আগামী ৫ জুন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। শেষ মুহুর্তে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে প্রার্থীদের।
কলাপাড়া উপজেলাটি ১২টি
ইউনিয়ন
ও
২টি
পৌরসভা
নিয়ে
গঠিত।
এ
উপজেলায় সমুদ্র
সৈকত
কুয়াকাটা, পায়রা
বন্দর
ও
তাপ
বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারের বেশ
কয়েকটি
মেগা
প্রকল্পের কাজ
চলমান
থাকায়
এ
উপজেলার গুরুত্ব অনেক
বেশি।
৪৯২.১০২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের
কলাপাড়া উপজেলার ভোটার
সংখ্যা
২
লক্ষ
১
হাজার
৬৩৮
জন।
ভোটে
চেয়ারম্যান পদে
৩
জন,
ভাইস
চেয়ারম্যান পদে
৩
জন
ও
মহিলা
ভাইস
চেয়ারম্যান পদে
৪
জন
প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন,
ঘোড়া
প্রতীকে উপজেলা
আওয়ামী
লীগের
সাধারন-সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা
চেয়ারম্যান বীর
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল
মোতালেব তালুকদার, আনারস
প্রতীকে যুবলীগ
কেন্দ্রীয় কমিটির
সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম
আল
সাইফুল
সোহাগ
এবং
দেয়াত
কলম
প্রতীকে জেলা
কৃষক
লীগ
নেতা
ও
সাবেক
টিয়াখালী ইউপি
চেয়ারম্যান সৈয়দ
আকতারুজ্জামান কোক্কা।
অন্যদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদের
প্রার্থীরা হলেন,
টিউবওয়েল প্রতীকে উপজেলা
আওয়ামী
লীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক ও
বর্তমান ভাইস
চেয়ারম্যান শফিকুল
আলম
বাবুল,
চশমা
প্রতীকে উপজেলা
আওয়ামী
লীগের
দপ্তর
সম্পাদক মোঃ
ইউসুফ
আলী,
বই
প্রতীকে উপজেলা
কৃষকলীগের নেতা
আলহাজ্ব মোঃ
ইব্রাহীম খলিল।
সংরক্ষিত মহিলা
ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, সেলাই মেশিন
প্রতীকে উপজেলা
আওয়ামী
লীগের
ত্রাণ
ও
সমাজ
কল্যাণ
সম্পাদিকা শাহিনা
পারিভিন সীমা,
কলস
প্রতীকে উপজেলা
মহিলা
আওয়ামী
লীগের
সদস্য
নাজমুন
নাহার
মলি,
ফুটবল
প্রতীকে মোসা.
রাশেদা
বেগম
ও
হাঁস
প্রতীকে মোসাম্মাৎ লাইজু
হেলেন
লাকি।
সরেজমিনে কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা
ঘুরে
দেখা
গেছে,
প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে
গেছে
গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজার,
অলিগলিসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। গানে
গানে
ভোট
চাওয়া
হচ্ছে
মাইকের
মাধ্যমে। প্রত্যেক প্রার্থীর কর্মী
ও
সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণা ও প্রতীক সম্বলিত হ্যান্ডবিল বিতরণে
ভোটাদের দ্বারে
দ্বারে
ঘুরছেন। নিজ
প্রার্থীর গুণকীর্তনে চা
স্টল,
ভ্যানস্ট্যান্ড ও
জনবহুল
স্থান
মুখরিত
হয়ে
উঠছে।
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট
দিলে
এলাকার
উন্নয়নে ভূমিকা
রাখবে
বলে
ভোটারদের আকৃষ্ট
করতে
চেষ্টা
করছেন
প্রার্থী ও
কর্মীরা। পাশাপাশি ভাইস
চেয়ারম্যান ও
মহিলা
ভাইস
চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও কর্মী
সমর্থকদের নিয়ে
সমান
তালে
এগিয়ে
যাচ্ছেন। ভোটারদের আকৃষ্ট
করতে
চালিয়ে
যাচ্ছেন নানা
কৌশল
ও
শ্রুতি
মধুর
বক্তব্য। সব
মিলিয়ে
গণসংযোগ ও
প্রচারণায় যেন
কোনো
প্রার্থীর দম
ফেলার
ফুসরত
নেই।
কলাপাড়া পৌর
শহরের
লঞ্চঘাট এলাকার
ভোটার
সোহেল
মিয়া
জানান,
এতো
বড়
একটা
ঘূর্ণিঝড় গেলো,
উপজেলা
পরিষদের কোনো
প্রতিনিধি আমাদের
খোঁজ
খবর
নেয়নি।
যে
সব
সময়
আমাদের
খোঁজ
খবর
নিবে,
এলাকার
উন্নয়নে কাজ
করবে
এমন
যোগ্য
প্রার্থীকেই আমরা
ভোট
দিয়ে
নির্বাচিত করবো।
চম্পাপুর ইউনিয়নের পটুয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী জানান, আমাদের এলাকার অনেক রাস্তাঘাট এখনো কাঁচা। এলাকাবাসীর উন্নয়নে যে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে তাকেই আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।
কলাপাড়া উপজেলা
নির্বাচন অফিসার
গোলাম
মস্তফা
জানান,
যে
কোনো
অপ্রীতিকর ঘটনা
এড়াতে
মাঠে
ম্যাজিস্ট্রটসহ পুলিশ
সদস্য
রয়েছেন। আশা
করছি
একটি
সুষ্ঠু
ও
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার
দিতে
পারবো।
উপজেলা নির্বাচন প্রচার প্রচারণা প্রার্থী
মন্তব্য করুন
জামালপুরে গ্রাহকদের নিকট থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আমানত আত্মসাতকারী বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতারকদের বিচার ও অর্থ ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার
(২৯ জুন) দুপুরে শহরের বকুলতলা চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি-দুপ্রক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় হিউম্যান রাইটস ফোরাম ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখা।
এসময় বক্তারা বলেন, মাদারগঞ্জ উপজেলায় আল-আকাবা, শতদল, রূপসী বাংলা, স্বদেশ, নবদ্বীপ, রংধনু, আশার আলো, পরশমনিসহ শতাধিক সমবায় সমিতি সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে বে-আইনিভাবে ব্যাংকিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এসব সমবায় সমিতির পরিচালকরা অতি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহকের নিকট থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে।
গ্রাহকদের আমানত নিয়ে সমিতির কর্তাব্যক্তিরা দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে নিজেরা এখন গা-ঢাকা দিয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা আরও
বলেন, সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ ফেরত না পেয়ে সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে, অভাব-অনটনে তারা চিকিৎসা, সন্তানদের পড়াশুনা ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। গত এক বছর ধরে গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে গত ছয় মাস আগে সমিতির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সমিতির লোকজন গা-ঢাকা দিয়েছে।
প্রশাসন এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভপ্রকাশ করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত ও সমবায় সমিতির নামে অর্থ আত্মসাতকারীদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা।
এছাড়াও মানববন্ধন থেকে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গণস্বাক্ষর, স্মারকলিপি প্রদান, রেল ও সড়কপথ অবরোধসহ ধারবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমবায় সমিতি প্রতারক বিচার দাবি মানববন্ধন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযান এনে এমপি শাহরিয়ার আলমকে দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৯ জুন) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহী জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এন্তাজুল হক বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মতিউর রহমান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল আওয়ামী লীগের একজন অত্যন্ত পরিশ্রমি ও নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের। এর মূল পরিকল্পনাকারী শাহরিয়ার আলম এমপি। তাকে রাজশাহী জেলা ও মহানগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
এসময় বক্তারা অপপ্রচারকারী শাহরিয়ার আলমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবী জানান।
আওয়ামী লীগ কোন্দল এমপি শাহরিয়ার আলম খায়রুজ্জামান লিটন মানববন্ধন অবাঞ্ছিত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাজশাহী আওয়ামী লীগ কোন্দল আশরাফুল ইসলাম বাবুল
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে পুরাতন পোষ্ট অফিস পাড়ায় বিদ্যুতের সট সার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে ৯ জন মালিকের ব্যবসায়ীক মালামালসহ ১৭টি ঘর। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
শুক্রবার (২৮ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে জেলা শহরের পুরাতন পোষ্টাফিস পাড়া এলাকায় শাহাজাহান মিয়ার ঘরে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে তা মুহুর্তেই পাশে লাগোয়া সোহেল মিয়া, মোছা: ফাতেমা বেগম, বদিউল্লাহ, কামাল মিয়া, বিপ্লব মিয়া, কহিনুর বেগম, রাবেয়া বেগম ও নুরজাহানের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
আগুনে পুড়ে গেছে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কসমেটিকসসহ ব্যবসায়ীক মালপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমিত চক্রবর্তী বলেন, আমি ব্যবসায়ীক কাজ শেষ করে একটু বাহিরে গেছিলাম। পরে এসে দেখি সেচ পাম্পের মোটরটি চলছে না। তা আমি সুইস বন্ধ করে দেই। একটু পর সেচ পাম্পের ওখানে ধোঁয়া বাহির হতে দেখি পরে তাৎক্ষণিক ভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সব রুমে। পরে আমার তিনটি রুমে থাকা বিভিন্ন মালামাল, নগদ টাকা, ফ্রিজ ও ঘরে থাকা আসবাপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৬টি কোম্পানির সাথে ডিলার সিপের ব্যবসা ছিল। সব মালামাল পুড়ে শেষ। শুধু নিজের জীবন নিয়ে আমরা বাহির হয়ে আসছি। এখন আমরা পথে বসে গেলাম।
কামাল মিয়া নামের একজন বলেন, ‘আমার তিনটি রুমে থাকা দুইটি এলএডি টেলিভিশন, ২টি বক্সখাট, ফ্রিজ, ৭টি ফ্যানসহ রুমে থাকা সব কিছু পুড়ে শেষ। এছাড়া শুধু পড়নে থাকা পোশাক ছাড়া কিছুই উদ্ধার করতে পারি নাই।’
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, ‘ধরনা করা হচ্ছে বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আমরা খবর পাওয়া মাত্র গিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘৯ জন মালিকের ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষত্রি হয়েছে তা এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।’
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) (ইউএনও) মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, ‘৯ ব্যক্তির ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। এই পরিবারগুলোর মধ্যে এক পরিবারে এসএসসি পরিক্ষার্থী তাদের মেয়ের বই, খাতা ও জামাকাপড় পুড়ে গেছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছি আমরা। কেন না আগামীকাল তার পরিক্ষা। এছাড়াও অন্যন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি ভাবে সহায়তা করতে যা করনীয় তা করা হচ্ছে।’
আগুনে ভষ্মীভূত ক্ষয় ক্ষতি ফায়ার সার্ভিস
মন্তব্য করুন