সরকার প্রণীত “জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহীত সরকারি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী সংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রবীণ ব্যক্তিদের সার্বিক কল্যাণ ও আর্থ-সামাজিক সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সাল হতে বয়স্ক ভাতা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। এ ছাড়াও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও সুবিধাদি বৃদ্ধি করেছে। পরবর্তীতে “মাদ্রিদ আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনার” প্রতি বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয় সমর্থন ব্যক্ত করে প্রবীণদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর মন্ত্রীসভায় “জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা” অনুমোদন দেয়। পরের বছর ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের ষাট বছর বা তদুর্ধ বয়সী নাগরিকদের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ (জ্যেষ্ঠ নাগরিক) হিসেবে ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৪ জুন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে। তারা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগকে একাধিকবার চিঠি দেয়। কিন্তু তাদের অনেকের কাছ থেকে কোনো আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পারি। অগ্রগতির কোন খবরও আমাদের জানা নেই।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দীর্ঘ ৮টি বছর অতিবাহিত হতে চললো, কিন্তু এ নীতিমালা বাস্তবায়নের কোনো সংবাদ আমরা জানতে পারিনি। অজ্ঞাত কারণে মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগের কোন কার্যক্রমই পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এই নীরবতায় আমরা গভীরভাগে হতাশ এবং উদ্বিগ্ন। এতে সরকারের প্রতি জনগণের ভরসার জায়গাটিও দুর্বল হচ্ছে। সরকারের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ৮ বছর ধরে বাস্তবায়নের বিষয়টি কারা ঝুলিয়ে রেখে প্রবীণদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এবং তাদের প্রতি চরম অন্যায় ও অবহেলা করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৬০ বছরের বেশী বয়সী মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার ৭১৯ জন। তারা মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। ২০১১ সালের জনতমারিতে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ১১ বছরের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধির হার দেশের ধারাবাহিক জনতমারির ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি। এই বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে প্রবীণরা রাষ্ট্রের জন্য এক সময় বোঝা হয়ে উঠবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুস সালাম, সচিব একেএম খাদেমুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম সারোয়ার ও কাজী খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূস পুরস্কার বিতর্ক দ্য ট্রি অব পিস
মন্তব্য করুন
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের
এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের
সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে
‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য
রাখেন।
এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি
জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব
করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব
দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র
উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ
নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম,
এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।