ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীরের পর আছাদ, পুলিশে অস্বস্তি: সরকার কী করবে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদকে নিয়ে যখন সারা দেশ তোলপাড় তার দুর্নীতির এবং বিস্ময়কর সম্পদের স্ফীতির গল্প হাটে মাঠে ঘাটে আলোচিত হচ্ছে সে সময় আরেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার নানা রকম দুর্নীতির কাহিনী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়েও চলছে দেশে তোলপাড়। পুলিশ বাহিনী পুরো ঘটনাগুলোতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে এবং এক বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। 

বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর গৌরব এবং সুনাম দীর্ঘদিনের। কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি এবং দুর্বৃত্তায়নের দায়ভার পুরো পুলিশ নিতে পারে না এমন বক্তব্য দিচ্ছেন পুলিশের সব কর্মকর্তারা। পুলিশে এরকম বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি আছেন যাদের জীবন সৎ এবং দুর্নীতি তাদেরকে কখনোই স্পর্শ করেনি। পুলিশের যে সমস্ত প্রধানরা অতীতে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কারোই বেনজীরের মতো এমন বিপুল সম্পদ নেই। বরং অনেকে সততার এক অনবদ্য নজির স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে বেনজীরের আগে যিনি পুলিশ প্রধান ছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী তার সততা এবং দুর্নীতির মুক্ত থাকা সকলের কাছে আলোচিত বিষয়। তিনি একজন অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হন। এছাড়াও পুলিশের বর্তমান প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়েও পুলিশের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা গর্বিত। তিনি একজন নির্ভেজাল সৎ মানুষ। দুর্নীতি যাকে স্পর্শ করেনি। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি নিজেকে সবসময় বিতর্ক থেকে মুক্ত রেখেছেন। 

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, অধিকাংশ পুলিশের কর্মকর্তারা সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। কিন্তু দু একজন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে পুরো পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বেনজীর আহমেদের ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশে যারা সৎ এবং অনুকরণীয় তাদেরকে নিয়ে আলোচনা কম হয়। দুর্নীতিবাজদের নিয়ে আলোচনা হয়। 

বেনজীর আহমেদের বিষয়টি পুলিশকে যেমন বিব্রত করেছে তেমনি আছাদুজ্জামান মিয়ার বিভিন্ন সম্পদের বিবরণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েছেন। এই সব নেতিবাচক অবস্থাগুলো পুলিশের ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এই বিষয়টিতে সরকারও একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

প্রশ্ন এসেছে সরকার এখন এ সব বিষয় নিয়ে কি করবে? সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের অবস্থান খুব সুস্পষ্ট। সরকার কোনভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না এবং দুর্নীতি যিনি করবেন তিনি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে সরকার নির্মোহ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, প্রাচীন ভাবে বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের ব্যাপারে তারা যে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তা সঠিক বলে তারা মনে করেছে। খুব শিগগিরই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলা করা হবে। কিন্তু বেনজীর আহমেদ দেশের বাইরে চলে গেছেন। ইতোমধ্যে তার কিছু সম্পত্তি জব্দ করা হলেও তার আসল এবং বিপুল সম্পত্তি দেশের বাইরে সুরক্ষিত বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়েছে যে, আছাদুজ্জামান মিয়ার কি হবে? তার এই বিপুল সম্পত্তির ব্যাপারে কোন তদন্ত হবে কি না।

এ ব্যাপারে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, এ বিষয়ে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, এর আগেও আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। সে সময় আছাদুজ্জামান মিয়ার এই অভিযোগ গুলো তদন্ত করে তার সততা দুর্নীতি দমন কমিশন পায়নি বলে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন নতুন করে যখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তখন সরকার কি করবে সেটা বুঝা যাবে  ঈদের ছুটির পরপরই।


বেনজীর আহমেদ   আছাদুজ্জামান মিয়া   দুর্নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি, কমানোর কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি। এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না। জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, তা পালন করি। এই বাজেট প্রণয়নকালীন আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটির অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিকনির্দেশনা- সেটাও বাজেটে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য স্থির করেছি তা তুলে ধরা হয়েছে এই বাজেটের মধ্যে। ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা যে পরিকল্পনা করেছি তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের সেই ধাবাহিকতা আমাদের আছে।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনও পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট! আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই (বড় বাজেট বাস্তবায়ন) সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কী? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। তারা বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন।


বাজেট   উন্নয়ন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যশোরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর


Thumbnail

যশোরের শার্শা উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটি রাসেলস ভাইপার কী না তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরের দিকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

শিশুটির নাম প্রান্তি খাতুন। সে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের প্রবাসী সোহাগ মিয়ার ছোট মেয়ে। প্রান্তি স্থানীয় এসএম গাতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরে খাটের কাছে বসা ছিল প্রান্তি। এ সময় তার হাতে বিষধর একটি সাপ কামড় দেয়। এতে প্রান্তির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। তার হাতের ক্ষতস্থানের ওপরে বেঁধে তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হয়। শনিবার দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান্তির মৃত্যু হয়।

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, ছোট মেয়েটি সাপের কামড়ে মারা গেল। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের পাশাপাশি সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি।


সাপ   রাসেলস ভাইপার   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আগাম জামিন চাইতে পারে মতি

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য ড. মতিউর রহমান আগাম জামিন চাইতে পারেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ইতোমধ্যে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন এবং এই পরামর্শের অংশ হিসেবেই হাইকোর্টে আগামী রোববার অথবা সোমবার তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে অন্য একটি সূত্র বলছেন, প্রথমে তার স্ত্রী লায়লা কানিজ আগাম জামিনের আবেদন করবেন এবং এটির অবস্থান বুঝে তারপর মতিউর রহমান আগাম জামিনের আবেদন করবেন।

এখনও মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোনরকম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি। কেবল দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এরকম পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের প্রয়োজনীয়তা কেন- এ রকম প্রশ্নের জবাবে একজন আইনজীবী বলেছেন যে, আগাম জামিনের বিষয়টি মামলার আগে আগে করতে হয়। মতিউর রহমান যদি মনে করেন যে, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বা মামলা হতে পারে, তাহলে তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। তবে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। সারাদেশে মতিউর রহমানের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে একটি আবহ তৈরি হয়েছে। এই কারণেই শেষপর্যন্ত আগাম জামিনের আবেদন তিনি করবেন কি না তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র বলছে যে, আগামী সপ্তাহে কোন এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ড. মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে দুদকে তলব করতে পারেন। পৃথক পৃথক ভাবে প্রত্যেককে দুদকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ইতোমধ্যে ড. মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পত্তির ব্যাপারে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তারা মতিউর রহমানের কিছু সম্পত্তি জব্দ করার জন্য আদালত থেকে অনুমতি পেয়েছে। একই সাথে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের বিদেশ যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে মতিউর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন কবে তলব করবে সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আগামী রোববার বা সোমবার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মতিউর রহমান তার প্রথম স্ত্রী এবং প্রথম পক্ষের ছেলে দেশেই অবস্থান করছে। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সন্তানরা মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মতিউর রহমানের কন্যা ইপ্সিতাও এখন দেশে নেই। তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। এখন দেখার বিষয় যে মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের এই তদন্ত কিভাবে মোকাবেলা করেন।

একটি সূত্র বলছে যে, এর আগেও চারবার দুর্নীতি দমন কমিশন মতিউর রহমানকে নিয়ে তদন্ত করেছিল এবং চারবারই দুর্নীতি দমন কমিশন মতিকে ক্লিনশিট দিয়েছে। কাজেই মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের ফাঁক ফোকর গুলো ভালোমতোই জানেন এবং এ নিয়ে তিনি প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মতিউর রহমানের সঙ্গে যাদের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব আছে এবং সরকারি বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা মতিউর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তারাই তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সাময়িক ঝড় সামাল দেওয়ার পর মতিউর রহমানকে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সে ব্যাপারেও তাদের পরামর্শ মতিউর রহমান নিয়মিতভাবে গ্রহণ করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার বা সোমবার মতিউর রহমান প্রকাশ্য হতে পারেন এবং প্রকাশ্য হওয়ার জন্য তিনি প্রথমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত মতিউর রহমান কি করবেন সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা প্রকাশ্য হওয়ার প্রেক্ষিতে এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, খুব শিগগিরই প্রকাশ্যে আসছেন মতিউর রহমান।


ড. মতিউর রহমান   এনবিআর   জাতীয় রাজস্ব বোর্ড   ছাগলকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেরিতে উঠতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা মোটরসাইকেল আরোহীর

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বানারীপাড়ায় চলমান ফেরিতে উঠতে গিয়ে পিকুল হাসান নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ জুন) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বন্দরবাজার সংলগ্ন ঘাট থেকে ফেরিতে উঠতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ওই ব্যক্তি বুকে, হাতে ও পায়ে মারাত্মক চোট পান। 

জানা যায়, পিকুল হাসান মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে বানারীপাড়া হয়ে ঔষধের স্যাম্পল নিয়ে খেয়া পার হয়ে বাইশারী টু আউয়ার যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে পৌর শহরের বন্দর বাজার সংলগ্ন সন্ধ্যানদীর ফেরিঘাটে আসে। এ সময় ফেরিও ছেড়ে যাচ্ছিল। ফেরিটি ঘাট থেকে তিন ফুট দূরত্বে চলে যাওয়ার পর পিকুল রানিংয়ে থাকা মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠতে গেলে সামনের চাকা চলমান ফেরির উপরে পড়ে এবং পেছনের চাকা শূন্যে থাকে। এ সময় ফেরির অন্য যাত্রীরা মোটরসাইকেল আরোহী পিকুল হাসানকে টেনে তুললেও মোটরসাইকেলটি পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এরপর খেয়া চালকের সহযোগিতায় মোটরসাইকেলটি তাৎক্ষণিক দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেরির ওপর টেনে তোলা হয়।


বরিশাল   মোটরসাইকেল   আরোহী   ফেরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সকাল ১১ টার দিকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

শেরপুর জেলা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ২০২৪-২০২৭ মেয়াদের এটিই ছিল প্রথম সভা। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর মোঃ শফিউদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন শেরপুর জেলা সমিতির মহাসচিব এবং বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল। 

এ সময় শেরপুর জেলার সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেল সংযোগ, শেরপুরের পর্যটন শিল্প বিকাশ, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান, শেরপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধনের জন্য শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটি কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। 

কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ মাখন, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী কায়কোবাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ (সানী), প্রেস সচিব সাংবাদিক আল মাসুদ নয়ন, সহ-প্রেস সচিব ইমরান আহমেদ (লাল মিয়া), কামাল হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব আবুল হাশেম, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোরেশেদ এবং শেরপুর জেলা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ। 

শেরপুর জেলা সমিতির মহাসচিব ড. মোঃ আবদুল আউয়াল সভায় উপস্থিত সকল সদস্যগণের নিকট সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

শেরপুর জেলা সমিতি   কার্যনির্বাহী কমিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন