নৌপথে কয়লা চুনাপাথর পরিবাহী নৌযান আটকে চাঁদা আদায়কালে ৮ পেশাদার চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ জুন) সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিভিন্ন শুল্ক ষ্টেশন থেকে ছেড়ে কয়লা -চুনাপাথর পরিবাহি ছেড়ে নৌযান জামালগঞ্জের বৌলাই নদীতে আটকে রেখে চাঁদা আদায় করছিলো একটি সংঘবন্ধ চক্র। এরপর ওই নৌপথে অভিযান চালিয়ে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামালগঞ্জের উজান লালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে বিল্লার ওরফে বিলামিন, একই গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে মুক্তাদির, আকিনূর মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া, উমেদপুর গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে নূরল গণি,একই গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে নুর জালাল,মৃত আলী আহমদের ছেলে মুজাহিদ, ফখর উদ্দিনের ছেরে মিরাজ আলী, আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে হিরন মিয়া।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে একাধিক অস্থায়ী চেকপোষ্ট থেকে ৬৬২ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ কেজি গাঁজাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-১২)।
অভিযানের শুরুতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন ২ নং বাগবাটি ইউনিয়নের ফুলকুচা এলাকায় রেজিস্ট্রেশন বিহীন একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১৫১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় এবং ওই রাতেই ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানাধীন ঘুরকা বেলতলা বাজার এলাকায় একটি ভুট্টা বোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৪৪৭৬) থেকে ৫১১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এরপর শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন হাজীপুর এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট মাদক কারবারির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ৫ জন মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো, কুষ্টিয়া সদরের খাজানগর (কাতলমারি) এলাকার মোঃ বক্কার শেখের ছেলে মোঃ মোজাহার শেখ (৩১), লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার মদনপুর এলাকার মোঃ নুর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আব্দুল মোনা (১৯), কুড়িগ্রাম জেলার কচুকাটা থানার কেদার (খাঁ পাড়া') মহল্লার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ আনিছুর রহমান (৩৫), কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার কাঠগিরি এলাকার মোঃ মঈন আলীর ছেলে মোঃ নিজাম উদ্দিন (৪০) এবং একই জেলার কচাকাটা থানার দক্ষিন বলদিয়া (কুমারটারী') এলাকার তমছের আলীর ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩০) ।
শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে র্যাব-১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মারুফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অধিনায়ক আরও জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে থাকা মাদক কেনা বেচার কাজে ব্যবহৃত ৮ টি মোবাইল ফোন, নগদ ছয় হাজার আটশো নব্বই টাকা, ১ টি ট্রাক ও ১ টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর থানা, সলঙ্গা থানা এবং বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গাাঁজা ফেনসিডিল মাদক কারবারি র্যাব গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নাগরভিটা সীমান্তের ৩৭৬ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাবপিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) ফিরোজ কবির ও বড়পলাশবাড়ী
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন মিয়া আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ২৮ বছর বয়সী রাজু মিয়া বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী
ইউনিয়নের গড়িয়ালী গ্রামের হবিবর আলীর ছেলে।
ওসি ফিরোজ বলেন, “গরু চোরাকারবারিরা নগরভিটা সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফের সদস্যরা রাজুকে দেখতে পেয়ে গুলি করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।”
রাজুর লাশ এখনও বিএসএফের কাছে রয়েছে বলে জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ বলেন, “আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সীমান্তের শূন্যরেখায় পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান করেছি। বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
মন্তব্য করুন
মানুষের হৃদয়ে
যে নাম লিখিয়েছেন শেখ হাসিনা, সেখানেই বেঁচে থাকবেন তিনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উচ্চারিত হবে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহস দেখাতে পেরেছেন।
কাদের আরও বলেন, ‘নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তে পর অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। আমাকেও কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমি কিছু বলিনি৷’
কাদের বলেন, ওয়াশিংটনে মাইনর অপারেশন করাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে পদ্মায় প্রথম স্প্যান বসবে। আমরা ওনাকে জানালাম, আপনি ফিরলে স্প্যান বসবে। কিন্তু তিনি বললেন, শেখ হাসিনার কারণে পদ্মা সেতুর কাজ যেন এক মিনিটের জন্যও থেমে না থাকে।
এর আগে দুপুর ৩টা ৫৩ মিনিটে সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন বিকেল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। জানা যায়, এই অনুষ্ঠানে ২ হাজারের অধিক সুধীজননকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
মানুষের হৃদয় শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু
মন্তব্য করুন
বিএনপির খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ৩ দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পর দলটি আবার হতাশায় ভেঙে পড়েছে। তারা ভেবেছিল যে বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুতে অন্তত নেতা কর্মীরা চাঙ্গা হবে। কিন্তু বিএনপির এই ৩ দিনের কর্মসূচি রীতিমতো ফ্লপ হয়েছে বিএনপি নেতারাও স্বীকার করছেন যে এই কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের হতাশা কাটাতে পারছেন না তারা। সরকার পতনের যে দল সংগঠন এবং দলের ভিতরে হতাশা দূর করাটাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ও তিন দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ব্যর্থ হচ্ছে।
এর মধ্যে বিএনপির কোনো নেতা কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের প্রত্যয় পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন। কিন্তু বিএনপির আরেক অংশের নেতৃত্ব এই দুটি কি ফাঁদ মনে করছেন? তারা মনে করছেন, শিক্ষকদের যে আন্দোলন হচ্ছে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার এবং এই আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকরাই জড়িত৷ এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হলে আবার নতুন করে হতাশ হতে হবে।
বিএনপির মধ্যে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে সম্পূর্ণ দ্বিধাবিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন, এটা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। আমলাতন্ত্রের সঙ্গে শিক্ষকদের বিরোধ। যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা সবাই আওয়ামীপন্থি। কাজেই তারা এক সময় মিটমাট করে ফেলবেন তখন বিএনপিকে পস্তাতে হবে।
বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের কেউ কেউ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তারা মনে করছে যে, সরকারকে চাপে ফেলার জন্য এই আন্দোলনে বিএনপির সংহতি প্রকাশ করা উচিত এবং বিএনপি যদি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় তাহলে লাভ হবে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব এখনও কাটেনি। বরং এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে প্রবলভাবে।
শুধু শিক্ষকদের আন্দোলন নয়, কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়েও বিএনপির অবস্থান দ্বিধাবিভক্ত। ছাত্রদলের নতুন কমিটি হয়েছে। ছাত্রদলের অনেক নেতাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে সমান্তরালভাবে কর্মসূচি দেয়া বা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য উস্কানি দেয়া ইত্যাদি প্রবণতাগুলো এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমাপ্তি কী হয়, কীভাবে এই আন্দোলনকে সরকার মোকাবিলা করে সেটাই দেখতে চাইছে।
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, এই সমস্ত শ্রেণি পেশার আন্দোলনগুলো জনপ্রিয় হলেও তার সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্রব নেই। এসব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বরং বিএনপি আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কারণ এই আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে বিএনপির মূল দাবিগুলো অকার্যকর এবং দুর্বল হবে।
বিএনপির কোনো নেতা এটা মনে করেন যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুগুলিকে আড়াল করার জন্যই কোটা বিরোধী আন্দোলন বা শিক্ষকদের পেনশন স্কিমের আন্দোলনকে সামনে আনা হয়েছে। এটি সরকারের একটি কৌশল।
বিএনপির একজন নেতা একজন নেতা বলছিলেন যে দুর্নীতিবাজদের নিয়ে যখন সারা দেশে হৈ চৈ হচ্ছিল তখনই শিক্ষকদের ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে আন্দোলন আর শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এটি একটি সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেন ঐ বিএনপি নেতা। তিনি মনে করেন, এই সমস্ত আন্দোলন করে সরকার মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে চেয়েছে। তবে, সামনের দিনগুলোতে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের আন্দোলন কিভাবে এগোয় সেটির দিকেই লক্ষ্য রাখতে চাইছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
কোটা আন্দোলন শিক্ষকদের আন্দোলন বিএনপি দ্বিধাবিভক্ত
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পদ্মা সেতু সমাবেশ
মন্তব্য করুন
বিএনপির খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ৩ দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পর দলটি আবার হতাশায় ভেঙে পড়েছে। তারা ভেবেছিল যে বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুতে অন্তত নেতা কর্মীরা চাঙ্গা হবে। কিন্তু বিএনপির এই ৩ দিনের কর্মসূচি রীতিমতো ফ্লপ হয়েছে বিএনপি নেতারাও স্বীকার করছেন যে এই কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের হতাশা কাটাতে পারছেন না তারা। সরকার পতনের যে দল সংগঠন এবং দলের ভিতরে হতাশা দূর করাটাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ও তিন দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ব্যর্থ হচ্ছে।