ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন বানচাল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার নীলনকশা

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বিরোধীদলের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য হলো আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে না দেয়া। আর বিরোধী দলের আন্দোলনে মদদ দিচ্ছে সুশীল সমাজের একটি অংশ এবং পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা। তারা মনে করছে যে, যদি শেষ পর্যন্ত সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করা যায় তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ হবে। এবং যেহেতু এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সীমারেখা থাকবে না কাজেই সুশীল নিয়ন্ত্রিত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পাঁচ থেকে দশ বছর পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করার সুযোগ পাবে। এটি ঠিক এক-এগার যে মাস্টার প্ল্যান তার একটি বর্ধিত সংস্করণ। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এই নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। বাংলাদেশের কয়েকজন আইনজীবী এ বিষয়গুলোর সাংবিধানিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন এবং বিএনপি যেন কোনো অবস্থাতেই আন্দোলন থেকে সরে না আসে এবং তারা যেন সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে সে ব্যাপারে তাদেরকে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে।

বাংলাদেশে আবার একটি অনির্বাচিত সরকার আনার জন্য এই নীলনকশার নীরব বাস্তবায়ন চলছে। উল্লেখ্য যে, এক-এগারতে যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল সেটি কতদিন ক্ষমতায় থাকবে এই নিয়ে এক সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এই সময়ে সুপ্রিমকোর্টে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ যেহেতু উত্তীর্ণ হয়ে গেছে কাজেই তারা কতদিন থাকবে এ নিয়ে সংবিধানে কোন ব্যাখ্যা নেই। কাজেই তারা অনেক দিন ইচ্ছা থাকতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকায় সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই। এখন ড. কামাল হোসেন ওই তত্ত্ব নিয়ে আবার হাজির হচ্ছেন। বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। আর বিএনপির এই বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগ বলছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সাংবিধানিক বিধি-বিধান নাই। সংবিধানের বাইরে কোনো কিছু করা যাবে না। আর এ কারণেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন না হয় সেটি এখন বিএনপিসহ কিছু বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং কয়েকটি পশ্চিমা দেশের প্রধান লক্ষ্য, এ লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। আর এ কারণেই পশ্চিমা দেশের কয়েকজন কূটনীতিক বাংলাদেশের সুশাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন। এই নীল নকশার পাঁচটি ধাপ রয়েছে- 

প্রথম ধাপে বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন করবে এবং এই আন্দোলনকে আস্তে আস্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া হবে। এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হবে যেন দেশে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা এবং সহিংসতা সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় ধাপটি হলো, সুশীল সমাজ দেশের অর্থনৈতিক সংকট ও সুশাসনের অভাব সহ নানা ইস্যু গুলোকে সামনে নিয়ে আসবে এবং সুশীল নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে সেটি ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা করা হবে। ফলে জনগণের মধ্যে এক ধরনের ভীতি অনাস্থা তৈরি হবে। উদাহরণ হিসেবে দেখা যায় যে, প্রথমে ব্যাংকের রিজার্ভ নেই বলে গুজব ছড়ানো হলো, তারপর দেশের শীর্ষস্থানীয় সুশীল নিয়ন্ত্রিত একটি দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিন ব্যাংকিং খাতের নানা দুর্বলতা নিয়ে প্রতিবেদন করছে। অর্থাৎ জনগণের মধ্যে ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে অনাস্থা সৃষ্টির জন্যই এটি করা হচ্ছে। এভাবে আস্তে আস্তে সরকারকে অজনপ্রিয় করার একটি নীরব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যেন অসাংবিধানিক কোন শক্তি ক্ষমতা গ্রহণ করলেও জনগণ খুব একটা অসুখি না হয়।

তৃতীয় ধাপে, আন্তর্জাতিক মহল সরকারের ওপর নানারকম চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে এমন খবর শোনা যাচ্ছে। এই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। চতুর্থ ধাপে, গণমাধ্যমগুলোকে আস্তে আস্তে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সর্বশেষ পঞ্চম ধাপে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত জোটগুলো আছে সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে আওয়ামী লীগকে একা করা হচ্ছে, যেন সব রাজনৈতিক দলই আগামী নির্বাচন বয়কটের দিকে যায়। কারণ নির্বাচন বয়কট করলে রাজনীতিতে একটি সহিংসতা সৃষ্টি হবে এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করলেই অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় আসার পথ তৈরি হবে।

নির্বাচন বানচাল   তত্ত্বাবধায়ক সরকার   নীলনকশা   বিএনপি   সুশীল সমাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মধ্যপ্রাচ্যে শেখ হাসিনার মতো নেত্রী থাকলে গাজায় এমন পরিস্থিতি হতো না’

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে যদি শেখ হাসিনার মতো কেউ থাকত তাহলে গাজায় চলমান পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অডিটোরিয়ামে কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন- ‘আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’


তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তিনি থাকেন সেখানকার মধ্যমণি। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব সারাবিশ্বে বিরল।

‘শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, এখন বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। বিদেশি নেতারা তার প্রশংসা করে চলেছেন।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন- আপনি শুধু আমারই নয় আমার পরিবারেরও অনুপ্রেরণা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছে, আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র অহমিয়া ভাষায় রূপান্তরিত সংস্করণ আসামের কবি ও গবেষক ড. রীতা চৌধুরী রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জিরো আওয়ার’ একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবন জোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ গ্রন্থ উন্মোচন করা হয়।

মাধ্যপ্রাচ্য   শেখ হাসিনা   ফিলিস্তিন   রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় নিজ নামের সড়ক ও পার্ক উদ্বোধন করবেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্ত্বর থেকে কালসী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।  

আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই দু’টি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এ সম্পর্ক এবং আমিরের এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তার নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্ক’র কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।

আগামী মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়ক ও পার্কের নামফলক উন্মোচন করবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আগামী সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন।

কাতারের আমির   আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনপদ। অসহ্য গরমে প্রাণীকূলের প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।

এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গা   সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   হিট এলার্ট জারি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধী আত্মীয় হলেও ছাড় নয়: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারপিটের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।

শুক্রবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাটোরে অপহরণ ও মারধরের শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেলোয়ার হোসেন পাশার সুস্থ্যতা কামনা করেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশের বাইরে থেকে আসার সঙ্গে সাথেই আমার দলের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এটিকে নিজের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেছি। এ সময় আমার নেতাকর্মীদের পাশে আমার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। 

নিজের শ্যালকর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক আমার আত্মীয় হোক আর দলীয় নেতা কর্মী হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অন্তত ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

এদিকে ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযুক্ত অপর প্রার্থী শেরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবের দাবি, তিনি নির্দোষ। হয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা পরিষদ   ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি   জুনায়েদ আহমেদ পলক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশজুড়ে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
 
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন। শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন