ইনসাইড বাংলাদেশ

বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাংলাদেশ নীতি’

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতি বদলে যাচ্ছে। পরিবর্তিত নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল থেকে সরে আসতে পারে বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মনে করছে। তার বদলে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও কাছে পেতে চায় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই দেশটি। সাম্প্রতিক কালে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ এবং বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয় হ্রাসের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে পরিবর্তিত নীতি গ্রহণ করছে বলে একাধিক সূত্র মনে করছে।

গত দুই বছর আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল অনেকটাই নেতিবাচক এবং আগ্রাসী। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরব ছিল। বিশেষ করে বিগত নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের ওপর এক সরাসরি চাপ প্রয়োগ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত নির্বাচনের আগে এক বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। বাংলাদেশের নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় সে ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা সহ নানা রকম কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করারও হুমকি দিচ্ছিল।

নির্বাচনের আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব ছিল অত্যন্ত নেতিবাচক। কিন্তু ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আস্তে আস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পাল্টাতে থাকে। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডব সহিংসতার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি পরিবর্তিত এবং ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। 

তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে যে কৌশল পরিবর্তন করেছে তা বৈশ্বিক রাজনীতির একটি অংশ। এই সময় বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক পরিবর্তিত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুর কারণে বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব প্রতিপত্তি এখন হুমকির মুখে। তা ছাড়া উপমহাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস হয়ে যাচ্ছে। চীনের আধিপত্য বাড়ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৈরী রাখা ইতিবাচক হবে না বলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। আর এই বাস্তবতায় বাংলাদেশ নীতি তাদের পরিবর্তন হচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেক কূটনীতিক বিশ্লেষকরা। 

কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন যে, ভারতের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পাল্টেছে। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করও কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন সঙ্গে জয়শঙ্করের একাধিক বৈঠকের খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তার অবস্থান বদলেছে তাদের নিজেদের ইচ্ছায়, কারো চাপে বা প্রভাবে নয় এটি মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ রকম দেশ নয় যে, ভারতের কথায় একটি কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সুস্পষ্ট কতগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে এখন মার্কিন প্রভাব বলয় আলগা হতে শুরু করেছে। সৌদি আরব এখন চীনের সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাচ্ছে। মার্কিন প্রভাব সৌদি আরবের ওপর কমে গেছে। সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং সৌদি আরবের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্ত অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে সেই সম্পর্ক আলগা হতে শুরু করেছে। 

ইসরায়েল ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মাঝে মাঝে অসহায় মনে হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো আর সবকিছু করছে না। আর এর ফলে মুসলিম বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আস্থার সঙ্কটে ভুগছে। আর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশ, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয় থাকাটা দরকার। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের পৃথক অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অস্বস্তিকর ছিল। এখন এই যুদ্ধ ইউক্রেন কেবল বিপযর্য নয়, পুরো ইউরোপই হুমকির মুখে। সবকিছু মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছেন কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে যদি সম্পর্কের অবনতি ঘটে তাহলে এই অঞ্চলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক ঘরে হয়ে পড়বে। সেই অবস্থা তারা চাইছে না। আর এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতি বদলে গেছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন   ভারত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যশোরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর


Thumbnail

যশোরের শার্শা উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটি রাসেলস ভাইপার কী না তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরের দিকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

শিশুটির নাম প্রান্তি খাতুন। সে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের প্রবাসী সোহাগ মিয়ার ছোট মেয়ে। প্রান্তি স্থানীয় এসএম গাতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরে খাটের কাছে বসা ছিল প্রান্তি। এ সময় তার হাতে বিষধর একটি সাপ কামড় দেয়। এতে প্রান্তির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। তার হাতের ক্ষতস্থানের ওপরে বেঁধে তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হয়। শনিবার দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান্তির মৃত্যু হয়।

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, ছোট মেয়েটি সাপের কামড়ে মারা গেল। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের পাশাপাশি সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি।


সাপ   রাসেলস ভাইপার   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আগাম জামিন চাইতে পারে মতি

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য ড. মতিউর রহমান আগাম জামিন চাইতে পারেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ইতোমধ্যে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন এবং এই পরামর্শের অংশ হিসেবেই হাইকোর্টে আগামী রোববার অথবা সোমবার তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে অন্য একটি সূত্র বলছেন, প্রথমে তার স্ত্রী লায়লা কানিজ আগাম জামিনের আবেদন করবেন এবং এটির অবস্থান বুঝে তারপর মতিউর রহমান আগাম জামিনের আবেদন করবেন।

এখনও মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোনরকম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি। কেবল দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এরকম পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের প্রয়োজনীয়তা কেন- এ রকম প্রশ্নের জবাবে একজন আইনজীবী বলেছেন যে, আগাম জামিনের বিষয়টি মামলার আগে আগে করতে হয়। মতিউর রহমান যদি মনে করেন যে, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বা মামলা হতে পারে, তাহলে তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। তবে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। সারাদেশে মতিউর রহমানের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে একটি আবহ তৈরি হয়েছে। এই কারণেই শেষপর্যন্ত আগাম জামিনের আবেদন তিনি করবেন কি না তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র বলছে যে, আগামী সপ্তাহে কোন এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ড. মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে দুদকে তলব করতে পারেন। পৃথক পৃথক ভাবে প্রত্যেককে দুদকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ইতোমধ্যে ড. মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পত্তির ব্যাপারে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তারা মতিউর রহমানের কিছু সম্পত্তি জব্দ করার জন্য আদালত থেকে অনুমতি পেয়েছে। একই সাথে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের বিদেশ যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে মতিউর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন কবে তলব করবে সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আগামী রোববার বা সোমবার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মতিউর রহমান তার প্রথম স্ত্রী এবং প্রথম পক্ষের ছেলে দেশেই অবস্থান করছে। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সন্তানরা মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মতিউর রহমানের কন্যা ইপ্সিতাও এখন দেশে নেই। তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। এখন দেখার বিষয় যে মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের এই তদন্ত কিভাবে মোকাবেলা করেন।

একটি সূত্র বলছে যে, এর আগেও চারবার দুর্নীতি দমন কমিশন মতিউর রহমানকে নিয়ে তদন্ত করেছিল এবং চারবারই দুর্নীতি দমন কমিশন মতিকে ক্লিনশিট দিয়েছে। কাজেই মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের ফাঁক ফোকর গুলো ভালোমতোই জানেন এবং এ নিয়ে তিনি প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মতিউর রহমানের সঙ্গে যাদের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব আছে এবং সরকারি বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা মতিউর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তারাই তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সাময়িক ঝড় সামাল দেওয়ার পর মতিউর রহমানকে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সে ব্যাপারেও তাদের পরামর্শ মতিউর রহমান নিয়মিতভাবে গ্রহণ করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার বা সোমবার মতিউর রহমান প্রকাশ্য হতে পারেন এবং প্রকাশ্য হওয়ার জন্য তিনি প্রথমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত মতিউর রহমান কি করবেন সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা প্রকাশ্য হওয়ার প্রেক্ষিতে এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, খুব শিগগিরই প্রকাশ্যে আসছেন মতিউর রহমান।


ড. মতিউর রহমান   এনবিআর   জাতীয় রাজস্ব বোর্ড   ছাগলকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেরিতে উঠতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা মোটরসাইকেল আরোহীর

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বানারীপাড়ায় চলমান ফেরিতে উঠতে গিয়ে পিকুল হাসান নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ জুন) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বন্দরবাজার সংলগ্ন ঘাট থেকে ফেরিতে উঠতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ওই ব্যক্তি বুকে, হাতে ও পায়ে মারাত্মক চোট পান। 

জানা যায়, পিকুল হাসান মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে বানারীপাড়া হয়ে ঔষধের স্যাম্পল নিয়ে খেয়া পার হয়ে বাইশারী টু আউয়ার যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে পৌর শহরের বন্দর বাজার সংলগ্ন সন্ধ্যানদীর ফেরিঘাটে আসে। এ সময় ফেরিও ছেড়ে যাচ্ছিল। ফেরিটি ঘাট থেকে তিন ফুট দূরত্বে চলে যাওয়ার পর পিকুল রানিংয়ে থাকা মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠতে গেলে সামনের চাকা চলমান ফেরির উপরে পড়ে এবং পেছনের চাকা শূন্যে থাকে। এ সময় ফেরির অন্য যাত্রীরা মোটরসাইকেল আরোহী পিকুল হাসানকে টেনে তুললেও মোটরসাইকেলটি পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এরপর খেয়া চালকের সহযোগিতায় মোটরসাইকেলটি তাৎক্ষণিক দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেরির ওপর টেনে তোলা হয়।


বরিশালে   মোটরসাইকেল   আরোহী   ফেরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সকাল ১১ টার দিকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

শেরপুর জেলা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ২০২৪-২০২৭ মেয়াদের এটিই ছিল প্রথম সভা। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর মোঃ শফিউদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন শেরপুর জেলা সমিতির মহাসচিব এবং বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল। 

এ সময় শেরপুর জেলার সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেল সংযোগ, শেরপুরের পর্যটন শিল্প বিকাশ, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান, শেরপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধনের জন্য শেরপুর জেলা সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটি কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। 

কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ মাখন, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী কায়কোবাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ (সানী), প্রেস সচিব সাংবাদিক আল মাসুদ নয়ন, সহ-প্রেস সচিব ইমরান আহমেদ (লাল মিয়া), কামাল হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব আবুল হাশেম, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোরেশেদ এবং শেরপুর জেলা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ। 

শেরপুর জেলা সমিতির মহাসচিব ড. মোঃ আবদুল আউয়াল সভায় উপস্থিত সকল সদস্যগণের নিকট সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

শেরপুর জেলা সমিতি   কার্যনির্বাহী কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে অর্থ আত্মসাতকারী সমবায় সমিতির প্রতারকদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরে গ্রাহকদের নিকট থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আমানত আত্মসাতকারী বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতারকদের বিচার অর্থ ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে শহরের বকুলতলা চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি-দুপ্রক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় হিউম্যান রাইটস ফোরাম সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখা।


মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট ইসমত পাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস, সুইড জামালপুরের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার পাল, মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুর রহমান উজ্জল, সমবায় সমিতির ভূক্তভোগী সদস্য মুকুল বেগম, মাকসুদা পারভীন, ফারুক, শফিকুল ইসলাম, রিপা আক্তারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

 

এসময় বক্তারা বলেন, মাদারগঞ্জ উপজেলায় আল-আকাবা, শতদল, রূপসী বাংলা, স্বদেশ, নবদ্বীপ, রংধনু, আশার আলো, পরশমনিসহ শতাধিক সমবায় সমিতি সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে বে-আইনিভাবে ব্যাংকিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এসব সমবায় সমিতির পরিচালকরা অতি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহকের নিকট থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে।

 

গ্রাহকদের আমানত নিয়ে সমিতির কর্তাব্যক্তিরা দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে নিজেরা এখন গা-ঢাকা দিয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ ফেরত না পেয়ে সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে, অভাব-অনটনে তারা চিকিৎসা, সন্তানদের পড়াশুনা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। গত এক বছর ধরে গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে গত ছয় মাস আগে সমিতির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সমিতির লোকজন গা-ঢাকা দিয়েছে।

 

প্রশাসন এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভপ্রকাশ করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত সমবায় সমিতির নামে অর্থ আত্মসাতকারীদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা।

এছাড়াও মানববন্ধন থেকে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গণস্বাক্ষর, স্মারকলিপি প্রদান, রেল সড়কপথ অবরোধসহ ধারবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।


সমবায় সমিতি   প্রতারক   বিচার দাবি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন