বৈষম্যমূলক পে-স্কেল ও পেনশন স্কেলের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। যার কারণে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা।
গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা।
একই দিন রাজশাহী, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হয়।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দাবি তিনটি—প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ সচিবেরা যে ধাপে বেতন-ভাতা পান) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল। আর এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
গতকাল (রোববার) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৩ মার্চ
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আর এতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অন্তর্ভূক্তির শুরু থেকেই এই ব্যবস্থাকে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বলে বাতিলের দাবি
জানিয়ে আসছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো। এ
সংগঠনগুলো দাবি আদায়ে বেশ কিছু কর্মসূচী পালন করে।
এদিকে গত ৪ জুন দাবি আদায়ে
অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এরপরও তাদের দাবির
বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ার গত ২৫,২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন কর্মবিরতি পালন
করেন তারা।
কর্মবিরতি স্থগিত পে-স্কেল প্রত্যয় স্কিম
মন্তব্য করুন
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সকল সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ ৪ দাবিতে প্রায় ২০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷
এর আগে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংশপ্তক ভাস্কর্যের পাদদেশে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ করে সেখানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাবি, মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ার
সমাবেশে পরিবেশ
বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭
তম
ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম
বলেন,
আমরা
স্বাধীনতার ৫০
বছর
পরেও
এসে
দেখছি
সরকারি
চাকরিতে ৫৬%
কোটা
বিদ্যমান। এই
বৈষম্যের জন্য
কি
আমরা
১৯৭১
সালে
মুক্তিযুদ্ধ করে
দেশ
স্বাধীন করোছিলাম? আনাদের
মুক্তিযুদ্ধোরা কি
এই
বৈষম্যের জন্য
যুদ্ধ
করেছিলেন? আমরা
আবারও
যুদ্ধে
নেমেছি
এই
বৈষম্য
দূর
করার
জন্য।
আগামী
৪
জুলাই
যদি
সরকার
আমাদের
দাবি
মেনে
না
নেয়
তাহলে
সারাদেশ অচল
করে
দেওয়া
হবে।
আমরা
কর্তৃপক্ষকে বলতে
চাই,
আপনারা
সর্বসাধারণের রায়
মেনে
নিয়ে
বৈষম্য
দূর
করুন।
আর
যদি
এই
বৈষম্য
জারি
রাখেন
তাহলে
বাংলার
অদম্য
সেনারা
তাদের
আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান ৪৮তম
ব্যাচের শিক্ষার্থী ও
ছাত্র
ইউনিয়ন জাবি
সংসদের
সাধারণ
সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম
ইমন
বলেন,
কোটা
রাখা
হয়
শুধু
পিছিয়ে পড়া
জনগোষ্ঠীদের জন্য।
তাছাড়া আমাদের
সংবিধানের ১৯
তম
অনুচ্ছেদে বলা
হয়েছে
‘সুযোগের সমতা’। কিন্তু এই
সাম্য
বিনষ্ট
হচ্ছে
হাইকোর্টের কোটা
পুনর্বহাল সিদ্ধান্তের কারণে।
সুতরাং
আমাদের
সাধারণ
শিক্ষার্থীদের দাবি,
মেধার
উপর
গুরুত্ব আরোপ
এবং
শুধু
সুবিধাবঞ্চিত জনগণের
কথা
বিবেচনা করেই
কোটা
সংস্কার করা
উচিত।
সমাপনী বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, 'আগামী ৪ তারিখ আপিল বিভাগে শুনানি আছে। সেখান থেকে যদি ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে যদি রায় আসে তাহলে এদেশে একটি গাড়িও চলতে দেওয়া হবে না। বুধবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দুই ঘণ্টার জন্য অবরোধ করব৷
জাবি কোটা বাতিল মহাসড়ক অবরোধ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের
প্রতিবাদে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে
বিপুল সংখ্যক চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করে। মিছিলটি নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাব ও বাটা সিগন্যাল মোড় ঘুরে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে থামে। এসময় শাহবাগ মোড়ে প্রায়
এক ঘণ্টা অবস্থানের পর সরে যান বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীর মিছিলটি শুরু করে। পরবর্তীতে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
শাহবাগে মোড়ে অবস্থানকালে আন্দোলনকারী
চাকরী প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ এমন নানা স্লোগান দেন৷
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল৷ এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল৷
সেই বছর ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবি জানায়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা ৷
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে জবিতে ছাত্র সমাবেশ
পরে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিল বিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৷ এরপর ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন৷ সেই রিটের রায়ে গত ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়৷
এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা মাঠে নামে। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ এই শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন৷
কোটা আন্দোলন ছাত্র সমাবেশ মিছিল সরকারি চাকরি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল
মন্তব্য করুন
টানা দ্বিতীয় দিনে কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবী না মানা পযন্ত সকল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২জুলাই) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি রায়সাহেব মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানবো না’, শেখ হাসিনার বাংলায়/শেখ মুজিবের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, 'সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথা কবর দে', 'কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ সহ নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি স্বাধীন দেশে এই কোটা প্রথা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পরিশ্রম ও মেধাকে অবমাননা করা হচ্ছে। এই মূহুর্তে লাইব্রেরি ছেড়ে আমরা পথে নেমেছি। আমাদের দাবীগুলো মানতে হবে।
আন্দোলনে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ শিক্ষাথী মাসুদ আলম বলেন, দেশ উন্নয়নের অবদান সকলের আছে। যার মেধা আছে সে তার যোগ্য জায়গাটা পেলে সে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু অত্যাধিক সুবিধা দিলে কেউ সেটার মূল্য বুঝবে না বরং সে দুর্নীতিবাজ হবে। দেশটা সবার আমরাও দেশের নাগরিক।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি পেশ করেন। এগুলো হলো:
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২. ‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
কোটা আন্দোলন ছাত্র সমাবেশ চার দফা দাবি
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২
জুলাই) ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র-ইউনিয়ন ইবি সংসদ ও শাখা ছাত্র-মৈত্রীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
এদিন সকাল ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের ঝাল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে 'স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাইঁ নাই', '১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে', ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পামের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ছাত্রসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল, সম্প্রতি হাইকোর্ট সেটা পুনর্বহাল করেছেন। আমরা হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। বক্তারা আরও বলেন, চাকরী পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। যার ফলে মেধাবীদের বঞ্ছিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা এসব ক্ষেত্রে সুবিধা নিচ্ছে। আমরা এই বৈষম্য মানি না। আমাদের আন্দোলন একেবারে কোটা বাতিলের দাবিতে নয়। আমরা চাই ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারী চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।
ইবি কোটা পুনর্বহাল প্রতিবাদ বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ চালুর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন পালন করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এতে দেশের পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থার। ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ব্যাহত
হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ও প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাসও বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এতে শিক্ষার্থীরা
রয়েছে সেশনজটের শঙ্কায়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই)
দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের
সামনে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকদেরর আরেকটি অংশ প্রসাশনিক কাজ বন্ধ করে রেজিস্টার ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বৈষম্যমূলক এই পেনশন স্কীম জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে আন্দোলনকারীরা হুশিয়ারি দেন, এই স্কীম প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার ছাড়াও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন ও সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে কর্মবিরতির এই কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে পালন করছে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলো। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনের মাঠে সরব হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমিতিগুলোও।
এদিকে
গত
৪
জুন
দাবি
আদায়ে
অর্ধদিবস
কর্মবিরতি
পালন
করেন
বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষকেরা।
এরপরও
তাদের
দাবির
বিষয়ে
কোন
পদক্ষেপ
না
নেয়ার
গত
২৫,২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস
এবং
৩০
জুন
কর্মবিরতি
পালন
করেন
তারা।
প্রত্যয় স্কিম সার্বজনীন পেনশন প্রত্যাহার শিক্ষকদের কর্মবিরতি
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিপুল সংখ্যক চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করে। মিছিলটি নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাব ও বাটা সিগন্যাল মোড় ঘুরে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে থামে। এসময় শাহবাগ মোড়ে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর সরে যান বিক্ষোভকারীরা।