ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উন্নয়ন করতে হবে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সমাজে অপরাধের ধরন পাল্টেছে, তাই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উন্নয়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানী সুত্রাপুরের আলোচিত আশিকুর রহমান অপু হত্যা মামলার আপিল শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সমাজে অপরাধের ধরন পাল্টেছে। এখন আগের সেই সামাজিক অবস্থা নেই। তাই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উন্নয়ন (ক্রাইম কন্ট্রোল ম্যাকানিজম ডেভেলপ) করতে হবে।

কিশোর গ্যাং প্রসঙ্গ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সমাজে বেপরোয়া 'কিশোর গ্যাং' নিয়ে খবর হয়েছে। এক্ষেত্রে শিশুকে শিশু বললেই হবে না। একসময় এরাই অপরাধে জড়ায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। 


প্রধান বিচারপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে বৌলাই নদীতে চাঁদাবাজি, ৮ চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার


Thumbnail

নৌপথে কয়লা চুনাপাথর পরিবাহী নৌযান আটকে চাঁদা আদায়কালে ৮ পেশাদার চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩০ জুন) সকালে সুনামগঞ্জের   তাহিরপুরের বিভিন্ন শুল্ক ষ্টেশন থেকে ছেড়ে কয়লা -চুনাপাথর পরিবাহি ছেড়ে নৌযান জামালগঞ্জের বৌলাই নদীতে আটকে রেখে চাঁদা আদায় করছিলো একটি সংঘবন্ধ চক্র। এরপর ওই নৌপথে অভিযান চালিয়ে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামালগঞ্জের উজান লালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে বিল্লার ওরফে বিলামিন, একই গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে মুক্তাদির, আকিনূর মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া, উমেদপুর গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে নূরল গণি,একই গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে নুর জালাল,মৃত আলী আহমদের ছেলে মুজাহিদ, ফখর উদ্দিনের ছেরে মিরাজ আলী, আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে হিরন মিয়া।

এসময় গ্রেপ্তার কৃতদের হেফাজতে থাকা চাঁদাবাজির টাকা, মোবাইল, ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়। জামালগঞ্জ থানার ওসি   তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘থানায় মামলা দায়ের পূর্বক সন্ধায় আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।


বৌলাই নদী   চাঁদাবাজি   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলছে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি, স্থগিত ক্লাস ও পরীক্ষা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বৈষম্যমূলক পে-স্কেল ও পেনশন স্কেলের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। যার কারণে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা। 

গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা। 

একই দিন রাজশাহী, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম ও  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মবিরতি পালন করে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দাবি তিনটি—প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ সচিবেরা যে ধাপে বেতন-ভাতা পান) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল। আর এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা। 

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। 

গতকাল (রোববার) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন। 

বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন। 


কর্মবিরতি   স্থগিত   পে-স্কেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কু‌ড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ স্পৃ‌ষ্ট হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকার এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহতরা হলেন, আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭) । উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

 

স্থানীয়রা জানান, রাত ৮ টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়ীতে বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিলেন। এ সময় সে অসাবধানতা বশত বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হলে ছেলের আর্তনাতে বাবা আবু তাহের সন্তানকে উদ্ধারের জন্যে এগিয়ে যান। পরে বাপ-ছেলে দুজনই ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

 

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) গোলাম মর্তুজা জানান, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   বাবা-ছেলে   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে আর জঙ্গিবাদের উত্থান হবে না: র‍্যাব মহাপরিচালক

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে আর জঙ্গিবাদ উত্থান হবে না বলে দাবি করেছেন র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। 

সোমবার (১ জুলাই) হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গুলশান মডেল থানার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জঙ্গি নির্মূলে বাংলাদেশ কতটুকু সফল জানতে চাইলে র‍্যাব ডিজি বলেন, ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে র‍্যাব ও পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে র‍্যাব ও পুলিশ সক্ষম হয়। অনেক জঙ্গিকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়।

তিনি বলেন, এখন আর ওইভাবে জঙ্গি তৎপরতার তথ্য নেই। জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এখন নিরাপদ একটি দেশে।

জঙ্গি দমনে র‍্যাবের সফলতা নিয়ে তিনি বলেন, র‍্যাব সূচনালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদের বিষয়ে র‍্যাবের নজরদারি রয়েছে।  র‍্যাব এখন একটি আধুনিক এবং পেশাদার বাহিনী। ভবিষ্যতে এ দেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। র‍্যাবের সেই সক্ষমতা আছে।  

জঙ্গি সংগঠন আনসার ইসলাম ও আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। গত সপ্তাহেও চট্টগ্রাম থেকে তিন জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা কিন্তু সার্বক্ষণিকই জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিরা এক সময় নানা প্রচারণা করার চেষ্টা করেছে। জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেছে এক সময়।  আমরা কিন্তু এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা মানুষজনকে আশ্বস্ত করতে চাই এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পয়লা জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল গোটা দেশকে। সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বহির্বিশ্বেও। সেনা অভিযানে নিহত হয় হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি।

হলি আর্টিজান বেকারিতে ওই নৃশংস জঙ্গি হামলার ৮ বছর আজ। হাইকোর্টের রায়ের পর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তা প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর ফাঁসির দণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারাগারে রয়েছেন আরও ৮ জন।

নৃশংস ওই হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গেল বছর অক্টোবরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। কিন্তু এখনো প্রকাশ হয়নি সেই পূর্ণাঙ্গ রায়।


বাংলাদেশ   জঙ্গিবাদ   র‍্যাব মহাপরিচালক   ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ

প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন। তাদেরকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১ টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামে এ ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে।

 

জানা যায়, ৫১ শতাংশ বাড়ির জমি নিয়ে দাদপুর গ্রামের কামাল হোসেন গংদের সাথে সানাউল্লাহ আকন্দ গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ জমি নিয়ে দু'পক্ষের আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। এছাড়াও এই বাড়ির জমি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। 

 

এছাড়াও আরো জানা যায় ঐ জমি সানাউল্লাহ আকন্দের ছেলে ও দাদপুর সাহেবগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিনুর রহমান নিজের দাবি করে বাড়িঘর নির্মান করেছিলেন। রোববার সকালে মামলার বিষয় নিয়ে শাহিনুর ইসলাম ও তার ভাইগণ কোর্টে গেলে প্রতিপক্ষ কামাল হোসেনের লোকজন অতর্কিতভাবে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরে সানাউল্লাহ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাঁধা দিতে আসলে তাদের উপর হামলা করে।'

 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘বাড়ির জমি নিয়ে আমার চাচা কামাল হোসেন বিভিন্ন হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এর আগে কোর্টে মামলা করে জমির উপরে ১৪৪ ধারা জারি করে পরে তদন্ত করলে আমাদের সাথে হেরে যায়। এছাড়াও এই জমি নিয়ে রোববার (৩০ জুন) আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ কামাল হোসেন গংরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সবাই মিলে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। আমার বাবা ও বোনেরা বাঁধা দিতে আসলে তাদের উপরও হামলা করা হয়।’

 

এ‌ বিষয়ে শাহিনুর ইসলামের বোন রোকসানা খাতুন বলেন, রোববার সকাল ১১ টার দিকে হঠাৎ করে চাচা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কাসেম, জুয়েল, ময়নাল,আলম, রাসেল,নিয়ামুল, রিপন, ফারহান রুবেলসহ আরো অনেকে  বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করে তখন আমার ভাই ও পরিবারের সদস্যরা কোর্টে ছিলেন। আমি, আমার বাবা ও ভাবী বাঁধা দিতে গিলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয় ও হামলা করে আহত করে।

 

বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়ে কামাল হোসেন সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না বলে ফোন কেটে দেন।

 

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের জুয়েল হোসেন বলেন, শাহিনুর ইসলাম জোর পূর্বক বাড়িঘর নির্মান করেছিলেন সেগুলো আমরা ভেঙে দিয়েছি এর বেশি কিছু বলতে পারব না।

এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি') এনামুল হক বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুর বিষয় সম্পর্কে আমার জানা নেই। এ বিষয় নিয়ে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


জমি নিয়ে বিরোধ   ভাঙচুর   অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন