ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীরের পর আছাদ, পুলিশে অস্বস্তি: সরকার কী করবে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদকে নিয়ে যখন সারা দেশ তোলপাড় তার দুর্নীতির এবং বিস্ময়কর সম্পদের স্ফীতির গল্প হাটে মাঠে ঘাটে আলোচিত হচ্ছে সে সময় আরেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার নানা রকম দুর্নীতির কাহিনী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়েও চলছে দেশে তোলপাড়। পুলিশ বাহিনী পুরো ঘটনাগুলোতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে এবং এক বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। 

বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর গৌরব এবং সুনাম দীর্ঘদিনের। কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি এবং দুর্বৃত্তায়নের দায়ভার পুরো পুলিশ নিতে পারে না এমন বক্তব্য দিচ্ছেন পুলিশের সব কর্মকর্তারা। পুলিশে এরকম বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি আছেন যাদের জীবন সৎ এবং দুর্নীতি তাদেরকে কখনোই স্পর্শ করেনি। পুলিশের যে সমস্ত প্রধানরা অতীতে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কারোই বেনজীরের মতো এমন বিপুল সম্পদ নেই। বরং অনেকে সততার এক অনবদ্য নজির স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে বেনজীরের আগে যিনি পুলিশ প্রধান ছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী তার সততা এবং দুর্নীতির মুক্ত থাকা সকলের কাছে আলোচিত বিষয়। তিনি একজন অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হন। এছাড়াও পুলিশের বর্তমান প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়েও পুলিশের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা গর্বিত। তিনি একজন নির্ভেজাল সৎ মানুষ। দুর্নীতি যাকে স্পর্শ করেনি। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি নিজেকে সবসময় বিতর্ক থেকে মুক্ত রেখেছেন। 

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, অধিকাংশ পুলিশের কর্মকর্তারা সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। কিন্তু দু একজন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে পুরো পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বেনজীর আহমেদের ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশে যারা সৎ এবং অনুকরণীয় তাদেরকে নিয়ে আলোচনা কম হয়। দুর্নীতিবাজদের নিয়ে আলোচনা হয়। 

বেনজীর আহমেদের বিষয়টি পুলিশকে যেমন বিব্রত করেছে তেমনি আছাদুজ্জামান মিয়ার বিভিন্ন সম্পদের বিবরণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েছেন। এই সব নেতিবাচক অবস্থাগুলো পুলিশের ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এই বিষয়টিতে সরকারও একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

প্রশ্ন এসেছে সরকার এখন এ সব বিষয় নিয়ে কি করবে? সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের অবস্থান খুব সুস্পষ্ট। সরকার কোনভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না এবং দুর্নীতি যিনি করবেন তিনি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে সরকার নির্মোহ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, প্রাচীন ভাবে বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের ব্যাপারে তারা যে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তা সঠিক বলে তারা মনে করেছে। খুব শিগগিরই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলা করা হবে। কিন্তু বেনজীর আহমেদ দেশের বাইরে চলে গেছেন। ইতোমধ্যে তার কিছু সম্পত্তি জব্দ করা হলেও তার আসল এবং বিপুল সম্পত্তি দেশের বাইরে সুরক্ষিত বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়েছে যে, আছাদুজ্জামান মিয়ার কি হবে? তার এই বিপুল সম্পত্তির ব্যাপারে কোন তদন্ত হবে কি না।

এ ব্যাপারে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, এ বিষয়ে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, এর আগেও আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। সে সময় আছাদুজ্জামান মিয়ার এই অভিযোগ গুলো তদন্ত করে তার সততা দুর্নীতি দমন কমিশন পায়নি বলে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন নতুন করে যখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তখন সরকার কি করবে সেটা বুঝা যাবে  ঈদের ছুটির পরপরই।


বেনজীর আহমেদ   আছাদুজ্জামান মিয়া   দুর্নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে ধরা পড়েন জেলপালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়া জেলা কারাগার থেকে মঙ্গলবার (২৫ জুন) গভীর রাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালিয়েছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বগুড়া জেলা পুলিশ তাদের আজ বুধবার (২৬ জুন) সকালে কারাগারের আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন।  

জানা যায়, কারাগারের কনডেমড সেলের ছাদ ফুটো করে করতোয়া নদীর তীর ধরে পালাচ্ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি। কারাগার থেকে উত্তর দিকে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ নদীর পাড় ধরে এগিয়ে যান তারা। গন্তব্য ছিল নির্মাণাধীন শহরের ফতেহ আলী সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো। সাঁকো পার হয়ে সাবগ্রাম দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে গিয়ে দূরপাল্লার বাস ধরবেন।

বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার আগেই বাগড়া দেয় ফতেহ আলী বাজারের পাশে থাকা একদল কুকুর। রাতের অন্ধকারে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়েই ঘেউ ঘেউ করতে থাকে কুকুরের দল। আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে আসেন কয়েকজন যুবক। একজনের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার, অন্যজনের পরনে জেলখানার কয়েদির ট্রাউজার। শরীর ঘামে আধভেজা। একজনের হাতে ব্যাগে সিগারেটের অনেক প্যাকেট। এসব দেখে যুবকেরা সেখানে এসে চারজনকে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। এ সময় চারজন নিজেদের রাজমিস্ত্রি বলে পরিচয় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি যখন সাঁকোর কাছে চলে আসেন তখন কুকুরের দল ঘেউ ঘেউ করছিল। এ সময় ওই যুবক দল এসে দেখেন, চারজন বাঁশের সাঁকো পার হয়ে সাবগ্রাম যেতে চাইছেন। লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে তারা বলেন, শহরের বনানী এলাকায় একজন ঠিকাদারের কাজ করছিলেন। বনিবনা না হওয়ায় ঠিকাদার তাদের মারধর করেছেন। এ জন্য রাতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। সাবগ্রাম বাজারে গিয়ে গাড়ি ধরবেন, কিন্তু এসব কথা সন্দেহজনক মনে হয়েছিল তাঁদের।

পরে ওই চারজনকে শহরের চাষীবাজার-সংলগ্ন পার্কে আটকে রেখে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাসকে খবর দেন লোকজন। তখন পৌর কাউন্সিলর আটক ব্যক্তিদের পুলিশে দিতে বলেন। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে চারজন স্বীকার করেন, তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, কারাগার থেকে পালিয়েছেন। ছেড়ে দিতে বলেন তাঁদের। বিনিময়ে ৫০-৬০ প্যাকেট সিগারেটও দেন। পরে কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাসের নির্দেশে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সদর ফাঁড়ি পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে রাতেই ডিবি কার্যালয়ে নেয়।

গ্রেপ্তার কয়েদিরা হলেন: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর দিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. নজরুল মজনু ওরফে মঞ্জু (৬৮) (কয়েদি নং- ৯৯৮/এ), নরসিংদীর মাধবদীর ফজরকান্দি এলাকার মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে মো. আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (কয়েদি নং- ৫১০৫/এ), বগুড়ার কাহালুর উলট্র পূর্বপাড়ার মো. মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩৪) (কয়েদি নং- ৩৬৮৫/এ) ও একই জেলার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার মৃত ইসরাইল শেখের ছেলে মো. ফরিদ শেখ (৩০) (কয়েদি নং-৪২৫২/এ)।



বগুড়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মতিউরকে ছাগল চিহ্নিত করেছে, কোনো সংস্থা পারেনি: বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশ: ১০:২৬ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম, এমনকি রাজনীতিবিদরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে চিহ্নিত করতে না পারলো না। তাকে চিহ্নিত করলো একটি বোবা প্রাণি ছাগল। এমন মতিউর আরও আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে ছাগল বা অন্য কোনো বোবা প্রাণি তাদের চিহ্নিত করার আগেই যেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো চিহ্নিত করতে পারে। 

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ায় পেশাজীবী অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সমালোচনা করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিবৃতির মাধ্যমে কতিপয় কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিচ্ছে। কোনো রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে রাজনীতিবিদরা তার পক্ষ নেয় না। বরং রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও আইনি বিচারে সোচ্চার হয়। কিন্তু যখন কোনো সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিশেষ কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে; তখন ওই গোষ্ঠি বা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবাজের পক্ষে সাফাই বক্তৃতা বা বিবৃতি দেয়। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে বিশেষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের দায় পুরো সংস্থার ওপর চলে আসে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, তারা যেন বোবা ছাগলের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়ে প্রকারান্তরে দুর্নীতিবাজ কোনো ব্যক্তিকে রক্ষার নামে তাদের সংস্থার সকলের ওপর দায়ভার না চাপায়, সেদিকে সকলের সজাগ থাকা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পুলিশের সাবেক একাধিক কর্মকর্তার দুর্নীতির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দেয় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অপরদিকে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিপুল অর্থবিত্তের খবর বেরিয়ে আসে তার ছেলের কোরবানির ঈদে ১২ লাখ টাকা দিয়ে এক ছাগল কেনাকে কেন্দ্র করে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। অনেকেই বলেন এর চেয়ে বহুগুণ বেশি। ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতে ঋণ খেলাপি কমাতে হবে। ঋণ খেলাপি, অর্থপাচারকারী, ব্যাংক লুটেরা, দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের তালিকা জাতির সামনে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে আইন করে, বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে এই দুষ্টচক্র, সর্বগ্রাসী, স্বার্থান্বেষী চক্রের হাত থেকে দেশকে, দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। 

তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সে সরকারি হোক বা বেসরকারি, যে কোনো দলের বা সংস্থার হোক না কেন, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

মতিউর রহমান   ছাগলকাণ্ড   বাহাউদ্দিন নাছিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে ডিএনসিসি

প্রকাশ: ১০:০৮ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ছাগল-কাণ্ডের জন্য আলোচিত রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।  সংস্থাটি বলছে, সাদিক এগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে আছে।  

অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে। আজ বুধবার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অঞ্চল-৫–এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ সময় তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, তারা (সাদিক অ্যাগ্রো) রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে খামার করেছে। রাস্তার জায়গায় বেড়া দিয়ে গরুর অবৈধ হাট বসিয়েছিল। এর আগেও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ এসব কোনো বিষয়ে তোয়াক্কা করেনি।’

সাদিক অ্যাগ্রো কী পরিমাণ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে—জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, আগের একটা পরিমাপ রয়েছে। তবে আবার নতুন করে অবৈধ দখলের পরিমাণ মেপেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ওই খামার নিয়ে যেসব আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, এর সঙ্গে এ অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই।


সাদিক অ্যাগ্রো   ডিএনসিসি   উচ্ছেদ   অভিযান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে তরুণী ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে খাবারের গাড়িতে মঙ্গলবার রাতে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। 

বুধবার সকালে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছলে ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন ধর্ষককে আটক করা হয়। 

আটক তিনজনই ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিস এসএ করপোরেশনের কর্মচারী। 

থানা ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে রাতে ছেড়ে আসার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ট্রেনটি লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। মূলত ক্যাটারিং সার্ভিসের তিন কর্মী ওই তরুণীকে খাবার গাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী তরুণী। মঙ্গলবার রাত ১০ টাকায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসার পর ট্রেনটি বুধবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম স্টেশন পৌঁছায়।

রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছর বয়সী এক তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। খাবার বগিতে অবস্থানের সময় এস এস কর্পোরেশনের কয়েকজন কর্মী তরুণীটিকে প্রথমে উত্যক্ত। পরবর্তীতে পরে ওই বগিতে ভোররাতের দিকে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী তরুণী। ওই তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকলেও তার বাড়ি বান্দরবান জেলায়। রেলের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, এই ঘটনায় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মী মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদ (২৭)।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করা হয়েছে। ওই তরুণী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে এস এস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উদয়ন এক্সপ্রেস   ধর্ষণ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাশিয়া-চীন-ভারতসহ উন্নত দেশ থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৮ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক ও ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। বর্তমানে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সরকার রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ হতে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা ভবিষ্যতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষার বিষয়ে সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবিলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক/অস্ত্র/মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দূষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী নৌ-শক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ক্যাসল ক্লাস জাহাজ, ফ্রিগেড, করভেট, সমুদ্র জরিপ জাহাজ, লার্জ পেট্রোল ক্রাফট, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক নৌযুদ্ধ সরঞ্জাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে।

একইসঙ্গে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ডাইভিং বোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, রিমোট কন্ট্রোল গান, আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক হাব স্টেশন, টেকটিক্যাল ফায়ারিং রেঞ্জ, লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র‌্যাডার, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আইএফএফ সেন্টার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন যুগোপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ যাবৎকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য মিগ-২৯, ইয়াক-১৩০ এবং এফ-৭ ইএ-১ যুদ্ধ বিমান, সি-১৩০ জে এবং কে-৮ বিমান, মি-১৭১ হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করা হয়েছে। এ সব আধুনিকায়নের ফলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উন্নয়নে র‌্যাডার, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, ট্রান্সপোর্ট ট্রেইনার এয়ারক্রাফট এবং সিমুলেটর, লং ও শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র‌্যাডার, হেলিকপ্টারে নাইট ভিশন সিস্টেম স্থাপন, মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। যা সার্বিকভাবে বাহিনীর মান উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতীয়মান।

সমরাস্ত্র   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   ফোর্সেস গোল-২০৩০  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন