ইনসাইড বাংলাদেশ

সচিব নিবাসের সুরক্ষায় বন্ধ জনগণের রাস্তা

প্রকাশ: ০২:২৭ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর ইস্কাটন এলাকায় সচিবদের বসবাসের জন্য তৈরি করা হয়েছে সচিব নিবাস। আর এই নিবাসের সামনে দিয়ে জনগণের চলাচলের জন্য সিটি করপোরেশনের একটি রাস্তা রয়েছে। সচিবদের নিরাপত্তা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় যানজট সৃষ্টি হয় এমন অজুহাতে  রাস্তাটি তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের চলাচলের সরকারি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিয়ে সচিবদের  কিছু বলতেও পারছে না সিটি করপোরেশন।

ফলে প্রতিদিন যাতায়াত করা হাজারো মানুষ নিত্য ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের এমন কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে বিস্মিত ওই এলাকার সাধারণ মানুষও। আশপাশে আরও কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোয়ার্টার থাকলেও সচিব নিবাসে বসবাস ব্যতীত অন্য কেউ ওই সড়ক ব্যবহার করতে পারে না। অনেক সরকারি কর্মকর্তারাও বিরক্ত।

২৭০ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর পুরাতন ইস্কাটন রোডে সচিব নিবাস নির্মাণ করে সরকার। যা ২০১৯ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। তিনটি ভবনে মোট ১১৪ ফ্ল্যাট রয়েছে। এসব ফ্ল্যাটে সিনিয়র সচিব, সচিব গ্রেড- এর কর্মকর্তারা বসবাস করেন। তবে কিছু অতিরিক্ত সচিবও বসবাস করছেন। রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোড এবং পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের মাঝে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের উল্টোপাশে তৈরি করা হয়েছে সচিব নিবাস। সচিব নিবাসের সঙ্গে পূর্ব পাশে রয়েছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনের সড়ক থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সচিব নিবাসের মাঝ দিয়ে যাওয়ার একমুখী সড়কটি তিন বছরের বেশি সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড (সবজি বাগান সড়ক) থেকে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের পশ্চিম পাশ দিয়ে আরেকটি একমুখী রাস্তা রয়েছে, যা দিয়ে আসা-যাওয়া করছেন সাধারণ মানুষ। এতে প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। দুটি গাড়ি চলাচল করার  মতো পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ওই পথ নিত্য ব্যবহারকারীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সড়কটি কেন বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে সচিব নিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক সিনিয়র সচিব ফয়েজ আহম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, এই  সড়কটি ছিল না। এই আবাসন ভবন করার পর করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষ হেঁটে চলতে পারে, তবে গাড়ি চলাচল বন্ধ। ১১৪টা আবাসন রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে গাড়ি আসা-যাওয়া করে। এর মধ্যে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে গেছে সচিব নিবাস ক্যাম্পাসে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সব সময় সচিব নিবাসের উত্তর পাশের গেট বন্ধ থাকে। নিজেদের প্রয়োজন ছাড়া একেবারেই খোলা হয় না। দক্ষিণের গেট দিয়ে যাতায়াত বেশি করা হয়। আর সাধারণ মানুষ হেঁটে মাঝে-মধ্যে যাতায়াত করতে পারলেও প্রায় সময় আনসার সদস্যরা তাতেও বাধা দেন। অথচ এই সড়ক বন্ধ না করলেও সচিব নিবাস থেকে বের হতে আরও দুটি নিজস্ব গেট রয়েছে।

জানতে চাইলে ডিএসসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার বলেন, সড়কটি - বছর থেকে বন্ধ রয়েছে। প্রথমে সচিব নিবাসের পক্ষ থেকে সড়কটি প্রশস্ত করে সংস্কার করা হয়েছে। তখন মনে করা হয়েছিল তারা সংস্কার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। কিন্তু পরে সচিব নিবাস কর্তৃপক্ষ গেট নির্মাণ করে সড়কটি বন্ধ করে দেয়। কী কারণে বন্ধ করেছে সেটা আমার জানা নেই।

বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে পুরাতন এলিফ্যান্ট সড়কের মধ্যকার সংযোগ সড়ক কী কারণে বন্ধ রয়েছে সেটা আমার জানা নেই। রাস্তাটি বন্ধ রাখতে সচিব নিবাস থেকে সিটি করপোরেশনকে মৌখিক বা চিঠি দিয়ে অনুমতি নিয়েছে বলেও আমার জানা নেই।


সচিব   নিবাস   জনগণ   রাস্তা   বন্ধ   সিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ১৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলমান বন্যায় গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এ জেলায় অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৬৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যার কারণে চার উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন।

বন্যাকবলিত এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষা ছাড়াও গবাদি পশুপাখি রাখার স্থান ও গো-খাদ্য, স্যানিটেশনসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যার প্রভাবে এ পর্যন্ত জেলার ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মাদ্রাসাসহ ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ এবং ১১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

এছাড়াও ফুলছড়ি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে পরীক্ষার্থীদের ভরতখালি উচ্চবিদ্যালয়ে স্থানান্তর করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের মাঝে জরুরি নিরাপত্তা, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, ভিটামিন ট্যাবলেট, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও নিরাপদ পানি বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন ও দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ডিএফপির (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম) অর্থায়নে ২০ হাজার পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আজ সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি স্টেশন পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটিার কমে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটিার কমে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গাইবান্ধার সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, সুন্দরগঞ্জের ৯টি, সাঘাটার ৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, বন্যায় চার উপজেলায় ২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ডুবে গেছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। অন্যথায় ফসল পচে নষ্ট হয়ে যাবে

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, এ পর্যন্ত গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬৫ টন জিআর চাল এবং ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ২৬৫ টন চাল মজুত রয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পিডবোট প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা এবং উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।


বন্যা পরিস্থিতি   অবনতি   স্কুল বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কারের দাবিতে বেরোবি শিক্ষার্থীদের রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) রংপুর নগরের মডার্ন মোড়ে তাঁরা দুপুর ১২টা থেকে দেড় ঘণ্টা এই কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানব না’, ‘কোটাপ্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এদিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা ৩০ পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা কোটাপদ্ধতি সংস্কার করা না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন।

এদিকে অবরোধের ফলে মহাসড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কে দেখা যায় তীব্র যানজট।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলজেসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে নগরের মডার্ন মোড়ে এসে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা,১০ শতাংশ জেলা কোটা এবং ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা ও ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু হয়।

তবে সেই বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে পুরো কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে। এবং এনিয়ে একই বছর ৪ অক্টোবর কোটা বাতিল বিষয়ক একটি পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। গত ৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলন করছে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশিরা।


কোটা আন্দোলন   বেরোবি   মহাসড়ক অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল রুয়েট ও রাবি

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এবার বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের সাথে রুয়েট শিক্ষার্থীরাও তাদের যোগদানের কথা জানান।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হতে দেখা যায় তাদের। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের তালাইমারি এলাকা হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফলকে অবস্থান নেন তারা।

এসময় 'দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম-ব্যাক', 'জেগেছে রে জেগেছে রূয়েটবাসী জেগেছে', 'সংবিধান পরিপন্থী কোটা ব্যবস্থা নিপাত যাক', 'স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই' , 'হয় যদি কোটার চাষ পড়বো কেন বারো মাস', 'আঠারোর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার' , 'সারা বাংলায় খরব দে কোটা প্রথার কবর দে' এমনসব স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মূলত কোটা সংস্কারের দাবিতে এখানে এসেছি। বিভিন্ন রকম কোটার কারণে আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার প্রভাব অনেক বেশি।

তিনি বলেন, আমরা কোটা বাতিল চায় না কিন্তু চাই এটা সংস্কার করা হোক। ১০% মুক্তিযোদ্ধা আর বাকি ১০% অন্যান্য কোটা থাকলে ভালো হয়। যাদের আসলেই প্রয়োজন শুধুমাত্র তাদেরকেই কোটার আওতায় আনা উচিত। প্রতিবন্ধী বা উপজাতিদের কোটা দেওয়া যায়।

এর আগে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেললাইন অবরোধের দিনের কর্মসূচী করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে এ কর্মসূচি করে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্য মানি না। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সদস্য মেহেদী সজীব বলেন, আজকে আমরা রেললাইন অপরাধ করেছি। আমাদের লাগাতারে কর্মসূচি চলবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে।

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিক ভোগের সুযোগ এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে৷ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থী অংশ নেন। 


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   রুয়েট   আন্দোলন   ছাত্র আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাগ এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। চলতি সপ্তাহে মুনীম তার দায়িত্ব নিতে পারেন।

রোববার ( জুলাই) ্যাবের এক প্রজ্ঞাপনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌসকে লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বর্তমান মুখপাত্র কমান্ডার আরাফত হোসেনকে বদলি করে ্যাব- এর অধিনায়ক করা হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্বে আসছেন মুনীম ফেরদৌস। এই সেনা কর্মকর্তা গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাটালিয়নটির দায়িত্ব পান।

লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বর্তমানে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক হিসেবে রাজশাহীতে কর্মরত। তিনি র‌্যাবের ১৩তম মুখপাত্র হবেন।


এদিকে আড়াই মাসেরও কম সময় ্যাব মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বরিশাল ্যাব- এর অধিনায়ক হয়েছেন। তিনি চলতি সপ্তাহে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানা গেছে।

 


র‌্যাব   মুখপাত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে কমতে শুরু করেছে যমুনার পানি

প্রকাশ: ০২:৪৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পযন্ত') যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট সমতল এলাকায় ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে'। পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যার্তদের। প্লাবিত এলাকাগুলোতে বাড়ছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

 

পানির কারণে নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতঘর বাড়ি, ফসলিজমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৮৩ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি, রাস্তা ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাঁত কারখানা পানিতে তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। একই সঙ্গে চর ও নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।  

 

অপরদিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ভুতের মোড়, শাহজাদপুর উপজেলার হাট-পাঁচিল, জালালপুর ও কৈজুরীতে ভাঙন অব্যাহত রযেছে। ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েকশত বসতবাড়িঘর, বিল্ডিং, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা।

 

ভাঙনের মুখে রয়েছে অনেক বাড়িঘর। ভাঙনকবলিত বাসিন্দারা বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন'। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অন্যদিকে কাজীপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর ও চরগিরিশের বিভিন্ন দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙনের মুখে পড়েছে ছালাল চরে নির্মিত মুজিব কেল্লা। যেকোন সময় তা যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ভাঙনের কবলে পড়েছে ভেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। খাসরাজবাড়ী গুইজাবাড়ি বাধ, তেকানি বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। যদিও এসব বাঁধের কাজ এখনও চলমান রয়েছে।

জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার পরিবারের মোট ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের মাঝে ৯৫ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।'

 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১সে.মি কমে বিপদসীমার ৬০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী তিন-চারদিন পর্যন্ত যমুনার পানি কমবে এরপর ফের বাড়তে পারে। আপাতত এভাবেই চলতে থাকলেও ভারী বন্যার সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে।'

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধ  বলেন, বন্যার পানিতে জেলার ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনই ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাবেনা, এর জন্য সময় লাগবে। কারণ, যেমন পাট জাতীয় ফসল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়না। কিন্তু অনেক ফসলই আবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান  বলেন, এই জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার পরিবারের মোট ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা ইতোমধ্যেই তাদের মাঝে ৯৫ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। আমাদের আরও যথেষ্ট মজুদ আছে, সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত আছি।'


বন্যা পরিস্থিতি   যমুনার পানি   উন্নতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন