ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে আজ কখন কোথায় লোডশেডিং

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৩ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail রাজধানীতে আজ কখন কোথায় লোডশেডিং

জ্বালানির সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়েছে সরকার। বিদ্যুতের এই ঘাটতি সমন্বয় করতে গত ১৯ জুলাই থেকে চলছে শিডিউল করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় লোডশেডিং হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকেও সেই ধারাবাহিকতায় শুরু হবে লোডশেডিং কার্যক্রম, চলবে রাত পর্যন্ত।

রাজধানীর বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) কোথায়, কখন লোডশেডিং করবে, সে শিডিউল জানিয়ে দিয়েছে। যদিও শিডিউলের বাইরেও লোডশেডিং হচ্ছে।

শিডিউল জানিয়ে ডিপিডিসি বলেছে, এ মুহূর্তে ডিপিডিসি এলাকাতে কোনো লোডশেডিং নেই।
এনএলডিসি কর্তৃক কম বরাদ্দ প্রাপ্তির ভিত্তিতে লোডশেডিং আরোপিত হতে পারে। হালনাগাদ তথ্য জানার জন্য সময়ে সময়ে ডিপিডিসি’র ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

রাজধানীর আজকের সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল জানতে:

ডেসকোর গ্রাহকরা ক্লিক করুন এখানে

ডিপিডিসি গ্রাহকরা ক্লিক করুন এখানে


লোডশেডিং   বিদ্যুৎ ঘাটতি   ডেসকো   ডিপিডিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের ব্যবসা: তালিকা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

একজন সরকারি কর্মকর্তা তার চাকরি বিধি অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ছাড়া কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না। শুধু সরকারি কর্মকর্তা নিজে নয়, তার পরিবারের সদস্যরাও যদি কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তাহলে সেক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে, এটাই নিয়ম। 

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা যে ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছেন, সেক্ষেত্রে সরকারের কোন অনুমতি নিচ্ছেন না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত না করে তাদের অনুমতি না নিয়ে এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন অনেক সরকারি কর্মকর্তারা। বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে নজরে এসেছে ড. মতিউর রহমানের ঘটনার প্রেক্ষিতে। মতিউর রহমান বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান করেছেন এবং শেয়ার মার্কেটে তিনি নিয়মিত ভাবে বিনিয়োগ করতেন। কিন্তু এর কোন কিছুই তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেননি। 

সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের অনুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবসা করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। মতিউর রহমান এই দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন। শুধু মতিউর রহমান একা নন, এরকম বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখন এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যারা তাদের স্ত্রী এবং নিকট আত্মীয়দের নামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য করছেন, যে ব্যবসাটি আসলে তাদেরই বিনিয়োগকৃত বা এই ব্যবসাটির মূল মালিক তিনি। মূল মালিক যেই হোক না কেন, যদি একজন সরকারি কর্মকর্তার পরিবারের কোনো সদস্য ব্যবসা করেন, তাহলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা সেটি মানা হচ্ছে না।

মতিউরের ছাগল কাণ্ডের পর এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখন সরকারি কর্মকর্তাদেরকে নতুন করে নোটিশ দিচ্ছে। যারা সরকারি বিধি বহির্ভূতভাবে আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা বাণিজ্য করছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে তাদের ব্যবসার বিবরণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জামা দেওয়ার জন্য একটি নির্দেশনা পত্র জারি করতে যাচ্ছে এই মন্ত্রণালয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কিছু খোঁজ খবর নিচ্ছে এবং এই সমস্ত খোঁজখবরের মাধ্যমে তারা সরাসরি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ গ্ৰহণ করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির এবং অনিয়ম নিয়ে একটি আবহ তৈরি হয়েছে। এর ফলে সরকারের জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র প্রশাসন ক্যাডার নয়, পুলিশ, শুল্ক আবগারি সহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে এখন নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য করার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই প্রবণতা থেকে মুক্ত করার জন্যই অবিলম্বে চাকরি বিধি কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সরকারি কর্মচারী   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়   দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সংসদে অর্থবিল পাস

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কিছু সংশোধনীসহ আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে পাস হয় এ বিলটি।

এর আগে, অর্থবিলের ওপর কয়েকজন সদস্যের আনা কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকিগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।

প্রণীত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।

এদিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে পাস করা হবে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

এবারের বাজেটে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও শেষপর্যন্ত এ প্রস্তাবে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।



সংসদ   অর্থবিল   বাজেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমি থাকতেই প্রতিটি বিভাগে মেট্রোরেল করে দেব : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে, যাতে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। মেয়েদের জন্য মেট্রোরেল একটা নিরাপদ যান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই মেট্রোরেল চালু হওয়ার পরে ঢাকার যানজট অনেকাংশে কমেছে। 

আজ (শনিবার) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর যানজট সহনশীল করার জন্য আমরা ঢাকা মাস ট্রানজিট তৈরি করেছি, এর মাধ্যমে ৬টা রুটে মেট্রো রেল নির্মাণ করা হচ্ছে, একটি তো হয়েই গেছে। ইতোমধ্যে আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সার্ভে করছি। আমি থাকতে থাকতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আমি মেট্রোরেল হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিয়ে যাবো। যাতে দেশের মানুষ দ্রুততম সময় যানজট মুক্ত হয়ে চলাচল করতে পারে।


মেট্রোরেল   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে বাংলাদেশের ‘পিএনসি’ হতে চায় বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মালদ্বীপের রাজনীতিতে পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস বা পিএনসি একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। এই দলের প্রধান মোহাম্মদ মুইজ্জু এবার নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়লাভ করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে তিনি অভিষিক্ত হননি। পার্লামেন্টে তিনি নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছেন। পিএনসির এই উত্থানের পিছনে চীনের সরাসরি সমর্থন রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মালদ্বীপের রাজনীতিতে চীনের সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ এসেছে পিএনসির মাধ্যমে। পিএনসি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নিজেদেরকে চীনপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এবং প্রকাশ্য ভারত বিরোধিতা করেছে। মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ থেকে প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। চীনের সঙ্গে তিনি প্রকাশ্য সম্পর্ক করেছেন।

পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের উত্থানের পিছনে চীনের অর্থ এবং সহযোগিতার কথা সর্বজনবিদিত। আর এ কারণেই মালদ্বীপের রাজনীতিতে এখন সরাসরি দুটি ভাগ। একটি চীনপন্থী রাজনৈতিক দল, অন্যটি ভারতপন্থী রাজনৈতিক দল। এবারের নির্বাচনে ভারতপন্থীরা চীনপন্থীদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে।

মালদ্বীপের এই মডেলই অনুসরণ করতে চায় বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি প্রকাশ্যে ভারত বিরোধিতা করে চীনের একান্ত অনুগত এবং বিশ্বস্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আর এ কারণেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপিতে যারা চীনপন্থী আছে তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়েছে এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে যোগাযোগও শুরু করেছে দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা এই দলটি।

বিএনপির মধ্যে এক সময় চীনপন্থীদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। বিএনপির বহিষ্কৃত প্রয়াত মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া, প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামসহ বহু নেতা ছিলেন সরাসরি চীনপন্থী। চীনের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সকলেই জানত। ভারত বিরোধিতা করা এবং চীনপন্থাকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করার কাজটি বিএনপি করেছিল বেশ নিষ্ঠার সঙ্গেই। কিন্তু ২০০৮ এর নির্বাচনের পর সব হিসাব নিকাশ পাল্টে যায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারসাম্যের কূটনীতি চালু করেন। তাতে তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের পরিধি যেমন বাড়িয়েছেন, তেমনই চীনের সঙ্গেও অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কও বৃদ্ধি করেছেন। নেতৃত্ব শূন্য বিএনপি থেকে তাই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চীন এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বেশি আগ্রহী।

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর অবস্থানের বিরুদ্ধে চীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। চীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি বিশ্ব রাজনীতিতে প্রায় এতিম এবং দেউলিয়া হয়ে গেছে। গত নির্বাচনের আগে তারা পুরোপুরি ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কথায় তারা সব কিছু করত। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত তাদেরকে সহযোগিতা করেনি। বিএনপিকে ছাড়াই যে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আলগা হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপিকে এড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করেছে।

এরকম বাস্তবতায় বিএনপি এখন চীনকেই তাদের মুরব্বি ভাবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চীনের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বিএনপিকে তারা ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপারেও ভাবছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস যেমন চীনের অর্থায়নে পরিচালিত হয়, বিএনপিও সে রকম চীনের কাছ থেকে আর্থিক এবং নৈতিক সাহায্য চাইছে।

তবে মালদ্বীপ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এক নয়। মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল একক দেশের ওপর নির্ভরশীল নয়। বরং আওয়ামী লীগের কূটনীতির প্রধান বিষয় হলো ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। এই বাস্তবতায় বিএনপির চীন নীতি কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।


তারেক জিয়া   বিএনপি   মুইজ্জু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অনুমতিই ছিল না সাদিক অ্যাগ্রোর

প্রকাশ: ০৭:৫১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

খামারের জন্য প্রয়োজনীয় কোন অনুমতিই ছিলো না ছাগলকাণ্ডে বহুল আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর। অনুমতি না থাকায় শনিবার আরেক দফা অভিযান চালিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর পুরো খামার ভেঙে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান অভিযানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে সাদিক অ্যাগ্রোর অফিস এবং ছাগলের খামারের একাংশ ভেঙে ফেলে সিটি করপোরেশন। ওইদিন সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। পরে দ্বিতীয় ধাপে সম্পন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযানের পর গবাদি পশু রাখার জায়গা না থাকায় তা সরিয়ে নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির সাভার উপজেলার বলিয়াপুরের খামারে।

নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন দিনের অভিযানে প্রায় ৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া রামচন্দ্রপুর খালের ১০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে খনন কাজ চালানো হয়েছে।

অভিযানসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাতমসজিদ হাউজিংয়ের ১ নম্বর সড়কের শেষ প্রান্তে থাকা সাদিক অ্যাগ্রোর খামারটি ছিল একেবারে রামচন্দ্রপুর খালের পাড় ঘেঁষে। অথচ খালের প্লাবন ভূমির (ফোরশোর) ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। এছাড়া স্থাপনা নির্মাণের জন্য (খামার) সাদিক অ্যাগ্রোর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতিও ছিল না। খামারের জন্য সিটি করপোরেশনের থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো ট্রেড লাইসেন্স।

উল্লেখ্য, কোরবানির জন্য এই সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়েছিলেন এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল আলোচনা হয়। এরপর মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে। মতিউরকে এরই মধ্যে এনবিআর থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সাদিক অ্যাগ্রো   অভিযান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন