ইনসাইড বাংলাদেশ

হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির আট বছর আজ, কী ঘটেছিল সেদিন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আজ ১ জুলাই। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া না ভোলার মতো একটি দিন। আজ থেকে ৮ বছর আগে এই দিনটিতে ঘটেছিল ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক এক ঘটনা। রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান নামে একটি বেকারিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন। এ ঘটনায় নিহত ২০ জনের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি এবং ৩ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। বাকি একজন ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক। এছাড়াও আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্যও। 

পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে ধর্মীয় উগ্রবাদ। প্রায়ই দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের খবরের পাতায় উঠে আসে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার খবর। বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও জঙ্গিবাদের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতো প্রায়শই। তবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মন্তদ ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের আজকের দিনে। বাংলাদেশে জঙ্গিদের চালানো হামলাগুলোর মধ্যে এখনও পর্যন্ত এই হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডিকেই সবচেয়ে বড় হামলা বলে বিবেচনা করা হয়। সেসময় এই হামলার বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিলো। 

রাজধানীর গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিটি দেশি বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি স্থান ছিলো। স্বভাবতই সন্ধ্যার পর অবসর সময় কাটাতে কিংবা খোশগল্প করতে সেখানে কূটনীতিকদের ভিড় বাড়তো। ২০১৬ সালের ১ জুলাইয়ের সন্ধ্যাটিও ছিলো এমনই একটি সন্ধ্যা।

তবে, সেদিনের সন্ধ্যাটি পরবর্তীতে হয়ে উঠেছিলো বিভীষিকাময়। রাতে অস্ত্র হাতে হলি আর্টিজানে ঢুকে পড়েছিল ৫ জঙ্গি। রেঁস্তোরায় ঢুকেই তারা চালাতে থাকে নৃশংসতা। যে নৃশংসতার বলি হন বাংলাদেশিসহ ২০ বিদেশি নাগরিক। জিম্মি করে রাখা হয় সেখানে থাকা অন্যান্যদেরকেও। 

খবর পেয়ে ছুঁটে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুরুতে ৯ টা ২০ মিনিটে প্রাথমিকভাবে হামলা প্রতিহত করতে গেলে জঙ্গিরা এলোপাতাড়ি গুলি ও গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর। এসময় রবিউল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

ঘটনার স্পর্শকাতরতা অনুধাবন করে রাতে আর কোন ধরনের হামলা চালাইনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে রাত পেরোলে সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে সেনাবাহিনীর ‘প্যারা কমান্ডো’ ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামে একটি অভিযান চালায়। এ অভিযানে নিহত হন হামলাকারী ৫ জঙ্গি সদস্য। অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন রোহান ইমতিয়াজ, সামিউল মোবাশ্বির, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম। 

এদিকে হলি আর্টিজানে হামলার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সেই বিবৃতিতে অভিযানে নিহতদের নিজেদের ‘সৈনিক’ বলে দাবি করে তারা। তবে তাদের এই দাবিকে নাকচ করে দেয় সরকার। বাংলাদেশ সরকার দাবি করে, নিহতদের সবাই দেশীয় জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য। 

হলি আর্টিজানের হামলার ঘটনায় গুলশান থানায় করা মামলাটির তদন্ত করে সিটিটিসি। তারা এ ঘটনায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পায়। এদের মধ্যে ৫ জন হামলাস্থলে ‘অপারেশন থান্ডারভোল্ট’ এ প্রাণ হারান। এছাড়া পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালে আরও ৮ জন নিহত হন। অভিযুক্ত বাকি ৮ জনকে আসামি করে করে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই একটি অভিযোগপত্র আদালতে দেয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালে মামলার রায়ে, ৮ আসামির সাতজনকে মৃত্যুদন্ড এবং বাকি একজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। 

পরে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ৭ জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। তবে এই মামলায় হাইকোর্টের রায় এখনও প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ উভয়ই এ মামলা আপিলে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের রায় প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলেছেন, রায় প্রকাশের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, রায়ের অনুলিপি পেলে আসামিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আপিল করবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রতিবছর এ দিনটি এলে জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সাহসী পদক্ষেপের কথা উঠে আসে। তবে এতো সব পদক্ষেপের মধ্যেও জঙ্গিবাদ এবং উগ্রবাদ নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত থাকা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে ধর্মীয় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম দৃশ্যমান না থাকলেও গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনে সদস্য রিক্রুট করছে, আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, নব্য জেএমবি, জাময়াতুল আনসার হিন্দ এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো। 

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি দেশ। দেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির বীর সন্তানরা প্রাণ-পণ লড়াই করেছিলেন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে। তাই দেশকে ধর্মীয় উগ্রবাদের থেকে দূরে রাখতে প্রয়োজন সচেতনতা। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে ধর্মীয় উগ্রবাদ তথা জঙ্গিবাদকে না বলতে হবে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে।


হলি আর্টিজান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নববধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নড়াইলে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে বখাটেদের হাতে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন এক নববধূ। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশে ঘটনার দুইদিন পর ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জরিমানার টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেন অভিযুক্তের বড় ভাই। এরপর তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩০ হাজার টাকায়।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বুধবার (৩ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

জানা গেছে, গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে নড়াইলে  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত “নববধূর ‘ইজ্জতের মূল্য’ সোয়া লাখ থেকে কমে ৩০ হাজার টাকা!”- এমন এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই নববধূর পক্ষে অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। কমিশনের সদস্য মোঃ সেলিম রেজা স্বাক্ষরিত এক সুয়োমটোর আদেশবলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নড়াইল পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়। একইসঙ্গে এই আদেশের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি, নড়াইল বরাবর প্রেরণের পাশাপাশি পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরও এর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

সেই সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২২ জুন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চাঁচুড়ী বিল এলাকায় মৎস্য ঘেরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বের হন এক নববধূ। এ সময় ওই মৎস্য ঘেরে উপজেলার চাঁচুড়ী গ্রামের চিহ্নিত বখাটে ও মাদকাসক্ত আহাদ মোল্যা ও একই গ্রামের রানা মুসাল্লী ওরফে ফেলা ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ধরে দূরে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে ও হত্যার হুমকি দেয়। পরে আহাদ মোল্যা ওই নারীকেও চড়-থাপ্পড় মেরে শ্লীলতাহানি ও জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, আইফোন ও নগদ কিছু টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আহাদ মোল্যা ও রানা মুসাল্লীকে অভিযুক্ত করে কালিয়া থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারণে ঘটনার প্রায় ৯দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত বখাটে আহাদ মোল্যা (৩৫) উপজেলার চাঁচুড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন মোল্যার ও রানা মুসাল্লী ওরফে ফেলা (৩০) একই গ্রামের মহিদুল মুসাল্লীর ছেলে।

পরে গ্রাম্য এক সালিশে বিষয়টি দফারফা করতে প্রথমে হামলার শিকার নববধূর (১৯) ইজ্জতের মূল্য ধার্য্য করা হয় এক লাখ ২৫ হাজার টাকা! পরে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩০ হাজার টাকায়। তারপরও অভিযুক্তের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় দুই দফায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হলেও জরিমানার কোন টাকা দেওয়া হয়নি নববধূর পরিবারকে।

জানা যায়, ঘটনার দুইদিন পর ২৪ জুন রাতে চাঁচুড়ী গ্রামের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা ফসিয়ার রহমান শেখের বাড়িতে প্রথম দফার গ্রাম্য সালিশে এক লাখ ২৫ হাজার টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই গ্রাম্য সালিশে প্রতিপক্ষের সালিশদার চাঁচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত আহাদ মোল্যার বড় ভাই প্রভাবশালী মো. আশরাফুল ইসলাম জরিমানার টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেন।

আর এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় বিষয়টি মীমাংসা করতে পুনরায় কৃষ্ণপুর-ডহর চাঁচুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ডাকা সালিশে সাবেক চাঁচুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, চাঁচুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নাজির হোসেন মোল্যা, কালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও স্থানীয় মাতব্বর হারুন অর রশীদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নববধূর ইজ্জতের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয় মাত্র ৩০ হাজার টাকা! কিন্তু ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সালিশের এ রায় প্রত্যাখ্যান করায় ২য় দফায় সালিশি বৈঠক করেও বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হন স্থানীয়রা।

এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, চাঁচুড়ী বিল এলাকায় মৎস্য ঘেরে মারধর করে শ্লীলতাহানির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী দুইজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা আর কোনো যোগাযোগ করেনি।

পরে বিষয়টি ‘দৈনিক যুগান্তরে’ প্রকাশ হলে তা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসে ও এর প্রেক্ষিতে এক সুয়োমটো আদেশ জারি করে কমিশন। তাতে বলা হয়, সংবাদ প্রতিবেদনে বর্ণিত শ্লীলতাহানি ও জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা সংক্রান্ত অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(৪) ধারার অপরাধ এবং উক্ত অপরাধটি ধারা ১৯ অনুযায়ী আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য ও অ-আপসযোগ্য। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী দুইজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কর্তৃপক্ষ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তাছাড়া অপরাধটি অ-আপসযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত ইউনিয়ন সমাজকর্মী জনাব হারুন অর রশীদসহ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক দুই দফা গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনের সামিল। উক্ত অভিযোগের বিষয়গুলোর নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন মর্মে কমিশন মনে করে।

সুয়োমটোয় আরও উল্লেখ করা হয় যে, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী কর্তৃক থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ১৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে, এ মর্মে পুলিশ সুপার, নড়াইল ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

শ্লীলতাহানি ও জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার মতো গুরুতর অ-আপসযোগ্য অপরাধের বিষয়টি একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও কালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত ইউনিয়ন সমাজকর্মী হারুন অর রশীদের উপস্থিতিতে সালিশে মীমাংসার চেষ্টা করা সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টিকেও আমলে নিয়ে  তদন্তপূর্বক আগামী ১৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।


নড়াইল   নববধূ   জাতীয় মানবাধিকার কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা আন্দোলন: ট্রেন থামিয়ে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ট্রেন অবরোধ করে অবস্থান করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও দুই দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) দুই দফায় বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল জব্বার মোড়ে রেললাইনে ট্রেন অবরোধ করে অবস্থান নেন। ওই সময় এক ঘণ্টা ট্রেন অবরোধ করে রাখা হয়।

কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট হয়ে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে মুক্তমঞ্চের সামনে একটি প্রতিবাদ সভা করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবাদ সভা শেষে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় পর্যন্ত আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রেখে মিছিল করেন। বেলা ১টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত এক ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে রাখার পরে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

আন্দোলন চলাকালে ভেটেরিনারি অনুষদের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাশশারাত মালিহা বলেন, ‘২০১৮-এর ছয় বছর পরে একই কোটা নিয়ে আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এটিকে কি দেশের উন্নতি বলা যায়? ঘুরেফিরে আমরা ছয় বছর পিছিয়েই রইলাম। মুক্তিযোদ্ধা কোটা যদি থাকবেই, তাহলে একাত্তরে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রাণত্যাগ অর্থহীন হয়ে যায়। আমরা দেশের বীরদের অবশ্যই সম্মান করি। তবে কোনো ধরনের কোটা–বৈষম্য আমরা মেনে নেব না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, চাকরিতে নিয়োগ ও অন্য সব প্রতিযোগিতার জায়গায় আমরা মেধার শতভাগ মূল্যায়ন চাই।’

অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন সর্বোচ্চ সম্মানের যোগ্য। তবে তাঁদের সম্মান দেওয়ার নাম করে কোটাপ্রথার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে চরম বৈষম্যের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার ( জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। পরদিন থেকেই ওই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।


বাকৃবি   কোটা আন্দোলন   ট্রেন অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

‘বৈষম্য নিপাত যাক-পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকুরি-বিধি বাতিলের দাবীতে তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।

 

কর্মবিরতি পালনের অংশ হিসেবে এদিন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত তিনদিন ধরে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলছে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে শহরের চকবিরাম নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয় প্রাঙ্গনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যকার বিভিন্ন বৈষম্যের প্রতিবাদে অবস্থান নিয়ে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়। এসময় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা ডিজিএম (টেকনিক্যাল) আকিয়াব হোসেনের নেতৃত্বে এজিএম রাজু হাসান ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় জেলার অন্যান্য উপজেলার নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

 

আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদমর্যাদা, ৬মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিএ বোনাস সমহারে না দেওয়া, লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারী পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, মাঠ পর্যায়ে কর্মচারীদের চুক্তি ভিত্তিক চাকুরি নিয়মিত না করা সহ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়মের শিকার হচ্ছে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

দীর্ঘদিন ধরে চলা এসব শোষন, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করে স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে অভিন্ন চাকুরী বিধি ও সকল চুক্তিভিত্তিক, অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরি নিয়মিতকরনের দাবি জানান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণাও দেয়া হয়।


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি   কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনকে আসামি করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুরে পাবনার সুজানগর উপজেলার চিনাখড়া এলাকায়।

পাবনা সুজানগরে আওয়ামী লীগ কর্মী মোজাহার বিশ্বাসকে হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনকে আসামি করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছের নেতাকর্মীরা।

 

বুধবার (০৩ জুলাই) দুপুরের দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের চিনাখড়া বাজারে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপি বিক্ষোভ, অবরোধ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের।

 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুজানগর পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ, দুলাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

 

এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব নির্বাচনে জয়ী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের উপরে নানাভাবে হামলা মামলা দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে।

 

 নির্বাচন পরবর্তী উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা আল আমিন হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের জড়িত থাকার বিষয়কে ধামাচাপা দিতে প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। তাই এই মিথ্যা মামলা থেকে শাহীনের নাম দ্রুত প্রত্যাহার করে প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

 

পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে নেতাকর্মীরা মহাসড়ক থেকে কর্মসূচি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল ওহাব বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে তোলা এসব অভিযোগ বানোয়াট ছাড়া কিছু নয়। বরং নির্বাচনের পর থেকে শাহীনের লোকজন একের পর এক হামলা ভাঙচুর চালিয়ে আমার সমর্থকদের মারধর করছে। তার লোকজনের হামলায় আ.লীগ কর্মী মোজাহার বিশ্বাস মারা গেছে। সেই মামলায় যদি শাহীন আসামী হয় আমার কি করার আছে। এটি মামলার বাদির বিষয়।'

 

উল্লেখ্য, বিগত উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

 

এ ঘটনার জেরে গত ২১ জুন উপজেলার রানীনগর এলাকায় ওহাব ও শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আল আমিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন কর্মী নিহত হয়। এ ঘটনায় জের ধরে ওইদিন রাতেই শাহীন গ্রুপের লোকজন আব্দুল ওহাব গ্রুপের সমর্থক মোজাহার বিশ্বাসকে এলোপাথারী কোপায়। পরে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ জুন মারা যান।

 

এ ঘটনায় নিহত মোজাহার বিশ্বাসের ছোট ভাই জামাল বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ৩০ জুন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন কে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২৭, জিআর ১২২/২৪।


মানববন্ধন   হত্যা মামলা   মিথ্যা অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বুধবার (০৩ জুলাই) ইবি রোডস্থ পৌর ভাসানী মিলনায়তন সবুজ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু। 

 

এছাড়াও প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) আমিরুল ইসলাম খান আলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির।

 

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল,আনিসুজ্জামান পাপ্পু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা,শ্রী অমর কৃষ্ণ দাস খ ম রকিবুল হাসান রতন,  যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, নুর কায়েম সবুজ, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, মির্জা মোস্তফা জামান, আলমগীর আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মোঃ রফিকুল ইসলাম, শহর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল জোয়ার্দার,জেলা যুবদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগী) মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ প্রমুখ।

 

এসময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ও ১৮টি ইউনিটের বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপি   সমবেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন