারা সেখানে ফিরে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। নাগরিকত্বের অনিশ্চয়তাসহ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সহিংসতার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা, জীবিকা ও মৌলিক চাহিদা পূরণের সুযোগের অভাবের মতো ইস্যুগুলো নিয়ে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমারের অব্যহত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় মেকানিজমের মাধ্যমে চীনের সহায়তায় নতুন করে প্রত্যাবাসন আলোচনা শুরু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত, এতে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি বলেন, কক্সবাজারে এখন বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির রয়েছে। এখানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মানবিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায়, বাংলাদেশ এই বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে খাবার, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় কোভিড টিকাদান কর্মসূচিতে রোহিঙ্গাদেরও অন্তর্ভূক্ত করেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ভাষায় পাঠ্যক্রম অনুসরণ, দক্ষতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও জীবিকা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন। এটা তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা চর্চার অবদান রাখছে এবং দেশে ফিরে নিজস্ব সমাজে মিশে যেতে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অস্থায়ীভাবে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ভাসান চর নামে একটি দ্বীপকে মানুষের বাসযোগ্য করে তুলেছি। এখন পর্যন্ত, প্রায় ৩১ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু   জাতিসংঘ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গরিব-দুস্থদের শাড়ি বন্ধুকে দেয়ার অভিযোগ ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১০:২৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের শাড়ি পেয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমনের দুই বন্ধুর স্ত্রী। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়েছেন এই সাংসদ।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০০টি শাড়ি, ৪৮টি থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বরাদ্দ দেওয়া হয় হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে। বরাদ্দের একটি করে শাড়ি পেয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার গাদি শাইল গ্রামের প্রাণিচিকিৎসক আব্দুল মুকিতের স্ত্রী ও গেরারুক গ্রামের মো. সানু আহমেদের স্ত্রী। আব্দুল ও সানু দুজনই সংসদ সদস্য সায়েদুল হকের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে দুই বন্ধু এই উপহার প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন।

সানু আহমেদ নামে একজন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া আমার বউয়ের জন্য জাকাতের সুতি শাড়ির বাজারমূল্য ২৮০ টাকা।...আমার বউ এসব শাড়ি পরে না। আগামীকাল একজন অসহায় মানুষকে শাড়িটি দিয়ে দেব।

সানু আহমেদ আরও বলেন, আমি সুমনের বন্ধু। তার কাছে কিছু পাওয়ার আশায় এ বন্ধুত্ব নয়। সে অন্য মানুষের মাধ্যমে কী করে এ শাড়ি পাঠাল, তা বুঝে উঠতে পারছি না। এ শাড়ি তো আমার পাওয়ার কথা না। এগুলো তো গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণের কথা। তাই মনের কষ্ট থেকে ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দিয়েছি।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে গত ২০ বছর আমার আসনের কোনো সংসদ সদস্য তা প্রকাশ করেননি। এবার প্রথম আমি এই তালিকা জনগণের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আমার দুই উপজেলায় বিতরণের জন্য যাদের দায়িত্ব দিই, তাদের একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। তিনি তার এক বন্ধুর স্ত্রীকে এ শাড়ি বিলি করেন। আবার তারাই একই শাড়ি অন্যজনকে দিয়ে ফেসবুকে এ প্রচারণা করেন। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, একটা পক্ষ আছে, যারা আমার ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়। এ পক্ষই এখন এ শাড়ি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ব্যারিস্টার সুমন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা: পাঁচ সংকটে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং অস্থিরতা বাংলাদেশকে পাঁচটি প্রধান সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে। এই সংকটগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথমত, অভিবাসী ও প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার শঙ্কা। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে সংকটটি তৈরি করতে পারে তা হলো প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী পাঠানো এবং নতুন নিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। এজন্য কর্মী পাঠানো কমে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা দেখা দিলে অনেকে চাকরি হারাবেন এবং এরকম একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার সংকট রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যের দেশে রপ্তানি বাণিজ্য। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা দেখা দিলে সেখানে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, এই অস্থিরতা ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমিয়ে দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

তৃতীয়ত, জ্বালানি আমদানি বিঘ্নিত হবে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানি বিঘ্নিত করতে পারে। বিশেষ করে এই অস্থিরতার কারণেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হলে বাংলাদেশের ওপর একটি বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। এমনিতে আমাদের সামনে গ্রীষ্মকাল। জ্বালানির চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমাদের যে জ্বালানি আমদানি করতে হয় তার মূল্য বৃদ্ধি করতে গেলে সরকারের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। সরকারকে লোডশেডিং এর মতো অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শুধু তাই নয়, জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি দেখা দেবে, তা হল উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়বে। শিল্প কল কারখানাগুলোতে জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে যদি উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে সেটি বাংলাদেশকে এখন একটি নতুন সংকটে ফেলতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

আর সবচেয়ে বড় কথা হল যে, মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকটের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে নতুন করে চাপ সৃষ্টি হবে, সেই চাপ মোকাবেলা বাংলাদেশ কীভাবে করবে সেটাই হল একটি বড় সমস্যা। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ এই যুদ্ধ পরিস্থিতি উত্তেজনায় বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়তে পারে। তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অনেক দেশই এমন সংকটে পড়বে।

মধ্যপ্রাচ্য   ইরান   বাংলাদেশ   প্রবাসী আয়   জ্বালানি তেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের নির্বাচন: বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন। নানা কারণে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্ব এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। ভারতের গণতন্ত্রের গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে বিশ্বের অনেক কিছুই। 

বাংলাদেশ হল ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভারত এবং বাংলাদেশের জন্য নয়, উপমহাদেশের ভারসাম্য এবং শান্তি স্থিতিশীলতার জন্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

গত এক যুগে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কংগ্রেসের হাত থেকে বিজেপি ক্ষমতা গ্রহণ করেছে এবং টানা ১০ বছর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হয়নি। ভারতের সরকার পরিবর্তন দুই দেশের সম্পর্কের পরিবর্তন আনেনি। বরং কংগ্রেস যেখান থেকে শুরু করেছিল বিজেপি ক্ষমতায় এসে সেখান থেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গত নির্বাচনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন মাত্রা স্পর্শ করেছিল। আর এই কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এক ধরনের ভারত বিরোধী আবহাওয়ার তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও সাধারণ মানুষ সেই উদ্যোগে তেমন আগ্রহী নন এবং সাড়াও দেননি। 

নানা কারণে ভারতের নির্বাচনের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে এবং বাংলাদেশ ভারতের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে একটি কথা অনস্বীকার্য যে, ভারতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ইন্ডিয়া জোট বা বিজেপি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন অবস্থানগত পরিবর্তন হবে না। ইতোমধ্যে কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। আর বিজেপি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটাকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখে সেটি প্রমাণিত। ফলে ভারতের নির্বাচনে জয় বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে না। 

তবে যদি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি নির্বাচনে পরাজিত হয়, যদিও সে সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে। বিশেষ করে বিজেপির বিরুদ্ধে এখন যেমন বিএনপি এবং মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলো একটা অবস্থান নিয়েছে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হয়তো সেই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটবে। কারণ কংগ্রেসের বাংলাদেশ নীতি বিজেপির চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। বিজেপি যেমন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট। তারা আওয়ামী লীগের বাইরে কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না। কংগ্রেসের বিষয়টি একটু ভিন্ন রকম। তারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। বিজেপি যেমন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী এবং উগ্র মৌলবাদীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের অবস্থান অনেকটাই নমনীয়। সবকিছু মিলিয়ে যদি ভারতের ক্ষমতার পালা বদল হয় তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণে কিছুটা হলেও পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটি কোন মৌলিক পরিবর্তন নয় বলেই মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।


ভারতের নির্বাচন   বাংলাদেশ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।

এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমার চেয়ে খারাপ লোক এ জেলায় নাই: প্রাণ ভিক্ষা পাওয়া মেয়রপুত্র

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন বাজারে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুর পক্ষে জনসংযোগে এসব কথা বলেন। 

ভুলুর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দাবি, বিপ্লব ওই এলাকায় বহিরাগত। তাঁর এমন উসকানিমূলক বক্তব্যে ভোটের পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। 

তবে বিপ্লবের দাবি, দলীয় নেতা ভুলুর নির্বাচনী গণসংযোগে তিনি ওই এলাকায় যান। তার ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন হামলা করায় তিনি রাগে এ ধরনের কথা বলেছেন।  

এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় তিনি ওই দণ্ড থেকে মুক্ত হন। 

এ দিকে বিপ্লব নিজের ফেসবুক পেজে বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেন। প্রায় ১১ মিনিটের ওই ভিডিওতে বক্তব্যের একপর্যায়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন। আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না। আমিও মানুষের ভালোবাসার জন্য দুয়ারে দুয়ারে হাটি। জনগণই বড় শক্তি। ভোটের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। আজকের হামলার ঘটনার জন্য একটা কথা বলি। আমি প্রত্যেকদিন এক ঘণ্টা করে এখানে আসব। যতক্ষণ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ না হবে, কথা দিচ্ছি আমি এখান থেকে যাব না। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবো। আমি দায়িত্ব নিয়েছি, তেওয়ারীগঞ্জ আমি ছাড়ব না। ভোটের দিন পর্যন্ত আমি তেওয়ারীগঞ্জে থাকব। আমি দেখব কে কত বড় সন্ত্রাস হয়েছেন। এটার জবাব ভোটের ব্যালটে দেবো, ইনশাআল্লাহ। যে আচরণ করেছেন তা ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবো।’ 

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী (সাবেক পিপি) নুরুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর শহরের বাসা থেকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। বহুল আলোচিত নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ২০০৩ সালে তাহেরপুত্র বিপ্লবসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বিপ্লব ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আবু তাহের তার ছেলে বিপ্লবের প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। ওই বছরের ১৪ জুলাই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তার সাজা মওকুফ করেন। পরের বছর আরও দুটি হত্যা মামলায় (কামাল ও মহসিন হত্যা) বিপ্লবের যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০১২ সালে ফিরোজা হত্যা মামলা থেকেও বিপ্লবের নাম প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট কারাগারে থেকে বিয়ে করে দেশব্যাপী ফের আলোচনায় আসেন বিপ্লব। অবশেষে ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর তিনি কারামুক্ত হন।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন