ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রবাসী নারীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে বগুড়ায় জোড়া খুন

প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়ায় ঈদের রাতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের নিশিন্দারা চকর পাড়া এলাকায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকার দুদুর ছেলে শরীফ ও শফিকুল ইসলামের ছেলে রোমান।

জানা গেছে, ঈদের রাত দেড়টার দিকে তারা চকরপাড়া এলাকার একটি গলিতে গোলাগুলির শব্দ শোনেন। কিছুক্ষণ পর তারা বেরিয়ে দেখেন শরীফ ও রোমানের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। এ সময় আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাদের আরেক বন্ধু হোসেনকে। বাসায় রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই কেউ একজন মোবাইল ফোনে শরীফকে ডেকে নেয়। পরে হোসেনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও ঘটনাস্থলেই মারা যায় শরীফ ও রোমান।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ে সোমবার রাতে রিকশাযোগে নিশিন্দারা উপশহর যাওয়ার পথে মোস্তাফাবিয়া মাদ্রাসার সামনে কয়েকজন যুবক রিকশা আটকিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করে। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার জানান, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হত্যার মোটিভ জানতে রাত থেকেই পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট মাঠে রয়েছে।

উত্ত্যক্ত   বগুড়া   খুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে বাংলাদেশের ‘পিএনসি’ হতে চায় বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মালদ্বীপের রাজনীতিতে পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস বা পিএনসি একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। এই দলের প্রধান মোহাম্মদ মুইজ্জু এবার নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়লাভ করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে তিনি অভিষিক্ত হননি। পার্লামেন্টে তিনি নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছেন। পিএনসির এই উত্থানের পিছনে চীনের সরাসরি সমর্থন রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মালদ্বীপের রাজনীতিতে চীনের সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ এসেছে পিএনসির মাধ্যমে। পিএনসি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নিজেদেরকে চীনপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এবং প্রকাশ্য ভারত বিরোধিতা করেছে। মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ থেকে প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। চীনের সঙ্গে তিনি প্রকাশ্য সম্পর্ক করেছেন।

পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের উত্থানের পিছনে চীনের অর্থ এবং সহযোগিতার কথা সর্বজনবিদিত। আর এ কারণেই মালদ্বীপের রাজনীতিতে এখন সরাসরি দুটি ভাগ। একটি চীনপন্থী রাজনৈতিক দল, অন্যটি ভারতপন্থী রাজনৈতিক দল। এবারের নির্বাচনে ভারতপন্থীরা চীনপন্থীদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে।

মালদ্বীপের এই মডেলই অনুসরণ করতে চায় বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি প্রকাশ্যে ভারত বিরোধিতা করে চীনের একান্ত অনুগত এবং বিশ্বস্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আর এ কারণেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপিতে যারা চীনপন্থী আছে তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়েছে এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে যোগাযোগও শুরু করেছে দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা এই দলটি।

বিএনপির মধ্যে এক সময় চীনপন্থীদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। বিএনপির বহিষ্কৃত প্রয়াত মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া, প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামসহ বহু নেতা ছিলেন সরাসরি চীনপন্থী। চীনের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সকলেই জানত। ভারত বিরোধিতা করা এবং চীনপন্থাকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করার কাজটি বিএনপি করেছিল বেশ নিষ্ঠার সঙ্গেই। কিন্তু ২০০৮ এর নির্বাচনের পর সব হিসাব নিকাশ পাল্টে যায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারসাম্যের কূটনীতি চালু করেন। তাতে তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের পরিধি যেমন বাড়িয়েছেন, তেমনই চীনের সঙ্গেও অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কও বৃদ্ধি করেছেন। নেতৃত্ব শূন্য বিএনপি থেকে তাই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চীন এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বেশি আগ্রহী।

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর অবস্থানের বিরুদ্ধে চীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। চীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি বিশ্ব রাজনীতিতে প্রায় এতিম এবং দেউলিয়া হয়ে গেছে। গত নির্বাচনের আগে তারা পুরোপুরি ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কথায় তারা সব কিছু করত। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত তাদেরকে সহযোগিতা করেনি। বিএনপিকে ছাড়াই যে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আলগা হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপিকে এড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করেছে।

এরকম বাস্তবতায় বিএনপি এখন চীনকেই তাদের মুরব্বি ভাবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চীনের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বিএনপিকে তারা ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপারেও ভাবছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস যেমন চীনের অর্থায়নে পরিচালিত হয়, বিএনপিও সে রকম চীনের কাছ থেকে আর্থিক এবং নৈতিক সাহায্য চাইছে।

তবে মালদ্বীপ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এক নয়। মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল একক দেশের ওপর নির্ভরশীল নয়। বরং আওয়ামী লীগের কূটনীতির প্রধান বিষয় হলো ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। এই বাস্তবতায় বিএনপির চীন নীতি কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।


তারেক জিয়া   বিএনপি   মুইজ্জু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অনুমতিই ছিল না সাদিক অ্যাগ্রোর

প্রকাশ: ০৭:৫১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

খামারের জন্য প্রয়োজনীয় কোন অনুমতিই ছিলো না ছাগলকাণ্ডে বহুল আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর। অনুমতি না থাকায় শনিবার আরেক দফা অভিযান চালিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর পুরো খামার ভেঙে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান অভিযানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে সাদিক অ্যাগ্রোর অফিস এবং ছাগলের খামারের একাংশ ভেঙে ফেলে সিটি করপোরেশন। ওইদিন সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। পরে দ্বিতীয় ধাপে সম্পন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযানের পর গবাদি পশু রাখার জায়গা না থাকায় তা সরিয়ে নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির সাভার উপজেলার বলিয়াপুরের খামারে।

নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন দিনের অভিযানে প্রায় ৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া রামচন্দ্রপুর খালের ১০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে খনন কাজ চালানো হয়েছে।

অভিযানসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাতমসজিদ হাউজিংয়ের ১ নম্বর সড়কের শেষ প্রান্তে থাকা সাদিক অ্যাগ্রোর খামারটি ছিল একেবারে রামচন্দ্রপুর খালের পাড় ঘেঁষে। অথচ খালের প্লাবন ভূমির (ফোরশোর) ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। এছাড়া স্থাপনা নির্মাণের জন্য (খামার) সাদিক অ্যাগ্রোর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতিও ছিল না। খামারের জন্য সিটি করপোরেশনের থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো ট্রেড লাইসেন্স।

উল্লেখ্য, কোরবানির জন্য এই সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়েছিলেন এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল আলোচনা হয়। এরপর মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে। মতিউরকে এরই মধ্যে এনবিআর থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সাদিক অ্যাগ্রো   অভিযান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি, কমানোর কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি। এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না। জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, তা পালন করি। এই বাজেট প্রণয়নকালীন আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটির অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিকনির্দেশনা- সেটাও বাজেটে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য স্থির করেছি তা তুলে ধরা হয়েছে এই বাজেটের মধ্যে। ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা যে পরিকল্পনা করেছি তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের সেই ধাবাহিকতা আমাদের আছে।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনও পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট! আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই (বড় বাজেট বাস্তবায়ন) সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কী? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। তারা বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন।


বাজেট   উন্নয়ন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যশোরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর


Thumbnail

যশোরের শার্শা উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটি রাসেলস ভাইপার কী না তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরের দিকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

শিশুটির নাম প্রান্তি খাতুন। সে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের প্রবাসী সোহাগ মিয়ার ছোট মেয়ে। প্রান্তি স্থানীয় এসএম গাতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরে খাটের কাছে বসা ছিল প্রান্তি। এ সময় তার হাতে বিষধর একটি সাপ কামড় দেয়। এতে প্রান্তির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। তার হাতের ক্ষতস্থানের ওপরে বেঁধে তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হয়। শনিবার দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান্তির মৃত্যু হয়।

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, ছোট মেয়েটি সাপের কামড়ে মারা গেল। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের পাশাপাশি সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি।


সাপ   রাসেলস ভাইপার   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আগাম জামিন চাইতে পারে মতি

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য ড. মতিউর রহমান আগাম জামিন চাইতে পারেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ইতোমধ্যে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন এবং এই পরামর্শের অংশ হিসেবেই হাইকোর্টে আগামী রোববার অথবা সোমবার তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে অন্য একটি সূত্র বলছেন, প্রথমে তার স্ত্রী লায়লা কানিজ আগাম জামিনের আবেদন করবেন এবং এটির অবস্থান বুঝে তারপর মতিউর রহমান আগাম জামিনের আবেদন করবেন।

এখনও মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোনরকম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি। কেবল দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এরকম পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের প্রয়োজনীয়তা কেন- এ রকম প্রশ্নের জবাবে একজন আইনজীবী বলেছেন যে, আগাম জামিনের বিষয়টি মামলার আগে আগে করতে হয়। মতিউর রহমান যদি মনে করেন যে, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বা মামলা হতে পারে, তাহলে তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। তবে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। সারাদেশে মতিউর রহমানের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে একটি আবহ তৈরি হয়েছে। এই কারণেই শেষপর্যন্ত আগাম জামিনের আবেদন তিনি করবেন কি না তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র বলছে যে, আগামী সপ্তাহে কোন এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ড. মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে দুদকে তলব করতে পারেন। পৃথক পৃথক ভাবে প্রত্যেককে দুদকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ইতোমধ্যে ড. মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পত্তির ব্যাপারে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তারা মতিউর রহমানের কিছু সম্পত্তি জব্দ করার জন্য আদালত থেকে অনুমতি পেয়েছে। একই সাথে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের বিদেশ যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে মতিউর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন কবে তলব করবে সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আগামী রোববার বা সোমবার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মতিউর রহমান তার প্রথম স্ত্রী এবং প্রথম পক্ষের ছেলে দেশেই অবস্থান করছে। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সন্তানরা মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মতিউর রহমানের কন্যা ইপ্সিতাও এখন দেশে নেই। তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। এখন দেখার বিষয় যে মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের এই তদন্ত কিভাবে মোকাবেলা করেন।

একটি সূত্র বলছে যে, এর আগেও চারবার দুর্নীতি দমন কমিশন মতিউর রহমানকে নিয়ে তদন্ত করেছিল এবং চারবারই দুর্নীতি দমন কমিশন মতিকে ক্লিনশিট দিয়েছে। কাজেই মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের ফাঁক ফোকর গুলো ভালোমতোই জানেন এবং এ নিয়ে তিনি প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মতিউর রহমানের সঙ্গে যাদের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব আছে এবং সরকারি বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা মতিউর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তারাই তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সাময়িক ঝড় সামাল দেওয়ার পর মতিউর রহমানকে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সে ব্যাপারেও তাদের পরামর্শ মতিউর রহমান নিয়মিতভাবে গ্রহণ করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার বা সোমবার মতিউর রহমান প্রকাশ্য হতে পারেন এবং প্রকাশ্য হওয়ার জন্য তিনি প্রথমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত মতিউর রহমান কি করবেন সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা প্রকাশ্য হওয়ার প্রেক্ষিতে এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, খুব শিগগিরই প্রকাশ্যে আসছেন মতিউর রহমান।


ড. মতিউর রহমান   এনবিআর   জাতীয় রাজস্ব বোর্ড   ছাগলকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন