জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানি/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ প্রধান করবেন সরকারপ্রধান। এরপর চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চা মেলা পরিদর্শন করবেন তিনি।
দেশে চতুর্থবারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য- ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প।’
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে জাতীয় চা দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম জানান, চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১.০৪ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চা তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
চা দিবস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানি মিলনায়তন
মন্তব্য করুন
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ি এলাকার মেকাইল ইসলাম। এক সময় গোদাগাড়ী বাজারে বাদাম বিক্রি করতেন। সাথে বিক্রি করতেন আমড়া, খিরা। ছিল খুপড়ি ঘর। মেকাইল ইসলামের বাদাম, আমড়া, খিরা বিক্রি করা আয় ও তার বাবার চায়ের দোকানের আয় দিয়ে তাদের সংসার চললেও সেই মেকাইল এখন অঢেল সম্পদের মালিক। এক যুগ আগেও যে মেকাইলের শোবার ঘর ছিল না, তার এখন বিলাশ বহুল বাড়ি। রয়েছে ফসলি জমি, দামি গাড়ি, ট্রাক ও প্রোপাটিজের ব্যবসা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোদাগাড়ীর মহিষালবাড়ির নজরুল ইমলামের চার ছেলে। তাদের
মধ্যে বড় ছেলে মেকাইল। নজরুল ইসলামের বাড়িতে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮ জন। অভাবের সংসার নজরুল ইসলামের। অভাবের তাড়নায় নজরুল ইসলাম চায়ের দোকান করতেন মহিষালবাড়িতে। আর তার বড় ছেলে মেকাইল গোদাগাড়ীর গোল চত্ত্বরসহ আশপাশে বাদাম বিক্রি করতেন। শুধু বাদাম নয়, সাথে আমড়া, খিরাও বিক্রি করতেন।
এতেও তাদের সংসার না চলায় মেকাইল মাঝে মাঝে দিনমজুরের কাজ করতেন। মেকাইলের বাদাম সুস্বাদু হওয়ায় অনেকটাই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। দিনভর মেকাইল বাদাম বিক্রি করে সন্ধ্যায় চায়ের দোকান থেকে তার বাবা নজরুল ইসলামকে নিয়ে বাসায় ফিরতেন। দুজনার যে আয় হতো তা দিয়ে চলতো তাদের সংসার।
জানা গেছে, মেকাইল অভাবের তাড়নায় বাদাম বিক্রির পাশাপাশি হেরোইন ও ইয়াবা বহনের কাজ শুরু করেন। এতে ধীরে ধীরে তার সংসারে স্বচ্ছলতা আসতে শুরু করে। সময়ের ব্যবধানে তিনি বাদাম বিক্রি ছেড়ে দেন। নিজেই শুরু করেন ইয়াবা ও হেরোইনের ব্যবসা। ইয়াবা ও হেরোইন ব্যবসার সুবাদে দুর হয় মেকাইলের সংসারের সকল অভাব। গড়তে থাকেন সম্পদ। মাত্র একযুগে মেকাইল হেরোইন ও ইয়াবা ব্যবসা করে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। মাঝখানে তিনি লোক দেখানো গরুর ব্যবসাও করেছেন। এই ব্যবসার আড়ালেও ছিল মাদকের কারবার।
যার বাইসাইকেল কেনার যার সমর্থ ছিল না, বর্তমান তিনি চড়েন দেড় লাখ টাকার মোটরসাইকেলে, মহিষালবাড়িতে রয়েছে ইমরান বিগ বাজার নামে কাপড়ের বড় দোকান, রয়েছে ফসলি জমি, কিনেছেন ট্রাক। শুধু তাই নয়, মেকাইল মাদক ব্যবসা করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি তিনভাইকেও প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন।
বছর ১২ আগেও মেকাইলসহ তার পরিবারের সদস্যদের থাকার মত সম্বল বলতে ছিল কুঁড়ে ঘর। কুঁড়ে ঘর থেকে তিনি করেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি। এছাড়াও বর্তমান মেকাইলের ব্যবসায়ী পার্টনার রয়েছে মোহাম্মদ আলী ও মোস্তাক নামে দুই ব্যক্তি। তারা তিনজন প্লটের ব্যবসা করছেন। মূলত প্লটের ব্যবসায় কোটি কোটি টাকা ছাড়া সম্ভব না। সেই প্লটের ব্যবসার সাথেও জড়িত মেকাইল।
গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিশালবাড়ীর মেকাইলের মহল্লার আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেকাইল ইয়াবা ও হেরোইন ব্যবসায়ী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। মহিষালবাড়ি এলাকায় গিয়ে মেকাইলের নাম বললে যে কেউ তার বাড়ি দেখিয়ে দেন। কারণ এমন রাজকীয় বিলাশবহুল বাড়ি ওই তল্লাটে আর নেই। ছোট থেকে বড় সবাই মেকাইলকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলেই চেনেন, জানেন।
বাদাম বিক্রেতা মেকাইল ইসলামের সাথে কথা বলা হলে, তিনি মাদকের সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গরুর ব্যবসা করে তিনি সম্পদের মালিক হয়েছেন। কতদিন ধরে তিনি গরুর ব্যবসা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি মহিষালবাড়িতে আসেন, বসে আলাপ করবো। এছাড়াও তিনি বিকাশ নম্বর চান।
গোদাগাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, ‘আমি এ থানায় আসার পর থেকে মেকাইল সম্পর্কে যতটুকু জানি তিনি একজন বড় ব্যবসায়ী। সামান্য কাপড় ব্যসায়ী এতো অঢেল সম্পদের মালিক হলো কি করে সেটি দেখার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘কাপড়ের ব্যবসা করে এতো অল্প সময়ে এতো অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া সম্ভব না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তার উপর নজর রাখা হয়েছে। প্রমান সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্তব্য করুন
কোটা
সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) বেলা
১১ টার দিকে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল থেকে মিছিল বের হয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন মর্ডান মোড় অবরোধ করে। ফলে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
হাজার হাজার শিক্ষার্থী পদযাত্রা ও সমাবেশে অংশগ্রহণ
করে মহাসড়ক অবরোধ করে। হাতে পোস্টার আর মুখে বিভিন্ন
রকম স্লোগানে মুখরিত করে। সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের দাবি দাওয়া উপস্থাপন করে স্লোগান ও পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে।
সুযোগের সমতা সংবিধানের মূল কথা, কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক, নাতি পুতি বন্ধ কর মেধা দিয়ে
দেশ দিয়ে গড় এসব স্লোগান
ও পোস্টারিংয়ে মুখরিত রাজপথ।
এ
সময় তারা ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের
পরিপত্র বহাল রাখা। পরিপত্র বহাল-সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক
ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র
নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায়
যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে
শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া উপরি লিখিত দাবিগুলো পেশ করেন।
আন্দোলনকারীরা
বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে
গেলেও আমরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা চাই না কোটা সম্পূর্ণ
বাতিল হোক, কোটা থাকুক, তবে সেটা সামান্য এই আইন করেই
পরিপত্রটি পাস হোক।
উল্লেখ্য,
সারা দেশে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের
পরিপত্র বহাল রাখা; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা
বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত);
সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায়
যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে
শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র
নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মহাসড়ক বেরোবি কোটা সংস্কার অবরোধ
মন্তব্য করুন
আক্তারুজ্জামান শাহীন। কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হওয়ার পর থেকেই প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে সামনে আসে নামটি। এ ঘটনায় সাতজন গ্রেফতারের পর থেকেই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে গোয়েন্দরা, যা দিয়ে দুইয়ে দুইয়ে মিলিয়ে শাহীনকেই মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দেখছেন তারা।
গত ১৩ জুন কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন এমপি আনার। রহস্যে ঘেরা এ হত্যাকাণ্ডের পর ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব লোমহর্ষক তথ্য।
হত্যার পর আনারের লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় বলে তথ্য পুলিশের। যার নেপথ্যে কাজ করা বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর থেকেই সামনে আসছে আক্তারুজ্জামান শাহীনের নাম। বলা হচ্ছে আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড এই শাহীন।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, সঞ্জিভা গার্ডেনে বাসা ভাড়া নেন শাহীন। যেখানে শিলাস্তিকে পরিচয় দেন স্ত্রী হিসেবে। বাংলাদেশ থেকে সঙ্গে নিয়ে যান শিমুল ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে। ভুয়া পরিচয় দিয়ে ফয়সাল এবং মোস্তাফিজের পাসপোর্ট ও ভিসা করিয়ে দেন শাহীন। দেন টিকিট। খরচের জন্য ২০ হাজার টাকাও দেন হোটেল ভাড়ার জন্য।
অন্যদিকে সিয়ামকে নেপালে নিয়ে সেখান থেকে বিহার দিয়ে কলকাতা নিয়ে যান এই শাহীন। লাশ ফেলার জায়গাগুলোও তাকে নিয়েই রেকি করেন শাহীন। এমনকি ফয়সালকে ক্লোরোফোম কিনে দেন শাহীন নিজেই।
হত্যাকাণ্ড ও লাশ গুমের পর জড়িত সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার বিমান টিকিট কেটে দিয়ে সিয়ামকে নেপালে পাঠিয়ে দেন প্রধান পরিকল্পনাকারী শাহীন। আনার হত্যাকান্ডের পর কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান শাহীন।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিতর্কে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর থেকেই নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর তোপের মুখে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ যেন বেড়েই চলেছে বাইডেনের ওপর।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিটি নিউজকে একটি 'আনস্ক্রিপটেড' সাক্ষাৎকার দেন বাইডেন। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়- ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর থেকে তার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির বেশ কয়েক জন সদস্য মনেপ্রাণে চাইছেন যে বাইডেন যেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এ প্রসঙ্গে তার সিদ্ধান্ত বা প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তরে বাইডেন বলেন, 'যদি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমার সামনে এসে আমাকে (প্রার্থিতা প্রত্যাহারের) আদেশ দেন, তাহলে আমি তা করতে পারি।'
জো বাইডেন বর্তমানে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে এই সাক্ষাৎকারকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের জন্য একটি বড় পরীক্ষা বলে মনে করছেন মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
বাইডেনের নিজের রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক প্রভাবশালী সদস্য প্রকাশ্যে না বললেও অপ্রকাশ্যে নানা ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি, ডেমোক্রেটিক পার্টির কয়েকজন বড় ডোনার জানিয়েছেন, যেহেতু বাইডেনের বয়স হয়েছে এবং তার জয়ের সম্ভাবনা কম, তাই তার উচিত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে তারা ডেমোক্রেটিক পার্টিকে অর্থ সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেবেন।
বলা চলে, ডেমোক্রেটিক পার্টির তেমন কেউই চাচ্ছে না ৮১ বছর বয়সী বাইডেন তার বৃদ্ধ মস্তিস্ক নিয়ে আবারও তাদের দলের হয়ে নির্বাচনী লড়ায়ে আসুক। এজন্য তারা বাইডেনের বিকল্প কাউকে নিয়ে আসার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু বাইডেন কোন ভাবেই নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু কিসের জোড়ে সবাইকে উপেক্ষা করে লড়াই করছেন তিনি? যেখানে নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশই চাইছেন না তিনি নির্বাচনে থাকুক। তবে কি এটা শুধু নিজের আত্মসম্মান আর জেদের কারণেই তার এবারের লড়াই?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জো বাইডেন
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশকে একসময় মিসকিনের দেশ বলা হতো। এখন ‘হাবিবি’র দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। আগে সৌদি নাগরিকরা বলতেন তোমাদের দেশে উন্নতমানের হোটেল নেই। এই সময় দারিদ্র্যতার খেয়াল ছিল তাদের। দেশে অনুন্নত হোটেল বেশী মনে করতেন। কিন্তু এখন আমাদের সব আছে। আমাদের দেশে বহু বড় বড় অট্টালিকা ও বিল্ডিং গড়ে উঠেছে।
আব্দুল
মোমেন আরও বলেন, ‘আগে আমাদের দেশ দরিদ্র ছিল সে দারিদ্র্যতা আমাদের
সরকার অনেক গুণ নামিয়ে ফেলেছেন। সারা পৃথিবীর মধ্যে দুইটি দেশ- একটি হচ্ছে গণচীন আরেকটি বাংলাদেশ, আগে আমাদের মধ্যে দারিদ্র্য ছিল এখন অর্ধেকের বেশি নেমে গেছে। একসময় ৮০% মানুষ দারিদ্র্যতার সীমার নিচে ছিল। আর এখন মাত্র
১৮%, এটি আমাদের জন্য অভাবনীয় সাফল্য।
তিনি
বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই যে বিরাট
পরিবর্তন পৃথিবীর তিনটি দেশ যারা বেশি উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি, এটি নিয়ে প্রবাসীরা গর্ববোধ করে। শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে দেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সম্মান অনেক উপরে উঠিয়েছেন। তাঁর যে প্রচেষ্টা সেই
প্রচেষ্টাতে আমাদের প্রবাসীরা অংশীদার। প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। তারা
দেশে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে কত কষ্ট করেন
প্রবাসে। আমাদের দেশে অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি আপনারা। আপনাদের প্রতি স্যালুট।
সাবেক
এই মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী
দিবস ঘোষণা করেছে। এই দিবসের অনেক
গুরুত্ব রয়েছে। একটি আপনাদের যে কোনো সমস্যা
আমাদের মিশন কর্মকরতারা শুনবেন। সেই সমস্যাগুলো দূর করার প্রচেষ্টা চালাবেন। এই দিবস প্রতি
বছর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত
হবে। প্রত্যেকটি মিশনে এই দিবসে প্রবাসীদের
নিয়ে প্রবাসী দিবস পালন করা হবে। উদ্দেশ্য হলো আমাদের সমস্যা দূর করা। সেই সাথে আমাদের উন্নয়নে আপনারা কিভাবে সম্পৃক্ত হতে পারবেন, সেই লক্ষ্য এগিয়ে যাওয়া।
অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, চ্যানেল আই এর ডিরেক্টর
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত মজুমদার বাবু, বাংলাদেশ কুকিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেকা ফেরদৌসী, আবুধাবিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবু জাফর, উত্তর আমিরাত দুবাই কনসুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন প্রমুখ।
মিসকিন বাংলাদেশ হাবিবি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ি এলাকার মেকাইল ইসলাম। এক সময় গোদাগাড়ী বাজারে বাদাম বিক্রি করতেন। সাথে বিক্রি করতেন আমড়া, খিরা। ছিল খুপড়ি ঘর। মেকাইল ইসলামের বাদাম, আমড়া, খিরা বিক্রি করা আয় ও তার বাবার চায়ের দোকানের আয় দিয়ে তাদের সংসার চললেও সেই মেকাইল এখন অঢেল সম্পদের মালিক। এক যুগ আগেও যে মেকাইলের শোবার ঘর ছিল না, তার এখন বিলাশ বহুল বাড়ি। রয়েছে ফসলি জমি, দামি গাড়ি, ট্রাক ও প্রোপাটিজের ব্যবসা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশকে একসময় মিসকিনের দেশ বলা হতো। এখন ‘হাবিবি’র দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। আগে সৌদি নাগরিকরা বলতেন তোমাদের দেশে উন্নতমানের হোটেল নেই। এই সময় দারিদ্র্যতার খেয়াল ছিল তাদের। দেশে অনুন্নত হোটেল বেশী মনে করতেন। কিন্তু এখন আমাদের সব আছে। আমাদের দেশে বহু বড় বড় অট্টালিকা ও বিল্ডিং গড়ে উঠেছে।