ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাত্মক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল থেকে এই সর্বাত্মক কর্মসূচি পালিত হবে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে।
আগামীকাল ১ জুলাই থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে সাধারণ পেনশনের পরিবর্তে সার্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম চালুর কথা রয়েছে। আর এই সার্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে নজিরবিহীন অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেখানে এই পেনশন স্কিম এর সঙ্গে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে যুক্ত করা হচ্ছে, সেখানেই তার প্রতিবাদ হচ্ছে।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এর ফলে পেনশন বাবদ অধ্যাপক, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রায় এক কোটি এবং তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ৩০ থেকে ৬০ লাখ টাকা কম পাবে বলে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। সুযোগ-সুবিধা কমে যাওয়ার কারণে মেধাবীরা শিক্ষা পেশায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন বলেও অনেকে মনে করছেন।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বর্তমান প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থার পরিবর্তে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার একটি নীতিগত অবস্থান অর্থ মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। আর এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রত্যয় স্কিম চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সরকার বেসরকারী চাকরিজীবী এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থা চালু করে। এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। কিন্তু আমলাতন্ত্রের খপ্পরে পড়ে এই উদ্যোগটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষ তেমনভাবে সাড়া দেয়নি। এই উদ্যোগের জন্য যেভাবে প্রচারণা এবং বিভিন্ন মহলকে সম্পৃক্ত করা উচিত ছিল সেটি আমলারা করেনি। কারণ এই সার্বজনীন পেনশন স্কিমের সমস্ত দায়িত্ব বিভিন্ন আমলাদের উপর দেওয়া হয়েছে। এটি একটি আমলা পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবেই এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে যে, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও যখন সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে যখন সার্বজনীন পেনশন স্কিমে বেসরকারি লোকজনের আগ্রহ নেই, তখন আমলারা কেন সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিচ্ছেন না? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের জবাবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, এই প্রত্যয় স্কিম অত্যন্ত ভালো এবং প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থার চেয়েও এটি উন্নত। তাই যদি হবে তাহলে আমলারা কেন এই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিচ্ছেন পেনশনের নামে।
এখন আমলারা সরকারের রাষ্ট্র থেকে যে পরিমাণ পেনশনের টাকা নেন সেটিও পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে বলে অনেকে মনে করেন। সার্বজনীন পেনশন স্কিম যদি সফল করতে হয়, তাহলে সরকারি চাকরিজীবীদেরকে এর মধ্যে যুক্ত করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই পেনশন স্কিম যদি ভালোই হয়, তাহলে আমলারা এর সঙ্গে কে যুক্ত হচ্ছে না, এই প্রশ্ন উঠেছে। আগে আমরা এই পেনশন গ্রহণ করুক, এই পেনশনের আওতাভুক্ত হোক। তাহলে সকলেই এই পেনশনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং সার্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রতি সাধারণ মানুষের অনীহাও কেটে যাবে। আমলারা যদি এই পেনশন স্কিমে যুক্ত হন, তাহলে বোঝা যাবে এটি ভালো। প্রশ্ন উঠেছে, এতই যদি ভালো হবে তাহলে আমলারা কেন এই স্কিমের সাথে যুক্ত হচ্ছেন না?
সার্বজনীন পেনশন স্কিম আমলা বিসিএস প্রত্যয় স্কিম
মন্তব্য করুন
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ প্রায় সব নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬ পরিবারের সাড়ে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেকেই। একই সঙ্গে চরাঞ্চলের ৪০০ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, হু হু করে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মানুষগুলো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন।
এদিকে, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, শাহজাদপুরের হাটপাচিল ও কাজিপুরের খাসরাজবাড়িতে চলছে নদীভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ এলাকায় শত শত বাড়ি-ঘর যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান।'
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, বন্যার পানিতে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।'
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ৫০০ মেট্রিক টন চাল আর ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে।'
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েছে'। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আগামী ২-৩ দিন ধীরগতিতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পানি বাড়লেও এ মৌসুমে বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।'
বন্যা পরিস্থিতি যমুনার পানি বৃদ্ধি
মন্তব্য করুন
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যমুনাতীরে নিম্নাঞ্চলে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৬টায় যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জানা যায়, যমুনার পানি বেড়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিনাডুলী, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, পলবান্দা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, চর আমখাওয়া, ডাংধরা, পাররামরামপুর, হাতিভাঙ্গা, পৌরসভার, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা, কুলিয়া, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ও জোড়খালী ইউনিয়নের এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন
পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় অনেক পরিবার বিপাকে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে ছুটছে মানুষ। পানি উঠে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ সব নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে। এতে জেলার ২৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৪০টিতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা এবং জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ১৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দী হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩৭টিতে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। দুটি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এসবের মধ্যে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ৭১টি এবং মাদ্রাসা ৩২টি। চিলমারী ও রাজিবপুরে তিনটি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া রৌমারী ও রাজিবপুর এলাকায় ছয়টি কলেজে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার। নদীতীরবর্তী ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। অনেক টিনশেড ঘর বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে নৌকায় করে ঘরের জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। জমিতে পানি আটকে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় পাঠদান বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা।
কুড়িগ্রাম গাইবান্ধা স্কুল কলেজে বন্যা পানি
মন্তব্য করুন
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র মো. আক্কাছ আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা ও ১৭টি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাঘা থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে বাঘা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২২ জুন বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে পৌর মেয়র আক্কাছের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় পৌর মেয়রের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে হামলা চালানো হয়। এতে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। পরে ২৬ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর থেকে আক্কাছ আলী ঢাকায় এসে আত্মগোপন করেন।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বাবুল হত্যায় পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় মেয়রের ভাগিনা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা মেরাজুর ইসলাম মেরাজসহ এরই মধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় অনেক পরিবার বিপাকে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে ছুটছে মানুষ। পানি উঠে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।