ইনসাইড বাংলাদেশ

মাদক সেবনের দায়ে ছাত্রলীগ নেতার সাজা, দল থেকে বহিস্কার

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ১০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি তানভীর ইসলাম বাঁধনসহ (২৭) দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মাদক সেবনের অপরাধে দুই দিনের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যামান আদালত।

শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার ঘাঘর বাজারের দুলাল সাহার ঘরে মাদক সেবনকালে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত এই সাজা প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত তানভীর ইসলাম বাঁধন সাবেক পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচএম অহিদুল ইসলামের ছেলে। অপর সাজাপ্রাপ্ত আসামী জয়ন্ত সাহা (২৮) ঘাঘর বাজারের দুলাল সাহার ছেলে।

এদিকে তানভীর ইসলাম বাঁধনের সাজার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিস্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।  

রোববার (৯ জুন) গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্যা সাধারণ সম্পাদক আমির হামজার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তানভীর ইসলাম বাঁধনকে বহিস্কার করেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্যা সাংবাদিকদেরকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অপরাধে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইসলাম বাঁধনকে বহিস্কার করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত বলেন, মাদকদ্রব্য সেবন উচ্চস্বরে গান বাজনা করে গণউপদ্রব সৃষ্টি করায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ () ধারার অপরাধ করায় তানভীর ইসলাম বাঁধন জয়ন্ত সাহাকে দুই দিনের সাজা দেওয়া হয়েছে।


মাদক সেবন   ছাত্রলীগ নেতা   বহিষ্কার   ভ্রাম্যমান আদালত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ১৮ ইউনিয়নের মানুষ

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টানা বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৭০ হাজার মানুষ। 

গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার বেড়ে পেয়ে বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার চার উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছে, সেইসাথে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে জামালপুরের যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিনিত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ৪০টি গ্রামের অন্তত ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও মাছের ঘের।  এছাড়াও দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ও কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার অংশ বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও বন্যার পানির কারণে ১৩৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠে পড়ায় ইতোমধ্যেই কয়েকশ পরিবার গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও উঁচু সড়ক বাঁধ এবং স্টেশনের প্লাটফর্মে আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার্তদের জন্য ৩শ’ ম্যাট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার ৪শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে ১১টি ফ্রি মেডিকেল টিম।


বন্যা পরিস্থিতি   অবনতি   পানিবন্দি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিখোঁজের একদিন পর জঙ্গলে মিলল শিশুর মরদেহ

প্রকাশ: ০১:১৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের একদিন পর বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ভবনের জঙ্গলে মিলল জিহাদ হোসেন নামে এক শিশুর মরদেহ। 

 

শনিবার (০৬ জুলাই) সকালে উপজেলার দাশুড়িয়া তেতুলতলা নামক স্থানে একটি পরিতক্ত ভবনের জঙ্গলে থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

 

নিহত শিশু জিহাদ হোসেন উপজেলার মুর্শিদপুর গ্রামের প্রবাসি হাসেম আলীর ছেলে ও স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

 

জিহাদ হোসেনের বড় ভাই মোহাম্মদ শুভ বলেন, শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে তেঁতুলতলা পরিত্যক্ত খাদ্য গুদামের কাছে সহপাঠীদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলা করছিল জিহাদ। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। 

 

রাত ১২টার দিকে তেঁতুলতলা গোডাউনের ভেতরে জিহাদের হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পাওয়া যায়। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোডাউনের জঙ্গলের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, শুক্রবার রাতেই ওই শিশু নিখোঁজ হওয়ায় ঈশ্বরদী থানায় একটি জিডি করে তার পরিবার।মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস‍্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।


নিখোঁজ   শিশুর মরদেহ   উদ্ধার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় জননেতা আব্দুল জলিল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁয় জননেতা আব্দুল জলিল চতুর্থ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৫টায় নওগাঁ ষ্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত এ টুর্নামেন্ট-এর উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিলের পুত্র নওগাঁ-৫ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ গাজিউর রহমান। 

 

নওগাঁ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক মো.গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল। 

 

উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে নওগাঁ জেলার প্রবাহ সংসদ এবং টাঙ্গাইল জেলা দল। খেলায় এক গোলে টাঙ্গাইল জেলা দলকে পরাজিত করেন নওগাঁ জেলার প্রবাহ সংসদ।

 

নওগাঁ, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলার মোট ১৪টি ফুটবল ক্লাব অংশগ্রহণ করছে। 

 

উল্লেখ্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী মরহুম আব্দুল জলিলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে গত ২০১৮ বছর থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আসছে।


জননেতা আব্দুল জলিল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গিমাডাঙ্গা স্কুলে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলেবেলার স্মৃতিবিজড়িত  স্কুল গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার ( জুলাই) বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখানেবঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন এসো বঙ্গবন্ধুকে জানিশীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

জানা যায়, এখান থেকে টুঙ্গিপাড়া পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা। বিকালের দিকে জাতির পিতার সমাধিতে ফাতিহা পাঠ মোনাজাতে অংশ নেওয়ার পর ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সফল সমাপনী অনুষ্ঠানের পর শুক্রবার ( জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সেতু পার হয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। এরপর সরকারপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।


গিমাডাঙ্গা   স্কুল   বঙ্গবন্ধু   কর্নার   উদ্বোধন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরের কাটাখালি যুদ্ধ দিবস আজ

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আজ জুলাই শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহাসিক কাটাখালী যুদ্ধ দিবস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এইদিনে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে একই পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল আহসান, মোফাজ্জল হোসেন আলী হোসেনসহ ১২ জন শহীদ হন।

 

স্বাধীনতা অর্জনের পর শহীদ নাজমুলের নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল, নালিতাবাড়ীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা্ হয়েছে। শেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতবছর কাটাখালীতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ব্রিজের পাশে শহীদ নাজমুল পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

 

সরকার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে শহীদ নাজমুলকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেছে। এর মধ্য দিয়েঅপারেশন কাটাখালি রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধের সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে।

 

মুক্তিয্রদ্ধা স্থানীয়দের তথ্যমতে, ১৯৭১ সালের জুলাই রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা ডিনামাইট ফিট করে ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়কের কাটাখালি ব্রিজ উড়িয়ে দেন। অপারেশনের নেতৃত্বে প্রদান করেন, কোম্পানি কমান্ডার নাজমুল আহসান। সফল অপারেশন শেষ করতে ভোর হয়ে যাওয়ায় এবং দিনের আলো ফুটে উঠায় পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটি গ্রামে আশ্রয় নেন নাজমুল আহসানসহ মুক্তিযোদ্ধারা। কোথাও বের হওয়া নিরাপদ মনে না করে পরিশ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারা সেখানেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই গ্রামের দালাল জালাল মিস্ত্রী পাক বাহিনীর স্থানীয় হেড কোয়ার্টার আহাম্মদনগর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবরটি পৌঁছে দেন।

 

সংবাদ পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী জুলাই সকালে স্থানীয় রাজাকার, আল-বদরদের সঙ্গে নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রাম তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। কমান্ডার নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। ওই গ্রামের তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলা মুক্তিযোদ্ধাদের যাওয়ার একমাত্র পথ খোলা ছিল রাঙ্গামাটি বিল। ওই বিলের পানিতে নেমে কভারিং ফায়ার করতে করতে কমান্ডার নাজমুল আহসান মুক্তিযোদ্ধাদের রাঙ্গামাটি বিল সাঁতরিয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। সেখানেই পাক সেনাদের ব্রাশ ফায়ারে কমান্ডার নাজমুল আহসান শহীদ হন। কমান্ডার নাজমুলের লাশ আনতে গিয়ে পাক হানাদারদের গুলিতে তার চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন আলী হোসেনও শহীদ হন।

 

মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে পাক বাহিনী রাঙ্গামাটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ জনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই জন শহীদ হন।

 

দিবসটি উপলক্ষে শহীদ নাজমুল পার্কে শহীদ নাজমুল আহসানের স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্পার্ঘ অর্পন আলোচনা সভাসহ নানা্ কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।


কাটাখালি যুদ্ধ   মুক্তিযুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন