ইনসাইড বাংলাদেশ

বরিশালে আধুনিক সড়ক পরিবহন নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিআরটিএ

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বরিশালে আধুনিক সড়ক পরিবহন নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিআরটিএ

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে টেকসই, নিরাপদ, সুশৃংখল, বরিশাল বিভাগে পরিবেশবান্ধব আধুনিক সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।

সংস্থাটির বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, সেবা প্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে এবং হয়রানি মুক্ত নির্ভেজাল সেবা দেয়ার লক্ষ্যে বরিশাল বিভাগের সবগুলো জেলায় বিআরটিএ এর পরিসেবাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিআরটিএ এর সেবা সমুহের মধ্যে রয়েছে মোটরযান নিবন্ধন, মালিকানা স্থানান্তর, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, মোটরযানের ফিটনেস ইস্যু ও নবায়ন, ট্যাক্স টোকেন ইস্যু ও নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়ন ইত্যাদি।

তিনি আরও জানান, সেবা প্রার্থীদের মাঝে বিআরটিএ এর সেবাপ্রক্রিয়াকে সহজ করার ফলে পূর্বের চেয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে পিরোজপুর বাসীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে ঝালকাঠি এবং বরগুনা বাসীদের পটুয়াখালী আসতে হতো এখন নিজ নিজ নিজ জেলা থেকেই লাইসেন্স নিতে পারবেন। এখন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজ জমা দেয়ার দিনই বায়োমেট্রিকস নেয়া হয়। এছাড়াও বরিশাল জেলার বিআরটিএ অফিস থেকে বিভাগীয় অফিসকে পৃথক করা হয়েছে। এবং প্রতিটি জেলা অফিসে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এর ফোন নাম্বার দেয়া হয়েছে। যাতে কোন মানুষ হয়রানির শিকার হলে তাদের যে কোন প্রকার অভিযোগ দিতে পারেন।

চলতি বছর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে মোট ১৪ হাজার ৪১০ টি ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরন করা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৫ হাজার ৯২৩ টি, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় ১ হাজার ৬৬৩ টি, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় ৪ হাজার ৫২৮ টি, ভোলা জেলায় ১ হাজার ২৯৬ টি ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রস্তুতি মুলক ১৫ টি প্রশিক্ষনে ৭৯৭ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশ গ্রহন করেছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় ৭ টি, ঝালকাঠি জেলায় ২ টি, পিরোজপুর জেলায় ১ টি, পটুয়াখালী জেলায় ২ টি বরগুনা জেলায় ১ টি, ভোলা জেলায় ২ টি প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিআরটিএ বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের মিশন হচ্ছে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে অংশীজনের সচেতনতা বৃদ্ধি, যুগোপযোগী সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল, টেকসই, নিরাপদ, সুশৃংখল, পরিবেশ বান্ধব আধুনিক সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এছাড়াও সেবাপ্রার্থীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের জন্য বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবীর কুমার সাহা,জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জঃ) এমডি শাহ আলম,সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হক,মোটরযান পরিদর্শক ইকবাল আহমেদ,মোটরযান পরিদর্শক মোঃ জাফর হাসান,মেকানিকাল এ্যাসিস্টান্ট আঃ সালাম সহ অন্যান্ন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিআরটিএ এর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

বরিশাল   আধুনিক সড়ক পরিবহন নিশ্চিত   কাজ করছে   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হলের সিট দখলের অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আবাসিক শিক্ষার্থীর সিট দখল হুমকি-ধমকির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিবুর রহমান হলে ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ইমরান ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শহিদ হবিবুর রহমান হলের ১৪৬ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র।

অভিযুক্তরা হলেন, একই হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিনহাজ ইসলাম আইন বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব ফিরোজ।

ভুক্তভোগী ইমরানের অভিযোগ, ' বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে আমি হল প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ১৪৬ নম্বর কক্ষে উঠি। রাতে খাওয়ার জন্য বাহিরে গেলে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের কয়েকজন নেতা-কর্মী এসে আমার বিছানাপত্র সড়িয়ে দেন এবং সেখানে সমাজকর্ম ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজুলকে তুলে দেন। রাতে হলে এসে অবস্থা দেখে প্রাধ্যক্ষকে জানাই।’

প্রাধ্যক্ষ এবিষয়ে ভুক্তভোগীকে বলেন, 'তুমি ছাত্রলীগকে জানাও প্রক্টর স্যারের সুপারিশে প্রাধ্যাক্ষ এই সিট তোমাকে বরাদ্দ দিয়েছে। এই দুই দিন তো ছুটি। রবিবার (২১ এপ্রিল) এসে এটা দেখব। তুমি এখান থেকে বের হবা না।'

 ইমরান আরও বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে হলের ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ তার কক্ষে ডাকেন এবং সিট ছাড়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ ইসলাম বলেন, 'ওই শিক্ষার্থী তার সিটেই থাকবে। তাছাড়া ছাত্রলীগের কেউ যেন কোন শিক্ষার্থীকে হল কক্ষে না ডাকে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করব।'

হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে আরেক নেতা আহসান হাবিব ফিরোজ জানান, 'প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েই ওই সিটে আমি একজনকে উঠিয়েছি।'

ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম জানান, 'ঘটনাটি অবগত হয়েছি। বিষয়টি আমি দেখছি। ওই শিক্ষার্থী তার জন্য বরাদ্দকৃত সিটেই থাকবে।'

আবাসিক ছাত্রকে হুমকি বিষয়ে কি ব্যবস্থা জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ জানান, 'আমি কথা বলেছি, আর সমস্যা হবে না। পরবর্তীতে যদি একই ঘটনা ঘটলে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের বিরুদ্ধে হলে সিট দখল, আবাসিক ছাত্রকে হুমকি-ধমকি ডাইনিং-ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা পরিশোধ না করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় ছাত্রলীগের দখলকৃত সিটে ওঠা মাহফুজুল হলের আবাসিক ছাত্র নয়।

এদিকে হলগুলোতে ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে অ্যাখ্যা দিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদি সজিব বলেন, 'হলে ছাত্রলীগের সিট দখল নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা ঘটিয়ে ক্ষমতা নামক বটবৃক্ষের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে অভিযুক্তরা। একটি ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়ার মানে এমন অসংখ্য ঘটনার জন্ম নিতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করা।’ তাই অবিলম্বে এদের লাগাম টেনে ধরে হলে যথাযথ সিট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি।

ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, 'বিষয়গুলো আমারাও দেখছি। একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চেষ্টা করছি।'


ছাত্রলীগ নেতা   হলের সিট দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের দান করা কর্নিয়ায় চেখে আলো ফিরে পাচ্ছেন দুই অন্ধ লোক।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার শিব নারায়ণ দাশ শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। তার ছেলে অর্ণব আদিত্য বাবার কথা অনুযায়ী কর্নিয়া দুটি দান করেন সন্ধানীতে। সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকের টিম দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করে।

ডা. লিটু বলেন, শনিবার সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিব নারায়ণ দাশ মননে চিন্তায় যে অবদান রেখেছিল মৃত্যুর পরেও দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর সুন্দর রং রূপ দেখার সুযোগ করে দিয়ে গেছেন। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।

জানা গেছে, শিব নারায়ণ এর আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। পরে বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এজন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটুয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


শিব নারায়ণ   কর্নিয়া   অন্ধ   চোখে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঋণের চাপে মায়ের আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নিথর মাকে জড়িয়ে ধরে দুই সন্তানের আহাজারি

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি এনজিওর ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সাথে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়। 

 

এ বিষয়ে ডালিয়া বেগমের ভাই আবদুর রাজ্জাক, স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন এবং অন্যান্য স্বজনরা জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন।

 

ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

 

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

 

এদিকে বানারীপাড়া হাসপাতাল ও থানা চত্বরে মৃত মায়ের নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে অবুঝ দুই সন্তানের (ভাই-বোন) কান্না উপস্থিত সবাইকে কাঁদিয়েছে।


ঋণের চাপ   এনজিও   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‌‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


বঙ্গবন্ধু   রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সব খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরও অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন