জ্বালানির
সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়েছে সরকার। বিদ্যুতের এই ঘাটতি সমন্বয় করতে গত ১৯
জুলাই থেকে চলছে শিডিউল করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় লোডশেডিং হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার
(৩ নভেম্বর) সকাল থেকেও সেই ধারাবাহিকতায় শুরু হবে লোডশেডিং কার্যক্রম, চলবে রাত পর্যন্ত।
রাজধানীর
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা
ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) কোথায়, কখন লোডশেডিং করবে, সে শিডিউল জানিয়ে
দিয়েছে। যদিও শিডিউলের বাইরেও লোডশেডিং হচ্ছে।
রাজধানীর
আজকের সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল জানতে:
ডেসকোর গ্রাহকরা ক্লিক করুন এখানে
লোডশেডিং বিদ্যুৎ ঘাটতি ডেসকো ডিপিডিসি
মন্তব্য করুন
সরকারি কর্মচারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুদক
মন্তব্য করুন
কিছু সংশোধনীসহ আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে পাস হয় এ বিলটি।
এর আগে, অর্থবিলের ওপর কয়েকজন সদস্যের আনা কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকিগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।
প্রণীত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
এদিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে পাস করা হবে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
এবারের বাজেটে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও শেষপর্যন্ত এ প্রস্তাবে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে, যাতে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৪০
হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। মেয়েদের জন্য মেট্রোরেল একটা নিরাপদ যান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই মেট্রোরেল চালু
হওয়ার পরে ঢাকার যানজট অনেকাংশে কমেছে।
আজ
(শনিবার) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, রাজধানীর যানজট সহনশীল করার জন্য আমরা ঢাকা মাস ট্রানজিট তৈরি করেছি, এর মাধ্যমে ৬টা
রুটে মেট্রো রেল নির্মাণ করা হচ্ছে, একটি তো হয়েই গেছে।
ইতোমধ্যে আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সার্ভে করছি। আমি থাকতে থাকতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আমি মেট্রোরেল হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিয়ে যাবো। যাতে দেশের মানুষ দ্রুততম সময় যানজট মুক্ত হয়ে চলাচল করতে পারে।
মন্তব্য করুন
মালদ্বীপের রাজনীতিতে পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস বা পিএনসি একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। এই দলের প্রধান মোহাম্মদ মুইজ্জু এবার নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়লাভ করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে তিনি অভিষিক্ত হননি। পার্লামেন্টে তিনি নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছেন। পিএনসির এই উত্থানের পিছনে চীনের সরাসরি সমর্থন রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মালদ্বীপের রাজনীতিতে চীনের সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ এসেছে পিএনসির মাধ্যমে। পিএনসি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নিজেদেরকে চীনপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এবং প্রকাশ্য ভারত বিরোধিতা করেছে। মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ থেকে প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। চীনের সঙ্গে তিনি প্রকাশ্য সম্পর্ক করেছেন।
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের উত্থানের পিছনে চীনের অর্থ এবং সহযোগিতার কথা সর্বজনবিদিত। আর এ কারণেই মালদ্বীপের রাজনীতিতে এখন সরাসরি দুটি ভাগ। একটি চীনপন্থী রাজনৈতিক দল, অন্যটি ভারতপন্থী রাজনৈতিক দল। এবারের নির্বাচনে ভারতপন্থীরা চীনপন্থীদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে।
মালদ্বীপের এই মডেলই অনুসরণ করতে চায় বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি প্রকাশ্যে ভারত বিরোধিতা করে চীনের একান্ত অনুগত এবং বিশ্বস্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আর এ কারণেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপিতে যারা চীনপন্থী আছে তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়েছে এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে যোগাযোগও শুরু করেছে দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা এই দলটি।
বিএনপির মধ্যে এক সময় চীনপন্থীদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। বিএনপির বহিষ্কৃত প্রয়াত মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া, প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামসহ বহু নেতা ছিলেন সরাসরি চীনপন্থী। চীনের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সকলেই জানত। ভারত বিরোধিতা করা এবং চীনপন্থাকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করার কাজটি বিএনপি করেছিল বেশ নিষ্ঠার সঙ্গেই। কিন্তু ২০০৮ এর নির্বাচনের পর সব হিসাব নিকাশ পাল্টে যায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারসাম্যের কূটনীতি চালু করেন। তাতে তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের পরিধি যেমন বাড়িয়েছেন, তেমনই চীনের সঙ্গেও অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কও বৃদ্ধি করেছেন। নেতৃত্ব শূন্য বিএনপি থেকে তাই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চীন এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বেশি আগ্রহী।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর অবস্থানের বিরুদ্ধে চীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। চীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি বিশ্ব রাজনীতিতে প্রায় এতিম এবং দেউলিয়া হয়ে গেছে। গত নির্বাচনের আগে তারা পুরোপুরি ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কথায় তারা সব কিছু করত। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত তাদেরকে সহযোগিতা করেনি। বিএনপিকে ছাড়াই যে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আলগা হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপিকে এড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করেছে।
এরকম বাস্তবতায় বিএনপি এখন চীনকেই তাদের মুরব্বি ভাবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চীনের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বিএনপিকে তারা ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপারেও ভাবছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস যেমন চীনের অর্থায়নে পরিচালিত হয়, বিএনপিও সে রকম চীনের কাছ থেকে আর্থিক এবং নৈতিক সাহায্য চাইছে।
তবে মালদ্বীপ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এক নয়। মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল একক দেশের ওপর নির্ভরশীল নয়। বরং আওয়ামী লীগের কূটনীতির প্রধান বিষয় হলো ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। এই বাস্তবতায় বিএনপির চীন নীতি কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মালদ্বীপের রাজনীতিতে পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস বা পিএনসি একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। এই দলের প্রধান মোহাম্মদ মুইজ্জু এবার নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়লাভ করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে তিনি অভিষিক্ত হননি। পার্লামেন্টে তিনি নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছেন। পিএনসির এই উত্থানের পিছনে চীনের সরাসরি সমর্থন রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।