ইনসাইড বাংলাদেশ

তুলে নিয়ে শেয়ার কেড়ে নেন বেনজীর ও নাফিজ, সিটিজেন টিভির চেয়ারম্যানের দাবি

প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গভীর রাতে সিটিজেন টিভির চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান এমপিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ার লিখে নেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

নাফিজ সরাফাত রাত ১টার দিকে সিটিজেন টিভির চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে বাসা থেকে বেনজীরের কাছে নিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) লিখিত বক্তব্যে এমন দাবি করেছেন শফিকুর রহমান এমপি। সিনিয়র সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান চাঁদপুর-৪ আসনের এমপি। তিনি ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ মেয়াদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সরকারের অনুমোদন পায় স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সিটিজেন টিভি। তবে এখনও এই টেলিভিশন সম্প্রচারে আসেনি।

লিখিত বক্তব্যে মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি সিটিজেন টিভির চেয়ারম্যান (মালিক)। প্রথমদিকে আমার কোনো শেয়ারহোল্ডার ছিল না। একা অনএয়ারে আসার মতো টাকাও আমার ছিল না। আমার এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় রুট গ্রুপের মালিক রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল অনুরোধ করেন, তাঁকে সঙ্গে নিলে অনএয়ারে আসার জন্য বাড়িভাড়া, অফিস স্টাফসহ ৩০-৪০ লাখ টাকা যা খরচ হয়, তিনি করবেন। আমি তাঁর প্রস্তাবে রাজি হই এবং তাঁকে সঙ্গে নিই। তবে আজকাল করে বছর চলে যায়। এরই মধ্যে সরকারের অন্যান্য যা অনুমোদন দরকার তা করে ফেলি।’

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ এক রাতে সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত নামে এক যুবক (আগে চিনতাম না) আমার বনানীর বাড়িতে আসেন। সিটিজেন টিভি স্পোর্টস দিয়ে শুরুর কথা বলে আমাকে তুলে নিয়ে ওয়েস্টিন হোটেলের নিচতলায় বেনজীরের কাছে নিয়ে যান। বেনজীর, নাফিজ সরাফাত, টুটুল ছাড়াও অচেনা চেহারার আরও দু’জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যাদের দেখে মনে হলো সশস্ত্র। বেনজীর একটা হলুদ কাগজ আমার হাতে দিয়ে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি কাগজের লেখা পড়তে শুরু করলে বেনজীর বাধা দিয়ে বলেন, সিটিজেন টিভি হবে স্পোর্টস ওরিয়েন্টেড। অচেনা দু’জনকে দেখিয়ে বলেন স্পোর্টসের লোক। তাদের সঙ্গে একটু চুক্তিতে আসতে হবে। এই কাগজ সেই চুক্তিপত্র। এক পর্যায়ে তারা ধমকের সুরে কথা বলেন। রাত ২টার দিকে আমি স্বাক্ষর দিতে বাধ্য হই।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘টেলিভিশন চালুর বিষয়ে টুটুলকে বারবার তাগাদা দিলে তিনি বলেন বেনজীর এবং নাফিজ সব করবেন। তাঁর কাছে কিছু নেই। তখন আমি আরজেএসসিতে গিয়ে সিটিজেন টিভি এভাবে পাই যে, আমার নামে ৩০ শতাংশ শেয়ার, বেনজীরের দুই মেয়ের নামে ১৫ শতাংশ করে ৩০ শতাংশ, নাফিজ সরাফাতের নামে ২৫ শতাংশ এবং টুটুলের নামে ১৫ শতাংশ। এ অবস্থায় ৪ থেকে ৫ বছর চলে গেছে। আমি কিছু করতে পারছি না। ওরাও আইন অনুযায়ী আমাকে বাদ দিয়ে চালু করতে পারেননি। তাগাদা দিলে নানা অজুহাত দেখাতে থাকেন।’

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছু শর্তে ২০১৭ সালের এপ্রিলে সরকারের অনুমোদন পায় সিটিজেন টিভি। ওই সময় র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর আহমেদ। সরকারি অনুমোদনের ৭ বছর পার হলেও এখনও সম্প্রচারে আসেনি সিটিজেন টিভি। তবে এই টেলিভিশন চ্যানেলের নামে বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকে ২০২১ সালে একটি শর্ট নোটিশ ডিপোজিট (এসএনডি) অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে এই চ্যানেলের রেজিস্ট্রেশন দেখানো হয় ২০১৭-২০১৮ সাল। সেখানে টিভি চ্যানেলের চেয়ারম্যান হিসেবে নাম রয়েছে মুহম্মদ শফিকুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন পদ্মা ব্যাংকের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান ও বেনজীরের ঘনিষ্ঠ চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। আর পরিচালক হিসেবে নাম রয়েছে বেনজীরের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর। সিটিজেন টিভি অনুমোদনের অন্যতম শর্ত ছিল– এক বছরের মধ্যে সম্প্রচারে আসতে হবে। পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারে যাওয়ার আগে এবং পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারে যাওয়ার পর দুই বছর পার না হওয়া পর্যন্ত কোনো শেয়ার হস্তান্তর করা যাবে না।

জানতে চাইলে মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘যে কাগজে সই করেছি, সেটি যে শেয়ার হস্তান্তরের কাগজ, তা আমাকে বলা হয়নি। আমাকে ব্লাকমেইল করে লিখে নেওয়া হয়।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তারা আমার সঙ্গে মাস্তানি করেছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার কাগজে টুটুলের নাম না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, যতটুকু জানি টুটুলের শেয়ারও তারা নিয়ে নিয়েছে।’

সার্বিক বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বেনজীর আহমেদকে টেলিফোন করে পাওয়া যায়নি। বক্তব্যের জন্য চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

দুর্নীতি দমন কমিশন গত ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জীশান মীর্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। দুদকের অনুরোধে বিএফআইইউ বিভিন্ন ব্যাংকে তথ্য তলব করে চিঠি দেয়। দুদকের তথ্যের ভিত্তিতে আদালত গত ২৩ মে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেন। এরপর গত ২৬ মে ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। এ ছাড়া দুবাই, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর কোনো সম্পদ আছে কিনা গোয়েন্দা তথ্য চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

বেনজীর আহমেদ   সিটিজেন টিভি   শফিকুর রহমান এমপি   চৌধুরী নাফিজ সরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল রুয়েট ও রাবি

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এবার বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের সাথে রুয়েট শিক্ষার্থীরাও তাদের যোগদানের কথা জানান।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হতে দেখা যায় তাদের। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের তালাইমারি এলাকা হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফলকে অবস্থান নেন তারা।

এসময় 'দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম-ব্যাক', 'জেগেছে রে জেগেছে রূয়েটবাসী জেগেছে', 'সংবিধান পরিপন্থী কোটা ব্যবস্থা নিপাত যাক', 'স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই' , 'হয় যদি কোটার চাষ পড়বো কেন বারো মাস', 'আঠারোর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার' , 'সারা বাংলায় খরব দে কোটা প্রথার কবর দে' এমনসব স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মূলত কোটা সংস্কারের দাবিতে এখানে এসেছি। বিভিন্ন রকম কোটার কারণে আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার প্রভাব অনেক বেশি।

তিনি বলেন, আমরা কোটা বাতিল চায় না কিন্তু চাই এটা সংস্কার করা হোক। ১০% মুক্তিযোদ্ধা আর বাকি ১০% অন্যান্য কোটা থাকলে ভালো হয়। যাদের আসলেই প্রয়োজন শুধুমাত্র তাদেরকেই কোটার আওতায় আনা উচিত। প্রতিবন্ধী বা উপজাতিদের কোটা দেওয়া যায়।

এর আগে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেললাইন অবরোধের দিনের কর্মসূচী করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে এ কর্মসূচি করে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্য মানি না। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সদস্য মেহেদী সজীব বলেন, আজকে আমরা রেললাইন অপরাধ করেছি। আমাদের লাগাতারে কর্মসূচি চলবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে।

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিক ভোগের সুযোগ এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে৷ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থী অংশ নেন। 


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   রুয়েট   আন্দোলন   ছাত্র আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাগ এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। চলতি সপ্তাহে মুনীম তার দায়িত্ব নিতে পারেন।

রোববার ( জুলাই) ্যাবের এক প্রজ্ঞাপনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌসকে লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বর্তমান মুখপাত্র কমান্ডার আরাফত হোসেনকে বদলি করে ্যাব- এর অধিনায়ক করা হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্বে আসছেন মুনীম ফেরদৌস। এই সেনা কর্মকর্তা গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাটালিয়নটির দায়িত্ব পান।

লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বর্তমানে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক হিসেবে রাজশাহীতে কর্মরত। তিনি র‌্যাবের ১৩তম মুখপাত্র হবেন।


এদিকে আড়াই মাসেরও কম সময় ্যাব মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বরিশাল ্যাব- এর অধিনায়ক হয়েছেন। তিনি চলতি সপ্তাহে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানা গেছে।

 


র‌্যাব   মুখপাত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে কমতে শুরু করেছে যমুনার পানি

প্রকাশ: ০২:৪৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পযন্ত') যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট সমতল এলাকায় ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে'। পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যার্তদের। প্লাবিত এলাকাগুলোতে বাড়ছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

 

পানির কারণে নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতঘর বাড়ি, ফসলিজমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৮৩ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি, রাস্তা ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাঁত কারখানা পানিতে তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। একই সঙ্গে চর ও নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।  

 

অপরদিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ভুতের মোড়, শাহজাদপুর উপজেলার হাট-পাঁচিল, জালালপুর ও কৈজুরীতে ভাঙন অব্যাহত রযেছে। ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েকশত বসতবাড়িঘর, বিল্ডিং, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা।

 

ভাঙনের মুখে রয়েছে অনেক বাড়িঘর। ভাঙনকবলিত বাসিন্দারা বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন'। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অন্যদিকে কাজীপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর ও চরগিরিশের বিভিন্ন দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙনের মুখে পড়েছে ছালাল চরে নির্মিত মুজিব কেল্লা। যেকোন সময় তা যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ভাঙনের কবলে পড়েছে ভেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। খাসরাজবাড়ী গুইজাবাড়ি বাধ, তেকানি বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। যদিও এসব বাঁধের কাজ এখনও চলমান রয়েছে।

জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার পরিবারের মোট ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের মাঝে ৯৫ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।'

 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১সে.মি কমে বিপদসীমার ৬০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী তিন-চারদিন পর্যন্ত যমুনার পানি কমবে এরপর ফের বাড়তে পারে। আপাতত এভাবেই চলতে থাকলেও ভারী বন্যার সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে।'

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধ  বলেন, বন্যার পানিতে জেলার ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনই ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাবেনা, এর জন্য সময় লাগবে। কারণ, যেমন পাট জাতীয় ফসল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়না। কিন্তু অনেক ফসলই আবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান  বলেন, এই জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার পরিবারের মোট ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা ইতোমধ্যেই তাদের মাঝে ৯৫ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। আমাদের আরও যথেষ্ট মজুদ আছে, সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত আছি।'


বন্যা পরিস্থিতি   যমুনার পানি   উন্নতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খরচের ধাক্কা সামলাতে সঞ্চয়পত্র ভাঙার চাপ

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অথচ মানুষের আয় সেই আগের অবস্থাতেই আছে। তাই বাড়তি ব্যয়ের চাপ সামলাতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে এখন হয় ঋণ করতে হচ্ছে, নতুবা আগের জমানো সঞ্চয়ে হাত দিতে হচ্ছে। তবে এই প্রবণতা অল্প কয়েকজনের মধ্যেই এখন আর সীমাবদ্ধ থাকছে না। উপায়ান্তর না দেখে মানুষ এখন সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে বাধ্য হচ্ছে। এতে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণও কমে গেছে। 

সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রে সুদহার অপরিবর্তিত রাখার বিপরীতে ব্যাংকের আমানত ও বিল বন্ডের বিনিয়োগে সুদহার বেড়ে যাওয়া, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপসহ নানা কারণে মানুষ এখন নতুন করে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। উল্টো অব্যাহতভাবে সঞ্চয়পত্র ভাঙার প্রবণতা বাড়ায় গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) নিট বিক্রির পরিমাণ ঋণাত্মক হয়ে গেছে। অর্থাৎ এই সময়ে নতুন সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে আগে কেনা সঞ্চয়পত্রের মূল পরিশোধ বেশি হয়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মে মাসে নিট বিক্রি ঋণাত্মক হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে নিট বিক্রি ঋণাত্মকের পরিমাণ ১৭ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়েও নিট বিক্রি ঋণাত্মক ধারায় ছিল। তবে ওই সময় এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি কমেছে ৩৮৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যদিও অর্থবছর শেষে নিট বিক্রি হয়েছিল ঋণাত্মক প্রায় ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ পুরো অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকার এক টাকারও ঋণ নেয়নি। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আরও কমানো হয়েছে।

আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্র থেকে ভাঙানো বাবদ (নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বা মেয়াদান্তের আগে) আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে নিট বিক্রি বলা হয়। নিট বিক্রিকে সরকারের ধার বা ঋণ হিসেবে গণ্য করা হয় ।

এই প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি এম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘কড়াকড়ি আরোপ করার কারণেই মূলত সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ খুব বেশি মুনাফা পাচ্ছে না। এটাও সঞ্চয়পত্র কমার বড় একটা কারণ। ঋণের বোঝা কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে টিআইএন এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করায় অনেকেই সঞ্চয়পত্রে আগের মতো বিনিয়োগ করতে পারছেন না। তার মতে, আগে কালো টাকাও সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগ হতো। এখন সেটা হচ্ছে না। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে মন্দা দেখা দিয়েছে।

একই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন মানুষ আর সঞ্চয়পত্র কিনছে না। এর তিনটি কারণ রয়েছে—প্রথমত, ৫ লাখ টাকার ওপরে সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলে আয়কর রিটার্ন দিতে হচ্ছে; কিন্তু নানারকম ঝামেলার কারণে অনেকেই আয়কর রিটার্ন দিতে চান না। ফলে তারা এখান থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। দ্বিতীয়ত, যাদের সঞ্চয়পত্র এক কোটি টাকার বেশি ছিল, সীমা নির্ধারণের কারণে এসব সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে তারা আর নতুন করে কিনতে পারছেন না। তৃতীয়ত, মানুষের হাতে এখন টাকা কম আছে। বর্তমান মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ আর আগের মতো সঞ্চয় করতে পারছে না। এসব কারণে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কম ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনেক বেশি ঋণ নিচ্ছে, যা আরও বেশি ক্ষতিকর। কেননা, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে তা সরাসরি মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলে।


সঞ্চয়পত্র   মূল্যস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তি: নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে খুব একটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিও এখনো আগের মতোই রয়েছে। দেখা যায়, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে সামান্য কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এসময় ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার সহ ১৬টি নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্ট ২৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ভূরুঙ্গামারী,ফুলবাড়ি, নাগেশ্বরী , কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, রাজারহাট, চিলমারী, রৌমারী, চর রাজিবপুর এই ৯ উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্যমতে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, ২৩হাজার ৪৫২ পরিবারের ১লাখ ১৭ হাজার ২৬০জন পানিবন্দী রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ৩৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে,৩টি বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।বন্যার্তদের জন্য ৪০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এরমধ্যে ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২হাজার ১৯২জন বন্যার্ত আশ্রয় নিয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার্তদের মাঝে ৩৮৭ মেট্রিকটন চাল, ২১ লাখ ৮৫হাজার টাকা ও ১৮হাজার৯৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

৭হাজার৩৫০ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে।বানভাসিদের সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

এদিকে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে নয় উপজেলার ৪৯ ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। পানিবন্দী পরিবারগুলো আট দিন ধরে গবাদি পশু-পাখিসহ পাকা সড়ক ও উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। বন্যার পানিতে তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে আছে। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও কলা গাছের ভেলাই বানভাসিদের একমাত্র ভরসা।

এছাড়াও বন্যাকবলিত হওয়ায় জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের তিন শতাধিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ বানভাসিদের ঘরের মজুদ খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে। অনেক পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৩৮৭ টন চাল, নগদ ২২ লাখ টাকা ও ১৮ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হলেও অনেকের ভাগ্যে জোটেনি এই ত্রাণ সহায়তা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বিভাগ জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৩২ সেন্টিমিটার এবং শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটা চরের বাসিন্দারা জানান, ৬-৭দিন ধরে বাড়িতে বন্যার পানি।গরু, ছাগল হাঁসমুরগি নিয়ে পাশে একটি উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে তারা।

অন্যদিকে অধিকাংশ পরিবারে ৮দিন থেকে জ্বলছে না চুলা। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির কারণে বানভাসিরা পরেছে মহাবিপাকে।তারা ছুটছে আশ্রয়ের খোঁজে। বেশিরভাগ বানভাসি নৌকায় রাত্রি যাপন করছে।সরকারি প্রশাসন থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেও এখনও সবার কাছে পৌঁছেনি ত্রাণ সহায়তা।


বন্যা পরিস্থিতি   অপরিবর্তিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন