দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৯ জুন ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ভারত সফরে সেবার দিল্লিতে তিনি আলো ছড়িয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও প্রধান দুই দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সাথে যেমন সাক্ষাৎ করেছেন, তেমনই কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সাথে তার আবেগঘন সময় কেটেছে।
ভারত সফর থেকে ফিরে আসার পর আগামী ২১ জুন আবার প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদির দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই হবে প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই প্রথম কোন দেশে দ্বিপাক্ষিক সফর।
নানা কারণেই বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে। দু দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস এবং সন্দেহের দেওয়াল গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। দুই দেশ কিছু বিষয়ে অভিন্ন নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দুই দিনের ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে গত এক দশকে নরেন্দ্র মোদির জয়জয়কার ছিল। পুরো ভারত জুড়ে তার একক ইমেজ এবং প্রাধান্য ছিল সর্বজন স্বীকৃত। আর এই কারণেই নরেন্দ্র মোদি যা চাইতেন, যেভাবে চাইতেন সেভাবেই সবকিছু হতো। সে সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির একক অভিপ্রায়ে চূড়ান্ত হতো বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু এবারের নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। এখন নরেন্দ্র মোদিকে একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। জোটের সকলকে সামাল দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এবার বিরোধী জোট অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা সংসদে বিজেপিকে ছাড় দেবে না।
নরেন্দ্র মোদির সরকার একটি দুর্বল সরকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দ্বিপাক্ষিক সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো সেই সেগুলো নতুন করে শুরু করার নবযাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই ভারত সফরকে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন গত ১৫ বছরে অসাধারণ কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু অস্বস্তি। যেমন তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত সম্পাদিত হয়নি। বাংলাদেশ এখন তিস্তার পানি চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আগ্রহ দেখাবে এটা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই বিকল্প প্রস্তাবে চীনের আগ্রহ সর্বজনবিদিত। ভারতকে তাই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে তারা কী করবে? এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তিস্তা নিয়ে অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
সীমান্ত হত্যার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একটি স্পর্শকাতর এবং বিব্রতকর বিষয়। আর এই বিষয়টি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে কথা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভিসা সহজীকরণের বিষয়টি নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চলমান অর্থনৈতিক সংকট পুনরুদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এই সফরে ভারত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহায়তার একটি প্যাকেজ দিতে পারে বলে কোন কোন মহল থেকে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এই সম্পর্কটি আসলে নতুন সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়ার সম্পর্ক।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশে যেমন একটি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তেমনি ভারতেও নতুন করে নরেন্দ্র মোদি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। কাজেই দু দেশের সম্পর্ককে ঝালাই করে নেওয়ার জন্য এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু দেশের সরকারই তাদের নবযাত্রার শুরুতে প্রতিবেশীই প্রথম-এই অঙ্গিকার নিয়ে নতুন করে সম্পর্ককে এগিয়ে নেবে এই সফরের মধ্য দিয়ে এটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদি ভারত বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মতিউর রহমান ছাগলকাণ্ড বাহাউদ্দিন নাছিম
মন্তব্য করুন
ছাগল-কাণ্ডের জন্য আলোচিত রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি বলছে, সাদিক এগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে আছে।
অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে। আজ বুধবার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অঞ্চল-৫–এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ সময় তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, তারা (সাদিক অ্যাগ্রো) রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে খামার করেছে। রাস্তার জায়গায় বেড়া দিয়ে গরুর অবৈধ হাট বসিয়েছিল। এর আগেও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ এসব কোনো বিষয়ে তোয়াক্কা করেনি।’
সাদিক অ্যাগ্রো কী পরিমাণ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে—জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, আগের একটা পরিমাপ রয়েছে। তবে আবার নতুন করে অবৈধ দখলের পরিমাণ মেপেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ওই খামার নিয়ে যেসব আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, এর সঙ্গে এ অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাদিক অ্যাগ্রো ডিএনসিসি উচ্ছেদ অভিযান
মন্তব্য করুন
উদয়ন এক্সপ্রেস ধর্ষণ গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
সমরাস্ত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোর্সেস গোল-২০৩০
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম, এমনকি রাজনীতিবিদরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে চিহ্নিত করতে না পারলো না। তাকে চিহ্নিত করলো একটি বোবা প্রাণি ছাগল। এমন মতিউর আরও আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে ছাগল বা অন্য কোনো বোবা প্রাণি তাদের চিহ্নিত করার আগেই যেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো চিহ্নিত করতে পারে।