ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৯ জুন ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ভারত সফরে সেবার দিল্লিতে তিনি আলো ছড়িয়েছেন।  

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও প্রধান দুই দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সাথে যেমন সাক্ষাৎ করেছেন, তেমনই কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সাথে তার আবেগঘন সময় কেটেছে।

ভারত সফর থেকে ফিরে আসার পর আগামী ২১ জুন আবার প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদির দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই হবে প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই প্রথম কোন দেশে দ্বিপাক্ষিক সফর।

নানা কারণেই বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে। দু দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস এবং সন্দেহের দেওয়াল গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। দুই দেশ কিছু বিষয়ে অভিন্ন নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দুই দিনের ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে গত এক দশকে নরেন্দ্র মোদির জয়জয়কার ছিল। পুরো ভারত জুড়ে তার একক ইমেজ এবং প্রাধান্য ছিল সর্বজন স্বীকৃত। আর এই কারণেই নরেন্দ্র মোদি যা চাইতেন, যেভাবে চাইতেন সেভাবেই সবকিছু হতো। সে সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির একক অভিপ্রায়ে চূড়ান্ত হতো বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু এবারের নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। এখন নরেন্দ্র মোদিকে একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। জোটের সকলকে সামাল দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এবার বিরোধী জোট অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা সংসদে বিজেপিকে ছাড় দেবে না।

নরেন্দ্র মোদির সরকার একটি দুর্বল সরকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দ্বিপাক্ষিক সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো সেই সেগুলো নতুন করে শুরু করার নবযাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই ভারত সফরকে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন গত ১৫ বছরে অসাধারণ কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু অস্বস্তি। যেমন তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত সম্পাদিত হয়নি। বাংলাদেশ এখন তিস্তার পানি চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আগ্রহ দেখাবে এটা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই বিকল্প প্রস্তাবে চীনের আগ্রহ সর্বজনবিদিত। ভারতকে তাই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে তারা কী করবে? এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তিস্তা নিয়ে অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সীমান্ত হত্যার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একটি স্পর্শকাতর এবং বিব্রতকর বিষয়। আর এই বিষয়টি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে কথা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভিসা সহজীকরণের বিষয়টি নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চলমান অর্থনৈতিক সংকট পুনরুদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এই সফরে ভারত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহায়তার একটি প্যাকেজ দিতে পারে বলে কোন কোন মহল থেকে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এই সম্পর্কটি আসলে নতুন সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়ার সম্পর্ক।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশে যেমন একটি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তেমনি ভারতেও নতুন করে নরেন্দ্র মোদি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। কাজেই দু দেশের সম্পর্ককে ঝালাই করে নেওয়ার জন্য এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু দেশের সরকারই তাদের নবযাত্রার শুরুতে প্রতিবেশীই প্রথম-এই অঙ্গিকার নিয়ে নতুন করে সম্পর্ককে এগিয়ে নেবে এই সফরের মধ্য দিয়ে এটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   নরেন্দ্র মোদি   ভারত   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আগাম জামিন চাইতে পারে মতি

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য ড. মতিউর রহমান আগাম জামিন চাইতে পারেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ইতোমধ্যে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন এবং এই পরামর্শের অংশ হিসেবেই হাইকোর্টে আগামী রোববার অথবা সোমবার তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে অন্য একটি সূত্র বলছেন, প্রথমে তার স্ত্রী লায়লা কানিজ আগাম জামিনের আবেদন করবেন এবং এটির অবস্থান বুঝে তারপর মতিউর রহমান আগাম জামিনের আবেদন করবেন।

এখনও মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোনরকম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি। কেবল দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এরকম পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের প্রয়োজনীয়তা কেন- এ রকম প্রশ্নের জবাবে একজন আইনজীবী বলেছেন যে, আগাম জামিনের বিষয়টি মামলার আগে আগে করতে হয়। মতিউর রহমান যদি মনে করেন যে, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বা মামলা হতে পারে, তাহলে তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। তবে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। সারাদেশে মতিউর রহমানের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে একটি আবহ তৈরি হয়েছে। এই কারণেই শেষপর্যন্ত আগাম জামিনের আবেদন তিনি করবেন কি না তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র বলছে যে, আগামী সপ্তাহে কোন এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ড. মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে দুদকে তলব করতে পারেন। পৃথক পৃথক ভাবে প্রত্যেককে দুদকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ইতোমধ্যে ড. মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পত্তির ব্যাপারে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তারা মতিউর রহমানের কিছু সম্পত্তি জব্দ করার জন্য আদালত থেকে অনুমতি পেয়েছে। একই সাথে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের বিদেশ যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে মতিউর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন কবে তলব করবে সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আগামী রোববার বা সোমবার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মতিউর রহমান তার প্রথম স্ত্রী এবং প্রথম পক্ষের ছেলে দেশেই অবস্থান করছে। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সন্তানরা মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মতিউর রহমানের কন্যা ইপ্সিতাও এখন দেশে নেই। তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। এখন দেখার বিষয় যে মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের এই তদন্ত কিভাবে মোকাবেলা করেন।

একটি সূত্র বলছে যে, এর আগেও চারবার দুর্নীতি দমন কমিশন মতিউর রহমানকে নিয়ে তদন্ত করেছিল এবং চারবারই দুর্নীতি দমন কমিশন মতিকে ক্লিনশিট দিয়েছে। কাজেই মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের ফাঁক ফোকর গুলো ভালোমতোই জানেন এবং এ নিয়ে তিনি প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মতিউর রহমানের সঙ্গে যাদের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব আছে এবং সরকারি বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা মতিউর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তারাই তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সাময়িক ঝড় সামাল দেওয়ার পর মতিউর রহমানকে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সে ব্যাপারেও তাদের পরামর্শ মতিউর রহমান নিয়মিতভাবে গ্রহণ করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার বা সোমবার মতিউর রহমান প্রকাশ্য হতে পারেন এবং প্রকাশ্য হওয়ার জন্য তিনি প্রথমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত মতিউর রহমান কি করবেন সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা প্রকাশ্য হওয়ার প্রেক্ষিতে এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, খুব শিগগিরই প্রকাশ্যে আসছেন মতিউর রহমান।


ড. মতিউর রহমান   এনবিআর   জাতীয় রাজস্ব বোর্ড   ছাগলকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেরিতে উঠতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা মোটরসাইকেল আরোহীর

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বানারীপাড়ায় চলমান ফেরিতে উঠতে গিয়ে পিকুল হাসান নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ জুন) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বন্দরবাজার সংলগ্ন ঘাট থেকে ফেরিতে উঠতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ওই ব্যক্তি বুকে, হাতে ও পায়ে মারাত্মক চোট পান। 

জানা যায়, পিকুল হাসান মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে বানারীপাড়া হয়ে ঔষধের স্যাম্পল নিয়ে খেয়া পার হয়ে বাইশারী টু আউয়ার যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে পৌর শহরের বন্দর বাজার সংলগ্ন সন্ধ্যানদীর ফেরিঘাটে আসে। এ সময় ফেরিও ছেড়ে যাচ্ছিল। ফেরিটি ঘাট থেকে তিন ফুট দূরত্বে চলে যাওয়ার পর পিকুল রানিংয়ে থাকা মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠতে গেলে সামনের চাকা চলমান ফেরির উপরে পড়ে এবং পেছনের চাকা শূন্যে থাকে। এ সময় ফেরির অন্য যাত্রীরা মোটরসাইকেল আরোহী পিকুল হাসানকে টেনে তুললেও মোটরসাইকেলটি পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এরপর খেয়া চালকের সহযোগিতায় মোটরসাইকেলটি তাৎক্ষণিক দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেরির ওপর টেনে তোলা হয়।


বরিশালে   মোটরসাইকেল   আরোহী   ফেরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সকাল ১১ টার দিকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

শেরপুর জেলা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ২০২৪-২০২৭ মেয়াদের এটিই ছিল প্রথম সভা। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর মোঃ শফিউদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন শেরপুর জেলা সমিতির মহাসচিব এবং বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল। 

এ সময় শেরপুর জেলার সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেল সংযোগ, শেরপুরের পর্যটন শিল্প বিকাশ, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান, শেরপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধনের জন্য শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটি কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। 

কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ মাখন, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী কায়কোবাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ (সানী), প্রেস সচিব সাংবাদিক আল মাসুদ নয়ন, সহ-প্রেস সচিব ইমরান আহমেদ (লাল মিয়া), কামাল হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব আবুল হাশেম, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোরেশেদ এবং শেরপুর জেলা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ। 

শেরপুর জেলা সমিতির মহাসচিব ড. মোঃ আবদুল আউয়াল সভায় উপস্থিত সকল সদস্যগণের নিকট সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

শেরপুর জেলা সমিতি   কার্যনির্বাহী কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে অর্থ আত্মসাতকারী সমবায় সমিতির প্রতারকদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরে গ্রাহকদের নিকট থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আমানত আত্মসাতকারী বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতারকদের বিচার অর্থ ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে শহরের বকুলতলা চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি-দুপ্রক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় হিউম্যান রাইটস ফোরাম সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখা।


মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট ইসমত পাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস, সুইড জামালপুরের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার পাল, মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুর রহমান উজ্জল, সমবায় সমিতির ভূক্তভোগী সদস্য মুকুল বেগম, মাকসুদা পারভীন, ফারুক, শফিকুল ইসলাম, রিপা আক্তারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

 

এসময় বক্তারা বলেন, মাদারগঞ্জ উপজেলায় আল-আকাবা, শতদল, রূপসী বাংলা, স্বদেশ, নবদ্বীপ, রংধনু, আশার আলো, পরশমনিসহ শতাধিক সমবায় সমিতি সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে বে-আইনিভাবে ব্যাংকিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এসব সমবায় সমিতির পরিচালকরা অতি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহকের নিকট থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে।

 

গ্রাহকদের আমানত নিয়ে সমিতির কর্তাব্যক্তিরা দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে নিজেরা এখন গা-ঢাকা দিয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ ফেরত না পেয়ে সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে, অভাব-অনটনে তারা চিকিৎসা, সন্তানদের পড়াশুনা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। গত এক বছর ধরে গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে গত ছয় মাস আগে সমিতির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সমিতির লোকজন গা-ঢাকা দিয়েছে।

 

প্রশাসন এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভপ্রকাশ করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত সমবায় সমিতির নামে অর্থ আত্মসাতকারীদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা।

এছাড়াও মানববন্ধন থেকে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গণস্বাক্ষর, স্মারকলিপি প্রদান, রেল সড়কপথ অবরোধসহ ধারবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।


সমবায় সমিতি   প্রতারক   বিচার দাবি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি শাহরিয়ার আলমকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের  অভিযান এনে এমপি শাহরিয়ার আলমকে দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

 

আজ শনিবার (২৯ জুন) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহী জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়।

 

মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এন্তাজুল হক বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মতিউর রহমান।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল আওয়ামী লীগের একজন অত্যন্ত পরিশ্রমি ও নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের। এর মূল পরিকল্পনাকারী শাহরিয়ার আলম এমপি। তাকে রাজশাহী জেলা ও মহানগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

 

এসময় বক্তারা অপপ্রচারকারী শাহরিয়ার আলমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবী জানান।


আওয়ামী লীগ   কোন্দল   এমপি শাহরিয়ার আলম   খায়রুজ্জামান লিটন   মানববন্ধন   অবাঞ্ছিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন