ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কু‌ড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ স্পৃ‌ষ্ট হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকার এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহতরা হলেন, আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭) । উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

 

স্থানীয়রা জানান, রাত ৮ টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়ীতে বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিলেন। এ সময় সে অসাবধানতা বশত বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হলে ছেলের আর্তনাতে বাবা আবু তাহের সন্তানকে উদ্ধারের জন্যে এগিয়ে যান। পরে বাপ-ছেলে দুজনই ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

 

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) গোলাম মর্তুজা জানান, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   বাবা-ছেলে   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমলাদের বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদদের একটি বিজয়

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আপাতত মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ছে না। মেট্রোরেলের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এনবিআরের চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিমের একটি প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিলো। সেই দ্বন্দ্বে আপাতত রাজনীতিবিদদের জয় হলো। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা ওবায়দুল কাদেরের কাছে শেষ পর্যন্ত এনবিআরের চেয়ারম্যানকে আপাতত বশ মানতে হয়েছে। 

১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের ভাড়ার উপরে ১৫% ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করেছিলো এনবিআর। কিন্তু সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। এখন পর্যন্ত ভ্যাট আদায় হয়নি। ভ্যাট আদায় করা হবে কি হবে না এটি নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে এনবিআরের প্রতিনিধিরাও আছে। আগামী এক মাসের মধ্যে উভয়পক্ষ আলাপ-আলোচনা করে এব্যাপারে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। 

তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেহেতু এটি একটি নতুন পরিবহণ ব্যবস্থা এবং মানুষ এর সুবিধা ভোগ করছে। তাই এখানে ভ্যাট আরোপের জন্য আরেকটু সময় প্রয়োজন। তাছাড়া কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় রয়েছে। কারিগরি ব্যবস্থাপনার কিছু সংশোধন করা ছাড়া এখানে ভ্যাট আদায় করলে জটিলতা হতে পারে। সেকারণেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এর আগে এনবিআরকে জানিয়েছিলো যে,আপাতত মেট্রোরেলের উপর যাতে ভ্যাট বসানো না হয়। 

কিন্তু মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এই দাবি প্রত্যাখান করে এনবিআর জানিয়ে দেয়, মেট্রোরেলের ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হবে। পরে বিষয়টি প্রকাশ্য বিতর্কে রূপ নেয়। এনবিআরের বক্তব্যের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অন্তত দু’টি অনুষ্ঠানে এনবিআরের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এবিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, এভাবে এর ওপর ভ্যাট আরোপ করা যাবে না। এরকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত এবারের বাজেটে মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়। এখন উভয় পক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ভ্যাট আদায় করা হবে কি হবে না। 

বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের বাড়-বাড়ন্তের সময় এটি রাজনীতিবিদদের একটি বড় বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় আমলাতন্ত্রের প্রভাব, প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতা বেড়েছে। রাজনীতিবিদরা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। এর মধ্যে এই ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্তে যদি এনবিআরের জয় হতো তাহলে সেটি হতো আমলাদের আরেকটি বিজয়। কারণ এনবিআরের চেয়ারম্যান এমন একজন ব্যক্তি, যিনি একাধিকবার চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। আমলাতন্ত্রের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়। 

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এনবিআরের নানারকম কেলেঙ্কারি, বিশেষ করে মতিউর কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে এখন আমলাতন্ত্রের একটি কোণঠাসা অবস্থা তৈরি হয়েছে। আর একারণেই রাজনীতিবিদদের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়েছে। বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে, এবং প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনবান্ধব নীতির পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। জনগণের ভোগান্তি হোক এমন কোন সিদ্ধান্ত তিনি গ্রহণের বিপক্ষে সবসময়। সারাজীবন রাজনীতিতে তিনি জনগণের পক্ষেই ছিলেন। আর একারণেই নতুন ভাবে জনপ্রিয় হতে যাওয়া মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্তের পক্ষে তিনি অবস্থান করতে পারেন নি। 

এখন দেখার বিষয়, এনবিআর কবে, কিভাবে ভ্যাট আদায় করে বা মেট্রোরেল পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকার কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে মেট্রোরেলের উপর ভ্যাট আপাতত আরোপ করা হচ্ছে না। ভবিষ্যতে হয়তো আস্তে আস্তে এ বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হবে।


আমলা   রাজনীতিবিদ   দ্বন্দ্ব   মেট্রোরেল   ভাড়া বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা আন্দোলনের নেতাকে হলছাড়া করার চেষ্টা

প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তিনি অমর একুশে হলে থাকেন। এই হল শাখা ছাত্রলীগে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী কয়েকজন নেতা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

পরে একুশে হলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তা করতে পারেননি অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা। সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে তাঁরা সারজিসের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে সারজিসকে হলছাড়া করার চেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরে অমর একুশে হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে একুশে হলের পাশাপাশি অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়। তখন একুশে হলের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা সারজিসের কাছে ক্ষমা চান। বিক্ষোভ চলাকালে দিবাগত রাত একটার দিকে একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে আসেন। সারজিস হলে থাকবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শান্ত হন। কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সারজিসের সহযোগীরা তাঁকে তাঁর হলের কক্ষে পৌঁছে দিয়ে আসেন।

ঘটনার বিষয়ে গতকাল মধ্যরাতে সারজিস সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর রুমমেটকে হল শাখা ছাত্রলীগে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা বলেন, সংগঠনের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা এসেছে, তিনি যেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে হল ছেড়ে যান। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তিনি। পরে তিনি সংশ্লিষ্ট শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের কাছে জানতে চান, এমন কিছু বলা হয়েছে কি না। তাঁরা ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দেন। এই উত্তর পেয়ে তিনি কক্ষে এসে ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। কারণ, তিনি চাননি কোনো ঝামেলা হোক। হল ফটকে এসে দেখেন, পাঁচ থেকে সাত শ শিক্ষার্থী দাঁড়ানো। তাঁরা তাঁকে যেতে দিচ্ছিলেন না। কারণ, তিনি ছাত্রসমাজের একটা যৌক্তিক দাবির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন। খবর পেয়ে আশপাশের হল থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন।

সারজিসের ভাষ্য, একপর্যায়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, হল শাখার কোন শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা তাঁর সঙ্গে এই কাজ করেছেন। তাঁকে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চান। তাঁরা স্বীকার করেন, ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। তাঁরা তাঁকে হল থেকে বের করে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিলেন।

ক্ষমা চাওয়ায় একুশে হলের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের নাম সাংবাদিকদের কাছে বলতে চাননি সারজিস। ছাত্রলীগের শীর্য পর্যায় থেকে কে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তা-ও তিনি বলেননি।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থী মধ্যরাতে এই প্রতিবেদককে ফোন করে অভিযোগ করেন, তাঁরা একুশে হলের দিকে যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী কিছু নেতা এ কাজ করেছেন।

যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর আবাসিক হলে থাকা না-থাকাটা হল প্রশাসনের বিষয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সহনশীল ও দায়িত্বশীল আচরণ করার সাংগঠনিক নির্দেশনা রয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ বলেন, ‘একটা ভুল-বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করেছি। সারজিসকে হলের কক্ষে তুলে দিয়ে এসেছি।’


কোটা আন্দোলন   নেতা   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান: সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের অহংকার, গর্বের অর্জন পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার  বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মাওয়া পৌঁছেন তিনি।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে গত দুই বছর সেতুর ওপর দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে মোট বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। আমরা ওই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেব।

সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। সুধী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ।


পদ্মা   সেতু   সমাপনী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বড় বড় সাংবাদিক ম্যানেজ করেই এসেছি, এমন কথা বলিনি: মতিউরের স্ত্রী লায়লা

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

‘বড় বড় সাংবাদিক ম্যানেজ করেই এসেছি’—এমন কথা বলেননি বলে দাবি করেছেন ছাগলকাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া এনবিআরের সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে তিনি এ দাবি করেন। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিকদের সত্য সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান।

এ ঘটনার ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগেমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে লায়লা কানিজ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমি অফিসে এসেছিলাম। অফিসের কার্যক্রম শেষ করে আমি কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে আমার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে অফিস ত্যাগ করি। কিন্তু সেদিন কে বা কারা একটি ভুল তথ্য মিডিয়াকর্মীদের দিয়েছেন, আমি ঢাকার বড় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে এখানে এসেছি। এটা আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি এ ধরনের কথা বলি নাই।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে লায়লা কানিজ আরও বলেন, ‘যাঁরা মিডিয়ার কর্মী ও সাংবাদিকদের এসব ভুল তথ্য দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আপনারা সত্য তথ্যটা বের করে উপস্থাপন করবেন। আপনারা সমাজের দর্পণ, আমি আশা করব, আপনারা সত্যটা প্রকাশ করবেন।’

ছাগল-কাণ্ডের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গত ২৭ জুন এক সপ্তাহের অনুপস্থিতি শেষে প্রথম কার্যালয়ে যান রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ। সেদিন দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ব্যক্তিগত কালো রঙের একটি গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি সভায় অংশ নেন তিনি। এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সভায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সামনে বক্তব্য দিয়েই নিজের কক্ষে চলে যান লায়লা কানিজ। এ সময় তিনি বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদ–পরবর্তী কুশল বিনিময় করেন। পৌনে একটার দিকে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন–সম্পর্কিত আরেকটি সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের সামনে বক্তব্য দেন তিনি। ঠিক একটায় সভা থেকে বেরিয়ে ওই কালো গাড়িতে চেপে কার্যালয় ত্যাগ করেন লায়লা কানিজ।

কার্যালয় থেকে বেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকেরা লায়লা কানিজকে একের পর এক প্রশ্ন করছিলেন। কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি আরেকটি সভায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে গাড়িতে উঠে পড়েন।


মতিউর   ছাগলকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাসেলস ভাইপারের কামড় খেয়ে সাপ নিয়েই হাসপাতালে হাজির কৃষক

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার কৈকুন্না গ্রামের কৃষক রুবেল আলী (২৬) কলাখেতে কাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত হন। সাপটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে বস্তাবন্দী করে তিনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রুবেল জানান, সকালে কলাখেতে কাজ করার সময় হঠাৎ রাসেলস ভাইপার সাপ তাকে কামড় দেয়। সাপটি চিনতে পেরে তিনি লাঠি দিয়ে সাপটিকে আঘাত করে মেরে ফেলেন এবং পরে সেটিকে বস্তায় ভরে দ্রুত হাসপাতালে রওনা দেন। প্রথমে আতঙ্কিত হলেও এখন তিনি চিকিৎসার পর ভালো বোধ করছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন বলেন, রুবেল হাসপাতালে আসামাত্র তার চিকিৎসা শুরু হয় এবং তিনি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। আপাতত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ মে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত হন কৃষক হেফজুল ইসলাম (৪৫)। তিনিও সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দী করে নিজেই রামেক হাসপাতালে আনেন এবং চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।


রাসেলস ভাইপার   সাপ   আতঙ্কিত   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন