ইনসাইড বাংলাদেশ

অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের ব্যবসা: তালিকা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

একজন সরকারি কর্মকর্তা তার চাকরি বিধি অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ছাড়া কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না। শুধু সরকারি কর্মকর্তা নিজে নয়, তার পরিবারের সদস্যরাও যদি কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তাহলে সেক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে, এটাই নিয়ম। 

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা যে ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছেন, সেক্ষেত্রে সরকারের কোন অনুমতি নিচ্ছেন না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত না করে তাদের অনুমতি না নিয়ে এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন অনেক সরকারি কর্মকর্তারা। বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে নজরে এসেছে ড. মতিউর রহমানের ঘটনার প্রেক্ষিতে। মতিউর রহমান বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান করেছেন এবং শেয়ার মার্কেটে তিনি নিয়মিত ভাবে বিনিয়োগ করতেন। কিন্তু এর কোন কিছুই তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেননি। 

সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের অনুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবসা করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। মতিউর রহমান এই দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন। শুধু মতিউর রহমান একা নন, এরকম বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখন এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যারা তাদের স্ত্রী এবং নিকট আত্মীয়দের নামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য করছেন, যে ব্যবসাটি আসলে তাদেরই বিনিয়োগকৃত বা এই ব্যবসাটির মূল মালিক তিনি। মূল মালিক যেই হোক না কেন, যদি একজন সরকারি কর্মকর্তার পরিবারের কোনো সদস্য ব্যবসা করেন, তাহলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা সেটি মানা হচ্ছে না।

মতিউরের ছাগল কাণ্ডের পর এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখন সরকারি কর্মকর্তাদেরকে নতুন করে নোটিশ দিচ্ছে। যারা সরকারি বিধি বহির্ভূতভাবে আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা বাণিজ্য করছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে তাদের ব্যবসার বিবরণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জামা দেওয়ার জন্য একটি নির্দেশনা পত্র জারি করতে যাচ্ছে এই মন্ত্রণালয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কিছু খোঁজ খবর নিচ্ছে এবং এই সমস্ত খোঁজখবরের মাধ্যমে তারা সরাসরি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ গ্ৰহণ করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির এবং অনিয়ম নিয়ে একটি আবহ তৈরি হয়েছে। এর ফলে সরকারের জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র প্রশাসন ক্যাডার নয়, পুলিশ, শুল্ক আবগারি সহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে এখন নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য করার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই প্রবণতা থেকে মুক্ত করার জন্যই অবিলম্বে চাকরি বিধি কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সরকারি কর্মচারী   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়   দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চুক্তির মিছিলে হতাশা প্রশাসন ক্যাডারে

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রশাসন ক্যাডারে আবার চুক্তির মিছিল শুরু হচ্ছে। একের পর এক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতেই পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের মধ্যেই শুরু হয়েছে হতাশা।

সর্বশেষ সড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তার পাশাপাশি এবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলী হোসেনকে। আগামী ৩ জুলাই তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল তার চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের এই মিছিল প্রশাসন ক্যাডারের মধ্যে নতুন করে অস্থিরতা, হতাশা এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছে, এই প্রবণতার ফলে সামনে যারা অবসরে যাবে তারাও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য দেন দরবার করবেন, তদবির করবেন এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের কাছে ধরনা দেবেন।

ফলে সাধারণভাবে অধস্তনদের সচিব হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। ১৫তম ব্যাচের সচিব হওয়া কেবল শুরু হয়েছে। কিন্তু এত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রবণতার কারণে যে সংখ্যক তাদের এতদিনে সচিব হওয়ার কথা ছিল, সে সংখ্যক তারা হতে পারছেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন সচিব অবসরে যাচ্ছেন। এখন তারা আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন, নাকি তারা অবসরে চলে যাবেন, এ নিয়েও এক ধরনের ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।

পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আফরিনের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ২৮ অগাস্ট। এছাড়া ট্যারিফ কমিশনের দায়িত্বে থাকা সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২৯ আগস্ট। ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে যুব ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদের চাকরির মেয়াদ। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ অক্টোবর। ধর্ম বিষয়ক সচিব এ হামিদ জমাদ্দারের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ নভেম্বর। ২৫ নভেম্বর শেষ হচ্ছে ভূমি সচিব খলিলুর রহমানের চাকরির মেয়াদ। এ বছরের ডিসেম্বরে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকীর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। একই মাসে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদের চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। ওইদিনই তথ্য সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে।

এই বছরে এতগুলো সচিবের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন তারা যদি তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তাহলে অন্যদের পদোন্নতি নিয়ে সৃষ্টি হবে অনিশ্চয়তা। এ কারণে প্রশাসন ক্যাডারের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।

তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, অক্টোবরে বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে। আগামী ১৪ অক্টোবর তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার জায়গায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু একাধিক সূত্র বলছে, এখন মাহবুব হোসেনকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। মেজবাহ উদ্দিন যদি শেষ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব হন, সেক্ষেত্রে তারও চাকরির মেয়াদ বাড়তে পারে। এখন দেখার বিষয়, চলতি বছরে যে বিপুল সংখ্যক সচিব অবসরে যাচ্ছেন তাদের কয়জন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান, আর কয়জন অবসরে যান।


সবিচ   চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ   প্রশাসন ক্যাডার   মন্ত্রণালয়   সচিবালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্নীতিগ্রস্ত সার্ভেয়ারকে চাকরিতে পুনর্বহাল প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব যা জানালেন

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার জেরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সার্ভেয়ারকে সম্প্রতি চাকরিতে ফের পুনর্বহাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘কিছু বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। দুদক কিংবা অন্য একটি আদালত যেভাবে কাজ করে, ডিপার্টমেন্টাল কাজ কিন্তু সেভাবে না।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।

অভিযোগ রয়েছে, পদ্মাসেতু প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের সময় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় জাল দলিল তৈরির সাথে যুক্ত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সাবেক সার্ভেয়ার মাইনুল হাসান। জানা যায়, ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে জেলা প্রশাসন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ওই জালিয়াতিতে সহায়তার জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েচ্ছিলেন।

পরে গত বছরের নভেম্বরে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলেও আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশবলে চলতি বছরের ৯ জুন তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।

এ বিষয়েই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বিভাগীয় কর্মপদ্ধতির প্রসঙ্গ এনে বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতি হিসেবে সাব্যস্ত হলে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া মানতে হচ্ছে। তাকে বরখাস্ত কিংবা চাকরিতে রেখে তার বিরুদ্ধে ডিপি চালু করি। তাকে চাকরিতে রেখেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির পরেও বরখাস্ত কেন করা হয়নি, সেটা হয়তো সেই কর্তৃপক্ষ জবাব দিতে পারবে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়া চলমান কিনা।’

ব্রিফিংয়ের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি’ নামের একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠান করতে চায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামের বিষয়ে ‘না’ বলেছেন। নাম বদলে হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি। এ লক্ষ্যে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি, আইন ২০২৪’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।


মন্ত্রী পরিষদ সচিব   দুর্নীতি   পুনবর্হাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী মিশর: নানক

প্রকাশ: ০৮:৫১ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মিশর বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত একটি যৌথ প্রটোকল স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর এলদিন আহদে ফাহমি এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী কথা জানান। 

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ৫ম বারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন মিশরের রাষ্ট্রদূত।

মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি বলেন, ‘মিশর বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য মিশর বাংলাদেশের পাট-বস্ত্র, তুলাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ছাড়াও সাংস্কৃতিক শিক্ষা ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ উন্নয়নে আগ্রহী।

এছাড়া, গতবছর মিশর বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকালে দুদেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।


বাণিজ্য   মিশর   রাষ্ট্রদূত   নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিস্তা নিয়ে চীন-ভারতের কূটনৈতিক লড়াই

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন-ভারতের কূটনৈতিক লড়াই এখন শেষ পরিণতির অপেক্ষায়। আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন। সেখানে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বিষয়ে চীনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এ কথা স্বীকার করেছে।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, তিস্তা নিয়ে ভারত যেমন প্রস্তাব দিয়েছে, তেমনই চীনের প্রস্তাবও আছে। যে প্রস্তাবটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বাংলাদেশের কাছে, সেই প্রস্তাবটি বাংলাদেশ গ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, দেশের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনা করা হবে।

পানি চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে তিস্তাকে ঘিরে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রথম এগিয়ে আসে চীন। চীন বাংলাদেশ অংশে তিস্তার প্রবেশমুখে অনেকগুলো জলাধার নির্মাণ করা এবং জলাধারের মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমে পানি সংগ্রহ করা এবং সেই পানি শুষ্ক মৌসুমে ছেড়ে দিয়ে নদীকে সজীব রাখার একটি প্রস্তাব দেয়। একশ কোটি ডলারের এই প্রস্তাবটির সম্ভাব্যতা যাচাই হওয়ার পরেও এটা থেমে আছে।

ভারত এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। তবে নির্বাচনের পর পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করেন এবং তখন তিনি তিস্তা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব দেন। তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিকল্প প্রস্তাবটি এবার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয় এবং ভারত নিয়ে একটি সমীক্ষার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতের বিশেষজ্ঞ দল তিস্তার নাব্যতা ঠিক রাখা এবং তিস্তা নদীকে সজীব রাখার জন্য যৌথভাবে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চাই।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে যে, ভারত এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে যেহেতু তিস্তা নদীর পানি ব্যবহার করে সেই জন্য ভারতের প্রস্তাবটি ব্যাপারে তারা বেশি আগ্রহী। কারণ এই প্রস্তাবটি হলে ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়েও মীমাংসা করা যাবে।

অন্যদিকে চীনের প্রস্তাবটি যদি বাংলাদেশ গ্রহণ করে তাহলে সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তি নিয়ে বৈরিতা সৃষ্টি হতে পারে। প্রত্যেকটি নদীর উৎস হল ভারত। সে কারণে দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের কথাও বাংলাদেশ চিন্তা করছে।

তবে এখন অর্থনৈতিক সংকটে থাকা বাংলাদেশের জন্য চীনের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরে সাতশ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে। এই সাতশ কোটি ডলারের মধ্যে দুইশ কোটি ডলার হবে বাজেট সহায়তা। আর এই সহায়তা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আর চীন কোন কিছুর বিনিময় ছাড়াই এ ধরনের প্রস্তাব দেবে এটা ভাবা যায় না।

এখন একদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক এবং প্রত্যেকটি নদীর উৎসমুখ ভারতে থাকার কারণে পানির জন্য ভারত নির্ভরতা, অন্যদিকে আর্থিক বিষয়ে চীনের উপর নির্ভরতা। এই দুটির মধ্যে সমন্বয় করে বাংলাদেশ তিস্তা নিয়ে কোন প্রকল্প গ্রহণ প্রকল্প গ্রহণ করবে সেটি দেখার বিষয়। তবে তিস্তা নিয়ে চীন ভারতের কূটনৈতিক লড়াই এখন বেশ জমে উঠেছে।


তিস্তা চুক্তি   চীন   ভারত   বাংলাদেশ   কূটনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাভারে ডেইরি ফার্মে মিললো ১২ নিষিদ্ধ গরু

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সাদিক অ্যাগ্রোকে প্রতারণায় সহায়তার অভিযোগে সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুদক দুদক। সময় সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্রে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির ৫টি গাভী ৭টি বাছুরের সন্ধান পেয়েছে দুদকের আভিযানিক দল।

সোমবার (১ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম সেখানে অভিযান চালায়। গেল বছর কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬টি ব্রাহমা জাতের গরু সাদিক এগ্রোকে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিতে অভিযান চালায় দুদকের টিম।

জানা যায়, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পর সরকার ২০১৬ সালে ব্রাহমা প্রজাতির গরু আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে নিষেধাজ্ঞা না মেনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে করে ১৮ টি ব্রাহমা জাতের গরু দেশে আনে সাদিক অ্যাগ্রো। তবে গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন।

গরু আমদানি করতে সাদিক অ্যাগ্রো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জাল নথি দিয়ে গরু আনার ঘটনায় তখন আদালতে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে রায় দিলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো প্রজনন দুগ্ধ খামারে।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানিতে সাদিক অ্যাগ্রো তিনটি জাল নথি জমা দিয়েছিলে। নথিগুলো হলো- গবাদিপশু আমদানি-সংক্রান্ত একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী কোয়ারেন্টাইন বিভাগের কাছ থেকে একটি চিঠি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবাদিপশু আমদানির অনুমতিপত্র, যার প্রতিটিকেই জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তখনকার শুল্ক কর্মকর্তারা।


সাদিক অ্যাগ্রো   প্রতারণা   ব্রাহমা গরু   সাভার ডেইরি ফার্ম   দুদক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন